আমার ডেট অব বার্থ হচ্ছে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। আপনারা ডেট অব বার্থকে যেভাবে সংগায়িত করেন, অথবা কেক/টেক কেটে জন্মদিন পালন করেন, আমার ক্ষেত্রে জন্মদিন ঠিক সে অর্থে প্রযোজ্য না। কারণ, আপনাদের মতো আমার জন্মের প্রক্রিয়ায় ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতার লেশমাত্র ছিল না। আমার জন্ম হয়েছিল এক নরপশুর পাশবিক নির্যাতনের বায়োপ্রডাক্ট হিসাবে। স্কুল কলেজে ভর্তির সময় বা বিভিন্ন আইডির জন্য একটি ডেট অব বার্থ যখন খুব দরকারি একটি বিষয় হয়ে ওঠে, এরকম পরিস্থিতে আমি লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে আমার ডেট অব বার্থ কাঁপা কাঁপা গলায় উচ্চারণ করি।

আমার এই ডেট অব বার্থ এর ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে: হুট্ করে আমাকে দুই বছর বয়সে বগুড়া সদর থানার এতিম খানা থেকে কানাডাতে ইম্পোর্ট করার সময় আমার একটি ডেট অব বার্থ খুব ইম্পরট্যান্ট হয়ে উঠলো। এতিম খানার প্রিন্সিপ্যাল স্যার বুদ্ধিদীপ্তভাবে এই ব্যাতিক্রমধর্মী ডেট অব বার্থ দিয়ে রেডক্রসের অফিসার ও এক পাদ্রীর সহায়তায় আমাকে কানাডায় চালান করলেন। আর সেই সাথে, বিশ্ব মানচিত্রে বে অব বেঙ্গলের পাশে ছোট্ট একটি দেশ বাংলাদেশের সাথে আমি মিশে থাকলাম। আমার অনাকাঙ্খিত বার্থ ডে, আমাদের লাল সবুজ পতাকায়, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়ার টকটকে লাল ফুল দিয়ে সবুজ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা সোনার বাংলায় আলো বাতাসে প্রাকৃতিকভাবে অনানুষ্ঠানিকভাবে পালিত হতে থাকলো।

বগুড়া শহরের এক প্রাইমারি স্কুলের বাংলার শিক্ষিকা মোসাম্মৎ খাদিজা খাতুনের গর্ভের একমাত্র সন্তান এই আমি, এন্থনি মার্ক নাম নিয়ে কানাডাতে এক ধনীর পরিবারে বেড়ে উঠতে থাকলাম। দেশ স্বাধীনের পরে, ‘বীরাঙ্গনা’ নাম দিয়ে এই জাতীয় মা -দের পুরস্কৃত করা হয়, নামি দামি সব সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, কিন্তু আমার সেই গর্ভধারিনী মায়ের সে সৌভাগ্য হয়নি, কারণ উনি আমাকে জন্ম দিয়ে সপ্তাহ খানিকের মধ্যে আমাকে পাড়ার মসজিদের প্রাঙ্গনে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রেখে বগুড়া রেল ষ্টেশনের কাছাকাছি রেল লাইনে মাথা দিয়ে সুইসাইড করলেন। বগুড়া থেকে বোনারপাড়া জংশনের দিকে যাওয়া এক দ্রুতগামী ট্রেনের চাকায় পিষ্ট হলেন লজ্জায়, ঘৃনায়, নির্যাতিত, অপমানিত আমার ‘মা’। আমার মায়ের নিস্তেজ খণ্ডিত শরীর থেকে ফিনকি দিয়ে রক্তে রেল লাইনের আশেপাশে রঞ্জিত হলো। আজ বাংলাদেশের জাতীয়পতাকায় আপনারা যে লাল রং দেখতে পেয়ে থাকেন, এর খানিকটাতে মিশে আছে আমার মায়ের তাজা হিমোগ্লোবিন !!

ফজরের আজান দিতে আসা মোয়াজ্জিন সালাম মুন্সী ছোট্ট বাচ্চার কান্না শুনে জিনের বাচ্চা ভেবে ভয়ে পেয়ে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারির বাসায় দৌড়ে গেলেন। সেক্রেটারি সাহেব আমাকে বছর খানিক নিজের বাসায় রেখে এতিম খানায় হস্তান্তর করলেন সেখান থেকেই আমাকে কানাডাতে চালান করা হয়। কানাডার মতো উন্নত দেশের সমৃদ্ধ আলো বাতাস, সংস্কৃতিতে বেড়ে উঠলেও কেন যেন আমি সারাক্ষন হাজার হাজার মাইল দূরের উন্নয়নশীল ছোট্ট একটি বদ্বীপের দেশ বাংলাদেশের প্রতি গভীর এক মমতা অনুভব করতাম।

আমি এসব জেনেছি আমার ফস্টার ড্যাডি ক্রিস্টোফার এন্থনির কাছ থেকে। গত প্রায় পঁয়ত্রিশ বছর আগে আমি তখন হাইস্কুলে পড়ি, মি. ক্রিস্টোফার ওরফে ক্রিস মারা যাবার আগে হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে শুয়ে আমাকে এসব মহামূল্যবান তথ্য দিয়েছেন। ততক্ষনে ক্রিস একাধিকবার গার্ল ফ্রেন্ড বদল করেছে বিধায় আমাকে বেশ কয়েকজন মহিলাকে মাম্মি ডাকতে হয়েছে। তবে ক্রিসের সর্বশেষ গার্লফ্রেন্ড ন্যান্সি বেশ হৃয়বান টাইপের মহিলা। ক্রিসের রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে আমাকে কলেজ অবধি পড়িয়ে ফিলাডেলফিয়াতে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়ার আগে আমার নামে বেশ কিছু ডলার আমার একাউন্টে রেখে গেলেন। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদে আমি ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিরিয়ারিং এ ব্যাচেলর ডিগ্রি নিয়ে একটি বড়সড়ো প্রাইভেট কোম্পানিতে জয়েন করলাম।

একবার হাইস্কুলে যখন পড়তাম এক সাদা কানাডিয়ান কিশোর বাস্কেটবল খেলার সময় পড়ে যেয়ে আমাকে না বুঝে ‘ইউ ফাকিং বাস্টার্ড ‘ বলে গালি দিল। ততক্ষনে আমি জেনে গিয়েছি আমার জন্মের ইতিহাস। আমি ছেলেটিকে মেরে প্রায় আধ মরা করেছিলাম। একপর্যায়ে পুলিশ আমাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে এরেষ্ট করে নিয়ে গেল। সেই ন্যান্সি মহিলা অনেক পয়সা খরচ করে নামি ল’ইয়ার ধরে আমাকে ছাড়িয়ে আনলেন। আমি সব গালি সহ্য করতে পারি কিন্তু এই বিশেষ গালি সহ্য করতে পারি না, আমার মাথায় রক্ত উঠে যায়।

সেই কিশোর বয়স থেকে মি. ক্রিসের কাছ থেকে আমার জন্ম হিস্ট্রি শোনার পর থেকে বাংলাদেশকে দেখার আমার প্রচন্ড আগ্রহ ছিল। আর তাই, আমার চাকরির দুই বছরের মাথায় চাকরির স্যালারি থেকে ডলার বাঁচিয়ে আমি জীবনের প্রথম বাংলাদেশে গেলাম। এক গভীর রাতে বগুড়া ষ্টেশনের কাছে আন্দাজ মতো এক জায়গায় রেল লাইনের পাশে কিছু ফুল রাখতে যেয়ে অদ্ভুত সব দৃশ্য দেখলাম:

স্টেশনের প্লাটফর্মে অনেক নারী/পুরুষ বাচ্চারা ছেঁড়া কাপড়চোপড় পরে মেঝেতে শুয়ে ঘুমাচ্ছে। চারিদিকে গাজার গন্ধ। মশা, মাছি ভন ভন করছে। ট্রেনের কিছু কুলি তাস খেলছে। ডানদিকে একটু সরে এক মা সামান্য কয়েকটি পাউরুটির টুকরা কয়েক ভাগ করে তার তিন বাচ্চাকে খেতে দিয়েছেন। একটি বাচ্চার ভাগে সম্ভবত কম পড়েছিল। বাচ্চাটি ভেউ ভেউ করে কান্না শুরু করলো, মা বাচ্চাটিকে চর মারতেই বাচ্চাটি প্রবল বেগে কান্না শুরু করলো। আমি দ্রুত স্টেশনের পাশেই রেষ্টুরেন্ট থেকে চার প্যাকেট বিরানি কিনে এনে ওদের চারজনকে দিতেই সেই বাচ্চাটি কান্না থামিয়ে দিলো। ওরা সবাই আমার হাত থেকে ছো মেরে প্যাকেটগুলি নিয়ে গোগ্রাসে খেতে লাগলো। আমি অনেকদিন এভাবে কারো খাওয়া দেখেনি। এবার আমি ফুলের তোড়া নিয়ে আরেকটু এগিয়ে যেতেই আরেকটি অদ্ভুত ব্যাপার দেখলাম। স্টেশনটির আরেকটু পরেই কিছুটা আঁধারে দুই একজন মহিলা ঠোঁটে গাঢ় লিপিষ্টিক দিয়ে গুন্ গুন্ করে গান গাচ্ছে, আর কতগুলি ছেলেপেলে ওদের সাথে হাসিতামাশা করছে। আমি পরিস্থিতি বুঝে উল্টাদিকে হাঁটা দিয়ে রেল লাইনে এক পাশে আমার মৃত মায়ের উদ্দেশ্যে ফুল দিয়ে রেস্ট হাউজে চলে এলাম। সে রাতে আমার আর ঘুম এলো না । আমি এই হতো দরিদ্র দেশের ছিন্নমূল মানুষদের কীভাবে হেল্প করা যায় তা নিয়ে আকাশ পাতাল ভাবতে থাকলাম।

চাকরি থেকে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়ে গিয়েছিলাম। বগুড়া থেকে ফেরার আগে বগুড়ার এতিমখানার বাচ্চাদের সাথে সারাটা দিন কাটালাম। ওদের সাথে লাঞ্চ, ডিনার করে প্রতি মাসে এতিম খানায় কিছুটা আর্থিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফ্লাইট ধরার জন্য ঢাকায় ফিরলাম। ঢাকা নিউমার্কেটের সামনে কেনাকাটার সময় প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে কে যেন আমার পিঠের ব্যাগ কেড়ে নিয়ে দৌড়ে ভিড়ে হারিয়ে গেল। আমার পাসপোর্ট, আইডি সব খোয়া গেল। আমি ভয়ঙ্কর ধরণের বিপদে পড়লাম। ঢাকাস্থ কানাডিয়ান দূতাবাসের বিশেষ অনুরোধে সময়মতো ফ্লাইট ধরে টরেন্টোতে ফিরে এলাম। কিন্তু, মাথা থেকে সেই দরিদ্র দেশটির মানুষদের নিয়ে কিছু একটা করার স্বপ্ন থেকেই গেল।

বাংলাদেশ থেকে পড়তে আসা রেহানা নামের এক ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট মেয়েকে বিয়ে করে সংসার শুরু করলাম। বাংলাদেশকে নিয়ে আমার স্বপ্নের কথা আমি রেহানাকে জানাতেই রেহানাও বেশ উৎসাহ দেখালো। আমার দুইজনে এদেশে পড়তে আসা বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের বাড়ি ভাড়া থেকে শুরু করে পার্টটাইম চাকরির রেফারেন্স সহ বিদেশে নানাবিধ জটিলতায় বিভিন্নভাবে তাদেরকে হেল্প করতে থাকলাম। যে কোনো ভালো কাজ একবার শুরু করলে অনেকেই এগিয়ে আসেন, এ ক্ষেত্রেও তাই ঘটলো । আমাদের দেখাদেখি বাংলাদেশী কমিউনিটির অনেকেই এগিয়ে এসে অসহায় বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের, বাংলাদেশী নিউ ইমিগ্রান্টদের নানানভাবে হেল্প করতে থাকলেন, প্রবাসে নির্মাণ হতে থাকলো একটি চমৎকার বাংলাদেশী কমিউনিটি !! ক্রিকেট খেলায় বাংলাদেশ জিতলে আমরা অনেকেই রাস্তায় গাড়ির বহর নিয়ে গাড়ির জানালা খুলে দেশের জাতীয় পতাকা দুলিয়ে উল্লাস করি, রোজা/ঈদ /পূজাপর্বনে ভালো খাবার রেঁধে বাংলাদেশী স্টুডেন্টদের নিয়ে,কমিউনিটির লোকজন নিয়ে মিলে মিশে উৎসব উজ্জাপন করি।

এক সময়, আমাদের একটি ফুটফুটে মেয়ে হলো। আমার মায়ের প্রতি সম্মান রেখে, আমার জন্মের দেশ বাংলাশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমাদের মেয়েটির নাম রাখলাম মুক্তি। মুক্তি আমাদের মেয়ে হয়েও কেন যেন পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ওকে ভর করলো। বেশভূষা, কথাবার্তা একেবারে পাক্কা ক্যানাডিয়ান। কিছু একটা বললেই কাঁধ ঝুকে বলে ‘who cares ?’ পড়াশুনা ঠিকমতো করলেও সারাদিন সাদা কানাডিয়ান বয়ফ্রেন্ডের সাথে পোই পোই করে সারাক্ষন ঘুরে বেড়ায়।

আজ মার্চের ২৬ তারিখের ভোরে আমাদের বাসায় এক অদ্ভুত কান্ড ঘটলো। মুক্তি সাত সকালে ওর বই ফ্রেন্ডের সাথে করে সবুজ শাড়ি আর লাল ব্লাউজ পরে, কপালে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বেঁধে আমাদের ঘুম ভাঙালো। আমি ঘুম থেকে উঠে ওদের দিকে রাজ্যার বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকলাম। মুক্তির সেই সাদা বয়ফ্রেন্ডও মাথায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বেঁধেছে। আমি অবাক হয়ে মুখ হা করে ওদের দিকে তাকিয়ে আছি।

আমার অবাক হওয়ার আরও অনেক কিছু বাকি ছিল। মুক্তির সেই সাদা বয়ফ্রেন্ড ছেলেটি পরিষ্কার বাংলায় গট গট করে বললো,
‘বাবা আজ আমরা বিয়ে করবো। আমরা ডিসিশন নিয়েছি, আমরা আগামীকাল বাংলাদেশে চলে যাবো, ওখানে একটি এনজিও গড়ে তুলবো, দরিদ্র বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করবো।’

ছেলেটি কবে বাংলা শিখলো আমি জানিই না। মুক্তি আমার দিকে চেয়ে মিটি মিটি হাসছে. আজ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের ৫০ বছর পূর্তি ‘বাবা, তোমাকে আর মা-কে বড় সারপ্রাইজ দিবো বলে আমরা অনেক আগে থেকে এই দিনকে বেছে নিয়েছিলাম। আমাদের মেইন টার্গেট ছিল, গত ১৬ই ডিসেম্বর। আমি ছোটবেলা থেকে খেয়াল করেছি এই দিনটিতে তুমি কেমন যেন অন্যরকম হয়ে যেতে। তোমার বার্থ ডে সেলিব্রেট করার কথা বললে তুমি রেগে যেতে। পরে মাম্মির কাছ থেকে সব শুনে আমি আর আর টম এই প্লেনটি করেছি। আমাদের খুব ইচ্ছা ছিল গত ডিসেম্বর মাসে আমাদের বিজয় দিবসের ৫০বছর পূর্তিতে অনেক ঢাকঢোল পিটে মহা ধুমধাম করে তোমার জন্মদিন পালন করবো বাবা। কিন্তু আমাদের প্রাকটিস ভালো ছিল না বলে মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে, সেই জন্যই হয়তো খেয়াল করেছো আমি প্রায়ই বাসায় বেশি থাকতাম না। আমার এক বাংলাদেশী বান্ধবী আমাকে শাড়ি পড়া শিখিয়েছে, শুদ্ধভাবে আমাকে ও আমার বয়ফ্রেন্ডকে বাংলা কথা বলা শিখিয়েছে। তোমাদের ইমপ্রেস করার জন্য এই এতদিন ধরে এসব প্রাকটিস করতে যেয়ে বাংলাদেশকে নিয়েও অনেক রিসার্চ করেছে বাবা। মনের অজান্তে আমরা দুজনেই ওই দেশটিকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। আমরা ওখানে যেয়ে আগে গুছিয়ে নেই, তারপরে তোমরাও আমাদের সাথে থাকবে।’

প্রাণ খুলে ওদের জন্য দোয়া করতে যেয়ে আমার দুই চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। আমি মুক্তিকে, ওর বয়ফ্রেন্ড টমকে জড়িয়ে ধরে হু হু করে বাচ্চাদের মতো করে কাঁদলাম। একসময় রেহানা অলক্ষে আমার পিছনে দাঁড়িয়ে আমার ঘাড়ে হাত রাখলো। মুক্তি আমাকে আজ আমার ভিতরের সমস্ত কষ্ট থেকে মুক্তি দিয়ে শুধুমাত্র আমার ডেট অব বার্থের মান রক্ষাই করেনি, আমার চোখ খুলে দিয়েছে। আজ কোনো লজ্জা না, আড়ষ্টতা না , আজ এই প্রবাসের আকাশ বাতাস আলোড়িত করে চিৎকার করে আমার বলতে ইচ্ছা হচ্ছে, ‘ভাইসব, শুনুন, আমার ডেট অব বার্থ ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর!!!

মহান স্বাধীনতা দিবসের পঞ্চাশ বছর পূর্তি অমর হোক!!

(ছবি – সংগৃহিত)

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনের_কথা
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তির বিজয়
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

১ মন্তব্য

  1. স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জাকারিয়া মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন এর ছোট গল্পটি এইমাত্র পড়ে শেষ করলাম .বিদেশে থেকে নিজ দেশকে ভালোবাসার একটি সুন্দর প্রতিকৃতি নিয়ে লেখা গল্পটি ভালো লাগল .

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন