টরেন্ট ইউনিভার্সিটির অর্গানিক ক্যামিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের প্রবীণ শিক্ষক থম্পসন চশমার ফাক দিয়ে তাঁর আন্ডার গ্রাজুয়েট ক্লাসের প্রথম দিনের ক্লাসের স্টুডেন্টদের একটু যাচাই করার জন্য এবং নিজের জ্ঞানগরীমা জাহির করা জন্য একটি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মিটিমিটি হেসে চোখ পিট পিট করে তাকিয়ে আছেন:

‘ বলতো হে বেনজিন থেকে টলুইন আর টলুইন থেকে বেনজিন কীভাবে পাওয়া যায়?’

এই আইরিশ অধ্যাপক মি. থম্পসন ধরেই নিয়েছেন তাঁর এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষমতা এই ক্লাসের কারো নেই। এখনকার ছেলে-ছোকরারা একাডেমিক লেখাপড়া নিয়ে মোটেই সিরিয়াস না। শুধু, একাডেমিক স্টাডিই না এমনকি পলিটিক্স/টলিটিক্স নিয়েও এদের কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ভিডিও গেম, মুভি-র আফিম খাইয়ে এদেরকে নেশার মধ্যে আচ্ছন্ন করে রাখা হয়েছে।

ক্লাসের সবাই যখন এ ওর দিকে মুখ চাওয়া-চায়ি করছে, তখন একেবারে শেষের দিকে গুটিশুটি মেরে বসে থাকা এক বিদঘুটে বর্ণের ছোকড়াকে হাত তুলে বসে থাকতে দেখা গেল। ছেলেটির গায়ের রং ঠিক ফর্সা না , আবার কালোও না, আবার সাদা-কালো বাবা মায়ের সন্তানদের যেমন দেখায় তেমনও না। এই ক্যাটেগরির মানুষকে এদেশে ইন্ডিয়ান বলা হয়ে থাকে। এই ইন্ডিয়ান ছোকড়া আবার কি জবাব দিবে এটি ভেবে ক্লাস শুদ্ধ স্টুডেন্টরা এবং স্বয়ং মি. থম্পসন তাচ্ছিল্য ও উৎসুক মেশানো চোখে তাকিয়ে আছে।  হালকা পাতলা গড়নের বাদামি চামড়ার এই ইন্ডিয়ান ছোকড়াটি উঠে দাঁড়িয়ে এশিয়ান একসেন্টে তেজিদীপ্ত কণ্ঠে বললো :
Toluene is obtained from the reaction between benzene and methyl chloride in the presence of Lewis acid ((AlCl3).

Again from Toluene to get Benzene, we may follow 3 steps:

  1. Using potassium permanganate, if we oxidize toluene, benzoic acid formed .
  2. If we treat benzoic acid with sodium metal, sodium benzoate formed.
  3. Now, if we treat sodium benzoate with soda-lime(decarboxylation) we can get  benzene as final product

শুধু তাইনা, মি. থম্পসন যখন তাকে হাতে মার্কারি পেন ধরিয়ে হোইটবোর্ডে ইকুয়েশন লেখার আহ্ববান জানালেন, যুবকটি শান্ত অথচ দৃঢ আত্মবিশ্বাসী পায়ে এগিয়ে যেয়ে কয়েক মুহূর্তেই বোর্ডে নিখুঁতভাবে ইকুয়েশনগুলি লিখে ফেললো ।

মি থম্পসন অবাক হয়ে কয়েক সেকেন্ড সেই যুবকটির দিকে তাকিয়ে হাত এগিয়ে হ্যান্ডশেক করে বললেন, তুমি আমাকে অনেক ইম্প্রেসড করেছো, তোমার সম্পর্কে একটু কিছু বলবে?
যুবকটি মিষ্টি হেসে বললো : আমার নাম সোহেল। আমি এসেছি দক্ষিণ এশিয়ার একটি দেশ থেকে, নাম ‘বাংলাদেশ’।

সোহেল সেদিন অতি সংক্ষেপে নিজের সম্পর্কে যতটুকু বলেছিলো তা মোটেও যথেষ্ট নয়। সোহেল সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানা যাক। মোহাম্মদ মেরাজুল ইসলাম ওরফে সোহেলের জন্ম ১৯৭২ সালের মে মাসের ১৩ তারিখে রংপুর শহরে। তেরো তারিখের জন্য না হলেও অন্য একটি বিশেষ কারণে সোহেল বেশ হতভাগা। কারণ, তাঁর জন্মের অনেক আগেই সে তাঁর বাবাকে হারিয়েছে। রংপুর রেডিও সেন্টারে কর্মরত তাঁর বাবাকে রাজাকারের সহায়তায় পাক সেনারা মুক্তি যুদ্ধের প্রায় গোড়ার দিকে ধরে নিয়ে যায়। কয়েক সপ্তাহ পরে, শ্যামপুর সুগার মিলের চত্বরে এক ডোবায় পিছনের দিকে হাত-পা বাধা অবস্থায় তাঁর বাবার গলিত লাস পাওয়া যায়। সোহেল তখন মায়ের পেটে।

সোহেলের যেদিন জন্ম হলো, সমস্ত রংপুর শহর তখন বঙ্গবন্ধুর আগমনে বেশ সরব। বাংলাদেশের বয়স তখন সবেমাত্র পাঁচ মাস। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশ গড়ার লক্ষে বঙ্গবন্ধু দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুঁটে বেড়াচ্ছেন। ১৯৭২ সালের মে মাসের ১০ তারিখে স্বাধীনতার পরে তিনি রংপুর শহর প্রথম এসেছেন। রংপুরের কালেক্টরেট মাঠ যেন জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে। সোহেলের ছোট চাচা বারেক একটি গাছের ডালে উঠে বঙ্গবন্ধুকে এক নজর দেখার প্রাণান্তিকর চেষ্টা করে যাচ্ছে। বারেক তাঁর বিধবা ভাবি অর্থাৎ সোহেলের মা নিলুফার রহমানকে হাসপাতালে রেখে এসেছেন। নিলুফা সন্তান সম্ভবা। বারেক এক নজর বঙ্গবন্ধুকে দেখেই ছুটলো হাসপাতালে। সে সময়ের রংপুর শহরে নামি দামি গাইনীর ডাক্তার জনাব আব্দুল বায়েস ভূঁইয়া। ডাক্তার সাহেব দুই দিন নরমাল ডেলিভারির অপেক্ষা করার পরে মে মাসের তেরো তারিখে সিজার অপারেশন করলেন, একটি শহীদ পরিবারে জন্ম নিলো এক সন্তানের। নাম রাখা হলো মোহাম্মদ মেরাজুল ইসলাম, ডাক নাম সোহেল।

মেঘে মেঘে অনেক বেড়া গড়িয়েছে। সেদিনের সেই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট সোহেল এখন টরেন্ট শহরে প্রায় পঞ্চাশোর্ধ বয়সী এক সেটেল্ড ইমিগ্রান্ট। অর্গানিক কেমিস্ট্রিতে অগাধ মেধা থাকা সত্ত্বেও সেদিনের সেই তরুণ কোনো এক বিচিত্র কারণে সাবজেক্ট চেঞ্জ করে পলিটিক্যাল সায়েন্স নিয়ে পড়া শুরু করলো। এই সাব্জেক্টেও অসাধারণ মেধার পরিচয় দিয়ে সেই তরুণ একই ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সায়েন্সের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেলেন, অনেক স্ট্রাগলের পরে সোহেলের শুরু হলো হলো এক নির্ঝঞ্ঝাট শান্তিময় জীবন।

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট থেকে তাঁর এই শিক্ষক হয়ে ওঠার দীর্ঘ ইতিহাস। ইমিগ্রান্টদের ছেলেমেয়েরা অনায়াসে স্টুডেন্ট লোন নিয়ে কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করলেও সোহেলকে অন্যান্য সহপাঠী ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের মতো ক্লাসের পরে মাঝে মাঝে গ্যাস স্টেশনে কাজ করে নিজের টিউশন ফি জোগাড় করে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হয়েছিল। কখনোবা স্থানীয় ক্লাসমেটদের হেল্প নিয়ে কখনোবা বাষ্টান্ডে বিজ্ঞাপন দেখে মানুষের বাসার বেজমেন্টের জালানাবিহীন বদ্ধ ঘরে দিনের পর দিন থাকতে হয়েছিল। ভেন্টিলেটারের মতো ছোট্ট জানালা দিয়ে সূর্যের আলো ঘরে এসে ঢুকলে সোহেল খুশি হয়ে সেই ঝলমলে ভগ্নাংশ আলোর দিকে তাকিয়ে থাকতো। দেশে বিধমা মায়ের কথা মনে করে সে মন দিয়ে পড়াশুনা করতো। একসময়ে তাঁর কঠোর পরিশ্রমের মর্যদা সে পেয়ে গেল। তাঁর স্বপ্ন পূরণ হলো। পড়াশুনা শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারির চাকরির অফার পেলো। তাঁর পরে আর পিছনে তাকাতে হয়নি। পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি পেয়ে গেল, এক সময় সিটিজেনশিপও হয়ে গেল। দেশ থেকে প্রবাসে স্বামী হারা তাঁর দুঃখী মা কে নিয়ে এলো, বিয়ে করে সংসারী হয়ে উঠলো। শুরু হলো সোহেলের প্রবাসী জীবন। এই প্রবাসী জীবনে উপচে পড়া সুখের মধ্যেও সোহেল তাঁর মাতৃভূমিকে ভীষণ মিস করে।

কানাডায় প্রতি বছর জুন মাসের থার্ড রবিবারে ফাদার্স ডে উজ্জাপন করা হয়। ফাদার্স ডে-তে বাবাকে জড়িয়ে ধরে বন্ধু বান্ধবরা ফেসবুকে হরেকরকমের পোস্ট দেয়। সোহেল সেদিন ফেসবুক এড়িয়ে চলে। মায়ের কাছ থেকে সোহেল জেনেছে শ্রাবন মাসে মুষুলধারে এক বৃষ্টির দিনে তাঁর বাবা নিখোঁজ হয়েছিল। মায়ের নীল রঙের লেদারের সুটকেসের ভিতরে বাবার ইউনিভার্সিটি জীবনের এক ছবি খুঁজে পেয়েছে সোহেল। প্রতি বছরের মার্চ মাসের ২৬ তারিখে স্বাধীনতা দিবসে, ১৬-ই ডিসেম্বরে বিজয় দিবসে সোহেল মায়ের সুটকেস থেকে সেই ছবি বের করে টেবিলে রাখে। অচেনা এক বাবার জন্যে সোহেলের গর্ব হয়। এই দেশের জাতীয় পতাকার  যে টকটকে লাল গোলাকার বৃত্ত শোভা পায়, সেই রক্তিম বৃত্তের মাঝে রয়েছে তাঁর বাবারও এক ফোটা হিমোগ্লোবিন।

একদিন ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্স ক্লাসে লেকচার দেয়ার সময় অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটলো। গণতন্ত্রের প্রসঙ্গ উঠতেই একটি বাদামি চামড়ার ছেলে উঠে দাঁড়িয়ে গটগট করে বলে চললো বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের কথা, তাঁর আগে ৬৯ এর গণ আন্দোলনের কথা, ছয় দফার কথা। কথা বলতে যেয়ে ছেলেটিকে কিছুটা উত্তেজিত হতে দেখা গেল। ছেলেটি একনাগাড়ে বলেই চলেছে, ১৯৭০ সালের তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ উভয় ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ অর্জন সত্ত্বেও ইয়াহিয়া সরকার আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের টালবাহানা শুরু করেন, জাতীয় পরিষদ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফুঁসে উঠে সারা বাংলা। শুরু হয় মুক্তি যুদ্ধ।

ছেলেটি যখন এসব কথা বলছে তখন আরো কিছু ছাত্র আলোচনায় অংশ নিতে দেখা গেল। মুক্তি যুদ্ধ থেকে কথা ঘুরিয়ে বাংলাদেশের দারিদ্রতা, দুর্নীতি, রাজনৈতিক অস্থিরতা এসবের দিকে আলোচনা মোড় নিতেই সেই ছেলেটিকে কিছুটা ফ্যাকাসে দেখা গেল। তারপরেই কাউন্টার হিসাবে ছেলেটি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় চোয়াল শক্ত করে বাংলাদেশের কৃষি ক্ষেত্রে বিস্ময়কর সাফল্যের কথা , গার্মেন্টস সেক্টরে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতির কথা বলতেই কে একজন রানা প্লাজার ট্রাজেডির কথা তুলে আবারও দুর্নীতির দিকে আলোচনা নিয়ে গেল। একজন শহীদের সন্তান প্রফেসর সোহেল নিজ থেকে এখনো কোনো কথা বলেননি। তিনি নিজের দেশ বিষয়ে তাঁর ছাত্রদের তর্ক-বিতর্ক মন দিয়ে শুনছেন। সেই বাদামি চামড়ার ছেলেটি প্রানপনে বলে চলেছে, পদ্মা সেতুর কথা, বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির কথা, আরও অনেক কথা।

এরই মাঝে ফট করে এক ছাত্র বলে বসলো তোমাদের দেশে এই সেদিন বগুড়াতে ক্লাস এইটের মেয়েরা এক বিচারকের অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে রাখায় এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রশাসন সেই বিচারকের বিচার করা ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে বগুড়া থেকে প্রত্যাহার করে অনত্র বদল করেছে। সেই ছেলের সাথে যোগ দিলো আরও একটি এশিয়ান স্টুডেন্ট, ‘এইতো কয়ে দিন আগে, তোমাদের দেশে ফিটনেস সনদ ছাড়াই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় এক বিরাট সড়ক দুর্ঘটনায় ১৯ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, কারা এই মৃত্যুর জন্যে দায়ী? শুধুই কী দ্রুতগতিতে গাড়ি চালক দায়ী ??

এরই মাঝে ক্লাসের সময় শেষ হওয়ায় হুড়মুড় করে ছেলেমেয়েরা ক্লাস থেকে বের হয়ে অন্য ক্লাসের দিকে ছুটতে থাকলো, শুধু একা বসে থাকতে দেখা গেল সেই ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ছেলেটিকে। তাঁর দেশকে নিয়ে সহপাঠীদের টিটকারি মিশ্রিত প্রশ্নের বিপরীতে হটাৎ সে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো।  রাগে, অপমানে ছেলেটির ফর্সা মুখ লাল  হয়ে আছে। প্রফেসর সোহেল ছেলেটির দিকে এগিয়ে গেলেন। ছেলেটিকে বুকে জড়িয়ে ধরতেই ছেলেটি ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেললো। প্রফেসর সোহেলের দুই চোখ বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়লো। বাংলাদেশ থেকে আগত এক ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ও তাঁর বাংলাদেশী শিক্ষকের নিঃশব্দ কান্নার তোড়ে ভারী হয়ে উঠলো বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য ক্লাসরুম।

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধজাকারিয়া-র বই প্রকাশনা উৎসব
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের ছোট্ট গ্রাম- পর্ব ৫
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন