বেশ বুঝতে পারি—
তোর হাতের তালুতে এখন মোনাজাতের নুতন খসড়া
স্বামী, সংসার, সন্তান…
এমন সব ‘স’ এর আধিক্যে কেটে যায় ব্যাস্ত সব বেলা
এও কি আমাদের মনের এক ব্যভিচার!?
নাহ্- তা বলবো না।
ভাঙনের তীর ছেড়ে বালিহাঁস তো খুঁজে নেয় অন্য উপচর
আমাদের মনগুলো যে তার চেয়েও বেশি পরিযায়ী হয় কখনো!

সময়!

স্মৃতির মোম ঘরে—
আটটি রক্তাক্ত গোলাপের শব পড়ে আছে তেমনই
কোনো এক শূণ্যতায় বেঁধে রাখে এখনো আমাকে
মনের দলিল ছাড়া কিছু ভাঙনের গল্প লেখা থাকে না—
আমাদের জীবন পাতার অন্য কোথাও
ঈশ্বরে নয়
তবে হৃদয়ের কিছু সত্যের কাছে আনত হই এখনো সকাল-সন্ধ্যা!

বাউন্ডুলে বসন্ত আজও দুলে উঠে শিমুল পলাশের সেই চিবুক ছুঁয়ে
সবুজ পাতারা নুতন বিপ্লবের তোপধ্বনি তোলে বৃক্ষের শাখায়
প্রকৃতির নিষ্ঠাচারে এখনো ক্লান্তিহীন চলে সময়োচিত সব আয়োজন
কথা হয় না ওদের সাথে আমার এখন আর তেমন
বরং—
কখনো প্রশ্ন জাগে, এও কি এক প্রহসন!?

মানুষ রূপী অমানুষে পৃথিবী ভরাট হয়েছে আরও
জীবনের প্রতি ইঞ্চিতে আরও শক্ত হয়েছে মুদ্রার নগ্ন দখল
বাজারি পণ্যের সারিতে আদমদের ভীড় বাড়ছে দিনদিন
অতিকায় কিছু দানবের হাতে পৃথিবী এখন—
উল্টো হয়ে পড়ে থাকা এক খেলনা লাটিম
তবুও থেমে নেই হাল সভ্যতার জয়গান!

কিছু কষ্ট দানা বাঁধে এখনো বিরহ আনত মনে
ক্ষোভ ছিলো না কোনোদিন কিছু
কিন্তু যারা আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়,
একপেশে সেই মিডিয়ার পর্দায় আবারও যে ভেসে উঠে—
ধ্বংস স্তুপের মাঝে একাকার মা ও শিশুর ছিন্নভিন্ন দেহ,
প্রসূতি সম্ভবা নারীর লাশ!
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ…
বাকী নেই পৃথিবীর আর কোনো প্রান্ত!
শক্তিমানদের বর্বর লড়াই দেখতে এখন—
আর টিকিট কাটতে হয় না আমাদের,
যেতে হয় না কলোসিয়ামে
কাগুজে পাতায় মোড়া মুখোশী এই সভ্যতায়!

অবলুপ্ত বোধও যে আজ ফুলকি হয়ে উপরে ফেলতে চায় মাথার খুলি
ভাবি মানুষেরা কেন বাবা হয়, কেন মা হয় এখনো এখানে!?
তার চেয়ে তো ঢের ভালো—
আটটি লাল গোলাপের মৃত দেহে সজ্জিত স্মৃতির ঐ মোম ঘর!

তোকে আবারও ধন্যবাদ নীলু!!

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন