ডানফোর্থে “সার্বজনীন একুশে উদযাপন কমিটির ” আয়োজনে একুশের প্রথম প্রহর। গত দুদিনের আবহাওয়ার কথা চিন্তা করেই দুপুর থেকেই ভাবছি। যাবো কি যাবোনা। আমি থাকি শহরের পশ্চিম প্রান্তে। বিকাল থেকে বদলে যেতে থাকলো প্রকৃতি , আদ্রতার ভাবটা কেটে গেছে। তাপমাত্রাও হিমাঙ্কের অনেক উপরে। রাত দশটা নাগাদ মনস্থির করলাম , যাবো। প্রবাসী জীবনে আমাদের নিজ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এই খনটাকে হারাতে  মন চাইলো না ।

 

 

 

 

 

 

 

রাত প্রায় সাড়ে এগারোটা , ডানফোর্থে পৌছুলাম। সরকার ফুডের সামনে দেখা হলো “বাংলা ভাই” এর সাথে। ( এই বাংলা ভাই জঙ্গি বাংলা ভাই না – আমার ছোট ছেলে যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তো , তখন ওনাকে বাংলা আঙ্কেল  বলে ডাকতো। সেই সূত্রে উনি আমরা বাংলা ভাই )। বাংলা ভাই বললেন…

:কি ব্যাপার এত রাতে এত দূর থেকে ?
:একুশের প্রথম প্রহরের অনুষ্ঠানের জন্য এসেছি
:আসতেতো হবেই , এটাইতো বাঙালির অন্তরের টান।
হয়তো তাই। দেশ ছেড়েছি তিরিশ বছরের বেশি সময়। বাঙালিত্বের অনেক কিছুই জীবন থেকে হারিয়ে গেলেও। হারিয়ে যায়নি নিজের ইতিহাস।

 

একটি সুন্দর পরিবেশে “সার্বজনীন একুশে উদযাপন কমিটির” এই আয়োজন। অস্থায়ী শহীদমিনারে রাত্র বারোটা এক মিনিটে সর্ব প্রথম পুষ্পমাল্য দিতে সূচনা করলেন টরন্টোর মেয়র জন টোরি। তার পর একে একে আসলেন স্থানীয় MP বিল ব্লেয়ার ও অনন্য স্হানীয় সংগঠন গুলি।

 

 

 

 

 

 

 

সব শেষে “সার্বজনীন একুশে উদযাপন কমিটির ” পক্ষ্য থেকে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অৰ্পন করেন আবু জুবায়ের দারা ও সকল স্বেচ্ছাসেবক বৃন্দ।
একটি সুন্দর আর পরিছন্ন আয়োজন সকলের কাছে ভালো লেগেছে।

পরবাসী ব্লগের পক্ষ্য থেকে সকল ভাষা শহীদদের জানাই সশ্রদ্ধ সালাম।

আরো ছবির জন্য নিচের লিংকটা ক্লিক করুন:

ফেসবুক এলবাম

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন