কোভিড ১৯ এর সাথে বসবাস এখন বাস্তবতা। কোন কোন দেশ কঠিন নিয়ম কানুন মেনে চলে এর বিস্তার অনেক কমিয়ে এনেছে। পশ্চিমাদেশ গুলো কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। খুব সতর্কতার সাথে কিছু কিছু অফিস বিজনেস ওপেন করেছে। তাও দুই তিন সপ্তাহ দেখে আবার পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর কার্যকরী ভাক্সিন তৈরী না হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে হবে। আমরা আছি ভালোই তবুও চিন্তা করি আমার ফেলে আসা স্বদেশ নিয়ে।

আমরা মুহুর্তের মধ্যেই দেখতে পারি কি ঘটছে আমার স্বদেশে। না সেখানে কাউকে কোন কিছু মানাতেই পারছে না সরকার, প্রশাসন ! কোন সমন্বয় নেই কারো সাথে কারো কাজের। কি করবে মানুষ? তারা নিজেরাও শুনছে না, মানছে না স্বাস্থ্য বিধি। হু হু করে বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে যাচ্ছে, সংক্রমনের দিক থেকে।

একজন শিক্ষিত সচেতন মানুষ হিসেবে যা করনীয় আপনার তাই করুন।

যদিও বাইরে যেতে হয় অবশ্যই মাক্স পরবেন। জুতা বাইরে রাখবেন, ব্লিচিং পাউডার বা লাইসল দিয়ে ভিজানো পাপোসে জুতা মুছে নিন।
হাত সাবান দিয়ে ধুলেই হলো । চোখ মুখ চুলকাতে হলে বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করুন। তবুও চোখে নাকে হাত দিবেন না।

আমি জানি এসব আপনারা অবশ্যই মেনে চলছেন, তারপরও বলি। কারন টিভিতে যা রিপোর্ট দেখি তাতে সাধারণ মানুষ এই চিকিৎসা করাতে পারবে না। একজনের জন্য বেসরকারি হাস্পাতালের বিল হবে কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ লক্ষ টাকা। তাও মাত্র ৮/১০ দিনে। নার্সদের পিপিই, মাক্সের জন্য কম পক্ষে ৩০/৪০ হাজার টাকা দিতে হবে আপনাকেই। তাই নিজেই সাবধানে থাকুন।
যাদের অঢেল টাকা আছে তাদের জন্য ঠিক আছে যদি বেড পায়!!
বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের কেউ যদি করোনা আক্রান্ত হয়েই যায় তাকে সাহস দিন। করোনা আক্রান্ত হওয়া মানে কিন্তু সব শেষ হয়ে যাওয়া না। অন্যদের যাতে এই ভাইরাস আক্রমণ না করে নিজে থেকেই আলাদা থাকুন। ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন।

আপনি যত বেশী প্যানিক বা অস্থির হবেন ব্রেনে অক্সিজেন কমে যাবে যেটা আপনার ফুসফুস এই অতিরিক্ত অক্সিজেন সাপ্লাই দিতে পারবে না। আপনি সাহস রাখুন।
আপনি একা না সবাই আছে আপনার সাথে। পরিবারের সবার দায়িত্ব রোগীকে মানসিক সাপোর্ট দেয়া। পরিস্থিতির কারনে আপনাকে হয়ত হাসপাতালে যেতে হতে পারে। কিন্তু কখনোই ভাববেন না আপনাকে সবাই এড়িয়ে যাচ্ছে। নার্ভাস ব্রেক ডাউন হলেও মনকে শান্ত রাখুন।

আবারও সেই সামাজিক ব্যাধি আর অবক্ষয়ের কথা বলি। রাজা বাজার ও কিছু এলাকাকে লক ডাউন করা হয়েছে। রাত দিন পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করে যাচ্ছেন সবাইকে ভালো রাখার জন্য জীবনের ঝুকি নিয়ে। রিপোর্টে দেখলাম কিছু অমানুষ রাত ২/৩ টার সময় অর্ডার করছে, পিজ্জা দিয়ে যান, শ্যাম্পু, পান, সাবান দিয়ে যেতে হবে এক্ষুনি।
আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করব প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের এদের এসব অন্যায় আব্দার মেনে নিবেন না। যাদের ঘরে থাকতে অসুবিধা লাগে এদের করোনা ইউনিটে নিয়োগ দিয়ে ওখানেই থাকার ব্যবস্থা করে দিন। এসব নিয়ে আর খেলা হেলা করার সময় নাই। এদের জন্য পুরা জাতির অনেক বড় সর্বনাশ হচ্ছে।

নিজে ভালো থাকুন, ভালো রাখুন আপনার স্বজনদের। আলো আসবেই, সেই দিনের অপেক্ষায়।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন