আমার ঠিক কিছুটা দূরেই মোমবাতিটা জ্বলছে। বাতাসের হওয়ায় শিখাটা একটা দুলোনি ভাব কাজ করছে। বছরের এই সময়টা তেমন একটা বৃষ্টি হয় না অথচ হঠাৎ করেই আবহওয়ার এমন পরিবর্তনে অবাক লাগার সাথে সাথে কেমন দমকা বাতাসও লাগছে। এক টানা সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি কেমন জেনো জমছে না ঠিক। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ হচ্ছে, আমার সমস্ত ইন্দ্রিয় কানে কানে কি জেনো খুব বলবার চেষ্টা করছে। কেমন একটা এই মূহুর্তের অনুভূতি শূন্য। এমনটাই তো হবার কথা ছিলো, নাকি ছিলো না ? প্রশ্নটা মনে আসা মাত্র ই চোখ পড়লো আয়নায়। কথা বলবো নিজের সাথে এমন সময় পিসি ডাকলো, ও জয়ী গরম গরম পাটিসাপটা খেয়ে যা …

ফু দিয়ে মুখে পুড়ে দিচ্ছি আর ভাবছি আমি কি পলাতক? কেমন পালিয়ে বেড়াচ্ছি দেখো … সেই কবে থেকে নিজের সাথে, নিজের মাঝে, নিজের অবয়ব থেকে..

ঐ জয়ী .. হ্যা হ্যা বলো শুনছি তো। খেয়েই তো চললি কিছু তো বলছিস না? হলো টা কি? এতো অন্যমনস্ক কেনো? না না কোথায় কি যে বলো পিসি। খাবারটা আর কি আয়েশ করে খাচ্ছি। নাও হয়েছে তোমার আয়েশ, বুঝচ্ছি ভালো হয় নি। আচ্ছা পিসি তুমি এমন রাগ হচ্ছো কেনো? ভালো হয়েছে বললাম যে তাও … নে তাহলে আরেকটা বলেই ওমনি পিতলের থালায় দুটো পিঠা দিয়ে দিলো। হা করে তাকিয়ে দেখলাম টানটান হয়ে শুয়ে আছে তারা আর আমার দিকে তাকিয়ে বলছে আমাদেরকে তুমি খেয়ে ফেলবে ?
কি হলো?
হ্যা,হ্যা খাচ্ছি।

মোমবাতি টা ফুরিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবন ও তো একটা সময় ফুরিয়ে যায় … কেমন জেনো মোমের মত জ্বলেই ফুরিয়ে যায়, থেকে যায় কিছু স্মৃতি, মায়া, স্বপ্ন আর আর, আর কি কিছু ? হ্যা প্রিয় মুখ । চোখের সামনে মোমটা গেলো হাতের কাছে পিসির সেকেন্ড হ্যান্ড কেনা নোকিয়া মোবাইলটা আছে। মোবাইল আজকাল টর্চেরও কাজ করে ইচ্ছে করলে জ্বালানো যায় তবে ঐ ইচ্ছে টা আমার, আমার ইচ্ছেঘুড়ি ইচ্ছে মত ইছামতীর পাড়ে ডুব সাঁতারে মগ্ন। সন্ধ্যে নামেনি কিন্তু চারপাশটা এতোটা ঘুটঘুটে যে আলো টা দিলে ভালোই হয় অথচ অন্ধকার আমার ভালো লাগছে। অন্ধকার আছে বলেই মানুষ আলোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে আজ না হয় অন্ধকারই থাকুক।

ও জয়ী ঘরে আলোটা জ্বালা মা ? ও জয়ী … কি রে কানে কথা যায় না। মেয়েটা আজকাল কেমন চুপসে যাচ্ছে। বোবা না হয়েও বোবার মতই নিজেকে তৈরি করছে। ও জ য়ী —— ,

পুকুর পাড় থেকে ব্যাঙ এর ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ এর শব্দ আসছে। বাহ্ বিদ্যুৎ চমকালে সবসময় ভয় লাগে আজও লাগছে। লাগুক না ভয় নিজের সাথে নিজের বোঝা পড়াটা হোক না হয়। বেড়ার কাছে ভেজা কুকুর টা আশ্রয় খুঁজছে। অন্ধকারে সব অদ্ভুত সুন্দর লাগছে। চারপাশের জগৎ টা কেমন জেনো অচেনা অথচ চেনা লাগছে। সবাই কেমন আছে খুব জানতে ইচ্ছে করছে। মা, মা ও মা খুব ইচ্ছে করছে একটা বার তোমাকে দেখে ই চলে আসবো। এ জায়গা আমার না মা। আমার ভালো লাগছে না। এখানে আমার খেলার সাথী, কথা বলার কেউ নাই। তুমি তো জানো আমি কথা ছাড়া পারি না থাকতে। সেই রাতে কথা হয়। তোমার গলার আওয়াজটা আমায় ঘুম পাড়ায়। আমার এখানে ভালো লাগে না। আমি বাড়ি যাবো। ঠাকুর কারা না কারা ভেঙেছে সেই ভয়ে পালিয়ে থাকতে হবে ? আমি তো চুরি করি নি, কোন দোষ করি নি তবে কেনো …

“কোনও কোনও মানুষের জীবনে একরকম ঘটে যায়। যাকেই তাঁরা আশ্রয় ভেবে জড়িয়ে ধরতে চায়, সে-ই সাপ হয়ে ছোবল মারে। গোটা জীবন ধরে শুধু বিষ আর বিষ নিয়ে যখন আর নীল হওয়ার জায়গা থাকে না, তখন তাঁদের চোখের আলো নিভে আসে। আত্মহননের পথ ছাড়া সেই ফ্যাকাশে আলোয় আর কিছু দেখতে পায় না। তবু মানুষ যেহেতু মানুষ, একটু সমব্যথা, একটু আশ্বাসের হাত এগিয়ে এলে ঝেড়ে ফেলতে চায় সমস্ত রক্তাক্ত ইতিহাস….

সমরেশ মজুমদার এর (পরানের পদ্মবনে) পড়েছিলাম।

অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকানো আলোয় পুকুরপাড়ের একটা নীল নীল অবয়ব জেনো প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে …. জানালার শিক ধরে আচমকা মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো রবী ঠাকুরের কয়েকটা …

নিন্দা দুঃখে অপমানে
যত আঘাত খাই
তবু জানি কিছু সেথা হারাবার তো নাই।
থাকি যখন ধূলার পরে, ভাবতে না হয় আসন -তরে,
দৈন্য মাঝে অসংকোচে, প্রসাদ তব চাই।
লোকে যখন ভালো বলে, যখন সুখে থাকি,
জানি মনে তাঁহার মাঝে অনেক আছে ফাঁকি …..

তারপর…. তারপর …. খুব মনে করার চেষ্টা কিন্তু মন আর মনে করিয়ে দেয় না ..

______________ অন্তরীক্ষ কথন

নিশিথীনির বাকিটুকু পড়তে পড়তে  কখন যে চোখটা বুজে আসলো বুঝতে পারলাম না ।  তবে ঝিঁঝি পোকার ডাকটা চারপাশের নিরবতায় ধীরেধীরে ভীষণ জোরালো।  চোখ বন্ধ করে অবাক করা একটা স্বপ্ন দেখতে পারতাম, এমন হতো যদি মনের সাথে শঙ্খচিলের মিলন।
মাথার বালিশের নীচে গো গো শব্দ হচ্ছে।  চোখ টা খুললাম,  বুঝতে পারছি না আওয়াজটা কিসের পিসির নাক ডাকার না কি মোবাইলের ভাইব্রেশনের …
ছোট মোবাইলটা হাতে নিয়ে পিসির দিকে তাকিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে কল রিসিভ এর জায়গায় ওন করলাম।  খুব পরিচিত কন্ঠ কিন্তু কেনো জেনো ভীষণ অপরিচিত লাগছে এই ঘুটঘুটে অন্ধকারে।
জয়ী হ্যালো জয়ী শুনতে পারছিস আমাকে?  আসবি কবে তুই?  ওভাবে না জানিয়ে না কিছু বলে চলে গেলি কেনো?
আমি শুধু বললাম উপায় ছিলো না।  বাধ্য হয়েই।  কল্যাণ কাল আমাদের বাড়ি যাবিরে একটু।  ও কেনো বলার আগেই বললাম,  মার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে। আজ রাতে মা কথা বলেনি,  বাবারও শরীরটা ভালো না।  ঠাকুর ভেঙেছে কত ক্ষতি হয়ে গেলো আমাদের কল্যাণ এটা কেউ বুঝবে না রে।  কমিটির কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে কিন্তু সময় মত ঠাকুর বানিয়ে না দিতে পারলে ভীষণ বিপদ।
হ্যা বলতেই লাইনটা কেটে গেলো।  হঠাৎ পিসিও নড়েচড়ে পাশ ফিরে শুইলো। চুপিচুপি কথা আবার শুনতে পায় নাই তো …  একটা চাপা আতঙ্ক  ..
ফোনের ব্যালান্স শেষ। আর কথা হবে না এখন, আর ঘুম আসবেও না এখন।  জোনাকিরা সবুজ আলো জ্বালিয়ে পুকুর পাড়ে মনের তালে নেচে বেড়াচ্ছে। ঝড়ের দমকা বাতাস একটু কমেছে।  একটা অস্থিরতা, ঐ অস্থিরতা ই একটু একটু করে তুষের মত জ্বলছে …

_____________ অন্তরীক্ষ কথন

কি হয়েছে সিদ্দিক? এখানে বসে বসে কাঁদছো কেনো? এই ছেলে কি হয়েছে? আরে এ তো কানেই কথা নেয় না। আশ্চর্য তো অঝোরে কেঁদে ই যাচ্ছে। এই সিদ্দিক বলে ঘাড়ে হাত রাখতেই কান্না জড়িত ধরা গলায় বললো আমারে বলতেছেন? আমি তো পুরাই অবাক! বলে কি ছেলে এতোক্ষণ যে ওর নাম ধরে ডাকছি শুনতে পায়নি। তোমাকে যে আমি এতোক্ষণ যাবত ডাকছি তুমি শুনতে পাওনি ? জ্বী পেয়েছি। তবে ?

বুঝতে পারতেছিলাম না যে আপনে আমারে ডাকতেছেন কি না ? এবার তো আমি আরো অবাক হয়ে কি বলবো তাই চুপ হয়ে গেলাম।

মানুষ হঠাৎ করেই মানুষ কে অবাক করার ক্ষমতা রাখে। অনেক সময়ই হয় এমন যে কথা কখনোই বলবেই না হঠাৎ করে সেই কথা বললে যেমন চমকায়।

সিদ্দিক নিজেই আবারও বললো, আমাকে সবাই চিদ্দিক বলে বুলায় । হ্যা কি আমি তখনও জেনো চিদ্দিকটা হজম করতে পারছি না আবার আমি ডাকার পরও না শোনাকেও নিতে পারছিলাম না। এটা দিনদিন বাড়ছে হঠাৎ ভীষণ ছোট্ট কোন সামান্য বিষয়ের ঘটনা স্বাভাবিক ভাবে মেনে হজম করতে কষ্ট হয়। কাউকে বুজতে না দিলেও হজম করতে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয় আমি তো জানি।

ম্যাডাম আমাকে কিছু বলবেন ? কাঁদছিলে কেনো? বাসার থেকে কেউ বকেছে? না বকে নাই তবে আব্বার পাঁচ নাম্বার বৌ ঘুম থেকে কান ধরে টেনে তুলছে টং এর দোকানের চা আর বিস্কুট আনার জন্য। আমার এর পর কি প্রশ্ন করা উচিত এবং কি বলাই বা উচিত বুঝতে পারছি না। হঠাৎ হঠাৎ কিছু আচমকা কথায় পরবর্তী শব্দ আমি হারিয়ে ফেলি।

সকাল থেকেই ইয়াকুব মিয়ার বৌয়ের বেজায় মেজাজ খারাপ। গায়ে জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়েও ফাটায় চিল্লাচ্ছে বাড়ির ঝি- চাকর এর সাথে। এ সংসারে তার কতৃত্ব দেখার মতন। ইয়াকুব মিয়ার বাকি বৌগুলাও মোটামুটি জমের মতই ভয় পায়। এতোটা প্রশ্রয় তার সম্পূর্ণ ইয়াকুব মিয়ার কারনেই।

সংসারটা কিছুটা জহির রায়হানের উপন্যাসের মতন। ইয়াকুব আলী চরিত্রটা বুড়ো মকবুল। তবে তার পাঁচ নম্বর বৌটি টুনির মত কি না ওটা কিছুটা মুশকিল । কিন্তু তার আবার মন্তুু মিয়ার অভাব নাই। সিদ্দিকের জন্য এ বাড়িতে প্রায়ই আসতে হয় কিন্তু তার সাথে আজও দেখাটা মিলে নাই। আজ তো আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে উঠানে হয়ত …

তার চিল্লাচিল্লি শুধু মাত্র এ বাড়ির ঝি- চাকর আর চিদ্দিক অর্থাৎ তিন নম্বর সতীনের ছেলের সাথে।

আপনি কি জয়ী ? হু বলে তাকাতে ই মুগ্ধ হবার মত লাগলো। এতো সুন্দর মানুষ হয় ? বাহিরের দরজা থেকে যার কর্কশ কন্ঠ শুনলাম আর সে কিনা এতো সুন্দর দেখতে ? ব্যবহারও তো ভালোই মনে হচ্ছে।

অনেকগুলো ধাঁধা।

আমার নাম সামিরা বানু মৌ। আপনিতো বলতেই , জিভ দাঁতে চেপে বলে বসেন। এর আগেও আসছেন কিন্তু দেখা হয় নাই। আমার পরিচয় তো মনে হয় জানেন আমি এ বাড়ি বলতেই আমি বললাম জ্বী আমি পরিচয় জানি।

আমি কিন্তু ক্লাস সেভেন পাস। আপনি মনে হচ্ছে অবাক হচ্ছেন?

আমি কিছু টা ঢোক গিলে সামলিয়ে নিলাম নিজেকে। সচরাচর নিজে একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়েকে দেখে তার সৌন্দর্য দেখে ঈর্ষান্বিত হই না। কিন্তু আজ হচ্ছি ভীষণ হচ্ছে এমন। গায়ের রঙ কালো হয়েও এতোটা সুন্দর কাউকে দেখতে লাগে। জানা ছিলো না।

তার কথায় আমি আবারও তাকালাম। আর বলবেন না এই সংসারের সব কিছু আমিই দেখি বাকিরা গায়ে বাতাস দিয়ে বেড়ায়। শেষ লাইনটা যে শুধু আমাকে বললো তা নয় গলার স্বরটা উঁচু করায় বুঝলাম কিছুটা ঐ ঝি- মেরে বৌ শাসনের নীতি চলছে।

জয়ী আপা আজ যখন এই বাসায় আসছেন অপর বেলায় আমাদের সাথে চারটে ভাত খেয়ে যাবেন। না করবেন না দয়া করে। অনুরোধ করছি কিন্তু।

আসলে এভাবে বলবেন না, অনুরোধ রাখতে পারলে ভালো লাগতো কিন্তু …

দেখুন আপনি যে আমাকে বলেছেন এটাই অনেক। আমার আরো কিছু ছাত্রদের বাসায় যেতে হবে হেডস্যারের হুকুম। আপনার কাছে এসেছি সিদ্দিক ঠিকমত স্কুলে আসে না। আপনি যদি একটু দেখতেন। আমি মৌ এর চোখের দিকে তাকিয়ে আছি আচমকা চোখটা কেমন পাল্টে গেলো। কিন্তু ভীষণ ঠান্ডা ভাবে উত্তর দিলো আপনি এখন আসতে পারেন দিদিমনি। ঐ যে অপ্রত্যাসিত কিছু ঘটলে শব্দের শব্দ হারিয়ে ফেলি। তখন দীর্ঘশ্বাসই আমার বন্ধু । বাড়ির মেইন গেইট থেকে বের হবো আর চিন্তা করছি এবার রায়পাড়ায় খাদিজাদের বাসায় যেতে হবে। দোলখোলা থেকে রায়পাড়া বেশি দূর না কিন্তু রোদে গা পুড়ে যাচ্ছে। সকালে না খাওয়া অভ্যাসের জন্য বেশি কিছু খাওয়াও যায় না। রিক্সা নিবো? এই খালি যাবেন ঐ রায় পাড়া মসজিদের একটু সামনে যাবো কত নিবেন? বিশ টাকা দিবেন। বলে কি এতো দিনে দুপুরে খুন করবে দেখছি.. এতো ভাড়া কেনো? আজ তো রাস্তায় পানি উঠে নাই তাছাড়া শীত না বৃষ্টি না গরম এটা তো এখানকার স্বাভাবিক। আপা গেলে চলেন না হলে আমি আগাই। রাস্তা ভঙ্গা ওদিকে যাওয়া কষ্ট।

অগত্যা উপায় না থাকায় রিক্সায় উঠবো এমন সময় সিদ্দিক পাশে এসে আমার শাড়ির আচঁলটা ধরে দাঁড়িয়ে আছে।

আমার মায়া হয় ভীষণ মায়া হয় বাচ্চটার জন্য। ব্যাগের থেকে একটা চকলেট হাতে দিতেই একগাল হাসি দিয়ে দৌড় দেয়।

রিক্সা চলছে রাস্তা ভাঙার কারনে একবার এদিক আরেকবার ওদিক হেলেদুলে যাচ্ছে। আমি ভাবছি, মানুষকে বিব্রত করা, কষ্ট দেওয়া ভীষণ সহজ যতটা না একজন মানুষ কে খুশি করা কঠিন। কাউকে হাসানো সহজ মনে হলেও সহজ নয় যতটা না কাউকে অতি সহজে মনের আঘাত দিয়ে কাঁদানো যায়। চাইলেই মনের বিরুদ্ধে বা একটু কঠিন হয়ে চোখে পানি ঝড়াতে পারা যায় কিন্তু এই দুনিয়ায় খুব কম মানুষ আছে বা পারে

যে, ঐ চোখের পানিটা শুকিয়ে হাসির রোদ

উঠায় |||

__________________ অন্তরীক্ষ কথন

নীলিকা নীলাচল ***

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন