কলতলায় বসে এঁটো থালাবাসন মাঁজছিল চিত্রা।
ষোড়শী মেয়ে মোহিনী, উঠোনের এক কোনে দাঁড়িয়ে , গোমড়া মুখে মাথা নিচু করে, পায়ের বুড়ো আঙুলের নখ দিয়ে মাটি খুদছে। হাক্ দিলো চিত্রা, মায়ের সঙ্গে একটু হাত লাগলে কি শরীর ক্ষয়ে যাবে ? কি করিস্ তুই ওখানটায় ?
ঝাঁঝালো উত্তর দিলো মোহিনী, কুয়ো খুদি, ডুবে মরবো ।
ও কাকি , কেমন আছো ? দহলিজ পার হয়ে উঠোনে এসে দাঁড়ায়, ও পাড়ার কুমুদ ঠাকুরের ছেলে বসন্ত ।
আশঙ্কায় হতাশ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল চিত্রা । মনে মনে বললো , ফিরে আয় মোহিনী ফিরে আয় । একদিন এমন এক বসন্ত এসেছিলো। ওরকম কুয়ো আমিও খুদেছি ,ঝাপও দিয়েছিলাম। মরণ হয় নি , জীবনভর হাবুডুবু খাচ্ছি । কূল ও হারালাম, চিতা ও জুটছে না ।।
সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা ।।।