হতে পারে অত্যান্ত কঠিন তবে অব্শ্যই সম্ভব। খুব বেশি কিছু না, শুধু দৃঢ় সংকল্প আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যেতে পারে।

 মানুষের  জীবনে মৃত্যু অবধারিত তবে যে কদিন বেঁচে থাকা যায় সেই কদিন যেন আমরা সুস্থভাবে বাঁচি এবং নিজের অবহেলা জনিত কারণে যেন অকালমৃতুকে ডেকে না আনি, বা অসময়ে মৃত্যু হলেও যেনো কারো অনুশোচনা করার কিছু না থাকে বা কেউ যেনো আক্ষেপ করে না বলতে পারে হায় ! বেচারা যদি একটু মেনে চলতো বা লাইফ স্টাইলটা যদি একটু পরিবর্তন করতো তাহলে এই বয়সে মরতে হতো না।

এই লেখাটি আমি আপনাদেরকে আমার ব্যক্তিগত এবং বাস্তব কথা শেয়ার করবো। কারো কারো হয়তো উপকারে আসতে পারে।  ব্যাপারগুলি দুই বছর আগেও জানতাম কিন্তু নিজের মাধ্যমে প্রমান করে দেখি নাই সেজন্য তখন লেখি নাই। আপনার সময় না থাকলে লেখাটি কপি করে নিজের কোনো একটি ফাইলে সেভ করে রাখবেন, পরে সময়মতো পড়ে নিবেন। লাইক পাওয়া বা কমেন্ট পাওয়া নিয়ে আমি বিচলিত নোই, মূল উদ্দেশ্য মানুষকে জানানো যে দৃঢ় সংকল্প থাকলে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। আপনারা পড়লে এবং অন্যকে পড়তে বললেই আমি সন্তুষ্ট।

 আসুন তাহলে বিস্তারিত বিষয়ে যাই।

 কার্বোহাইড্ৰেট বিহীন না বলে  ভাত, রুটি, আলু বিহীন বলার কারণ হলো কার্বোহাইড্ৰেট আপনার শরীরের জন্য দরকার আছে। তবে High Glycemic Index (GI)ওয়ালা কার্বোহাইড্ৰেট যুক্ত খাবার খুব একটা স্বাস্থকর নয়, বিশেষ করে একটি নিদৃষ্ট বয়স বা অবস্থার পরে। আর হাঁ মিষ্টি বিহীন বলতে আমি যে একেবারে মিষ্টি খাইনি তা বলছি না, আর একেবারে মিষ্টি (sugar) বিহীন চলতেও পারবেন না কারণ মিষ্টিরও (sugar) দরকার আছে।  তবে এই মিষ্টি প্রক্রিয়াজাত চিনি না হলেও চলবে, আর আমি সেটিই খেয়েছি, যেমন ধরুন বিভিন্ন ফল এবং সবজির মধ্যের মিষ্টি  (sugar) ইত্যাদি।

 বিস্তারিত আলোচনার আগে বলে নেই আপনাদের আমার মতো extreme measure না নিলেও চলবে, কিন্তু আপনাকে বিশেষ করে একটি বয়সের বা অবস্থার পরে নিউট্রিশনিস্ট এর পরামর্শ নিয়ে আপনার ডায়েট এবং লাইফ স্টাইল পরিবর্তন অবশই করা উচিৎ। এতে করে আপনি যে কদিনই বাঁচেন ভালোভাবে (quality life) বাঁচতে পারবেন। আরো একটি কথা, এসব মেনে চলার পরেও যে আপনি মরবেন না বা হটাৎ করে মরবেন না; তা নয় তবে সেই মরণের শতকরা হার অনেক কম, এবং মরলেও আপনার নিজের বা আপনার রেখে যাওয়া লোকজনের আক্ষেপ বা regret করতে হবে না।

 এখন অনেকের কাছে মনে হতে পারে আমার কি কন্ডিশনে আমি এই বেবস্থা নিয়েছিলাম। না আমার আল্লার রহমতে কোনো ডায়াবিটিস, হাই ব্লাড প্রেশার, বা cardiac সমস্যা ছিল না এবং এখনো নেই। খুব সংক্ষেপে এই পদক্ষেপ নেওয়ার হেতুটা বলি। ঠিক ৫ বছর আগে আমার একটি বড়ো সার্জারি হয় এবং এটি আল্লার রহমতে খুব successful হয়। যারা ডাক্তার তারা জানবেন, এটাকে বলা হয় Whipple Surgery . এটি মানুষের শরীরের অন্যতম একটি জটিল এবং বড়ো  সার্জারি। সর্বমোট প্রায় ৭ ঘন্টার সার্জারি। এতে সার্জনরা কেটে ফেলেন আমার প্যানক্রিয়েটিক এর মাথার অংশ, গলব্লাডার এবং পাকস্থলী এলাকার বড়ো নাড়ির কিছু অংশ। দৃঘ্য ৯ দিন কোনো পানি বা খাবার থেকে বিরত রাখা হয় এবং যা কিছু দেওয়া হয় সেটি IV বা শিরার মাধ্যমে। এতে করে অপারেশন এর পরে যখন আমাকে শক্ত (solid ) খাবারের অনুমতি দেওয়া হলো তখন আমার পাকস্থলী শক্ত (solid) খাবার হজমের প্রক্রিয়া ভুলে যায়, এবং আমার ওজন ৯ পাউন্ড কমে যায়। উচ্চতাও এক ইঞ্চির মতো কমে যায়। আর উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ঔষধের কারণে আমার মাথার চুল অনেক পড়ে যায়। শরীরের ওজন, উচ্চতা এবং শক্তি (energy) পূর্ববর্তী পর্যায়ে আসলেও চুল আর ফিরে আসেনি তাই ছাদটি ফাঁকাই হয়ে জাস্ছে এবং তাতে আমার বিন্দু মাত্র আক্ষেপ নেই।  সার্জারি চলাকালীন থেকে পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন জটিলতা থাকার সমূহ সম্ভাবনা থাকলেও আল্লার রহমতে আমি ভালোই আছি এবং সার্জারি পূর্ববর্তী কালের থেকে অনেক ভালো। এখানকার healthcare system এর অনেক সমস্যা থাকলেও এই ক্ষেত্রে আমি আশাতীত সেবা পেয়েছি।

সার্জারির পরে প্রায় ২ বছর স্বাভাবিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করতে থাকি। এর পর একবার complete physical check up এর পরে ডাক্তারের নির্দেশ মতো খাবারে ভাত, রুটি এবং লাল মাংশের পরিমান কমিয়ে দেই। এর এক বছর পর অর্থাৎ ২০১৫ সালে একবার রেগুলার check up এর পরে দেখা গেলো রক্তের LDL (খারাপ কোলেস্টরল), HDL (ভালো কোলেস্টরল), এদের আনুপাতিক হার এবং রক্তের সুগারের পরিমান খুব বেশি বা at risk পর্যায়ে না থাকলেও আদর্শ মাত্রার উপরে থাকে তাই ডাক্তার কে বললাম ওই আদর্শ মাত্রায় ওই জিনিসগুলি রাখতে হলে কি করতে হবে। উনি বললেন no sugra and no high carb food, পারবে। আমি বললাম আমি চেষ্টা করে দেখতে চাই। উনি বললেন তাহলে কাল থেকে ভাত, রুটি, আলু, পাস্তা, চিপস, প্রক্রিয়াজাত চিনি, বেশি পরিমানে লাল মাংস ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ। আমি বলাম ভাত রুটি না খেলে মানুষ বাঁচবে কি করে। উনি বললেন ভাত রুটি পৃথিবীতে খুব বেশি দিন সৃষ্টি হয়নি , আমরা আমাদের খাদ্যঅভ্যাসকে সহজ করার জন্য এগুলি তৈরি করেছি। উনি বললেন ভাতের পরিবর্তে বিভিন্ন ধরণের ছিমের  বিচি, ডাল ইত্যাদি খেতে। এছাড়া প্রচুর পরিমানে সবুজ শাক সবজি, সাদা মাংস , মাছ , ডিম্ (পরিমাণমতো), ফল মূল এগুলি খেতে বললেন। তাছাড়া প্রক্রিয়াজাত (processed) খাবার/ফাস্টফুড খেতে নিষেধ করলেন।

চিন্তা করে দেখলাম আমার প্রফেশনের প্র্যাক্টিসের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই ক্লায়েন্টদের আসক্তি নিয়ে কথা বলতে হয় এবং এটি কমানোর এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্যও তাদেরকে সাহায্য করতে হয়। তাই ভাবলাম দেখি আমার দীর্ঘ ৩৮ বছরের অভ্যাস পরিবর্তনে কেমন কষ্ট হয় এবং আদৌ সেটা সম্ভব কিনা। শুরু হলো ২০১৫ সালের মার্চ মাসের শুরু থেকে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যাত্রা।

একদম ঐদিনের পর থেকে ভাত, রুটি, আলু, পাস্তা, আলুজাতীয় খাবার এবং refined sugar বা চিনি দ্বারা তৈরী খাবারও বাদ দিয়ে দিলাম। হা, প্রথমে একটু অসুবিধা হসছিলো বৈকি, বিশেষ করে কোথাও দাওয়াত খেতে গেলে। নিজের বাসাতে  তো ভাতের কোনো বেবস্থা ছিল না, কিন্তু অন্য কোথাও গেলে সেখানে ভাতের বেবস্থা তো থাকতোই তাই হটাৎ করে হাতটা ভাতের দিকে চলে যেতো কিন্তু মনে পড়তেই আবার সরিয়ে নিতাম। তবে এটা খুব বেশি দিন ছিল না। দেশে আমার বড়ো বোনকে এ কথা বলার পরে সে প্রায় চমকে উঠে বললো হায় হায় তুইতো মরে যাবি, একেবারে ভাত না খেলে মানুষ বাঁচে। হা বাঁচে, আমি আল্লাহর রহমতে বেঁচে আছি এবং ভালোভাবে। এখন নিশ্চয় আপনাদের মনে হস্ছে আমি তাহলে কি খেয়ে ২ টা বছর কাটালাম। আসুন তাহলে সেটা দেখা যাক।

 ভাতের বিকল্প হিসাবে বিভিন্ন ধরণের ছিমের বিচি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের ডাল এবং সমস্ত সিজেনাল শাক সবজি। সঙ্গে মাছ এবং চিকেন ব্রেস্ট বা চিকেন লেগ রোস্টেড। আমি এই ডায়েটে না আসলে জানতামই না যে পৃথিবীতে এতো ধরণের ডাল বা ছিমের বিচি আছে। আবার এটা ভাবার দরকার নেই যে এই খাবার গুলোতে কোনো স্বাদ নেই, অবশ্যই আছে; যদি খাওয়ার আগে মন থেকে আপনার বিশেষ কোনো খাবার সমন্ধে বদ্ধ ধারণাটি পাল্টে ফেলেন। আমার মনে হয় আমি আপনাদেরকে আমার বিগত দুই বছরের দিনের তিন বেলার খাবারের তালিকা দিলে বুঝতে সহজ হবে যে আমি কিভাবে ভাত, রুটি, এবং মিষ্টি না খেয়ে বেঁচেছি।

প্রথমে বলে নেই, আমি খুবই কম মশলা এবং শব্জিকে বলতে গেলে স্টিম করে খাই। যেমন ধরুন সবজি হালকা ভাজি অর্থাৎ যাতে গোলে না যায় অথবা জাস্ট ৫ মিনিট গরম পানিতে সিদ্ধ করে পরে অলিভ অয়েল আর গোল মরিচের একটু গুঁড়া, একটু লবন দিয়ে খাই। যেহেতু মাঝে মাঝে হালকা ভাজি করতে হয় তাই তেলের ক্ষেত্রে হয় আভাকাডো অয়েল অথবা গ্রেপ সিড অয়েল ব্যবহার করি কারণ এই তেলের তাপ ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং জাল দেওয়ার কারণে এটি কোলেস্টরোলে পরিনিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মুরগীর মাংস অধীকাংশ সময়ই রোস্ট করে খাই। আর ২ মাসে একবার গরুর মাংস খেলেও প্যান সিয়ার্স এর মাধ্যমে স্টেক করে খাই। আমার পছন্দের মাংস হলো স্ট্রিপ্লোয়েন। মাছও অধিকাংশ সময়ে রোস্ট করা হয়। ছিমের বিচি, ডাল বা শাক সব্জির মধ্যে ঘন রঙের গুলিই বেশি খাওয়া হয়, এগুলি ভালোও লাগে আবার এতে অনেক ফাইবার ও থাকে। আসুন এবার চলে যাই আমার একটি দিনের টোটাল খাদ্য তালিকায়।

সকালে আমি ৮ তার আগেই নাস্তা সেরে ফেলি। সামারে সাধারণত তাজা ফল, যেমন স্ট্রবেরি, বুলু বেরি, রাজ্ বেরি, কলা, আম ইত্যাদি কেটে তার সঙ্গে ২% প্লেইন ইউওগার্ট এবং চিয়া সীড মিশিয়ে খেয়ে নেই। সাথে একটি ডিম্ সিদ্ধ বা পানি পোজ অথবা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে পোজ করে খেয়ে নেই। আবার কোনো কোনো সকালে কিছু স্পিনাশের পাতা সিদ্ধ এবং তার সাথে একটি ডিম্ পোজ এবং একটু লবন ও গোল মরিচের গুঁড়া ও অলিভ অইল দিয়ে খেয়ে নেই। এর সাথে পুরা একটি লেবুর রস এক গ্লাস পানির সাথে চিনি বা লবন ছাড়া পান করি। এর পর অফিসে যাওয়ার পথে বা অফিসে গিয়ে একটি আপেল বা নেক্টরিং খেয়ে নেই। ঠিক ১১:৩০ থেকে ১২:৩০র মধ্যে খিদে লেগে যায়। তখন এক বা ২/৩ পিছ  মাংস এবং কিছু রান্না করা চিমের বিচি এবং সাথে কিছু সজ্বি। ঠিক ২/৩ ঘন্টা পরে স্নাক্স হিসাবে রেড পেপার, ইয়েলো পেপার, ব্রকোলি, স্ন্যাপ পি ইত্যাদি কাঁচা খেয়ে নেই। অফিস থেকে ফিরে আবার খিদে লেগে যায়। তখন বড়ো এক বাটি সালাদ খেতে থাকি আর CP২৪, বাংলা খবর এবং BCCB চেক করি। এক বাটি সালাদ বলতে আমার বেশ বোরো এক বাতি সালাদই লাগে, অর্থ্যাৎ কোনো পার্টিতে ৭/৮ জন লোকের যে সালাদের বরাদ্দ থাকে আমার ঠিক সেই পরিমানে সালাদ লাগে।

সালাদ আমরা সপ্তাহে একদিন কেটে পানি শুকিয়ে রেখে দেই এবং সারা সপ্তাহ ধরে খাই। সালাদের উপকরণের কথা বলি। Kale এর পাতা কুচি করে কাটা, গাজর, গ্রীন ম্যাংগো, গ্রীন অলিভ, শশা, টমেটো, মাঝে মাঝে রোস্টেড চিকেন ব্রেস্টের কুচি করে কাটা, বিভিন্ন ধররনের নাট, যেমন sunflower seeds, pumpkin seeds, cashew, almond, dry raisin এবং home made dressing . ড্রেসিং তৈরী করি একভাগ লেবুর রস, তিন ভাগ অলিভওয়েল, রোস্টেড রসুন, dijion mastard, ওরেগানো পেপার, গোল মরিচের গুঁড়া, এবং ১০০% খাঁটি অন্টারিও ওয়াইল্ড মধু মিশিয়ে। এই ড্রেসিং অনায়াসে ২ সপ্তাহ ফ্রিজে রাখা যায়।

এর পর শীতকালে সুইমিং এ যাই আর গরমকালে হাটতে বা ট্রেড মিলে যাই। ফিরে এসে রাতের খাবার সারি ৮ থেকে ৮:৩০ এর মধ্যে। রাতে থাকে কোনো এক ধরণের মাছ এবং বিপুল পরিমানের মিক্সড সবজি। তার পর আবার একটু টিভির সামনে বসে খবর শোনা, এবং কোনো এক ধরণের ফল যেমন খেজুর, আপেল, হানি মিলন, ক্যান্টেলোপ, আঙ্গুর ইত্যাদি খাই, এগুলি অবশই লাগে কারণ রাতে খাওয়ার পরে মিষ্টির প্রতি খুব crave হয় তাই ওগুলি দরকার হয়।

 এভাবে মোটামুটি ২ বছর চললো। প্রতি ৬ ম্যাশ পর পর blood check up করিয়েছি। এই টেস্টের ২০১৫ থেকে গড় রেজাল্ট প্রতিটি ক্ষেত্রেই At Risk এর নিচে নেমে এসেছে কিন্তু খুব বেশি নিচে না। তবে এই এক্সপেরিমেন্টাল ডায়েট এবং এক্সারসাইজ এর ফলে সিগনিফিকেন্ট যে বিষয়গুলি পরিবর্তন এসেছে তা হলো, বিগত ২ বছরে আল্লাহর রহমতে আমার কোনো constipation হয় নি। মাঝে মধ্যে ঠান্ডা লেগেছে তবে ২০১৫র আগের তুলনায় anti biotic কম লেগেছে, যত রাতেই ঘুমাই ঘুম ভালো হয় এবং সকালে উঠতে খুব কম সময়ই অ্যালার্ম ক্লক লাগে। আগে কাজ শেষে ৪/৫টার দিকে একটু tired tired লাগতো কিন্তু এখন সেটা লাগে রাট ৯টার দিকে। আগে ২০০ মিটার সাতরালে হাঁফ লেগে যেতো, এখন আল্লার রহমতে ৪০০/৫০০ মিটার সাঁতরাতে পারি।

চলতি মার্চ মাসের ১০ তারিখে রিমন ভাইয়ের বাসাতে জব সাপোর্ট টিমের মিটিংয়ে ২ বছর পরে আমি প্রথম ভাত অর্থাৎ বিরানি খেলাম কিন্তু আগের মতো ততটা এক্সসাইটেড লাগে নি। সঙ্গে বুটের ডাল, মাছ, মাংস সালাদ ছিল ওটাই বেশি খাওয়া হয়েছে।

আগামী ৬ মাসে একটু ভিন্ন ধরণের এক্সপেরিমেন্ট করছি। যেমন ধরুন মাঝে মধ্যে এক স্লাইস ব্রেড, ২/৩ লোকমা ভাত, একটু পাস্তা, ২/১ পিস্ পিজা ইত্যাদ খেয়ে দেখছি। দেখি কোনো সিগনিফিক্যান্ট পরিবর্তন হয় কি না, যদি না হয় তাহলে পোরশন লিমিটেশনসের মাধ্যেম কিছু ভাত বা রুটি খাওয়া যাবে।  মাসে হয়তো আমার প্রিয় টিম হর্টনের একটি মেপেল ডিপ ডোনাটও খাওয়া যাবে। এইভাবে শুরু করাতে যে আবার লোভ লেগে আগের মতো সব খাওয়া হয়ে জাস্ছে তা নয়, crave টি এখন কন্ট্রোলে এসে গেছে।

সব থেকে বেশি যে উপকারটি হয়েছে সেটা হলো নিজের প্রতি confident লেভেলটা অনেক বেড়ে গেছে এবং procrastination কমে গেছে। প্রায় ৪০ বছর আগে বাংলাদেশের প্রাক্তন ফুটবলার সালাউদ্দিন বলেছিলেন আমরা যদি আমাদের নিজেদের গতি বাড়ানোর সাথে তুলনা করে অনুশীলন করতে থাকি তাহলে আমরা অতীতের থেকে ভালো ঠিকই করবো কিন্তু ততদিনে পৃথিবীতে অন্যরা আমাদের থেকে অনেক আগে  চলে যাবেন, তাতে করে আমার কোনোদিনই আন্তজাতিক পর্যায়ে যেতে পারবো না তাই আমাদেরকে trget করতে হবে ওয়ার্ল্ডের বেস্টদেরকে । বেশ কদিন আগে রিমন ভাই জব সাপোর্ট টিম মিটিংয়ে বলেছিলেন এবং আগেও লিখেছিলেন যে আমরা যদি ১০০% মার্ক্স্ পাওয়ার জন্য ৮০% মার্ক্স্ পাওয়াওয়ালার কাছে দৌড়াই তাহলে ১০০ কি করে পাবো। কথাটি একটি প্রতীকী অর্থে বেবহার, কেউ কিছু মনে করবেন না। মোট কথা আমি যে পথ দিয়ে কখনো হাটি নি সে পথের সন্ধান ম্যাপ দেখে আর জিপিএস দিয়ে খুব ভালো ভাবে দিতে পারবো না।

 যারা মনে করছেন জীবনটা আটকে আছে, আমার দ্বারা কিছু হবে না, আমার স্টামিনা ভালো না, আমি হয়তো এদেশের যোগ্য না, আমার ভাগ্যে ভালো চাকরি বাকরি নেই, ১০০ এফোর্ট দেওয়া সম্ভব না, এই ভাবে কোনোমতে চললেই হলো শুধু মাত্র ছেলে মেয়ে ঠিক ভাবে বোরো হলেই হলো, আমি তেমন ভালো কিছু deserve করি না ইত্যাদি, তাদের জন্য আমার আবেদন, ঝেড়ে ফেলুন ওই সমস্ত চিন্তা এবং শুরু করুন আজ থেকে, আপনিই পারবেন আপনার জীবনে পরিবর্তন আনতে। আমরা অনেক সময় frustrated হয়ে বলে থাকি, আমার আর কি, এসেছি তো ছেলেমেয়ের জন্য তাই নিজে কোনোমতে কিছু করে ছেলেমেদের মানুষ করি, not at all, and I strongly disagree with you, not only our next generation but we must deserve to live a decent life here. Be determined, reach out, get necessary supports and start your journey of HOPE. Remember you are not alone, we walk the walk together and will go far. Please roll up your sleeves, get down to achieve what you deserve.

B Mukul

Toronto, ON
[asa]1511579676[/asa]

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন