ডুবুরির দলের অনেক অনেক প্রচেষ্টায় নায়েগ্রা ফলসের গভীর পানির তলদেশ থেকে জ্ঞানহীন তিতাসকে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোট রাইডে এতক্ষন আটকে থাকা লোকজনের উল্লসিত চিৎকারে, হাততালির শব্দে নায়াগ্রা ফলস চত্বরে আনন্দের আমেজ এনে দিল।

জীবনের প্রথম নায়াগ্রা ফলসে বেড়াতে আসা নিউকামার তিতাসের বাবা-মা তমাল ও তিথি পাগলের মতো কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞানহীন তিতাসের দেহের কাছে যেতে চাইলে এক দল পুলিশ ওদের পথ আগলে ধরলো। কারণ, প্যারামেডিকের দল অজ্ঞান তিতাসকে নাভির দিকে চেপে ধরে ক্রমাগত CPR দিয়ে চলেছে ।

তিতাসের শরীরে প্রাণ আছে কি না এখনো বুঝা যাচ্ছে না। ফুসফুসে পানি জমে ভারী হয়ে অক্সিজেন শূন্য হয়ে হৃদপিণ্ডের কার্যক্রম বন্ধের উপক্রম, তার উপর আবার অনেক্ষন ঠান্ডা পানিতে থাকার কারণে হাইপোথারমিয়া। প্যারামেডিকের দল তিতাসের মুখের কাছে মুখ লাগিয়ে বাতাস দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালের স্পেশাল হ্যালিকপ্টার বোটের কাছাকাছি ল্যান্ড করার জন্য নিচু হয়ে আসছে। হ্যালিকপ্টারের কানে তালা লাগা প্রচন্ড শব্দেও ক্ষীণ হয়ে শোনা যাচ্ছে তমালদের সাথে বেড়াতে আসা ওদের বেজমেন্টের বাড়িওয়ালা সোবহান সাহেব তমালদের জটলার কাছাকাছি বোটের একপাশে কাঁপা কাঁপা গলায় সুর করে আজান দিচ্ছে , ‘আল্লাহু আকবার…..”. কিছু ভিনদেশি সাদা পর্যটকরা কিছুটা অবাক হয়ে আজান শুনছে । কেউ একজন পাশে থাকা তমালের বন্ধু পরাগকে জিজ্ঞাসা করায় পরাগ আজানের বিশেষত্ব ওদের বুঝিয়ে দিল।

মাথার উপরে দুপুরের ত্যাজি সূর্য কিছুটা মলিন হয়ে পশ্চিমাকাশে ঢোলে পড়তে শুরু করেছে। নায়াগ্রা ফলস চত্বরে রাস্তার উল্টা পিঠে লং উইকেন্ড উপলক্ষে কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়েছে। একদল শিল্পী গিটার বেজে নেচে নেচে গান গাচ্ছে। এই heterogeneous মাল্টি কালচারাল সমাজের এই এক বিচিত্র নিয়ম, কেউ বা আজান দিচ্ছে, কেউ নেচে নেচে Hip Hop গান গাচ্ছে কেউ বা নেশায় বুদ হয়ে নায়াগ্রার সৌন্দর্য উপভোগ করছে।

তিতাস ও তার বাবা মাকে হ্যালিকপ্টারে করে মিসিসাগার ক্রেডিটভ্যালি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে তিতাস এই পৃথিবীতে টিকে থাকার সংগ্রামে প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে। তিথি, তমাল হাসপাতালের করিডোরে বসে উম্মাদের মতো সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদের জীবনের বিনিময়ে হলেও একমাত্র ছেলের জন্য প্রাণভিক্ষা চাচ্ছে। বাবা মা রা কতখানি অসহায় হলে এরকম প্রার্থনা করতে পারে!!

পর পর দুইবার মিসক্যারেজ এর পরে এই অটিষ্টিক শিশু তিতাসের জন্ম হয়েছিল। আত্মীয়স্বজনদের টিকাটিপ্পনি ও ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে মাত্র কয়েক মাস হলো তমাল- তিথীরা তাদের একমাত্র ছেলে ছেলে তিতাসকে নিয়ে স্বপ্নের ইমিগ্রেশন নিয়ে এই কানাডাতে এসেছিল। সেই ছেলেই যদি দুনিয়াতে না থেকে, তবে কি হবে এই জীবন রেখে!

তমালের ফোনে রিং বেজে উঠলো, দেশ থেকে শ্যালক মন্টু ফোন করেছে। তমাল অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফোন রিসিভ করল:
-‘দুলাভাই, অনেক্ষন ধরে আপাকে ফোন করে পাচ্ছি না। আপনার কি এখনো নায়াগ্রা ফলসে আছেন? সম্ভবত আপার ফোনে ডাটা নাই, একটু লাইভ এ আসেন দুলাভাই প্লিজ, আপনাদের মাধ্যমে একটু নায়াগ্রা ফলস দেখি, আব্বা আম্মাও আমার সাথে আছেন। আপনাদের সাথে টাইমের এমন ডিফারেন্স, আপনাদের এখন সন্ধ্যা আর আমাদের খুব সকাল। আব্বা ফজর নামাজ শেষে আমাকে ঘুম থেকে ডেকে আপনাদের ফোন দিতে বললেন।’

তমাল ঠান্ডা মাথায় মন্টুকে বললো :
‘মন্টু, তোমাকে আমি এখন যা বলবো, মন দিয়ে শুনবে:
-আমরা এ মুহূর্তে প্রচণ্ড বিপদে আছি। ঘন্টা দুয়েক আগে নায়াগ্রা ফলসের একটি বোট রাইডে উঠতে যেয়ে আমাদের তিতাস বোট থেকে পড়ে যেয়ে জলপ্রপাতের গভীর পানির মধ্যে তলিয়ে গিয়েছিলো। পুলিশে সহাযতায় ডুবুরিরা ওকে অজ্ঞান অবস্থায় পানিতে খুঁজে পেয়েছিল। আলহামদুলিল্লাহ! এখন ও হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ারে। ওর জ্ঞান এখনও ফেরেনি মন্টু। বাংলাদেশে এখনতো অনেক সকাল। তুমি কয়েক ঘন্টা পরে গ্রামের বাড়িতে যেয়ে একটি ছাগল কিনে ওখানেই সদগাহ দিবে। আমি আমাদের সকাল বেলায় পনেরো হাজার টাকা পাঠাবো। মসজিদের ইমাম সাহেবকে বলবে আমার ছেলের জন্য যেন মসজিদে দোয়া করে।’ গলা ধরে আসায় তমালের শেষের দিকের কথাগুলি কিছুটা ভাঙা ভাঙা শোনা গেল।

মন্টু এসব শুনে একেবারে যেন আকাশ থেকে পড়লো। মন্টু ফোন হাতে হতবম্ভ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সকাল বেলায় বাড়ির পিছন দিকে জিগা গাছের শুকনা ডালে কিছু কাক সমানে কা কা করছে। বাড়ির আঙিনার দক্ষিণ দিকে রান্না ঘরের পিছনে মুরগির ঘর থেকে সকাল বেলায় মোরগ/মুরগির ছাড়া পেয়ে দল বেঁধে খাবারের জন্য চেঁচামেচি করছে। সাধারণত ওদের এসময় রাতের বাসি খাবার দাবার উঠোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়। আজ এখনো ওদের খাবার দেওয়া হয়নি। মন্টুর বাবা জনাব হাবিবুর রহমান ও মা রাহেলা বেগম এতক্ষন অধীর আগ্রহে মন্টুর সাথে ফেসবুকে নায়াগ্রা ফলস দেখার অপেক্ষায় ছিলেন। হঠাৎ করে মন্টুর ফ্যাকাশে চেহারা দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে জানতে চাইলেন,’ কি ব্যাপার বাবা, ওদের কিছু হয়েছে ?’ কয়েক মুহূর্তেই বগুড়া শহরের মালতিনগর এলাকায় মন্টুদের বাড়িতে কান্নার রোল পরে গেল।

সোবহান সাহেব গাড়িতে করে এখনো বাসায় পৌঁছাতে পারেনি। টরেন্টোতে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বাতাসের আগে খবর ছড়িয়ে পড়েছে। টিভিতে cp24 নিউজে নায়াগ্রা ফলসের এই ট্রাজিক দুর্ঘটনার খবর পরিবেশিত হওয়ায় অনেকে ড্যানফোর্থ এলাকায় সোবহান সাহেবের বাংলো বাড়ির সামনে তিতাসের লেটেস্ট খবরের অপেক্ষায় জটলা বেঁধে আছে। বিদেশের মাটিতে স্বদেশী মানুষের প্রতি মানুষের এই সহমর্মিতা সত্যই অসাধারণ!

মন্টু জ্ঞান ফিরে পেয়েছে। মন্টু চোখ খুলে তাকিয়ে ফিস ফিস করে বলছে,’ প্রথমে ভায়োলেট, তারপরে নীল , তার পরে আসমানী ……,।’ হাসপাতালের ডাক্তার মন্টুর এসব কথা না বুঝলেও তমাল ডাক্তারকে বুঝিয়ে বললো, ‘তিতাস আসলে দুপুরে নায়াগ্রা ফলসে রংধেনু দেখেছিলো, আর ওর মা বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন কোন রং এর পরে কোন রং থাকে।’ ডাক্তার কিছুটা আশস্থ হলেন, যাক অন্ততঃ ছেলেটির মেমোরি ঠিক আছে। তিথি আবারোও হাউমাউ করে কান্না শুরু করল, এইতো কয়েক ঘন্টা আগেই সে ছোটবেলার সেই ‘বেণী আসহ কলা’ ফর্মুলায় ছেলেকে রংধনুর সাত রং শিখিয়ে দিচ্ছিল। কি অনিশ্চিত এই পৃথিবী !!

সপ্তাহ দুয়েক পরে—
হাসপাতাল থেকে ফোনে তমালকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল এর পক্ষ থেকে তমালকে লম্বা বিল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে । কপাল খারাপ তমালের। অন্টারিও প্রভিন্সের নিয়ম অনুযায়ী কানাডাতে আসার এখনোও তিন মাস পূরণ না হওয়ায় অন্টারিও প্রভিন্সের নিয়ম অনুযায়ী তমালরা হেলথ কার্ড এখনো হাতে পায়নি। এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য সাধারণত, নিউকামার -রা এখানে প্রথম তিন মাস সাবধানে থাকে যাতে অসুখবিসুখ না হয় । কিন্তু, একই বলে নিয়তি, কে জানে নায়াগ্রা ফলস দেখতে এসে তমালরা এতো বিপদে পরবে। এমনিতেই, টাকা পয়সার অবস্থা ভালো না, চাকবাকরি নাই , জমানো টাকা আর সরকার থেকে বাচ্চার জন্য পাওয়া চাইল্ড বেনিফিট দিয়ে সংসার চলছে। বাড়ি ভাড়া, খাবারদাবার, ইন্টারনেটের বিল, টেলিফোনের বিল ইত্যাদি মাছের কাঁটার মতো গলায় বিঁধে সব সময় যন্ত্রনা দেয়। এরই মাঝে আবার হাসপাতালের বিল। মানুষ আসলে নিয়তির কাছে অনেক অসহায়, কার কখন কোন বিপদ কোন দিক থেকে আচমকা আসবে আমরা কেউই বলতে পারি না। অথচ, কত আহাম্মকের মতোই না আমরা হরহামেশা আমাদের সম্পদের বড়াই করি, বিপদের সময় সৃষ্টিকর্তাকে ডাকি, আবার বিপদ কেটে গেলে চোখ উল্টিয়ে ফেলি!!

তমালের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে, হাসপাতালের ফিন্যান্স ডিপার্টমেন্ট এর স্টাফ মেয়েটি তমালকে বললো: ‘তোমাকে একেবারেই সব পেমেন্ট করতে হবে না, তুমি ইচ্ছা করলে প্রত্যেক মাসে তুমি যতখানি এফোর্ড করতে পারবে পেমেন্ট করবে। তোমার জন্য একটি পেমেন্ট প্ল্যান করে দিচ্ছি। আরেকটি কথা, তোমার কাছাকাছি কোনো কমিউনিটি বেসড অর্গানাইজেশন গেলে ওরা তোমাকে বুঝিয়ে বলবে, Ontario Blue Cross নামে একটি সংস্থা আছে যারা ‘Interim Federal Health Program’ এর আওতায় তোমাকে এই অবস্থায় আর্থিক ভাবে হেল্প করতে পারবে।’

তমাল এসব তথ্য শুনে কিছুটা ভরসা পেলো। দেশ হলে জায়গা জমি বিক্রি করে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে হতো। মাত্রতো কয়েকটি মাস। তিন মাস পরে হেলথ কার্ড হাতে পেলে আর চিন্তা নেই । কিন্তু এই মুহূর্তে এই বড় ঝামেলাটি আগে মিটাতে হবে। তমাল দ্রুত চিন্তা করতে থাকে কালকেই বন্ধু পরাগের সাথে কথা বলে কাছাকাছি কোনো কমিউনিটি অর্গানাইজেশন যেতে হবে। মনে মনে কানাডা সরকারকে ধন্যবাদ জানায় তমাল। আর যাই হোক, এসব দেশে একবার এলে অন্ততঃ না খেয়ে মরার সুযোগ নেই। হোক না হয় প্রফেশনাল চাকরির না পাওয়ার জ্বালা, এমনতো হতে পারে তমালরা এখনো সঠিক দিক নির্দেশনা, সঠিক রিসোর্স খুঁজে পাচ্ছে না!!

আবারোও কিছুটা ধাধাঁয় পরে যায় এই বিদেশ বিভুঁয়ে প্রচন্ড স্ট্রাগল করতে থাকা চাকরিবিহীন বেকার নিউকামার তমাল। তবে কি তার স্বপ্নের ইমিগ্রেশন নিয়ে কানাডায় আসার ডিসিশন ঠিক ছিল !! নাকি ভুল ছিল? আবার দেশে যেয়ে তিথি আর ও দুজনেই দেশের চাকরির ছুটির মেয়াদ আরো খানিকটা কী বাড়িয়ে আনবে ? নাকি দুজনের চাকরি একেবারে ছেড়ে দিয়ে পাকাপাকিভাবে এদেশে থাকার জন্য চলে আসবে ? নিউ ইমিগ্রান্টদের অনেক চাঁলেঞ্জের মুখে অনেক কঠিন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় !!!

(চলবে)
—————–
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার, টরেন্টো, কানাডা

——
আগের পর্বগুলির জন্য ক্লিক করুনঃ-

স্বপ্নের ইমিগ্রেশন-পর্ব ১

স্বপ্নের ইমিগ্রেশন-পর্ব ২
স্বপ্নের ইমিগ্রেশন-পর্ব ৩
স্বপ্নের ইমিগ্রেশন-পর্ব ৪

স্বপ্নের ইমিগ্রেশন-পর্ব ৫

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনামিকা
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের সংগ্রাম-পর্ব ৯
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন