রুহি পাশের রুম থেকে যা শুনলো তা নিজের কানকেও বিশ্বাসঃ করতে পাচ্ছে না। প্রিয় বান্ধবী ইরা তাঁর স্বামীকে বলছে , ‘আমি খাবার টেবিলে খুব সুক্ষ ভাবে খেয়াল করলাম, তুমি রুহির দিকে অকারণে বার বার তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলে। শুধু তাই না, ওঁর হাত থেকে তরকারির বাটি নেয়ার সময় তুমি অহেতুক কয়েক সেকেন্ড ওঁর হাত স্পর্শ করেছিলে, এর রহস্য কি তুমি কি ভেবেছো আমি বুঝি না?’ রুহি এসব শুনে হাসবে না কাঁদবে, ঠিক বুঝতে পাচ্ছে না। তবে কোথপোকথনের পরের অংশটি শুনে রুহি প্রায় থতমত খেয়ে গেলো। ‘কোত্থেকে এক উটকো ঝামেলা এসে পড়লো। এমনিতেই আমাদের সংসারের টানাটানি অবস্থা। এক মহিলা হলেও কথাছিলো, সঙ্গে দুটি বাচ্চা। তাঁর মধ্যে আবার ছেলেটির উঠতি বয়স, ঘরে নিজের মেয়ে রয়েছে, কোথা থেকে কি কি হয় কিছুই বলা যায় না।’ রুহি এতটুকু শোনার পরে বাকি কথাগুলি শোনার আগ্রহ একেবারেই হারিয়ে ফেললো। বিনা অপরাধে ছোট মেয়ে তিথিকে একটি হালকা চড় মারলো। তিথি শব্দ করে কাঁদছে। কাঁদুক, প্রাণ উজাড় করে কাঁদুক। পরে এক সময়ে মেয়ের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয়া যাবে। বান্ধবীর কটু কথাগুলির চেয়ে মেয়ের কান্নার শব্দ রুহির কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হতে থাকে।

রুহি তার সাড়ে তিন বছরের মেয়ে তিথি আর তেরো বছর বয়সী ছেলে রিফাতকে নিয়ে বান্ধবি ইরাদের বাসায় উঠেছে মাত্র দু দিন আগে। এই সপ্তাহের বাকি দিনগুলি এখানেই কেটে সামনের সপ্তাহ থেকে ভাড়া করা কোন বাসায় উঠে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। ভাড়া বাসা বললেইতো আর হয় না। সিঙ্গেল মাদারের বাসা ভাড়া পেতে হাজার রকমের সমস্যা । এই টরেন্ট শহর তো দূরের কথা, পুরা কানাডা, আমেরিকা বা ইউরোপে রুহির কোনো জ্ঞাতিগোষ্ঠী নেই। রুহি তাদের বাড়ির একমাত্র প্রাণী যে দেশের বাহিরে এসেছে। ছোট ভাই মন্টু একবার এক দালালের ক্ষপ্পরে পরে অনেক আগে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু পুরো টাকা সময়মতো জোগাড় করতে না পারায় আর যাওয়া হয়ে উঠেনি। রুহি তার ছোট ভাইকে খুব করে বুঝিয়েছিল ‘ ভালো করে পড়াশুনা কর ভাই, ভালো করে পড়াশুনা করে, কিছুদিনের চাকুরীর অভিজ্ঞতা নিয়ে ‘আই ই এল টি এস’ দিয়ে কানাডাতে এপ্লাই করবি, আমাদের পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে দেখিস, তোর লেগে যাবে, ভাই -বোন মিলে আমরা কানাডাতে মজা করে থাকবো । মন্টু কথা রাখেনি । লেখা পড়া শেষ করে চাকুরী না পেয়ে হতাশ হয়ে পাড়ায় মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যাবসা শুরু করলো। দেশ /বিদেশে ফোনে কথা বলা, ফোনে টাকা ভরানো ইত্যাদির ব্যবসা। মন্টুর আর কানাডাতে আসা হলো না। সুতরাং, রুহিকে একাই এই সুদূর প্রবাসে শত শত সমস্যা সামলাতে হচ্ছে।


তিথিকে ওভাবে চড় মারাটা মোটেই উচিত হয় নি। নিজের উপর , বান্ধবীর উপর রাগে দুঃখে সে কাজটি করেছিল। কিন্তু, রুহি ভুলেই গিয়েছিলো তিথির গালের যেখানে চড় মেরেছিলো সে দিকটায় ওঁর দাঁতের ব্যাথা । তিথির কান্নার মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকলো । পরে, এটা ওটা ভুলিয়ে ভালিয়ে তিথিকে ঘুম পাড়িয়ে রুহি তাঁর মাকে ফোন করলো। তাঁদের সেপারেশনের কথা দেশের এখনোও কেউ জানে না। মা ওপাশ থেকে বললেন : ‘ বুঝলিরে মা , তুই মাসে মাসে যে টাকা পাঠাস এ মাসে একটু বাড়িয়ে দিস, দেশে জিনিস পত্রের দাম একেবারে আগুনের মতো, তোর বাবার পেনশনের টাকায় আর তোর পাঠানো টাকায় সংসার চলে, মন্টুর টেলিফোনের ব্যাবসা আগের মতো আর নেই মা, এখন মানুষ জন ইন্টারনেটে দেশ বিদেশে কথা বলে, টেলিফোনের দোকানে এসে কয়টা মানুষই বা কথা বলে বল!  তাঁর মধ্যে আবার করোনা ভাইরাসের কারণে দোকানে তাও যে কয়েকটি হাতে গোনা মানুষ আসতো, তাও আসে না। তাই বলছিলাম কি মা, তুই যদি ওকে একটি ফটোকপির মেশিন কিনে দিতিস ওঁর দোকানের পাশেই ছেলে/মেয়েদের হোষ্টেল। ছেলে/মেয়েরা নোটপত্র ফটোকপি করতো। একবার , ব্যবসা জমে গেলে তোকে আর কষ্ট করে টাকা পাঠাতে হবে না’। রুহি যন্ত্রের মতো ফোন কানে লাগিয়ে মায়ের কথাগুলি শুনতে থাকে। একসময় দুগাল বেয়ে টপ টপ করে চোখের পানি গাল বেয়ে বেয়ে অঝোর ধারায় পড়তে থাকে।


প্রাক্তন স্বামী সাগরের বাসা থেকে এক কাপড়ে বের হয়ে রুহি বাচ্চাদের নিয়ে দুই রাত হোটেলে ছিল। হোটেলের অনেক খরচ। সাগরের কিছু বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। তেমন লাভ হয়নি । এই সমাজ কতই না বিচিত্র। এই বন্ধুদের কয়েক মাস আগেই বাসায় দাওয়াত করে কাজ থেকে এসে কত রকমের রান্না করে খাইয়েছে , অথচ এনারায় একেকজন তাঁদের নিজ নিজ মুখোশ উম্মোচন করে নির্লজ্জতার সাথে নিজেদের মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। অবশ্য, কোভিড প্যানডেমিকের জন্য বাড়িতে গেস্ট এলাও না করায় সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে তাঁদের আত্মরক্ষার বেশ সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এদেরই একজন আবার রুহিকে বললেন, ‘ ভাবি, আপনি যদি চান, আমার অনেকে ভালো জানা শোনা আছে এমন কোনো সেল্টারের নাম্বার দিতে পারি, একবার সেল্টারে উঠলে এসব দেশে সিঙ্গল মাদারের জন্য, সরকারি বাড়ির আবেদন করলে, তাড়াতাড়ি বাসা পেয়ে যাবেন।’ সেল্টার, সরকারি বাসা, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার প্রভৃতি শব্দগুলিকে ঘিরে প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে অনেক অনেক নেগেটিভ প্রবাদ রয়েছে। সুতরাং, রুহি সেই বন্ধুর কথা না শুনে প্রিয় বান্ধবী ইরাদের বাসায় উঠেছিল। কিন্তু আর না, আজ বান্ধবীর মুখে পাশের ঘর থেকে কথাগুলি শোনার পরে রুহি সিদ্ধান্ত নিলো, কাল সকালেই এখান থেকে চলে যাবে। রুহি ভাবতে থাকে যত সমস্যায় থাকুক না কেন সবার আগে ‘আত্মসম্মান’। এই আত্মসম্মান বোধের জন্যই স্বামীর সাথে তাঁর ঘর করা হয়নি। চাকুরিচ্যুত ও বিভিন্ন কারণে হতাশগ্রস্ত স্বামী তাঁর গায়ে একাধিকবার হাত তুলেছিল। রুহি তাঁর স্বামীকে ইচ্ছাকরলেই পুলিশে ধরে দিতে পারতো, দেয়নি, তাঁর কারণ শুধুমাত্র বাচ্চাদের কথা ভেবে । রুহি চায়নি তাঁর বাচ্চারা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে তাঁদের প্রিয় বাবাকে হ্যান্ডকাপ পরে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। দিনের পর দিন স্বামীর মদ, পরকীয়া প্রভৃতি বেল্লাপনা ব্যাপরোয়া জীবন থেকে তাঁর স্বামীকে ফেরানোর সব রকমের চেষ্টাই এক সময় বিফল হলো। তাই, রুহিকে বাচ্চাদের নিয়ে এক কাপড়ে বাড়ি ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। রুহি সাগরকে বোলে এসেছে , বাচ্চারা আপাততঃ তাঁর সাথেই থাকছে, পরে কোর্ট যা সিদ্ধান্ত নেয় সে মেনে নিবে। সাগর কোনো প্রতিবাদ করেনি।


বান্ধবীর বাসা থেকে বের হয়ে রুহি সকাল সকাল তল্পি তল্পা গুটিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে পাবলিক বাসে করে এই তীব্র শীতে ব্রাম্পটনের দিকে রওনা হলো। ড্রাইভিং না শেখার কারণে নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় রুহি। বিদেশের মাটিতে একজন সিঙ্গল মাদারের জন্য ড্রাইভিং যে কতটা জরুরি শুধুমাত্র ভুক্তভুগীরাই জানেন। রুহি ব্রাম্পটনে যেখানে যাচ্ছে সেটা হচ্ছে সাগরের দূর সম্পর্কের এক ফুপুর বাসা। সাগরের ফুপুর সাথে সম্পর্ক না থাকলেও এই প্রবাসে সাগরের ফুপুর সাথে রুহির সম্পর্ক এখনো টিকে আছে। কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সাগরের ফুপু রুহিকে প্রচন্ড ভালোবাসে। ফুপুর বাসার বেজমেন্টে দুটি ইউনিট করা। কাল রাতে রুহি মাহের সাথে ফোনে কথা বলার পরে নিরুপায় হয়ে ফুপুকে ফোন দিয়েছিলো । ফুপুদের বেজমেন্টে দুইটি ইউনিট করা । একটি ইউনিটে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি হওয়া ইন্ডিয়া থেকে সদ্য আসা এক ছাত্রী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের জন্য ভাড়া নিয়েছিল। ১৪ দিন পার করে চলে গেছে। এই ভাঙ্গা মাসে নতুন করে কাউকে ভাড়া দেয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার। তাই, ফুপু বলেছে রুহি অন্তত কয়েকটা দিন নিশ্চিন্তে থাকতে পারে, ভালো লাগলে পরে না হয় ভাড়া দিয়েই থাকবে। রুহি এই প্রস্তাব লুফে নিয়ে তাই আজ সকালে রওনা হলো।

বাসে তিন জনের সিটে রুহি দুই বাচ্চাকে নিয়ে একসঙ্গে বসেছে। বেচারা তিথি দাঁতের ব্যাথায় কাতরাতে কাতরাতে বাসের হালকা দুলুনিতে মায়ের কোল ঘেঁষে ঘুমিয়ে পড়েছে। রিফাত মায়ের সেলফোন নিয়ে খেলছে। দু দিন পরেই নতুন মাস পড়তে যাচ্ছে , টেলিফোনের বিল দিতে হবে। এতদিন সাগর অন লাইনে সব বিল/টিল দিতো এখন কি হবে কে জানে। তিথিকে ডেন্টিস্ট দেখানো দরকার, রিফাতের ল্যাপটপের চার্জার কাজ করছেনা, একটু নড়ালেই ল্যাপটপ ডিসকানেক্টেড হয়ে যায়। এখন অন লাইনে এ সব ক্লাস। চার্জার বিগড়ে গেলে সব ম্যাসাকার অবস্থা হবে। সাগরের সাথে ব্যাংকে জয়েন্ট একাউন্ট ছিল। মেশিনে টাকা তুলতে যেয়ে রুহি দেখে কার্ড কাজ করছে না। সম্ভবত সাগর ব্যাংকে ফোন করে একাউন্ট ফ্রিজ করে রেখেছে। ব্যাংকে সরাসরি যেয়ে এসব ঠিক করতে হবে। বাসের জানালা দিয়ে কর্ম ব্যস্ত শহরের দিকে তাকিয়ে সিঙ্গেল মাদার রুহি এসব আকাশ পাতাল ভাবতে থাকে।

রিফাত মাকে ফিসফিস করে বললো: ‘আম্মু, তোমাকে না জানিয়ে কাল রাতে বাবাকে টেক্সট করেছিলাম। আমি যে ম্যাথে নাইন্টি থ্রী পেয়েছি সেটা বাবাকে জানিয়েছি।’ রুহি রিফাতের মাথায় হাত বুলিয়ে সহানুভূতি দেখিয়ে বললো : না, বাবাকে টেক্সট করেছো এতে অসুবিধে নেই, বাবাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করলে আমাকে জানাবে। তিথি মা ও ভাইয়ার কথায় ঘুম ভেঙ্গে মা কে বললো: ‘আম্মু, নেক্সট উইকে বাবার জন্মদিন, আমরা কি বাবাকে উইশ্ করবো ?’ রুহি ইচ্ছা করলেই তাঁর বাচ্চাদের বাবা বিষয়ে সত্যি কথা জানিয়ে বাচ্চাদের কচি মন বিষিয়ে দিতে পারতো । কিন্তু, রুহি বাচ্চাদের বললো, ‘ তোমাদের বাবা তোমাদের সাথে কোনো অন্যায় করেননি , উনি আমার সাথে অন্যায় করেছেন , তাই আমি উনার সাথে আর থাকছি না, তারপরেও, উনি তোমাদের বাবা, তোমাদের বাবার সাথে তোমরা যোগাযোগ করবে এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। তিথি মায়ের দিকে তাকিয়ে কৌতূহল হয়ে জানতে চাইলো: ‘ আম্মু , আপত্তি মানে কি ?’

রুহি কাজের জায়গা থেকে দুই সপ্তাহের ছুটি নিয়েছে । এই দুই সপ্তাহের মধ্যে থাকার জন্য পাকাপাকি একটি জায়গা ঠিক করতেই হবে। এরই মধ্যে কমিউনিটি লিগ্যাল ক্নিনিকে যোগাযোগ করে ফ্রি উকিলের সাথে কথা বলতে হবে, এদেশে আবার উকিলের জন্য অনেক টাকা ফি, এতো টাকা তাঁর কাছে নেই। রুহি কাজ করে কেএফসি -এর একটি স্টোরে। ভাগ্য ভালো,চাকুরীটা ছিল, না হলে সত্যি সত্যিই তাকে সেল্টারে যেতে হতো। একবার সেল্টারে গেলে, কথা একান ওকান হয়ে বাতাসের আগে আগে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়তো। আমরা এতোই হতভাগা জাতির বংশধর যেখানেই যাই না কেন মানুষের ভালো করতে না পারলেও খারাপ করার জন্য উম্মুখ হয়ে থাকি। কথাটি যে দ্রুব সত্য তাও না। এ সমাজে এখনো সাগরের ফুপুর মতো কিছু ভালো মানুষ আছে, এই সান্তনা নিয়ে বাসের জানালা দিয়ে বাহিরের সারি সারি শুভ্র তুষার স্তুপের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে সিঙ্গেল মাদার রুহি ভাবতে থাকে কিছুতেই, তাঁর মনোবল হারালে চলবে না , তাঁর দিকে তাকিয়ে আছে এই দুইটি বাচ্চার সম্ভাবনাময় ভবিষৎ।

————
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন, রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার, টরেন্টো, জানুয়ারি ২০২১

 

পূর্ববর্তী নিবন্ধপথশিশু
পরবর্তী নিবন্ধবাড়িয়ে দাও হাত-পর্ব ৬
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন