আজোও বেঁচে আছি দেখিতে পাই আলাে সেইতাে অনেক ভালাে, অনেক ভালাে। 

অনেক ঘটন ও অঘটন এর বছর, সারাবিশ্ব ও আমার প্রিয় দেশে। বছরের শুরুটায় করােনাআতংক যেমন ছিল ভ্যাক্সিন নেবার পর সেটা অনেকটা কমে এসেছিল এখানে (কানাডা) আর তখনই দেখেছি বাংলাদেশে এর তান্ডব। আমার অতি প্রিয় ছেলে বেলার খেলার সাথী পড়ার সাথীদের হারিয়েছি গত অগাস্টে। দু’জনেই করােনায় পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে। জেনেছি অনেক নতুন বন্ধুদের, সরাসরি না হলেও ভার্চুয়ালি অনেক মানুষকে জানতে ও চিনতে পেরেছি। করে গিয়েছি কিছু সামাজিক দায়িত্ব তাদের হাত ধরেই। 

পিছনে যদি তাকাই আমি বেদনার্ত হই অনেকের জন্য, যাদের খবর আমরা খবরে জেনেছি। কত সন্তান হারিয়েছে পিতা মাতা, কত বাবা মায়ের ভেগেংছে স্বপ্ন। শুধু কি করােনায়! ? বাংলাদেশের ঘটে গেছে বহু অগ্নিকান্ড, সাইক্লোন, সড়ক দূর্ঘটনা এমনকি বছরের একেবারে শেষ দিকে এসে লঞ্চে আগুন। দায় নাই কারাে! 

আমরা আবার সব ভুলে এগিয়ে গিয়েছি জীবনের নিয়মে। নিজের কাজ, বাগান করা বন্ধুদের খােজ নেয়া থেকে শুরু করে সামারে মিলেছি একসাথে। খুঁজে ফিরেছি নির্মল আনন্দকে, বাতাসেউড়িয়েছি ফানুস। স্বপ্ন বুনতে করেছি শুরু। এভাবেই চলে যায় দিন।

স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না, হােক সে স্বপ্ন যত ছােটই। যা আমাদের বেঁচে থাকার প্রেরণা যােগায়। আশায় বাধি বুক আর বরণ করে নেই নতুনকে।

আমরা যেন আত্মপােলদ্ধি করতে শিখি, জীবন সত্যি ক্ষনস্থায়ী। এবার আমরা সবাই সেটা দেখেছি একবারে কাছ থেকে। কে যায় কে রয়! আমরা যেন আত্মহংকারী না হই, ভালােবাসতে না পারি অন্তত হিংসা বিদ্বেষ যেন না ছড়াই মানুষের মাঝে। শিখব একে অপরের কাছ থেকে, ভালােকে করব গ্রহন। বিদায়ী বছরের ভুল থেকে নতুন বছরে নিজেকে শুদ্ধ করার প্রত্যয়ে, সুন্দরআগামীর জন্য করে যাব কাজ।

অতীতকে ভুলে নয়,সেখান থেকে শিক্ষা নিয়েই চলব। এই হােক আমাদের অংগীকার। সবার জন্য অনেক শুভকামনা।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন