রুহি কাঁপা কাঁপা হাতে টরেন্টোর একটি হাসপাতালের একটি মাঝারি সাইজের রুমে বসে এক মাঝ বয়সী নার্স এর সামনে সাগরের ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য একটি পেপারে সাইন করছে। এই অনিশ্চিত পৃথিবীতে কত বিস্ময়কর ঘটনাই না ঘটে। চব্বিশ ঘন্টা আগেও সব ঠিক করা ছিল সকাল সাড়ে নয়টার সময় রুহি কমিউনিটি লিগ্যাল ক্লিনিকের ফ্রি ফ্যামিলি লইয়ারের সাথে সাগরের সাথে পাকা পাকি সেপারেশনের ব্যাপারে কথা বলতে যাবে। কোথায় সাইন করবে সেপারেশনের ডকুমেন্টে, এখন সাইন করতে হচ্ছে ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়ার প্যাপারে!!

ছোট্ট তিথিকে কিছুতেই সামাল দেয়া যাচ্ছে না। বাবা, বাবা বলে চিৎকার করে কাঁদছে। বাবার বাসা থেকে মা ও ভাইয়ার সাথে চলে আসার পর থেকে তিথি বাবার ভালো ও খারাপ দিক নিয়ে খুব জটিল টানাপোড়া অবস্থায় ছিল। বাবার সাথে এই সংসারের মধ্যে একমাত্র তিথির সাথেই সাগরের খুবই মধুর সম্পর্ক ছিল, সখ্যতা ছিল। উইকেন্ডে প্রায়ই বাবার সাথে ছোট ছোট পাজোল গেম খেলতো। মাম্মি যখন কাজে যেত, ভাইয়া ভিডিও গেম খেলতো আর তিথি বাবার সাথে টিভিতে কার্টুন দেখতো, এটা সেটা নিয়ে গল্প করতো। বাবার একেকটি হাসির কথায় হেসে গড়াগড়ি করতো, সেই বাবা মাঝে মাঝে তার প্রিয় আম্মুকে যখন পচা কথা বলতো, জন্তুর মতো মারধর করতো তিথি তখন তার সেই বাবা কে একেবারেই চিনতেই পারতো না। কিন্তু বাবার প্রতি যত রাগ বা ঘৃনাই থাকুক না কেন আজ তিথিকে কেউ আটকাতে পাচ্ছে না, তাঁর বাবা বাবা বলে চিৎকার এই ভিনদেশের একটি হাসপাতালের লবিতে যারাই পাশ দিয়ে যাচ্ছে, এক দণ্ড দাঁড়িয়ে থেকে চোখ মুছতে মুছতে যাচ্ছে। হলপ করে বলা যেতে পারে তিথির এই কান্নার ভিডিও যদি এই তাবৎ পৃথবীর যেকোনো বাবাকে দেখানো যেত তবে নির্ঘাত এই পৃথিবীতে ড্রাঙ্ক ড্রাইভিং করার সংখ্যা অবশই কমে যেত !!

রিফাতের ব্যাপারটি আলাদা। রিফাত বাবাকে তেমন পছন্দই করতোনা। কথায় কথায় বাবা গায়ে হাত তুলতো। বাবার কাছ থেকে সবসময় মদের বিশ্রী গন্ধ আসতো। বাবা যখন অঙ্ক করাতে বসতেন, রিফাত নাকমুখ চেপে অঙ্ক করতো। স্কুলে যে নিয়মেই অঙ্ক করতে হতো বাবার নিয়ম অন্যরকম ছিল, রিফাতকে বাসায় বাবার নিয়মেই অঙ্ক করতে হতো। না শুনলে বাবা গালে ঠাস করে চড় মারতেন। একদিন এত জোরে বাবা চড় মেরেছিলো যে রিফাতের চোখের নিচে নীলচে দাগ হয়ে গিয়েছিলো। পরেরদিন ক্লাসে টিচার দাগের কথা জিজ্ঞাসা করলে রিফাত বানিয়ে বানিয়ে বলেছিলো রাতে বাতি না জ্বালিয়ে অন্ধকারে বাথরুমে যাওয়ার সময় পা পিছলে পরে গেছে। রিফাত নিশ্চিত ছিল, সত্যি কথা বললেই, টিচার পুলিশে ফোন করে দিবে, আর পুলিশ বাবাকে ধরে নিয়ে যাবে। আবার পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট কার্ডে ভালো রেজাল্ট হলে বাবার কি যে আনন্দ! একদিন, গ্রেড ফাইভে অংকে এক্সিলেন্ট পাওয়ায় বাবা খুশিতে সে দিনেই আম্মুর মানা সত্ত্বেও ইন্ডিয়ান দোকানে যেয়ে কাঠের ক্রিকেট ব্যাড কিনে নিয়ে এলো। সেদিন খুশিতে রিফাতের চোখে পানি এসে গেল। বাবার সব অপরাধ মাফ করে দিলো। পরের দিকে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাবার সাথে রিফাতের কিছুটা গ্যাপ তৈরী হলো। বাবার সাথে তেমন কথাবার্তা হতো না । কথাবার্তা হতো শুথুমাত্র ক্রিকেট খেলা নিয়ে। কয়েকদিন আগেও ফোনে বাবার সাথে কথা হচ্ছিলো, ‘আচ্ছা বাবা, বলতো এই যে সাকিবুল হাসান দেশের কথা না ভেবে ন্যাশনাল টিমে না খেলে আই পি এল এ খেলবে এটা কি ঠিক হচ্ছে? ক্রিকেট বোর্ড কেন যে কিছু বলছে না, এদিকে সিলেকশন কমিটির কান্ড দেখো বাবা, মাহমুদুল্লাহকে টেস্ট টিমেই রাখলো না, কত বড় সাহস! বাবা ছাড়া ক্রিকেট নিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে রিফাতের বিশেষ কেউ ছিল না। এদেশে ছেলে বুড়া সবাই বাস্কেট বল, হকি নিয়ে মাতামাতি করে। ক্রিকেট নিয়ে এঁদের মধ্যে কোনো আগ্রহই নেই। মুশফিকের বোকামির জন্য যেদিন ভারতের কাছে বাংলাদেশ এক রানে হেরে গেলো, রিফাত রাগে দুঃখে সারাদিন কিছু খাই নি। পরে বাবা তাকে অনেক বুঝিয়ে সুজিয়ে নতুন ভিডিও গেম কেনার লোভ দেখিয়ে তাকে খাইয়েছে।এতদিন বাবা কাছে পিঠে না থাকলেও তবুও ফোনে টোনে কথা বলা যেত, নতুন নতুন ভিডিও গেম কিনে দিতো, আজ বাবা চিরদিনের জন্য হারিয়ে গেলো।

হাসপাতালে সাগরের কিছু বন্ধুরা জটলা পেকে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা বলছিলো। রুহি পাসকেটে যাওয়ার সময় যেন চিনতেই পারলোনা। যেন তাদের বন্ধুর মৃত্যুর জন্য সেই দায়ী। সিঙ্গেল মাদার নিয়ে দেশের মানুষের অপপ্রচারের শেষ নাই। এতদিন সেপারেশন লাইফে স্বামী থেকেও ছিল না। স্বামীবিহিন সংসারের যাবতীয় সমস্যা অনেকটা একাই সামাল দিতে রুহিকে হিমশিম খেতে হচ্ছিলো। এখনতো, স্বামী চিরদিনের জন্য নেই, তাই সিঙ্গেল মাদার রুহির পক্ষে সহনাভুতি দেখানো মানুষের চেয়ে বরং স্বামীর মৃত্যুর জন্য রুহিকেই দায়ী করার মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশী কমিউনিটিতে এই সভ্য দেশেও অনেক অনেক বেশি।

সাগরের বন্ধুদের জটলা থেকে একজন শুধু কি মনেকরে উঠে দাঁড়িয়ে সালাম দিয়ে বললো: ‘ভাবি, ডেডবডি হ্যান্ড ওভার করবে কখন ? দাফন/কাফন নিয়ে চিন্তা করবেননা, এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটি নিয়ে কাজ করে এমন একটি অর্গানাইজেশন এর সাথে কথা বলে রেখেছি, ওরা সব ব্যাবস্থা করবে। তবুও, পাঁচ /ছয় হাজার টাকা রেডি রেখেন ভাবি, বলা যায় না যদি লাগে টাগে, অবশ্য আপনার কাছে না থাকলে অসুবিধা নাই, আমরা ম্যানেজ করে নিবো। রুহি সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দিলো, ‘থাঙ্কস ভাইয়া, আপনারা অনেক কিছু করছেন, ফুপুর কাছে দশ হাজার ক্যাশ টাকা আছে, যখন যেটা লাগবে বলবেন’। এই বলে রুহি ওখান থেকে চোলে যেয়ে হাসপাতালের ভিতরেই এক কর্নারে টিমহর্টনের দিকে এগিয়ে যেতে যেতে ভাবতে থাকে, এসব দেশে মরে গেলেও অনেক খরচ পাতি করতে হয়।

রুহি টিমহর্টনে ফুপুর জন্য ব্ল্যাক কফি, নিজের জন্য একটি রেগুলার কফি, বাচ্চাদের জন্য কিডস ব্রেকফাস্ট আইটেম এর অর্ডার দিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছে । কাল মধ্য রাত থেকে রুহির উপর দিয়ে অনেক ঝামেলা গিয়েছে, এখানে সাইন করো, ওখানে সাইন করো। তার পরেও আবার পুলিশের জেরা। পুলিশ বলছিলো, সাগরের ড্রাইভিং রেকর্ড অনেক খারাপ ছিল, দু বার স্পিডিং টিকেট , একবার রেড লাইট টিকেট ও একবার ড্রাইভিং এর সময় সেলফোনে কথা বলার জন্য টিকেট পেয়েছিলো।  মরে যেয়ে বেঁচেই গিয়েছে, বেঁচে থাকলে এরকম ড্রাঙ্ক ড্রাইভিং এর একসিডিন্টের কারনে হয়তো ড্রাইভিং লাইসেন্স কেড়েই নিতো।

সাগরের বন্ধুদের হেল্প নিয়ে অবশেষে সাগরকে পিকারিং এর গোরস্থানে কবর দেয়া হলো। বেলা প্রায় চার টার মতো বাজে। এখনো পশ্চিম আকাশে সূর্য দাপটের সাথে রোদ বিকিরণ করে যাচ্ছে। এদেশ আসলেই অদ্ভুত। ঋতুচক্র পরিবর্তনের সাথে সাথে দ্রুত দিনের দৈর্ঘমাত্রার পরিবর্তন হতে থাকে। এই গত জানুয়ারি মাসেও প্রায় সাড়ে চার টার দিকে বেলা ডুবতো, সেখানে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এক লাফে সাড়ে পাঁচটায় বেলা ডোবা শুরু হলো, এখন আবার এই ফেব্রুয়ারিতেই শেষের দিকে এসে ছয় টার দিকে বেলা ডুবছে । বাড়ি যাওয়ার পথে ফুপুর গাড়িতে বসে বসে রুহি এই দ্রুত সময়ের পরিবর্তনের কথা ভাবতে যেয়ে চার পাশের মানুষের সময়ের সাথে সাথে দ্রুত বদলে যাওয়ার কোথাও ভাবতে থাকে। পিকারিং এর এই গোরস্থান থেকে ফুপুর বাড়ির দূরত্ব হচ্ছে প্রায় সত্তর কিলো মিটার, হাই ওয়ে ধরে মাঝারি বেগে গেলে এক ঘন্টা খানিক লাগার কথা। এখন আবার পিক আওয়ার, রাস্তায় বেশ ট্রাফিক। বাড়ি যেতে যেতে হয়তো ঘন্টা দেড়েক লেগে যাবে। রুহি বসেছে ফুপুর পাশের সিটে। রুহি ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখলো, তিথি ও রিফাত পিছনের সিটে গা এলিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। সদ্য বাবা হারা বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে রুহির মনটা আবারোও খারাপ হয়ে গেলো। নিস্তব্দতা কাটিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে ফুপু বললেন:

‘রুহি, তোকে আজ কিছু কথা বলবো যা তোর জন্য হয়তো নতুন, আমার ধারণা তুই আগে কখনো শুনিসনি। সাগরের এই বেপরোয়া চলন বলন অনেকটা ও পেয়েছে ওর বাবার থেকে। তুই এতদিন যাঁকে শাশুড়ি হিসাবে জানতিস আসলে উনি হচ্ছে সাগরের ছোট মা অর্থাৎ সাগরের বাবার দ্বিতীয় বিয়ে করা বৌ। সাগরের জন্মের সময় আতুর ঘরেই সাগরের মা মারা যায়। ভদ্র মহিলা বেঁচে থাকার সময় সাগরের বাবা খুব অত্যাচার করতো, মারধর করতো। ওর বাবা ইউনিয়ন পরিশোধের চেয়ারম্যান ছিল। একেবারেই সংসারী ছিল না। সারাদিন বৈঠক ঘরে বসে লোকজন সাগরেদ নিয়ে ব্যাস্ত থাকতো আর রাতে চ্যালাদের নিয়ে বসে বসে মদ খেত। একদিন কথা নেই বার্তা নেই, সাগরের বাবা উধাও। পরে জানাগেলো, ও সাগরেদদের নিয়ে চর অঞ্চলে গিয়েছে পাখি শিকার করতে। তিন চার দিন পরে সাগরের বাবা অর্থ্যাৎ আমাদের বড়দাদা বাড়ি ফিরলেন জবেহ করা কয়েকটি চখা পাখি, গোটা দুয়েক বক ও একটি অপরূপ সুন্দরী এক অল্প বয়স্ক মেয়েকে নিয়ে । মেয়েটি সবুজ সারি, লাল ব্লাউজে, আর ঠোঁটে টকটকে লাল লিপস্টিকে একেবারে টিয়া পাখির মতো লাগছিলো, যেন আমাদের বড়দার আরেকটি শিকারি পাখি। মাথায় কাপড় দিয়ে মিষ্টি মেয়েটি ভীত ভীত চেহেরায় যখন বাড়ির আঙিনায় দাঁড়িয়ে আছে তখন আমাদের কারেও বুঝতে অসুবিধা হলো না, আমাদের বড়দা এই মেয়েটিকে বিয়ে করে এনেছে। আমাদের মা সাগরের মাকে সাথে নিয়ে মেয়েটিকে হাত ধরে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেয়ে কাপড় চোপড় ছাড়িয়ে আদর যত্ন করে খাওয়া দেয়ার ব্যাবস্থা করলেন। রাতের বেলায় লোড শেডিং এ সারা বাড়িতে কারেন্ট নেই। হেরিকেনের আলোয় আমি স্পষ্ট দেখলাম সাগরের মা বিছানায় শোয়া আমাদের অসুস্থ প্যারালাইসিসের রুগী বাবাকে পা টিপে দিতে দিতে অঝোর ধারায় কাঁদছেন। দিন দিন সাগরের মায়ের কান্নায় আমরা অনেকটাই অভ্যাস্ত হয়ে গেলাম। আর একদিন তো সাগরকে জন্ম দিতে যেয়ে ব্যাচারা মারাই গেলো। বড়দা দ্বিতীয় বিয়ে করা বৌটিকেও অত্যাচার করতো, মার ধর করতো। একদিন মদ খেয়ে মাতাল হয়ে রাত সাড়ে বারোটার সময় বড়দা ছোট বৌকে ঘুম থেকে ডেকে বললো গরুর গোশত রান্না করতে। বৌ অপ্পত্তি করায় বড়দার লাথি খেয়ে মেয়েটির মাথা দরজার কপাট লেগে কেটে রক্তারক্তি অবস্থা। এই হচ্ছে সাগরের বাবা আমাদের মহান বড়দা। এহেন বাবার ছেলে সাগর এর কাছ থেকে কিই বা আশা করা যায় বল মা !’

ফুপুর মুখে সাগরের এসব অতীত কথা শুনে রুহি ঠিক বুঝতে পাচ্ছে না তাঁর কি বলা উচিত। তবে, সদ্য মৃত অত্যাচারি স্বামীর জন্য রুহির যে অনুভূতি হচ্ছে সেটাকে বোধকরি ভালোবাসা না বলে মায়া বলাটাই বেশি যুক্তিসঙ্গত হবে। চলুন সেই যুক্তির উপর দাঁড়িয়ে এবারের পাকাপাকিভাবে সিঙ্গেল মাদারের তকমা লাগানো ব্যাচারা রুহির গল্প পরের পর্বটিতে আরো খানিকটা শুনি।
(চলবে )
————

আগের পর্বগুলির জন্য ক্লিক করুন :

সিঙ্গেল মাদার: ১ম পর্ব –সিঙ্গেল মাদার: ১ম পর্ব

সিঙ্গেল মাদার : ২য় পর্ব- সিঙ্গেল মাদার : ২য় পর্ব


জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন, রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার, টরেন্টো, ফেব্রুয়ারি, ২০২১

পূর্ববর্তী নিবন্ধতেল ছাড়া মুরগির মাংস রান্না !
পরবর্তী নিবন্ধসাদা ঘোড়া-পর্ব ৯
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন