প্রকৌশুলি মিজানুর রহমান নৌ বিহারের চূড়ান্ত প্রস্তুতির তদারকি করছিলেন। ম্যানেজার মোত্তালেব সাহেব ডান হাতের আঙ্গুলিসমূহ দিয়ে মাথার পিছনের দিকে হালকা ভাবে চুলকাচ্ছেন। চতুর মিজানুর রহমানের বুঝতে অসুবিধা হয় না, মোত্তালেব সাহেবের এই লক্ষণের মানে হচ্ছে, সে কিছু একটা নেগেটিভ কথা বলতে চায় তবে তাঁর সাহসে কুলাচ্ছে না।
-‘কিছু বলবেন মোত্তালেব সাহেব, ঝটপট বলে ফেলেন, আমাকে দেশে একটি জরুরি ফোন করতে হবে।’
-‘ জি স্যার, বলছিলাম কি এই মুর্হুর্তে অন্টারিও প্রভিন্স এ কোভিড এ আক্রন্ত সংখ্যা হটাৎ করে বেড়ে চলেছে, এর মধ্যে যদি আমরা নৌবিহার করি, আপনার ইমেজের একটা ব্যাপার আছে, এখানে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আপনাকে নিয়ে আবার সব কানাঘুষা করবে, একদিকে মানুষজন কোরোনার কারণে মারা যাচ্ছে আর আপনি নৌবিহার করে যাচ্ছেন।’

-‘আমার কিন্তু তা মনে হচ্ছে না মোত্তালেব সাহেব। প্রথমতঃ, এই থাঙ্কস গিভিং উইকেন্ড হচ্ছে কানাডার শরৎকালে বাহারি রং বেরঙ্গের পাতায় বিচিত্র সাজে সজ্জিত প্রকৃতিকে দেখার এটি বছরের শেষ সুযোগ। দলে দলে মানুষে প্রতিদিন এই ফল সিজন উপভোগ করার জন্যে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। আর তাছাড়া, এমনিতেই ইদানিং এখানে বাংলাদেশ কমিনিটিতে শুরুতে যেমন আমার মতো বাংলাদেশ থেকে আগত লুটেরাদের নিয়ে যেমন তোড়জোড় আন্দোলন হচ্ছিলো তা কোনো কারনে হোক, বেশ ঝিমিয়ে গেছে। মোত্তালেব সাহেব, আমি যে তিনজন মানুষকে এই নৌবিহারে সংবর্ধনা দিবো বলে বাংলাদেশ থেকে এখানে ভিজিটর ভিসায় টাকা খরচ করে উড়িয়ে নিয়ে এসেছি, এখন যদি এটি পন্ড করি তবে অনেকগুলি টাকার অপচয় হয়ে যাবে । বরঞ্চ, আমি মনে করি, পরেরদিন লোকাল পত্রিকায় লোকজন এই সংবর্ধিত মানুষগুলির কথা শুনে আমাকে প্রশংসায় প্রশংসায় একেবারে ভাসিয়ে দিবে ।’

বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি কোটি টাকা লুটপাট করে কানাডাতে পালিয়ে এই টরেন্টোতে বসবাসকারী প্রকৌশুলি মিজানুর রহমান যে তিন জন মানুষকে নৌবিহারে সংবর্ধনা দিবেন বলে ঠিক করেছে, তার একজন হচ্ছে জনাব ইসমাইল হোসেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ইসমাইল হোসেনের নামের আগে জনাব শব্দটি প্রয়োগ করার মতো কোনো কারণ এক মিজানুর রহমান ছাড়া কারো চোখেই এতদিন পরে নি। ইসমাইল হোসেন হচ্ছে জয়পুরহাটের একটি গ্রামের মুদি দোকানদার। একদিনের একটি ঘটনা ইসমাইল হোসেনকে রাতারাতি হিরো বানিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি হলো, একদিন সন্ধ্যার দিকে দোকানের পিছনে ঝোপের মধ্যে এক নারীর চিৎকারে ইসমাইল হোসেন দোকানের ঝাঁপি বন্ধ করে চুপি চুপি উঁকি দিয়ে দেখে দুইজন যুবক এক নারীকে হাত মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করছে আর নারীটি গোগো করে চেচাচ্ছে। একজনের হাতে রামদা আরেক জনের হাতে পিস্তল। ইসমাইল হোসেন সিনেমার মতো বিপরীত দিকে একটি ঢিল ছুড়তেই ওই দুজনেই ওদিকে যেই না তাকিয়েছে অমনি ইসমাইল হোসেন মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যুৎবেগে ওদের দুই জনের উপর নেকড়ের বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পোরে যুবক দুইটির সাথে লড়াইকরে নারীটির সম্ভ্রম বাঁচিয়ে দিলো। পরে ইসমাইল হোসেন ও তার স্ত্রী, ঐ মহিলাটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মেয়েটিকে তার বাবার হাতে তুলে দিয়েছে। শুধু তাই না, ধর্ষকদের বিরুদ্ধে করা মামলায় ইসমাইল হোসেন সাক্ষী হওয়ার জন্য রাজি হয়েছে। পরের দিন বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় ইসমাইল হোসেনর ছবি ছাপিয়ে তার বীরত্বের কাহিনীর খবর ছেপেছে। ফেসবুকে আবার এসব নিউজ ভাইরাল হওয়ায় মিজানুর রহমানের নজরেও এসেছে। অতি সম্প্রতি নোয়াখালীতে ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনায় ক্রূদ্ধ বাংলাদেশিদের কাছে সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্যে এই ইসমাইল হোসেন কে পুরস্কৃত করা যে অনেক বুদ্ধিমানের কাজ হবে সেটা চতুর মিজানুর রহমানের বুঝতে অসুবিধা হয় না।

মিজানুর রহমানের লিষ্টে দ্বিতীয় ব্যাক্তি হচ্ছে কাপাসিয়া এলাকায় গার্লস স্কুলের রিটার্ড সহকারী প্রধান শিক্ষক আশেকুর রহমান। যিনি হচ্ছেন একজন চিরকুমার মানুষ। কোনো পরিবার পরিজন হীন এই মানুষের চাকুরী অবস্থায় অত্যন্ত সৎ শিক্ষক হিসাবে এলাকায় বিরাট নামডাক ছিল। একমাত্র ভিটামাটি ছাড়া উনার আর কোনো সম্পত্তি নেই। রিটার্ড হওয়ার পরে উনি উনার সেই ভিটামাটি এলাকার মসজিদের নামে দিবেন বলে স্থির করলেন। গ্রামে এটা নিয়ে বেশ হৈচৈ হলো । মসজিদ কমিটি চিরকুমার আশেকুর রোহনের কাছ থেকে পবিত্র মসজিদ এর জন্য জায়গা নেয়া সমীচীন হবে কি না সেটা নিয়ে বেশ কয়েকটি মিটিং বসালো। কারণ তাঁদের বিশ্বাস বিয়ে সাদি না করা মানে হচ্ছে আমাদের নবীজির সুন্নতকে অবমাননা করা। আর নবীজিকে অবমাননাকারীর হাত থেকে মসজিদের নামে কোনোরকম দান-দক্ষিনা নেয়া প্রশ্নই আসে না। নাছোড়বান্দা আশেকুর রহমান ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার সাহেবকে ধরে রাজি করিয়ে সম্পূর্ণ নিঃশর্তে তাঁর ভিটামাটি ফাইনালি মসজিদের নামে লিখে উইল করে দিলেন। প্রকৌশুলি মিজানুর রহমানের কাছে প্রবাসে বাংলাদেশিদের মাঝে জনপ্রিয়তার জন্যে জনাব আশেকুর রহমান দুইটি কারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ । এক, সহায় সম্বল হীন এক মানুষে নিজের পৈতৃক ভিটেমাটি আল্লারওয়াস্তে মসজিদের নামে দান করলেন। দুই, তিনি সনাতন ট্রাডিশনাল ধর্মীয় ধারণাকে কিছুটা হলেও বদলাতে সক্ষম হয়েছেন।

মিজানুর রহমানের পুরুস্কারের জন্য মনোনীত সর্বশেষ ব্যাক্তি হলেন ঘাটাইল থানার সরকারি ডাক্তার জনাব আসগর আলী যিনি সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে নিজ পরিবারকে শহরে বাবার বাড়িতে রেখে নিজের জীবন বাজি রেখে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে কোভিড এ আক্রন্ত রুগীর সেবা করে অনেক মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন। ডাক্তার আসগর আলী নিজেও কোভিড এ আক্রন্ত হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও, তিনি মোটেই দোমে যান নি। আরোগ্য লাভ করে আবার পূর্ণ উদ্যমে অদ্যাবধি রোগীদের সেবায় ঝাঁপিয়ে পোরে ঘাটাইল এলাকার বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়ে চলেছেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে, সঙ্গত কারণেই ডাক্তার আসগর আলীর মতো মানুষরা সবারই শ্রদ্ধার পাত্র। ধূর্ত মিজাজনুর রহমান তাই টরেন্টোতে বাংলাদেশিদের মন জয় করার জন্য ডাক্তার আসগর আলী কে পুরস্কৃত করে নিজের কালিমাকে ঢাকার সুযোগের সদব্যাবহার করার অপেক্ষায় থাকলেন।

রবিবার রাতে মিজানুর রহমান তাঁর ও টরেন্ট ইউনিভার্সিটিতে পড়া মেয়ে অদিতির রুমে নক করে প্রবেশ করলেন। প্রচন্ড বিত্তশীল অসম্ভম ক্ষমতাধারী মিজানুর রহমান তাঁর এই মেয়ের সামনে পড়লে কেমন যেন নার্ভাস হয়ে যান। মেয়েটা কেমন যেন কাটা কাটা ভাবে কথা বলে যা মিজানুর রহমানকে বেশ অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দেয়। মিজানুর রহমান তাঁর এই মেয়েটিকে পারতপক্ষে এড়িয়ে চলেন, কিন্তু, আজ তিনি মেয়েকে একটু তোষামোদ করতে এসেছেন যাতে মেয়েটি তাঁদের সাথে আগামীকাল ভোরে নৌবিহারে ভ্রমণে বের হয় । এমনিতেই, প্রবাসে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে বাবা ও বা ও মেয়ের কাটকাট সম্পর্কের কথা সবাই জানে। মিজানুর রহমানের চোখে তাঁর ইমেজের জন্য তাঁদের নৌবাহের মেয়ের উপস্থিতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

-‘মামনি, উত্তরের দিকে শরৎকালে যেন প্রকৃতি সব  ঢেলে দিয়েছে, চলো না মা আমাদের সাথে ঘুরে আসি, মনটা ভালো লাগবে, পড়াশুনার ফাঁকে একটু ব্রেক হতেই পারে , কি বোলো মামনি ?’
-‘খবরদার আমাকে মা বলবে না, আমি তোমার মতো একজন ভন্ড লোকের মা হতে চাই না। তোমার চালাকি আর কেউ না বুঝুক, আমি ঠিকই বুঝি। একদিন দেখবে , এই টরেন্টোর লোকেরা তোমার সাধের ‘জোৎস্না ম্যানসন’ থেকে তোমাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলবে, তোমার এত এত টাকাপয়সার কিছুই করতে পারবে না, সত্যের একদিন জয় হবেই হবে।’
মিজানুর রহমান অনেক কষ্টে নিজের ক্রোধ সংবরণ করে মেয়ের সাথে আর কোনো বাক্য ব্যায় না করে মুখ শুখনা করে মেয়ে অদিতির রুম থেকে প্রস্থান করলেন।
সরকারী সকল ধরণের নিয়মকানুন মেনে সংক্ষিপ্ত কিছু অতিথি নিয়ে মিজানুর রহমান তাঁর অসম্বব রূপবতী স্ত্রী রুপা, ওয়াটারলু ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার ইনিজিনিয়ারিংএ পড়ুয়া ছেলে অয়ন কে নিয়ে ১২ই অক্টবর সোমবারে অর্থাৎ থাঙ্কস গিভিং ডে তে টরেন্ট থেকে উত্তরে পারিসাউন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।

অন্যান্য অতিথিরা যে যার মতো নিজ নিজ গাড়িতে করে রওনা হওয়ার কথা। তিন ঘন্টার নৌবিহার উপলক্ষে আইল্যান্ড কুইন কুরুজ নামে একটি মাঝারি সাইজের তিনতলা জাহাজ পেরিসাউন্ড এলাকা থেকে সকাল সাড়ে দশটায় থার্টি থাউজেন্ড আইল্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়ার কথা। ম্যানেজার মোত্তালেব সাহেব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে আসা তিনজন বিশেষ অতিথি জনাব আশিকুর রহমান, ইসমাইল আলী ও আসগর আলীকে পাঁচ তারা হোটেল থেকেউনাদেরকে তুলে নিয়ে পেরিসাউন্ডের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। মোত্তালেব সাহেবকে এক হাতে মেহমান, খাবারদাবার সব সামলাতে হচ্ছে । দুপুরের খাবারের জন্য আগে থেকেই ওখানকার স্থানীয় রেস্টুরেন্টে অর্ডার করে বিশাল সাইজের আঠারোটি টার্কি কানাডিয়ান স্টাইলে রান্না করতে বলা হয়েছিল, পেরিসাউন্ডে পৌছিয়েই সেটার খবর নিতে হবে। এছাড়া, ডানফোর্থের দেশীয় একটি রেষ্টুরেন্টে কাচ্চি বিরানির অর্ডার দেয়া হয়েছে। ওঁরা লোক পাঠিয়ে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টের সাথে কন্ট্রাক্ট করে ওখানেই তাঁদের বাবুর্চি পাঠিয়ে রান্না করার কথা যাতে মেহমানৰ গরম গরম গরম কাচ্চি বিরানি ও কাবাব খেতে পারে। মোত্তালেব সকালে বাবুর্চির সাথে ইতিমধ্যে কথা বলেছে, রান্নার যোগান শেষ পর্যায়ে।

বাংলাদেশী স্টাইলে ইউনিফর্ম পড়া এক ঈজিপ্টসিয়ান ড্রাইভার মিজানুর রহমানদের ধবধবে সাদা লিমোজিন গাড়িটি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণতঃ লং ড্রাইভে যাওয়ার সময় মিজানুর রহমান এই গাড়িটি নিয়ে থাকেন। গাড়িতে হাই ভলিউমে ইংরেজি গান বাজছে। রুপা পাশের সিটে বসে থেকে আশেপাশের ফল সিজনে রঙ্গিন পাতাওয়ালা গাছ গাছড়ার ছবি ক্রমাগত ভাবে তুলে যাচ্ছে, সেগুলি আবার তাৎক্ষণিক ফেসবুকে পোষ্ট করে একা একা হাসছে । অয়ন কানে হেড ফোন লাগিয়ে আইফোনে কি যেন খেলছে। মিজানুর রহমানের কাছে রাস্তার পাশের বনের মধ্যে রঙ্গিন গাছপালাগুলিকে আরো বেশি রঙ্গিন মনে হতে থাকে। মিজানুর রহমান একসময় নিজেকে কানাডাতে সিজনের সাথে তালমিলিয়ে রং বদলানো গাছের পাতাগুলিকে নিজের মতো মনে হয়। বাংলাদেশে যে সরকারি আসুক না কেন সময়ের সাথে সাথে সে নিজেও কেমন নিজের রং কত সহজেই বদলিয়ে ফেলতে পারে। গাড়িতে উঠার আগে তিনি বেশ কয়েক পেগ শ্যাম্পেন মেরে এসেছেন। মাথাটা কেমন যেন ঝিমঝিম করছে। কানের কাছে মেয়ে অদিতির কথাগুলি বার বার বাজছে :

‘….তোমাকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে রাস্তায় ছুড়ে ফেলবে, তোমার এত এত টাকাপয়সার কিছুই করতে পারবে না, সত্যের একদিন জয় হবেই হবে’। (চলবে)

(এই লেখার প্রতিটি চরিএ কাল্পনিক-লেখক)

পূর্ববর্তী নিবন্ধএ শহরের পাতা
পরবর্তী নিবন্ধ“কান-কাটা ভ্যান গগের চিত্রল ভ্রমন”
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন