শুধু নিজেরটুকু নিয়ে ব্যস্ত না থেকে চোখ মেলে তাকান!!
**আপনার শাড়ি,গহনা আপনার সাজগোজ, দেখাচ্ছেন!! আপনার সন্তানকে স্বার্থপর ভাবে গড়ে তুলছেন, এতে আপনি ভূল বার্তা দিচ্ছেন সমাজে। আপনি/আপনারা একবারেই অন্ধ,মূল্যবোধহীন হয়ে শিক্ষিত হয়েছেন।
** আপনার সন্তানের ডিমের কোনা একটু ভেংগে খাবার কারনে আপনি ৭/৮ বছরের মেয়েকে খুন্তির ছ্যাকা দেন, স্যান্ডেল দিয়ে পেটান!! কেন আপনি কি ওই বাচ্চা মেয়েটাকে সপ্তাহে একটা ডিম দিতে পারেন না? সেই আপনি আবার মানবতার কথা লিখেন!!!
** এক ঘর দশবার মোছান আর সেই ঘরের ছবি তুলে আপনি ছবি আপ্লোড দেন!! আপনি উচ্চ শিক্ষিত।
** আপনি শিক্ষি নারী আর আপনার স্বামী দেদারছে দু’হাতে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছে আপনি সেই টাকায় মহীয়সী হয়ে দাপট দেখাচ্ছেন, আপনি কি শিক্ষা দিচ্ছেন সন্তানকে?
আমার দুঃখ এসব সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত নারীদের জন্য। এরা অনেক অন্যায়ের হোতা।
নারীদিবসে পুরুষের বিরুদ্ধে লেখার ইচ্ছে করে না আর যেখানে এতো বেশী ছদ্মবেশী নারীদের দেখি!!
নারী আমার মা,বোন আর স্ত্রী। নারীকে সন্মান করব কি করব না এই শিক্ষাটা পরিবার থেকেই বেশীর ভাগ মানুষ পেয়ে থাকে। আমি মানুষ এটাই আমার প্রথম পরিচয়।
নারী নির্যাতন নিয়ে যখন কথা বলা হয় তখন ধরেই নেয়া হয় কোন শক্তিধর পুরুষ, না হোক অর্থে বিত্তে বা শিক্ষায়, মেয়েদের কে দুর্বল পেয়ে অত্যাচার করে থাকে।
ঘটনা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই উল্টো,বেশীর ভাগ মেয়েরাই নির্যাতিত বা অপমানিত হয় মেয়েদের দ্বারাই সেটা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।
কোন মেয়ে কালো হলে প্রথমেই যার কাছ থেকে কথাটা শুনবেন বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই মেয়েটার দাদী, আর খুব নিকট জন, এই মেয়ের বিয়ে হবে কিনা!! সেটাই বড় চিন্তা তাকে শিক্ষা দীক্ষায় বড় করে তোলার পরিবর্তে ।
তার মানে যারা নারী নির্যাতন করে বা এতে পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে মদদ দেয় , ধরেই নিব তারা কোন ভালো পারিবারিক শিক্ষা পেয়ে বড় হয়নি ।
সে হয়ত দেখেছে মাকে নির্যাতিত হতে বাবার হাতে , আর মায়ের কাছ থেকে শিখেছে স্বার্থপরতা। এদের কাছে সমাজ ,রাষ্ট্র দুরের কথা নিজের ঘরইত নিরাপদ নয় ।
একজন পুরুষের প্রেম , বিয়ে আর পরকীয়া সবকিছুতে নারীর প্রয়োজন , প্রেম আর পরকীয়াতে তাদের সমস্যা নাই এই পুরুষদের।
যে নারী প্রতিনিয়ত স্বামীর সাথে ঝগড়া ফ্যাসাদে লিপ্ত সংসার বলতে অশান্তির আখড়া , সে পুরুষই যখন অন্য কোন নারীর প্রতি ভালোবাসার হাত বাড়ায়, তখন ওই স্ত্রীই প্রথম স্বামীর পক্ষ নিয়ে অন্যমেয়েটিকে অপমান অপদস্ত করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এখানে তার তথাকথিত স্বামী রাতারাতি দেবতায় পরিনত হয়। সংসার ও সমাজের এই দ্বৈত চরিত্রের কারনে পুরুষ নামের মানুষটি দিনে দিনে দানবে পরিণত হয় আর এই জন্য তার পরিবারের লোকজনের অবদান কম নয় ।
পুরুষের সাথে নারীর আবার যুদ্ধ কিসের ? তারা তো একে অন্যের পরিপূরক তাই নয় কি ?
নিজের সন্তান টিকে মানুষ হতে শিক্ষা দিন , শুধু পুরুষ মানুষ না
আর আপনার কন্যা সন্তানটিকে শিক্ষা দিন মানুষের সৌন্দর্য্য বাড়ায় তার শিক্ষা, রুচি,ব্যক্তিত্ব, আত্মনির্ভরশীলতা। শালীনতা বোধ ও শিক্ষা পাশাপাশি যদি পায় কোন মানুষ তবে সে প্রকৃত অর্থেই ভালো হয়ে গড়ে ওঠে। তারা যদি কোন বড় ভুলও করে পিতা মাতা হিসেবে সব সময় পাশে থাকবেন । শিক্ষা দিন মানুষকে সম্মান করতে ।
” একজন নারী অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারেন যদি তার স্বামী তার পাশে থাকে, ভালবাসে ।” আর না হলে সব সঙ্গীত ইঙ্গিতেই যায় থামিয়া , আর বনলতারা হারিয়ে যায় দুঃখে নীল বর্ণ হয়ে । সমাজের আর লোক লজ্জার ভয়ে অনেক আলো নিভে যায় , নিভে গেছে ।
জেগে উঠুন রুখে দিন সকল সামাজিক অবক্ষয়। লজ্জা না পেয়ে জানান আপনি নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন
, সাহায়্য চান আশপাশে কেউ থাকলে ।
আর পুরুষ যারা আছেন আপনারা নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ প্রতিবাদ ও সহযোগিতা করুন পাশে দাঁড়ান নির্যাতিত মেয়ে / মহিলা টির।
আপনার সামর্থের সবটুকু করুন নারীকে নিরাপদ রাখবার , প্লিজ নীরবতা পালন করবেন না / এড়িয়ে যাবেন না বিষয়টা এই ভেবে যে মেয়ে/ মহিলাটি আপনার ফ্যামিলি মেম্বার না . অন্তত একজন সাধারণ নাগরিক হিসাবে আপনি আমি আর আমাদেরকেই পদক্ষেপ নিতে হবে সকল সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে, আমরা বদলালেই বদলাবে সমাজ ..হোক না শুরুটা আপনাকে / আমাকে দিয়েই ….!!
মায়ের কাছ থেকেই সন্তানের প্রথম শিক্ষা শুরু হয়, আপনার / আমার সন্তানটিকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব কিন্তু আমার, আপনার। নাম্বার সর্বোস্ব কোন যন্ত্র মানব আমরা চাই না। সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ নিয়ে তারা এগিয়ে যাক, দেখবেন গড়ে উঠবে সুন্দর দেশ ও জাতি।
আর নয় বিদ্বেষ।
নারী দিবসে সকল নারী /পুরুষদের প্রতি শুভেছা আর আহ্বান আসুন আগে আমরা মানুষ হই ।

১ মন্তব্য

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন