সময় নেই

চারিদিকে সবখানে সবার মুখে কেবল একই কথা সময় নেই, সময় নেই
তবে নিজের ছবি সরিয়ে কালো কালি লেপে প্রোফাইল পিকচার
মানব বন্ধন, অন্যের চরিত্র হরণ, মাস মিডিয়াতে গলা ফাটিয়ে চিৎকার
এসব করে কি ই বা হবে বলুন, আপনাদেরতো আবার এসব শোনারই সময় নেই।

আরে মশায়, সময় যদি নাই-ই থাকে তবে বিচার চেয়ে লাভ নেই
গার্লস স্কুলের সামনে দিনের পর দিন ছেলে আমার মোড়ের আড্ডায় মত্ত
সব দেখেও আমি অন্ধ, আমি আছি শুধু কিভাবে বাড়ানো যায় বিত্ত
তাহলে আপনারাই বলুন, মান গেলে ক্ষতি নেই, নষ্ট ছেলের নষ্টামিতে দোষ নেই।

বাচ্চাদের পাশে দাদু/নানু মনি নেই, খেলাধুলার মাঠ নেই
লাটাই নেই, গুড্ডি নেই , নারকেলের নাড়ু নেই, মোয়া নেই, বিন্নি ধানের খই নেই,
আইফোন, প্লে ষ্টেশন এসব দিয়ে বাচ্চাদের কান্না থামাতে জুড়ি নেই
বাড়িতে আনলিমিটেড ইন্টারনেটে তো আছে তাতে কোনো ক্ষতি নেই।

বেবিসিটারে কাছে বাচ্চা রেখে কাজে যেতে মানা নেই
মায়ের কাজে না গেলে টাকা নেই, টাকা না থাকলে ঘরে সুখ নেই
বাচ্চাদের সামনে বাবা-মার কুৎসিত ঝগড়া, তাতে কোনো ক্ষতি নেই
হ্যান্ডকাপ হাতে খবরের কাগজে ছেলের ছবি দেখেও আমাদের কোনো লজ্জা নেই।

বাচ্চাদের সাথে কখনো নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, বিদ্যা সাগর
এঁদের পরিচয় করে দেওয়া নেই, এঁদের সামনে সাহিত্য নেই, কবিতা নেই
তবে সময় মতো বছরে একদিন বার্থডে পার্টির কোনো হেরফের নেই
তাই বলি, শুধু শুধু ওদের গালি দিয়ে কোনো লাভ নেই।

গালি যদি দিতেই হয় মশায়, নিজেকেই আগে গালি দিয়ে নিজের মুখোশ ছিড়ে ফেলুন
রাজনীতিতে নীতি আনুন, তেল দেওয়া ও নেয়া থেকে দূরে থাকুন
পরিবারকে সময় দিন, অনেকতো হলো মশায় , এবার কিছু ধর্ম কর্ম ধরুন
শুধু শুধু সময় নেই না বলে, একজন ভালো বাবা -মা হয়ে ওঠার শপথ করুন

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিরনাম
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের খেরোখাতাঃ এলোমেলো পংক্তিমালা-পর্ব ২২
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন