‘বাবা, ঈদের দিনে ছোটবেলায় তোমরা কি করতে ?’
অভির কৌতূহলী প্রশ্নে অপু তার মাতৃহীন কিশোর ছেলের দিকে তাকিয়ে থেকে একটি দীর্ঘ্য লেকচারের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ইদানিং ছেলের সাথে ছুঁটিছাটা ছাড়া তার তেমন কথাবার্তা হয় না। অভি প্রায় সময় লেখা পড়ার পরে যেমন তার প্লেস্টেশন, সেলফোন, ল্যাপটপ নিয়ে ব্যস্ত থাকে অপুও তেমনি কাজের পর ব্যাস্ত থাকে বন্ধুদের সাথে আড্ডায়। আজ ঈদের ছুটিতে ঈদের নামাজ শেষে নাস্তার টেবিলে অভি নিজ থেকেই বাবার সাথে আগ্রহ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছে, গল্প করতে চাচ্ছে। এটি শুভ লক্ষণ।

একটি সময় ছিল যখন অপু ও স্ত্রী রুপা অভির জন্মের আগে রাত জেগে জেগে এই অভি-কে নিয়ে সোনালী-রূপালী স্বপ্নের জাল বুনতো। ছেলের নাম রাখা, ছেলেকে কীভাবে মানুষ করবে, ছেলেকে কি পড়াবে ইত্যাদি হাজার হাজার পরিকল্পনা। বাস্তবতা কতই না নির্মম। সেই রুপা অন্য এক ভদ্রলোকের সাথে সুখের সংসার করছে, সেই ভদ্রলোকের আগের পক্ষের স্ত্রীর বাচ্চাদের নিয়ে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে যাচ্ছে, লংড্রাইভে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে। এই মহাবিশ্ব, পৃথিবী যত না বিচিত্র, তার চেয়েও বিচিত্রি এই পৃথিবীর অধিবাসী!!

ঈদের গল্প শুনতে বসে পৃথিবীর ও পৃথিবীর মানুষের এই রূপবৈচিত্র নিয়ে কথা না শুনে চলুন অপুর দিকে দৃষ্টি দেয়া যাক। আমাদের আবার লম্বা লেখা পড়ার ধৈর্য ও সময় তেমন নেই।

অপু নাস্তার টেবিলে মুখের খাওয়া শেষ করে ধীরে সুস্থে জগ থেকে পানি ঢেলে খেয়ে ছেলের দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে ঈদের দিনের নিজ জীবনের ছোটবেলার গল্প বলা শুরু করলো:

‘ বাবা, আমরাতো অনেক ভাইবোন ছিলাম, ঈদের আনন্দ শুরু হতো কমপক্ষে সপ্তাহদুয়েক আগে থেকে। আমাদের সময় ঈদে নতুন জামা কাপড় পাওয়ার একটি বিশেষ আকর্ষণ ছিল। সেসব কাপড় লুকিয়ে রেখে ঈদের দিনে পড়তাম, অনেক সময় নতুন কাপড় না পেলে পুরানো সাদা পাজামা পাঞ্জাবিতে ভাতের মাড় দিয়ে, নীল দিয়ে শুকিয়ে কয়লার ইস্ত্রি দিয়ে ইস্ত্রি করে ঈদের দিনে পড়তাম। অপুর কথার মাঝে অভি ফস করে বললো, ‘ কি সব বলছো বাবা, ভাতের মাড়, কয়লার ইস্ত্রি, নীল এসব বুঝতে পাচ্ছি না।’ অপু তার ছোট বেলার ঈদের গল্পের খেই হারিয়ে ইতিহাসে ঢুকে গেলো। নীলের চাষ, ব্রিটিশদের অত্যাচার ইত্যদি নিয়ে ক্রমাগত কথা বলা শুরু করলো। অভি অপ্রাসঙ্গিকভাবে একটি বিরাট হাই তুলে বাবার সাথে নতুন আরেক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলা শুরু করলো,
‘বাবা তখন তুমি আম্মুকে চিনতে ?’

অপুদের সেসময়ের বগুড়া শহরের মালতীনগরের দোতালা বাসার উপরতলা ভাড়া দেওয়া ছিল, নিচতলায় অপুরা সাত ভাইবোন নিয়ে থাকতো। উপরে, দোতালায় রুপারা থাকতো। ছোটবেলায় অপুর বাবা লোডশেডিংয়ের রাতে গরমের সময় উঠোনে সব ছেলেমেয়েদের নিয়ে গল্প-গুজব করতেন, আকাশের তারা চেনাতেন। কোনো কোনো সময় অপুর বাবা নিজে যেমন আব্বাস উদ্দিনের গান গাইতেন, তারা ছেলেমেয়েদেরকেও ছড়া কবিতা বলার জন্য সাধাসাধি করতেন। তবে, অপুকে তেমন সাধতে হতো না। অপু নিজে থেকে কখনও নজরুলের ‘আমি হবো সকাল বেলার পাখি, কখনও হাত নেড়ে নেড়ে ‘খুকি ও কাঠবেড়ালী’ অথবা সুর করে অন্নদাশঙ্কর রায়ের ছড়াগান ‘খুকু ও খোকা’ গাইতো । সবাই হাতে তালি দিয়ে অপুকে উৎসাহ দিতো। লোকচক্ষুর অন্তরালে দোতলার বারান্দায় রুপা মুগ্ধ হয়ে অপুর সেসব কবিতা ও ছড়াগান শুনতো। সেই মুগ্ধতা পরবর্তীতে বিয়ের মাধ্যমে পরিণত পেলেও সেই বিয়ে বেশিদিন টিকলো না। সংসারের জটিলতার সমীকরণে ছোটবেলার সেই অপুর কবিতা, ছড়া, গানের মুগ্ধতা বেশিদিন স্থায়ী হলো না।

আজ ঈদের সকালের নাস্তার টেবিলে অভির প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে অপু সেলফোনের ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে ছোট বেলার সেই ছড়াগান ইউটিউবে দিয়ে অভিকে বললেন , বাবা আমার ছেলেবেলার প্রিয় এই ছড়া গান শুনবে? অভি খাওয়া থামিয়ে বাবার থেকে ফোনটি নিয়ে মুগ্ধ হয়ে গানটি শুনছে :

“তেলের শিশি ভাঙল বলে
খুকুর পরে রাগ করো
তোমরা যে সব বুড়ো খোকা
ভারত ভেঙে ভাগ করো !
তার বেলা?
ভাঙছ প্রদেশ ভাঙছ জেলা
জমিজমা ঘরবাড়ী
পাটের আড়ত্ ধানের গোলা
কারখানা আর রেলগাড়ী !
তার বেলা ? ………..”

অভির যেমন মন দিয়ে বাবার সেই প্রিয় ছড়াগান শুনছে আরেকটি শিশু মেয়ে কাছেপিঠে মেঝেতে বসে মনোযোগ দিয়ে শুনছে। শিশুটির নাম সুইটি। গ্রামবাংলায় খুব নিন্মবিত্ত পরিবারে মাঝে মাঝে উদ্ভুত সব কান্ড ঘটে। অনেকসময় হতদরিদ্র বাবামারা তাঁদের বাচ্চাকাচ্চাদের বাহারি সব নাম রাখে। এই শিশুটি সেরকম এক হতদরিদ্র দম্পতির সন্তান। বাড়ি বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় মাদলা ইউনিয়নের ঢাকন্তা গ্রামে। অভির মা যেমন বাবাকে ছেড়ে আরেকজনের সাথে সংসার বেঁধেছেন, অনেকটা একই নিয়মে সুইটির বাবা তার স্ত্রীকে ছেড়ে আরেক অল্পবয়সী মেয়েকে বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। এই একটি জায়গাও ধনী -গরিবের মধ্যে মিল দেখা যায়। উভয়ক্ষেত্রেই সংসারে ভাঙ্গন ধরে, সংসার খণ্ডিত হয়। কষ্ট পায় অবোধ বাচ্চারা।

নাস্তার টেবিলে সেই ছড়াগান শেষ হতে না হতেই অপু দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলো আজ ঈদের দিনে ছেলেটিকে নিয়ে ঘুরেবেড়াবে। কলাবাগানে ফুপুর সাথে দেখা করে সোজা চলে যাবে ঢাকা ময়মনসিংহ রোডের কাছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, সেখান থেকে যাবে হাতের ঝিল। ওখানকার পার্কটিও সন্দর । অপু অভিকে বললো, ‘ বাবা, তাড়াতাড়ি নাস্তা খাওয়া শেষ করো, আমার ফুপুর সাথে দেখা করে আজ সারাদিন বাইরে বাইরে ঘুরবো। অভি নিষ্পাপ হাসি দিয়ে বললো , ‘সুইটিকে সাথে নেই, ওরা-তো বাসায় একাই থাকবে। কিশোর অভি জানে না বাসাবাড়ির কাজের মানুষদের নিয়ে বাবার গাড়িতে ঘুরে বেড়ানো বড়লোকদের সমাজের দৃষ্টিতে বড্ডো বেমানান একটি ব্যাপার।

অপু আজ সেই বেমানান ব্যাপারটিকে মানানসই পর্যায়ে নিয়ে এসে ছেলেকে নিয়ে, সুইটি সুইটির মাকে নিয়ে গাড়িতে উঠলো। গাড়ি ছুঁটে চলছে সাতমসজিদ রোড ধরে এগিয়ে কলাবাগানের দিকে। ঈদের কারণে ড্রাইভারকে ছুটি দেওয়া হয়েছে । অপু আজ নিজেই গাড়ি চালাচ্ছে। পাশের সিটে বসেছে অভি। পিছনে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে সুইটির মা, পাশেই জানালা ঘেসে সুইটি বসে অধীর আগ্রহে বাইরের দৃশ্যাবলী দেখছে। ঈদের মধ্যে ঢাকা শহরের রাস্তা ঘাট ফাঁকাফাঁকা থাকে। ঢাকা শহরের অধিকাংশ উঠানো লোকজন ঈদে দেশের বাড়িতে যায়, মা বাবা ভাইবোন সবাইমিলে ঈদ করে আবার নীড়ে ফেরে। অপু সচারচর দেশে যায় না । দেশে গেলে রুপাকে নিয়ে সবাই এটা ওটা জিজ্ঞাসা করে। মায়ের নামে আজেবাজে কথা শুনে অভি মন খারাপ করে থাকে।

গাড়িতে উঠেই অপুর গান ছেড়ে দেয়ার অভ্যাস। আজ অপু গাড়িতে কোনো গান দিলো না। তার মাথায় নাস্তার টেবিলের সেই গান ঘুরপাক খাচ্ছে। তেলের শিশি ভাঙল বলে খুকুর পরে রাগ করো, তোমরা যে সব বুড়ো খোকা ভারত ভেঙে ভাগ করো ………ভাঙছ প্রদেশ ভাঙছ জেলা, জমিজমা ঘরবাড়ী……..।

সময়ের বিবর্তনে কখনোবা জাতীয়তাবাদী কখনোবা ধর্মীয় দর্শনে সেই ভারত ব্রিটিশ খেদানোর পরে টুকরো টুকরো হয়েছে। ভেঙে গিয়েছে বিশ্ব মানচিত্রের বিশাল অংশ নিয়ে জুড়ে থাকা দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন সহ বেশ কিছু রাষ্ট্র। কিন্তু বিজ্ঞান এগিয়ে গিয়েছে তরতর করে প্রচণ্ড গতিতে। সামগ্রিকভাবে পৃথিবীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে উন্নয়নে জোয়ার এসেছে। কৃষি, চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞানীরা এনেছেন অসামান্য সাফল্য। কিন্তু মহাজ্ঞানী নিউটনের সেই বিখ্যাত থিওরি : to every action , there is an equal and opposite reaction . নগরের সুসজ্জিত অট্টালিকার যোগান দিতে আবাদি জমির ফসল মাড়িয়ে তৈরী হয়েছে ইটের ভাটা, দিনের পর দিন কলকারখানা থেকে নির্গত কালো ধুয়া , গাড়িঘোড়ার পোড়া ডিজেলের দাপটে পৃথিবীর বায়ু স্তরে ওজন লেয়ারের ঘনত্ব ক্রমশঃ বেড়েই চলেছে । ভেঙে পড়ছে সংসার কাঠামো। মা,বাবা ভাইবোনের সাথে বেড়ে ওঠা যৌথ পরিবারগুলো খণ্ডবিখণ্ড হচ্ছে। সেই ভাঙ্গনের ঢেউ আছড়ে পড়েছে অপুর সংসারে।

আজ এই ঈদের দিনকে ভিন্ন মাত্রায় উপভোগের জন্য অপু মাতৃ স্নেহ থেকে বঞ্চিত তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বৈশাখের তপ্ত আবহাওয়ায় ফুফুর বাসা থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে পইপই করে ঘুরে বেড়াল। তাঁদের সফর সঙ্গী হয়েছে আরেক পিতৃ স্নেহ বঞ্চিত শিশু সুইটি আর তার অভাগী মা। আজ ওরা মা মেয়ে ঈদ উপলক্ষে কিনে দেয়া নতুন কপড়চোপড় পড়েছে। সুইটির মা সুইটিকে মাথায় চুলে দুই বেণী করে,লাল ফিতা বেঁধে দিয়েছে। সুইটি সাফারি পার্কের খোলামেলা জীবজন্তুগুলিকে অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে। আপু তার টিমের সবাইকে আইসক্রিম কিনে দিয়েছে। সুইটি ও তার মায়ের জীবনে এই প্রথম এসব দামি আইসক্রিম খাওয়ার অভিজ্ঞতা। অনভিজ্ঞতার কারণে সেই আইসক্রিমে কামড় বসাতে যেয়ে কিছু অংশ পড়ে যাচ্ছে, গাল মেখে যাচ্ছে। দূর থেকে একেকটি জন্তু দেখে অভি সারাক্ষন সুইটির সাথে বকবক করে কথা বলে যাচ্ছে, এর নাম হচ্ছে ‘রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এরা থাকে সুন্দর বনে, সুন্দর বন কোথায় জানো ,নাকি তাও জান না?’ অভির কথার উত্তর না খুঁজে পেয়ে সুইটি ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে।

বিকাল চারটা নাগাদ অপুরা হাতির ঝিলে পৌছালো। রাস্তায় আগেই সবাই লাঞ্চ সেরে নিয়েছে। অপু অভিকই নিয়ে এর আগেও এখানে এসেছে। এখানকার চিলড্রেন পার্কে বেড়িয়েছে। তবে, সুইটি ও সুইটির মায়ের জন্য এটি একেবারেই ভিন্ন অভিজ্ঞতা। এখানকার দৃষ্টিনন্দন সেতু, নজর করা ফোয়ারা দেখে সুইটি ও সুইটির মা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলো। চিলড্রেন্স পার্কে ঘোরাঘুরি করে লেকের পানিতে ওয়াটার-ট্যাক্সিতে যখন কয়েক ঘন্টা কাটিয়ে ওরা ফিরছে সূর্য তখন প্রায় ডুবুডুবু। সেতুর উপরে বাতিগুলি জ্বলে উঠেছে। রঙিন সেই লাইটগুলি থেকে আলোক বিচ্ছুরণ লেকের পানিতে উপচে পড়েছে। এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। । অপু তার সফর সঙ্গী সবার জন্য একটি করে ডাব কিনেছে। তীব্র গরমে সেই ডাব সুইটি ও সুইটির মা আগ্রহ সহকারে পরম তৃপ্তির সাথে পান করছে । সাদা প্রাইভেট কারের পাশে শহুরে পোশাকে অপু আর অভির সঙ্গে একসাথে তাঁদের বাসার কাজের মহিলা আর তার ছোট্ট শিশু মেয়ের এই ডাব খাওয়ার দৃশ্যের আপেক্ষিক গুরুত্ব অনুধাবনের মানুষের সংখ্যা ব্যাস্ত এই ঢাকা শহরে হয়তো তেমন বেশি একটি দেখা যায় না।

রাত গাঢ় হওয়ার আগেই অপু সবাইকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হলো। ঈদের মধ্যে ঢাকা শহরে জানজোট তেমন একটা হয় না। অপুদের সাদা প্রাইভেট কার দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাড়ির দিকে। অপুর হটাৎ করে রুপার কথা মনে হলো।

শুধু ঢাকা শহরেই না, এই সমগ্র পৃথিবীতে সভ্যতার পথ ধরে রুপা-অপু জুটির মতো অসংখ্য জুটি অহরহ তলিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের এগিয়ে নিয়ে গেলেও আমাদের মধ্যে সহনশীলতা কমে যাচ্ছে। ব্যাক্তিগত লোভলালসা, প্রতিনিয়ত সংসারে স্বামী স্ত্রীতে ঝগড়াঝাটি , অশান্তি, পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাস ঠেলে দিচ্ছে বিচ্ছেদের দিকে । কর্পূরের মতো উড়ে যাচ্ছে একসময়ের ভালোবাসা। অভির মতো বাচ্চারা বড়োদের ভুলের মাসুল গুনে মাতৃহীন পরিবেশে শারীরিকভাবে বড়ো হচ্ছে । কিন্তু শরীরের পাশাপাশি মানসিক পরিপক্কতার জন্য চাই মা, বাবা উভয়েরই ব্যালান্সড সাপোর্ট।

একটুখানি সহনশীলতা, সেক্রিফাইস, পরস্পরের প্রতি সম্মান, ভক্তি এবং সমঝোতায় টিকে রাখা যায় প্রতিটি দম্পতির ভালোবাসার সোনার সংসার!!

সমাপ্ত

——-

জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার, টরেন্ট, এপ্রিল ২০২৩

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমাদের ছোট্ট গ্রাম- পর্ব ৫
পরবর্তী নিবন্ধজাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন-এর তিনটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠান
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন