নিউ ইয়র্ক থেকে:-

যে ভাস্কর্যে ফুটে উঠেছে
মা ও শিশু!

sinha7a

শান্তিনিকেতন ভবনের সামনে রয়েছে একটি ভাস্কর্য। পাথরের মূর্তি। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে এই মূর্তিকে আপনি যে দিক থেকেই দেখেন না কেনো, কিছুই বুঝতে পারবেন না। মনে হবে নিরেট একটি প্রসতর খন্ড!বুঝবেন কখন? একেবারে ভর দুপুরে!

দুপুরের যে রোদ সোজা আমাদের মাথায় এসে পড়ে সে রোদের ছায়ায় দেখা যাবে এই মূর্তির মাহাত্ম্য।বেলা যখন বারোটা থেকে একটা,সুর্য যখন মাথার উপরে,তখন সূর্য থেকে মূর্তির উপরে পড়া রোদের ছায়ায় দেখা যাবে ‘একটা মা তার সন্তান কোলে দাঁড়িয়ে আছে’!

প্রথম বার আমি যখন মূর্তিটি দেখেছি তখন ছিল বিকেল বেলা।কিছুই বুঝিনি!মনে মনে ভাবলাম এই মূর্তিটি সযত্নে এখানে রাখার মানে কি?পরে যখন দুপুরের আলোয় দেখলাম,আমি বিস্ময়ে অবিভূত!অপার বিস্ময়ে আমি ভাস্কর্যের দিকে তাকিয়ে আছি!আমার সেই বিস্ময় কিছুটা হলেও ছুঁয়ে গেল আমার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়া ছেলেটিকে!ছেলেটি থামলো।

আমাকে জিজ্ঞেস করলো,’দাদা,ঢাকা থেকে এসছেন বুঝি’?
আমি বললাম,’কি ভাবে বুঝলেন,দাদা’?
ছেলেটি বললো,’তা বুঝা যায়।কিছুটা ভাষা, আর কিছুটা ভাব-ভংগী দেখে’!
‘আপনি এখানকার ছাত্র’? জিজ্ঞেস করি আমি।
ছেলেটি বললো,’আপনি ঝুজলেন কি করে’?
আমি বললাম,’ তা বুঝা যায়।কিছুটা ভাষা, আর কিছুটা ভাব-ভংগী দেখে’!
ওর উত্তর ওকেই ফেরত দিলাম।
ছেলেটা সমঝদার। সামান্য হেসে বললো,’আমি অভিজিৎ রায়।ফাইন আর্টস,ফাইনাল ইয়ার’।
অভিজিৎ রায়ই আমাকে জানালেন ‘মা ও শিশু’কে নিয়ে গড়া ওই ভাস্কর্যটি ভারতীয় সাঁওতাল ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজ-এর তৈরি।রামকিঙ্কর ছিলেন প্রথম ভারতীয় শিল্পী যিনি আধুনিক পাশ্চাত্য শিল্প অধ্যয়ন করে সেই শৈলী নিজের ভাস্কর্যে প্রয়োগ করেন। তাঁকে ভারতীয় শিল্পে আধুনিকতার জনক ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী মনে করা হয়।

তৎক্ষনাত আমার মনে পডলো পশ্চিম বংগের সাহিত্যিক সমরেশ বসুর কথা।
সমরেশ বসুর,ভাস্কর রামকিঙ্কর বেইজ-এর উপর একটি অসমাপ্ত উপন্যাস লিখিছিলেন। উপন্যাসটির নাম ‘দেখি নাই ফিরে’!১৯৮৮-এর ১২ মার্চ যখন সমরেশ বসু মারা যান তখনও তার লেখার টেবিলে ১০ বছরের অমানুষিক শ্রমের অসমাপ্ত ফসল শিল্পী রামকিংকর বেইজের জীবনী অবলম্বনে উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে ’।

শিল্পী রামকিংকর বেইজ এই শতাব্দীর এক বিস্ময়। আরও বিস্ময়কর তাঁর জীবন। যে-জীবন অনি:শেষ সংগ্রামের, সাধনার ও সাফল্যের। যে-জীবন নিন্দার, বিতর্কের আর অস্বস্তির। বিশ্বাসে অটল, জীবনবোধে অবিচল, নাটকীয়তায় উদ্বেল সেই বহুবর্ণ জীবনকেই চিত্রিত করতে চেয়েছেন সমরেশ বসু এই উপন্যাসে। দুর্লভ এই প্রয়াস। বাস্তব কোনো শিল্পীকে নিয়ে উপন্যাস-রচনার দৃষ্টান্ত বিশ্বসাহিত্যেই অঙ্গুলিমেয়, বাংলায় নজীরবিহীন । লেখকের আকস্মিক প্রয়াণে অসমাপ্ত থেকে গেল এই কীর্তি। তবু কালের নৈকট্য এবং উপাদান-বিরলতার প্রতিবন্ধকতাকে যেভাবে জয় করেছেন সমরেশ বসু , দশ বছরেরও বেশি কাল ধরে অক্লান্ত শ্রমে-নিষ্ঠায় যেভাবে জড়ো করেছেন সমূহ সাক্ষ্য-বিবরণ-দলিল, সর্বোপরি এই জীবনকাহিনীর মধ্য দিয়ে যেভাবে মেলে ধরেছেন নিজেরও সংগ্রাম-সাধনার, যন্ত্রণা-লাঞ্ছনার এক অপরূপ প্রতিচ্ছবি – তা যেমন নতুনতর তেমনই মহিমান্বিত এক মাত্রা যুক্ত করেছে এই উপন্যাস।উপন্যাসটি পড়ার সৌভ্যাগ্য হয়েছিল আমার!

শান্তিনিকেতনের কলাভবন স্থাপিত হয় ১৯১৯ সালে। তার পরপরই রবীন্দ্রনাথ কলাভবনের দায়িত্ব দেন শিল্পাচারয নন্দলাল বসুকে। ১৯২৫-এ বাঁকুড়ার যোগীপাড়া থেকে ম্যাট্রিক না দিয়েই ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে শান্তিনিকেতন চলে এলেন রামকিঙ্কর। পিছনে পড়ে রইল বাঁকুড়ায় তাঁর বাল্যস্মৃতির গাঁ-ঘর, দারিদ্রে দীর্ণ‎ পরিবার-পরিজন আর কাদামাটির কুমোরপাড়া!

শান্তিনিকেতনের কলাভবনে তাঁর কাজের নমুনা দেখে শিল্পাচারয নন্দলাল প্রথম দিনই বললেন, ‘তুমি সবই জানো, আবার এখানে কেন?’
একটু ভেবে তারপর আবারো বললেন,‘আচ্ছা, দু-তিন বছর থাকো তো।’
থেকে গেলেন রামকিঙ্কর। নাগাড়ে সাড়ে পাঁচ দশক শান্তিনিকেতনে কাটিয়ে মৃত্যুর কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে রামকিঙ্কর বলেছিলেন, ‘সেই দু-তিন বছর আমার এখনও শেষ হল না!’

রামকিঙ্কর আরো বললেন,’কানে বাজছে মাস্টারমশাই নন্দলালের কথা।রাতের স্বপ্নগুলোকে মনে রেখো কিঙ্কর। ভুলে যেও না। তেমন হলে, স্বপ্ন ভেঙে গেলে, উঠে স্বপ্নের কথা লিখে রাখবে। কোনও স্বপ্নই ভুলে যেও না। স্বপ্নে ছবি আসে কিঙ্কর, প্রতিমা আসে। তুমি স্বপ্ন আঁকবে!’

বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী সাগরময় ঘোষ লিখেছেন সেই কথালাপ, ‘রবীন্দ্রনাথ রামকিঙ্করকে ডেকে বললেন, শোন, কাছে আয়। তুই তোর মূর্তি আর ভাস্কর্য দিয়ে আমাদের সবখানে ভরে দে। একটা শেষ করবি আর সামনে এগিয়ে যাবি— আরো সামনে।’
এর পর আর কখনও ফিরে দেখেননি রামকিঙ্কর। হাওয়ার উজানে এগিয়েছেন তিনি। আর এগোতে গিয়েই নিয়ত তাঁকে দুঃখ-দহনে পুড়তে হয়েছে!

একবার, দিল্লি যাওয়ার পথে এক আদিবাসী রমণীর যৌবনের দুর্মর আহ্বানের কাছে নতজানু হয়ে তাঁর সঙ্গে নেমে গেলেন অজানা স্টেশনে। হারিয়ে গেলেন যেন। খবর নেই বহুকাল! হঠাৎ করে নামঠিকানাহীন টেলিগ্রাম এসে পৌছুয় শান্তিনিকেতনে! তাতে রামকিঙ্কর জানালেন,’I lost myself, search myself’!
আহা!এযেন জীবন জানতেই হারিয়ে যাওয়া এক জীবন পথিকের টেলিগ্রাম!

রামকিঙ্করের একটি ভাস্কর্য নিয়ে শান্তিনিকেতনে তুলকালাম। তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ।
শেষ বিকেলের আলো এসে খেলা করছে জাফরি ছুঁয়ে লাল মেঝেতে। সেই নরম আলোয় কোণার্ক বাড়ির বারান্দায় একলা বসে লিখছিলেন কবি। তখনই কিঙ্কর এলেন।
রবীর প্রশ্ন।
‘কার মূর্তি গড়েছো কিঙ্কর?’
‘আমি ওটাকে জ্ঞান দিয়ে বুঝতে পারি নে’!স্বপ্নের ঘোরের মধ্যে ওই মূর্তি আমার কাছে এসেছিল।’
‘সেই মূর্তির মধ্যে কি কোনও প্রাণী আছে?’কবির পাল্টা প্রশ্ন!
‘আছে। অথচ যেন নেই!’
মুখ না ঘুরিয়ে রবীন্দ্রনাথ কথা বলছিলেন ওঁর সঙ্গে। ফের জিজ্ঞেস করলেন,’আমি যেন একটি মেয়ের মূর্তি দেখেছি, মুখ নামানো।’’
কিঙ্কর মিতস্বরে বললেন,’হয়তো সে কাউকে চুমো খেতেই মুখ নামিয়েছে’!
রবিঠাকুরের সামনে চুমু খাওয়ার কথাটা বলে ফেলে খুব অস্বস্তি হল কিঙ্করের। গলা শুকিয়ে কাঠ।
গ্রীষ্মের ছুটি চলছিল শান্তিনিকেতনে, কিন্তু বাড়ি যাননি রামকিঙ্কর। তাঁর দিনমান কাটছিল নিভৃত শালবন, রোদ রাঙা শুনশান গোয়ালপাড়ার মেঠো আলপথ, মেথরপল্লির কল-কল্লোলে রঙ-তুলি-ক্যানভাস নিয়ে।
মহার্ঘ্য সব রাত পেরিয়ে যায় অন্ধকারে, স্পর্শের নির্মাণে। আশ্রমে খোলা আকাশের নীচে, কংক্রিটের ঢালাইয়ে তেমন নির্মাণ দেখেই কিঙ্করের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গুজবে মুখর শান্তিনিকেতন। এক ভোরে নিজে সেই ভাস্কর্য দেখে এলেন রবীন্দ্রনাথ।
কবির ডাক পেয়েই কিঙ্করের মনে হয়েছিল,এই বুঝি তাঁকে শান্তিনিকেতনের ছেড়ে যেতে হবে!

রবীন্দ্রনাথ এবার ফিরে তাকালেন অন্যমনস্ক কিঙ্করের দিকে। বললেন, ‘একটি পাখি কি উড়ে যেতে চায় আকাশে? পাখা তার যেন সেইরকম তুলে দিয়েছে।’
কিঙ্করের চোখের পাতা ভিজে এল। তিনি মুখ তুললেন না। খুব আস্তে কেবল বললেন,’একটি মেয়ে পাখি হয়তো তার বুকের নীচেই আছে’!… …
কবি আর কিঙ্করের কথায় কথায় একসময় বিকেল ফুরিয়ে সন্ধে নামল। আকাশে সন্ধাতারা। দূরের হাওয়ায় ভেসে আসছে এস্রাজি পকড়। ছড় টেনে কেউ একমনে বাজিয়ে চলেছে কবির বাহারে গাঁথা ধামার, ‘এত আনন্দধ্বনি উঠিল কোথায়’। এর পরও কথা এগিয়েছিল দু’জনের। দুই শিল্পীর।
কী কথা?
কেউ তা জানে না!

এর পর আর কখনও ফিরে দেখেননি কিঙ্কর। হাওয়ার উজানে এগিয়েছেন তিনি। আর এগোতে গিয়েই নিয়ত তাঁকে দুঃখ-দহনে পুড়তে হয়েছে!

অভিজিৎ রায়ের সাথ বসেছিলাম বকুল বীথিতে।কাঁধের ফ্লাস্কে রাখা চা খেতে খেতে আলাপ হলো কতশত!

অভিজিৎ বললেন:
‘ষাটের দশকের মাঝামাঝি কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়, বন্ধু সমীর সেনগুপ্তকে নিয়ে এক বাসন্তিক বিকেলে হাজির হলেন শান্তিনিকেতনে।
রিকশা থামল অনিবার্য ভাবে বাংলা মদের দোকান ‘আকর্ষণী’-তে। রিকশায় উঠল দু’ বোতল বাংলা। গন্তব্য রতনপল্লি, রামকিঙ্করের ডেরা।
‘কিঙ্করদা, ও কিঙ্করদা…’
শক্তির হেঁড়ে গলায় হাঁক শুনে লুঙ্গি বাঁধতে বাঁধতে বাইরে এলেন রামকিঙ্কর। মুখে সেই চিরচেনা হাসি।
‘আরে কবি এসেচিস—আয়, আয়, কিছু এনেচিস তো হাতে করে’?
এর পরের আসরের বর্ণনা দিতে সমীর লিখেছেন, ‘শুয়োরপোড়া এল, ফুরিয়ে গেল, একটি রিকশওলাকে ধরে আরও দুটো বোতল আনানো হল, সঙ্গে ছোলাভাজা, সে দুটোও ফুরিয়ে গেল। আবারও দুটো আনানো হল বেশি পয়সা দিয়ে, তখন রাত দশটা বেজে গেছে। তারপর আর আমার কিছু মনে নেই। শুধু মনে আছে, অফুরন্ত বাংলা মদ, অফুরন্ত বিড়ি, অফুরন্ত কথা, স্খলিত গলায় অফুরন্ত রবীন্দ্রনাথের গান’!

ঢের রাতে ঘুম ভেঙেছিল সমীরের। অন্ধকার ঘরের ভিতর থেকে কোনও মতে চৌকাঠ পেরিয়ে দেখলেন,রামকিঙ্কর একটা টুলের উপর বসে রয়েছেন। উপর থেকে একটা লন্ঠন ঝুলছে। লুঙ্গিটা কোমর থেকে যে খুলে পড়েছে,কিঙ্করের, সে খেয়াল নেই! সম্পূর্ণ নগ্ন! আর তাঁর সামনে একটা অসমাপ্ত মাটির ভাস্কর্য। স্তব্ধ হয়ে চেয়ে রয়েছেন কিঙ্কর!

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে রামকিঙ্কর বেইজ বিশ্বভারতীর ‘দেশিকোত্তম’, রবীন্দ্রভারতী কর্তৃক ডি. লিট ও ভারতের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘পদ্মভূষণ’ লাভ করেছেন। দেশে-বিদেশে তার অনেক একক ও যৌথ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতীয় শিল্পকলা চর্চায় আধুনিকতার প্রবক্তা হিসেবে যাদের নাম উচ্চারিত হয় তাদের মধ্যে রামকিঙ্কর বেইজ অন্যতম!

তরুণ চিত্রকর নন্দলাল বসুর মধ্যে রবীন্দ্রনাথ দেখতে পেয়েছিলেন অমিত সম্ভাবনা। পরবর্তী সময়ে বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায় ও রামকিঙ্কর বেজের যোগদানের মাধ্যমে কলাভবন আরও পূর্ণতা পায়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ একই সঙ্গে বিশ্বজনীনতায়ও বিশ্বাসী ছিলেন। তাই ১৯২১ সালে আমন্ত্রণ জানান ভিয়েনার শিল্প-ইতিহাস বিশেষজ্ঞ স্টেলা ক্রামরিশকে, আসেন ফরাসি চিত্রশিল্পী অঁদ্রে কার্পেলেস ইউরোপীয় ভিত্তিচিত্র ও তেলরং শেখাতে, হাঙ্গেরীয় শিল্পী লিজা ফন পট ও মার্গারেট মিলওর্ড শিক্ষা দেন পশ্চিমা পদ্ধতিতে মূর্তি রচনা, তিব্বতীয় তনখাচিত্র শেখানোর জন্য তিব্বত থেকে আসেন শিল্পী, চীনা শিল্পরীতি শেখাতে আসেন ইয়াউ উয়ান শান, বীরভূম থেকে ঢালাই কাজের কারিগর, ওডিশার পাথর কাটার কারিগর এবং জয়পুরের ভিত্তিচিত্র কারিগরেরাও সমাদর পান এখানে।

ওই সময় প্রাচ্যের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব ছিল অভাবিত ঘটনা। বিশ্বভারতীকে পূর্ব-পশ্চিমের সত্যিকার মিলনস্থল ও জ্ঞানের কেন্দ্র রূপে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ!

রবীন্দ্রনাথের বিশ্বায়নের ভাবনা ছিল:
‘ত্যাগ না করিয়া, বিনাশ না করিয়া একটি ব্যবস্থার মধ্যে সকলকেই স্থান দেওয়া’—এ ভাবনা এখনো যে প্রাসঙ্গিক!

অভিজিৎ রায়-এর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে কলাভবনের সামনেই দেখলাম রামকিঙ্করের বিখ্যাত দুটি ভাস্কর্য ‘দুই সাঁওতাল রমণী সন্তানসহ কারখানায় কাজে যাওয়ার পথে ‘ আর ‘এক সাঁওতাল শ্রমিক পরিবারের দেশান্তর যাত্রা’!
বড অদ্ভুত এই ভাস্কর্য!
বড অদ্ভুত আমাদের এই সময় পরিভ্রমন!

সূর্য ডুবেছে বেশ কিছুক্ষন আগে।মা আর আমি নি:শব্দে হেটে আসছি ক্যামপাস থেকে ট্যুরিসট লজে।আমাদেরপেছনে লাল কাকড পিছানো উদাস পথ, বকুলবীথি আর ছাতিম তলা।মহুয়ার গন্ধে মাতাল গেরুয়া বাতাস।আর ওই গেরুয়া বাতাসে আকাশ ফুডে দাডিয়ে রইল রামকিংকরের পাথরের মূর্তি ‘মা ও শিশু’!

চলবে… ……

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন