বাচনিক টরন্টোর সংস্কৃতিক অঙ্গনের একটি পরিচিত নাম। বিশেষ করে কবিতা আর আবৃতি প্রেমিকদের কাছে। কবিতাকে ভালোবাসে এমন কয়েকজন মানুষের একান্ত চেষ্টাতেই এগিয়ে চলছে বাচনিক। তবে বাচনিকের সীমাবদ্ধতা শুধুমাত্র কবিতার মধ্যেই নয়। একই সাথে কাজ করে চলছেন নৃত্য আর গান নিয়েও। সুদূর প্রবাসে বাঁচিয়ে রাখতে চান দেশীয় সাংস্কৃতিকে। কবিতা আর আবৃতির মধ্যে দিয়ে একটা “ম্যাসেজ” পৌঁছে দিতে চান সবার মাঝে। তাইতো প্রতিটি বর্ষপূর্তির আয়োজনে তারা বেছে নেন একটা নির্দিষ্ট বিষয়। বিগত বছরের বর্ষপূর্তির বিষয় গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধ , আর সমাজের অবহেলিত নারী সমাজের মতো মূল্যবান বিষয়।

২০১৩ সালে আহবায়ক মেরী রাশেদীনের হাত ধরে যাত্রা শুরু হয়েছিল বাচনিকের। ৫টি সফল বছর অতিক্রম করে এসেছে বাচনিক, যার আবৃতিকারের সংখ্যা আজ ১২জন। তবে ওনারা সবাই শুধুমাত্র বাচনিকের মধ্যেই ওনাদের সাহিত্য -শিল্প কর্ম সীমাবদ্ধ রাখেন নাই, এর বাইরেও সবার একটা নিজস্ব পরিচিতি আছে। মেরী রাশেদীন বললেন আগামীতে উত্তর আমেরিকার কবিদের কবিতা নিতেও অনুষ্ঠান করতে চান তারা।

বাচনিকের ৫ম বর্ষপূর্তির এবারের আয়োজন “পাঁজরে পঞ্চস্বর”। দর্শনীর বিনিময়ে কবিতা। প্রবেশ মূল্য মাত্র ৫ ডলার। স্থান – Blessed Cardinal Newman Catholic School. 100 Brimley Rd S .Scarborough, ON M1M 3X4 । সময় সন্ধ্যা ৬:৩০মি।

আমরা প্রবাসী/অভিবাসীরা এই পরবাসে এসে আমাদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের অনেক কিছুই হারাতে বসেছি। তার হয়তো অনেকগুলো কারণ আছে। যার মধ্যে একটা অন্যতম কারন আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির চর্চার অভাব। আমরা কেউই হয়তো আমাদের “শিকড়টা ” উপড়ে ফেলতে চাইনা। সেটাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিনা কেন দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কবিতা এমনি একটা মাধ্যম যার মধ্যে দিয়ে সব কিছু বলা যায়। তা সে ভালোবাসের কথাই হোক বা যুদ্ধের কথাই হোক। সেই কবিতা আর আবৃতি নিয়ে যাদের পথচলা – সেই বাচনিকের ৫ম বর্ষপূর্তিতে পরবাসী ব্লগ পরিবারের পক্ষ থেকে রইলো শুভেচ্ছা আর শুভ কামনা।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন