এক

কর্মজীবনে মানব সেবাতেই দিব্যেন্দুর দিন যায় রাত পোহায়। দিনের শেষে ক্লান্ত সূর্য্য কখন অস্তাচলে ঢলে পড়ে, কখন সন্ধ্যে পেরিয়ে বাইরের পৃথিবী অন্ধকারে ছেয়ে যায়, মালুমই হয়না। উদয়াস্ত রুগীর সেবা-শুশ্রূষা করতে করতে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে একেবারে ভাটা পড়ে গিয়েছে।

পেশায় দিব্যেন্দু একজন মেডিকেল ডাক্তার, চাইল্ড্ স্পেশালিষ্ট। স্ত্রী মালবিকা নার্সারী স্কুলের শিক্ষয়িত্রী। ওরা নিঃসন্তান। স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকে নিয়ে দিব্যেন্দুর ছোট্ট ছিমছাম নির্ঝঞ্ঝাট পরিবার। শহরের নিরিবিলি রেসিডেন্সি এলাকায় শ্বেতপাথরের মোজাইক করা অট্টালিকার মতো বিশাল বাড়ি। বাড়ির সদর দরজার একটু উপরে নেইম প্লেটে বড় অক্ষরে খোদাই করে লেখা, “শান্তি কুটির।”

দিব্যেন্দু মনস্থীর করে, এবার ১৫তম বিবাহ বার্ষিকীতে প্রিয়তমা স্ত্রী মালবিকাকে সারপ্রাইজ দেবে। মনে মনে প্ল্যান করে, বাইরে দূরে কোথাও বেড়াতে যাবে। সেই সঙ্গে সামার ভেকেশনও কাটিয়ে আসবে। রুটিন মাফিক একঘেঁয়ে কর্মজীবন থেকে কিছুদিনের জন্য বিরতি নিয়ে সমুদ্রসৈকতে যাবে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয়, বৃদ্ধা মাতা রমলা দেবীকে নিয়ে। তিনি বাতের ব্যথায় কোথাও নড়তে পারেন না। সারাদিনে বেশীরভাগ সময় শুয়ে বসে কাটান। সকাল সন্ধ্যে দুইবেলা পালা করে লোক আসে ওনাকে মাসাজ করতে। ওনাকে দেখভাল করার জন্য একজন বিশ্বস্থ কাউকে দরকার। কিন্তু স্বেচ্ছায় দিব্যেন্দুর এতবড় একটা দায়িত্ব নেবে কে! তা’হলে?

শুনে দিব্যেন্দুর বাল্যবন্ধু ভাস্কর বলল, -“আরে এয়ার, ডোন্ট ওরি! ম্যায় হুঁ না!”

প্রভুভক্তের মতো আনুগত্য হয়ে মাথাটা ঝুঁকিয়ে বলে,-“বান্দা হাজির হ্যায় দোস্ত। বিপদের সময়ই বন্ধুর পরীক্ষা হয়। মাসিমাকে নিয়ে তোদের ভাবনা তো, ডোন্ট ওরি। ওনার দেখাশোনা আমিই করবো। তুই যাষ্ট বাড়ির চাবিটা আমায় সঁপে দিয়ে যা, ব্যস কেল্লাফতে!”

অপ্রত্যাশিত বন্ধুর আশ্বাস পেয়ে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে ওঠে দিব্যেন্দু। সহাস্যে ভাস্করের পৃষ্ঠদেশে আলতোভাবে একটা চড় মেরে বলে,-‘ইয়ে হুই না বাত। দোস্ত হোতো এয়সা।’

হঠাৎ পলকমাত্র দৃষ্টিপাতে নজরে পড়ে, আবেগের প্রবণতায় উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চোখের তারাদুটি অশ্রুকণায় চিক্‌চিক্‌ করে উঠেছে মালবিকার। দীর্ঘকাল পর প্রিয়তমার ঠোঁটের কোণে অস্ফূট মিষ্টি হাসির ঝিলিক নজর এড়ায় না দিব্যেন্দুর। ঠিক যেন মেঘের আড়াল থেকে একফালি সূর্য্যের রস্মি উদ্ভাসিত হওয়ার মতো। উচ্ছলতায় প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে মালবিকা। প্রচন্ড উদ্গ্রীব হয়ে ওঠে। দিব্যেন্দুকে আরো উৎসাহিত করে, উদ্ধত করে।

মুশকিল আসান হতেই শুরু হয়ে যায় রায় চৌধুরী দম্পতীর অবকাশ যাপনের প্রস্তুতি পর্ব। কত জল্পনা কল্পনা করে প্রহর গোনে মালবিকা। অবশেষে সাময়িক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এসে গেল সেই শুভক্ষণ। ঘুম ভাঙ্গতেই চোখ মেলে দ্যাখে, ঊষার প্রথম সূর্য্যের স্নিগ্ধ কোমল নির্মল হাস্যেৎজ্জ্বল একটি আনন্দময় সকাল। যেন পৃথিবীর সমস্ত মানুষগুলিকে অকুন্ঠভাবে আহ্বান করছে, স্বতঃস্ফূর্ত মনে উল্কার মতো দ্রুত কক্ষচ্যুত হয়ে আনন্দময় কোনো এক প্রান্তরে চলে আসার জন্য।

সবুর সয়না দিব্যেন্দুর। সকাল হতেই প্রগাঢ় বিশ্বাস নিয়ে বৃদ্ধা মাতা রমলা দেবী ও বাড়ির দায়িত্ব ভাস্করকে সঁপে দিয়ে দিব্যেন্দু সানন্দে বেরিয়ে পড়ে উন্মুক্ত আকাশের নীচে, বাইরের রঙ্গিন পৃথিবীতে। নিজে ড্রাইভ করে স্বস্ত্রীক রওনা হয়ে যায় সমুদ্র-সৈকতে। কিন্তু মঞ্জুর হলো না বিধাতার। মাঝপথে গিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিশাল টুরিষ্ট বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দিব্যেন্দুর মারুতি গাড়িটা ভেঙ্গে মুছরে ছিকটে পড়ে একটি নোংরা কর্দমাক্ত খাঁদের গভীরে। অন্যদিকে টুরিষ্ট বাসটিও একই সাথে বিপরীত দিকে ছিকটে পড়লে সাথে সাথে শুরু হয় আত্মচিৎকার, চেঁচামিচি। কাঁন্নার রোল।

একেই চারদিক ঘুটঘুটে অন্ধকার। রাস্তার আলোও নিভু নিভু প্রায়। সুস্পষ্ট কিছু দেখা যাচ্ছেনা। এমতবস্থায় প্রাণ হারায় অনেকে। কারো কারো গুরুতরোভাবে ঘায়েল হয়ে অর্ধমৃত অবস্থা। আর কেউ প্রাণে বেঁচে গেলেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে বিকৃত চেহারা নিয়ে বিকলাঙ্গ অবস্থায় প্রায় ন’মাস স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধিনে ছিল। সেখানেই রায় চৌধুরী দম্পতী দিব্যেন্দু আর মালবিকা দুজনেই এ্যাড্মিটেড ছিল। তাদের আইডেন্টিটি কাদায় মাখামাখি হয়ে গিয়ে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। যে কারণে এতবড় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার সংবাদ তাদের আত্মীয়-পরিজনের কাছে তাৎক্ষণিক পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

একেই বলে নিয়তির নিমর্ম পরিহাস! রায় চৌধুরী পরিবারে কার যে নজর লেগেছিল, মাত্র কয়েক মুহূর্তের ব্যবধানে একেবারে গভীর অন্ধকারে ডুবে গেল রায় চৌধুরী দম্পতীর সুখের জীবন। যা ক্ষণপূর্বেও কল্পনা করতে পারেনি। কিন্তু ভাগ্যের লিখন খন্ডাবে কে! একদিন সম্পূর্ণ সুস্থ্য সবল হয়ে সশরীরে নিজের জায়গায় ফিরে আসে ঠিকই কিন্তু পাড়ায় ঢুকে নিজের বাড়িই আর খুঁজে পায়না দিব্যেন্দু। সারাপাড়া পরিক্রম করে বার বার একই জায়গায় অর্থাৎ নিজের বাড়ির প্রাঙ্গনে এসে দাঁড়ায়। আর মনে মনে ভাবে,-এ কি, আমাদের ‘শান্তি কুটির’ কোথায় গেল? এখানে ‘ভবানী ভবন’ লেখা! কি আশ্চর্য্য, বাড়ির নক্সাটাও অনেকটা বদলে গিয়েছে। কিন্তু তাই বা সম্ভব হয় কি করে!

ইতিপূর্বে এক বয়স্ক ভদ্রলোক বাড়ির ভিতর থেকে বেরিয়ে এসে বললেন, -‘কাকে চাই?’

পড়ল মরার ওপর খাড়া। একেই নিঃসম্বল, মন-মানসিকতা দুর্বল। তন্মধ্যে অভাবনীয়ভাবে হঠাৎ অচেনা অজানা লোকের মুখদর্শণে হকচকিয়ে যায় দিব্যেন্দু। রুদ্ধ হয়ে যায় কণ্ঠস্বর। গলা দিয়ে আওয়াজই বের হচ্ছে না। দীর্ঘদিনের অনুপস্থিতিতে মুহূর্তে সব কেমন এলোমেলো হয়ে গেল। কিছুতেই নিজের চোখদুটোকে বিশ্বাস করতে পারছে না। উত্তেজনায় বিচলিত হয়ে ওঠে। শুকনো একটা ঢোক গিলে বিড় বিড় করে বলে,-এ আবার কে? ভাস্কর কাকে এনে রেখেছে? এ তল্লাটে ভদ্রলোককে আগে তো কখনো দেখিনি! মা গেল কোথায়? মাকে তো দেখছি না! মা নিশ্চয়ই শুয়ে শুয়ে বাতের ব্যথায় কোঁকাচ্ছেন।
অবস্থার বেগতিক লক্ষ্য করে দিব্যেন্দু দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হয়,-নোঃ, সামথিং ইস রং।

দিব্যেন্দু একজন এমবিবিএস ডাক্তার। মুহূর্তের জন্য স্তদ্ধ হয়ে গেলেও সহজে ভেঙ্গে পড়ার নয়। অজানা আশঙ্ক্ষা্য নিমজ্জিত হয়ে ভবানী ভবনের উপর থেকে নীচ পর্যন্ত নজর বুলিয়ে বলে,-‘আপনি কে হে মশাই? আপনাকে তো চিনতে পারলাম না! ভাস্কর কোথায়? ওকে ডাকুন।’

একগাল পান মুখে নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে ভদ্রলোকটি বললেন,-‘আজ্ঞে আমি হইলাম ভবানী চরণ দাস। এ বাড়ির নুতন মালিক। মাত্তর কিনছি!’

মাথায় যেন বজ্রাঘাত পড়ল দিব্যেন্দুর। শোনামাত্র রায় চৌধুরী দম্পতীর বুক কেঁপে ওঠে। কেঁপে ওঠে হ্রদপিন্ড। মানসিক ভারসাম্যহীন হবার যোগার প্রায়। এক বিপদ কাটিয়ে এসে এ আবার কোণ বিপদে পড়লো! একরাশ জিজ্ঞাস্য নিয়ে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে হাঁ করে চেয়ে থাকে। চোখে পথ দ্যাখে না। নেমে আসে অন্ধকার। বুকের পাঁজরখানা যেন ভেঙ্গে চৌচির হয়ে গেল। অনুভব করে, পায়ের নীচ থেকে মাটিটা যেন সড়ে গেল। দিব্যেন্দুর আঠেরো বছরের পূঁজি ”শান্তি কূটির” আজ অন্যের মালিকাধীনে, অন্যের দখলে। এ কি শুনলো! এ কি সর্বণাশ হয়ে গেল।

কিছুই ভাবতে পারছে না দিব্যেন্দু। হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফ্যালে। হঠাৎ চোখমুখ রাঙিয়ে অত্যন্ত রূঢ়ভাবে তীব্র কণ্ঠে গর্জে ওঠে,-‘বলেন কি মশাই, এ বাড়ি আপনার? আপনি এ বাড়ির মালিক? মশাই, আপনার মস্তিস্ক, শরীরের তাপমাত্রা  ঠিক আছে সব? কি বলছেন আপনি তা জানেন?

শুনে সাংঘাতিক চটে যান ভবানী চরণ। চোখ রাঙিয়ে মুখের পেশীগুলিকে ফুলিয়ে একেবারে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। উত্তেজিত হয়ে ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলে প্রচন্ড তোতলাতে থাকেন। ফিচ্ করে পানের পিক ফেলে আঙ্গুল তুলে তো তো স্বরে বললেন,-‘আ-আমার মাথা খারাপ হইব ক্যান? আমারে পাগল পাইছেন! কে আপনি? আমি কুনো ভাস্করে রে চিনি না। যত্তসব আজগুবি কথা। যান, যান, মানে মানে বিদায় হন। মেজাজ খারাপ কইরেন না। ভালো হইব না। নয়তো পুলিশ ডাকুম।’

পুলিশের হুমকি শুনে রাগে, ক্ষোভে উত্তেজিত হয়ে পড়ে দিব্যেন্দু। লেগে যায় তুমুল বাকযুদ্ধ। অথচ তখনও কল্পনা করতে পারেনি যে, যাকে ভাইয়ের মতো ভালোবাসতো, একই স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করা, একই সাথে বেড়ে ওঠা বাল্যবন্ধু ভাস্কর মিত্র যার উপর ভরসা করে বাড়ির দায়িত্ব সঁপে দিয়ে গিয়েছিল, আজ সে-ই বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। কখনও ভাবতে পারেনি, জীবনের সাঁঝবেলায় এসে নির্দয় নিষ্ঠুরের মতো ওরই বিশ্বস্থ বন্ধু ভাস্কর এতবড় কঠিন আঘাত হেনে প্রৌঢ়ত্বে নিঃশ্ব করে ওকে একেবারে বেঘর, নিরাশ্রয় করে দিয়ে পথে বসিয়ে দেবে। এমন হীনমন্যতার ও সংকীর্ণতাপ্রবণ মন-মানসিকতা ওর হোলোই বা কেমন করে!

ক্রোধে সারাশরীর কাঁপতে থাকে দিব্যেন্দুর। চোখমুখ রাঙিয়ে বলে,-‘ভয় দেখাচ্ছেন! কি করতে পারবেন আপনি?’

তেড়ে আসেন ভনাণী চরণ। মুখের পেশীগুলি ফুলিয়ে চোখ রাঙিয়ে আঙ্গুল তুলে বললেন,-‘আপনারে লাষ্ট ওয়ার্নিং দিতেছি, আমি পুলিশ ডাকুম। কেস করুম। বেয়াদপ মানুষ!’ বিড়বিড় করে আরো কি কি সব বলতে বলতে সদর দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়লেন।

ততক্ষণে অবস্থা শোচনীয় দিব্যেন্দুর। মুহুর্তের জন্য মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেললেও নিজেকে কোনমতে সামলে নেয়। কিন্তু মালবিকা, ওকে সামলাবে কে! কে দেবে ওকে শান্তনা! বেচারি ক্ষোভে, দুঃখে, শোকে ভবিষ্যৎ চিন্তা-ভাবনায় অশ্রু বন্যায় দুচোখ ভেসে যাচ্ছে ওর। অসহায়ে বিকলাঙ্গ শরীর নিয়ে হুইল-চেয়ারে বসে বোবা দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। কথা বলারও শক্তি নেই ওর।

পাড়া-প্রতিবেশীর কানাঘুষোয় জানতে পারে, দুই দুটো জলজ্যান্ত মানুষ হঠাৎ নিখোঁজ হবার পর সারাপাড়ায় যখন হৈচৈ পড়ে গেল, দিব্যেন্দুর বুড়ি মাতা রমলা দেবী সহ আত্মীয়-স্বজনরা যখন অনুসন্ধানে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে, ঠিক তখনই দিব্যেন্দুর হৃদয়-প্রাণ ‘শান্তি কুটির’ সবার অলক্ষ্যে বেনামে বেচে দিয়ে, ওকে বেঘর, নিরাশ্রয় করে পলাতক দাগী আসামীর মতো রাতারাতি শহর ছেড়ে অন্যত্রে আত্মগোপন করে থাকে ওরই বিশ্বস্থ বন্ধু ভাস্কর মিত্র।

ততদিনে আত্মীয় অনাত্মীয়, পাড়া প্রতিবেশী সকলেই যখন রায় চৌধুরী দম্পতীকে নিশ্চিতভাবে মৃত বলে ধারণা করে, তখন দিব্যেন্দুর বৃদ্ধা মা রমলা দেবীও সেটাই মেনে নিলেন। তিনি তাঁর একমাত্র পুত্র ও পুত্রবধূর হারানোর শোকে দুঃখে কাতরতায় মানসিকভাবে একেবারে ভেঙ্গে পড়েন। “শান্তি কূটির” বিক্রি হবার সাথে সাথেই বুক চাপড়াতে চাপড়াতে তিনি বাড়ি ছেড়ে কোথায় যে চলে গেলেন, আর ফিরে আসেন নি। হয়তো পথেঘাটেই কোথাও মৃত্যুবরণ করেছেন, তা কেউ জানেনা! তবু বিশ্বাস হয়না দিব্যেন্দুর। কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।

ইতিমধ্যে হঠাৎ ভবানী চরণ দাস সদর দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন বাইরে। এসে দ্যাখেন, স্ত্রীর হুইল চেয়ারের হাথল ধরে দিব্যেন্দু তখনও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে। ভেবে কূল পায় না, কোনদিকে যাবে? কোথায় যাবে? কিভাবে শেষ থেকে পুনরায় জীবন শুরু করবে। ততক্ষণে ভবানী চরণ দাসের একটু একটু করে বোধগম্য হতে থাকে। লোকের কানাঘুষোয় ঘটনার কিছু কিছু অংশ তারও শ্রুতিগাচর হয়েছিল। তবু কখনো মাথা ঘামান নি। তলিয়ে দ্যাখেন নি।

চলবে-

যুথিকা বড়ুয়া-টরোন্ট প্রবাসী গল্পকার, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন