কাশিয়ার চাল, কাশিয়ার বেড়া,
তিস্তার চরের সখিনা বেওয়া। শীতের প্রকোপটা বেশ বুঝতে পারছে। রিলিফের কম্বল গায়ে জড়িয়ে গভীর চিন্তায় মগ্ন। গতকাল ভুরুঙ্গামারীর হাট ছিলো। সপ্তাহে দুটো হাট, সখিনা বেওয়া ফি হাটেই যায়। হাত পাতে, কমবেশী পায়। চাল, আনাজ, টাকা, বিশু ময়রা দুটো গরম জিলাপিও দেয়।
সখিনা বেওয়া ভাবছে,,,
গতকাল হাটের একপাশে মঞ্চ আছিল, নেতারাও। বিরাট মিটিং, অনেক কতা, কি সব ষড়যন্ত্রের কতা!! কতক্ষণ পর আইজুদ্দিন মৌলানার ব্যাটা মাইজুদ্দিন মৌলানাও মাইক হাতে কঈল, হেও নাকি জনগণের হেফাজত কঈরবো। কঈল যে, বিজয় ছিনাইয়া নিতে দিবার নাও।
বারান্দায় কয়একটা শালিকের ডাক শোনা যায়। পান্তার হাড়ি থেকে একমুঠো পান্তা ছিটায়, ওরা খুটে খুটে খায়।
সখিনা বেওয়া তৃপ্ত চোখে শালিকদের খাওয়া দেখে আর ওদের সাথে গল্প করে,,,,
আচ্ছা বাহে তোমরাই কন, উমরা যে মিটিংয়ত কঈল, ষড়যন্ত্রের কতা। দ্যাশ তো স্বাধীন, বহুত দিনত হঈল খাঁনের ঘরও পলাইছে। এলাও নেতার ঘর ষড়যন্ত্র ষড়যন্ত্র করে। ক্যান করে? বিজয় ক্যামনে ছিনায়?
আর ঐ আইজুদ্দিন মৌলানা। যুদ্ধের বছর আমিনা ভাবীরে উঠাঈয়া নিছিল। কঈছিল যে, ভাবী হঈল গণিমতের মাল।
আচ্ছা তোমারই কন, অয় আজাকারের ব্যাটা আজাকার, অয় ক্যামনে কয় জনগণের হেফাজত কঈরবো?
দুটো শালিক মারামারি করছিলো, বাকি শালিকরা তাই দেখে চিৎকার। রেগে ওঠে সখিনা বেওয়া,,,,,,
বাহে তোমরা এলা যান তো, একমুঠ ভাত,
তাও তোমরা মিলিঝুলি খাবার পারেন না, খালি কামড়াকামড়ি করেন।
যান তো যান,
হুস,,,,,,,হু,,,,স,,, হু,,,,,,,স।