উত্তর আমেরিকায়  বসবাসকারী  বাংলাদেশী পরিবারের অনেকেই তাঁদের ব্যাকয়ার্ড সবজি বাগানে চমকপ্রদ ও আশানুরুপ বিভিন্ন সবজির চাষ করেন ! প্রায় প্রতিদিন বাকিয়ার্ড বাগানে সবজি চাষের সাফল্যের গল্প ছবি হয়ে ফেস বুকের  পাতায় আনন্দের সাথে জায়গা করে নিচ্ছে !  অনেক বাগানী আবার এসব সবজির অতিরিক্ত ফুল দিয়ে বাহারী  রকমের মুখরোচক  ও সুস্বাদু  খাবার তৈরী করছেন !  এর মধ্যে কুমড়ার  ফুল অন্যতম ! অনেকে আবার অতিরিক্ত ফুল সংরক্ষণ করছেন পরে খাবার জন্য !

সবজি হিসেবে মিষ্টিকুমড়ার জনপ্রিয়তা এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আমাদের সবারই কমবেশি জানা। তবে মিষ্টিকুমড়ার ফুলের বড়ার জনপ্রিয়তা থাকলেও এ ফুলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কিত তথ্যগুলো আমাদের প্রায় সবারই অজানা! অনেকে কুমড়ার ফুল ও ডিম দিয়ে চমৎকার  সুস্বাদু ভাজি রান্না করে থাকেন ! পুষ্টিগুণের দিক থেকে মিষ্টি কুমড়ার ফুলও কিন্তু মিষ্টিকুমড়া থেকে কোন অংশে কম নয়। তাই আসুন আমরা জেনে নেয় খাবার হিসাবে মিষ্টি কুমড়া ফুলের খাদ্য মান ও পুষ্টগুন !

এক.
ভিটামিন ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে সাধারণ ঠান্ডা-কাশির ঝুঁকি কমায়। এ কারণে ভিটামিন ‘সি’-সমৃদ্ধ কুমড়ার ফুল খাদ্য তালিকায় রাখলে ঠান্ডা-কাশির সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এটা বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে।

দুই.
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ কুমড়ার ফুল ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে। এ ছাড়া এতে থাকা ভিটামিন ‘সি’ দাঁতের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়ামের সঠিক শোষণ করে। এ কারণে নিয়মিত কুমড়ার ফুল খেলে হাড় মজবুত হয় আর হাড় শক্ত হলেঅস্টিওপোরোসিস রোগ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়ে যায় !

তিন.
কুমড়ার ফুলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ  এবং বিটা ক্যারোটিন বিদ্যমান যা চোখের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর ভিটামিন-এ থাকাই চুল ও ত্বককে  উজ্জ্বল করে।

চার.
এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা ডিপ্রেশন কম রাখতে সহায়তা করে।

পাঁচ.
ক্যালরির পরিমাণ খুব কম এবং  ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকাতে হজমে সহায়ক।

ছয়.
কুমড়ার ফুল এ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়াতে কোলেস্টেরল কমাতেও  সহায়ক।

কুমড়া সবজির সাথে কুমড়া ফুলের সুস্বাদু  খাবার তৈরী করুন ও পরিবারের সবার পুষ্টির চাহিদা পূরণে আরো এক ধাপ  এগিয়ে যান !

তাই আসন্ন মৌসুমে যাদের অতিরিক্ত কুমড়া ফুল হবে তারা কুমড়া ফুল দিয়ে মুখরোচক ও সুস্বাদু সবজি বানিয়ে খেতে পারবেন !  ভালো কথা তাই বলে কুমড়া ফলের জন্য হাত পরাগায়ন করতে ভুলবেন  না কিন্তু !

সবাই সুস্থ থাকুন ও ভালো থাকুন !

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন