দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রকাশিত লেখার সনতারিখ অনুযায়ী আলোচনা করছি। এর আগে ০১ থেকে ০৭ পর্যন্ত মোট ০৭ টি লেখা উপস্থাপন করেছি। এখন, এ পর্বে, ০৮ থেকে শুরু করছি।

০৮. দৈনিক সমাচার পত্রিকায় ‘যুদ্ধ’ শিরোনামে আমার লেখা তিনটি ছোটো ছোটো কবিতা ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ০৯ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘যদি দেখা হয়’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। এখানে কবিতাটি একটু বৃদ্ধি পেয়ে ছোট ছোট ৪ টি কবিতা নিয়ে একটি কবিতার রুপ ধারণ করেছে। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৪৬। একটু উদ্ধৃতি দেই –
(১)
যুদ্ধ মানেই তো / জয় কিংবা পরাজয় / যুদ্ধ মানেই তো / বেঁচে থাকা কিংবা লয়।
(৩)
প্রতিটি মুহূর্ত যুদ্ধ করে / প্রতিটি মুহূর্তের সাথে / এবং আমি যুদ্ধ করি / আমারই আমির সাথে।

০৯. ‘মধ্য বয়স’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৩১। ‘মধ্য বয়স’ কবিতাটির শেষ অংশ থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি –

অমর উৎসাহে আকাশের নীলে দেখি ঐকতান
জীবনের উল্লাস দেখি গ্রহে- নক্ষত্রে, তারায় তারায়
আমি যোদ্ধা, বিজয়ী বীর, কে রুখে আমায়?

১০. ‘এক রাজপুত্তুরের গল্প’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘যদি দেখা হয়’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৪৪। ‘এক রাজপুত্রের গল্প’ শিরোনামের কবিতাটি ২২ পংক্তি বিশিষ্ট। এর থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছি –

কোন এক রাজপুত্রের গল্প / সেই গল্পটা / ওই একটা গল্পই জানি আমি / এবং সেটাই বলছি।
রাজকুমার স্বপ্ন ভালোবাসতো, ভালোবাসতো পৃথিবী / এবং বিশ্বাস করতো মানুষকে / যে মানুষ বন্ধু এবং শত্রু / ঐ একটা রাজকুমারের গল্পই জানি আমি।
….
এভাবেই প্রতিদিন শুরু করি, শ্রোতা খুঁজি / রাজপুত্রের গল্পটা / শেষ হয়েও / শেষ হয়না আর।’

১১. ‘নব্বই সনের গল্প’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ০৪ অক্টোবর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘যদি দেখা হয়’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। ‘নব্বই সনের গল্প’ কবিতাটি ২৩ লাইনের। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৪৫ । কবিতাটির অংশ বিশেষ উদ্বৃত্ত করছি –

‘কেবলই পারিনা যেতে সামনে তোমার / দিতে দেখা সময়ে সময়ে /মনে হয় এইতো তুমি আছো / হৃদয়ের কতখানি জুড়ে – / তা বুঝাই কেমন করে!

সময় কেড়েছে মিলন / সভ্যতা কেড়েছে আদর / বাকী সবটুকু নিংড়ে নিয়েছে / অর্থ এবং অর্থ / কী করে আগের মতো হই বলো?’

১২. ‘দুঃখ’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১১ অক্টোবর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘যদি দেখা হয়’- এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ২১। ‘দুঃখ’ কবিতার দু’টি লাইন তুলে ধরছি –

‘মূলতঃ কোনো দুঃখ নেই,
আমার কোনোই দুঃখ নেই।’

১৩. ‘জীবন’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২৫ অক্টোবর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ৩০। দীর্ঘ ২৫ লাইনের কবিতা ‘জীবন’ । এর অংশ বিশেষ তুলে ধরছি –

‘সময় হলে এটা করবো / ওটা করবো / সময় পেলেই চলে যাবো /
তুলে নেবো / গুছিয়ে নেবো মনের মতো। / সময় কি আর হয়?

… সবই করবো সময় এলে / অপূর্ণতা পূর্ণ করবো / সেই ‘করা’ কি হয়?

জীবন আর আমি কতো কাছাকাছি /পাশাপাশি হেঁটে চলি শীত গ্রীষ্ম বর্ষায় / তবুও পাই না কাছে / সে থাকে দূর বহুদূর!’
১৪. ‘অর্ধশতাব্দীর কথকতা’ শিরোণামে আমার লেখা একটি সুদীর্ঘ কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২২ নভেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘যদি দেখা হয়’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। পৃষ্ঠা সংখ্যা – ২৪ । সুদীর্ঘ ৫০ পংক্তির কবিতা এই ‘অর্ধশতাব্দীর কথকতা’। জাতিসংঘের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে ৫০ লাইনের কবিতাটি লিখেছিলাম। কবিতার শুরুটা এরকম,
‘দগ্ধ দিনে বিষন্ন রাতে
জাতিতে জাতিতে গরমিল দেখেছি বহু
দেখেছি যুদ্ধ, মহাযুদ্ধ
লজ্জায় মরে যাওয়া চাঁদ।

জীবন নিয়ে শুরু আবার নাগরদোলা
পঞ্চাশ বছরের জাতিসংঘ তার স্বাক্ষী
সকল নদীর মুখ মিলেছে যেখানে

চলেছি অনেক পথ, যেতে হবে আরও,
বিশ্ববাসী দেখেনি শান্তির নির্মল আকাশ
এলোমেলো আজো আছে সভ্যতার সাজানো বাগান!

সোভিয়েত পতনের পর

‘প্রত্যাশিত বিশ্ব’ কি দেখছি আজও?
শতাব্দীর শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে মিথ্যে সেই আশা
সওদা করতে দেখি, লক্ষ্য করিনা কোনো আন্তরিকতা!
তারপরও ওটা আছে, পক্ষ -বিপক্ষ আছে ,

রিলিফে, চিকিৎসায়, আশ্রয়ে এরা তৎপর।
সাফল্য দেখেছি অনেক, প্রশ্ন জেগেছে বহু
সোমালিয়া রুয়ান্ডা বুরুন্ডিতে জাতিসংঘ করছেটা কি?
বসনিয়া সমস্যাতো প্রতিদিন কালীমা লেপে দেয়
সুন্দর ঐ জাতিসংঘ-পতাকায়!

আকাশের সূর্য তাই ছাড়ে বুঝি তপ্ত নিঃশ্বাস।
দেখি যুদ্ধের মাঝে শান্তির পূজা চলে,
সমাধানও আচমকা মিলে যায়
অবাক হয়ে দেখি, জাতিসংঘতো সমাধান করে না
প্রাণহীন দেবতার পাষাণ বিগ্রহের মতো নিশ্চল বসে থাকে ও
কে যেন চালায় ওকে!
তবু্ও এক ঠাঁই আছে, বক্তৃতার মঞ্চ আছে
দুঃখ-সুখ বলা যায়, করা যায় শান্তির দাবি
জাতিতে জাতিতে বন্ধুত্ব চাওয়া যায়, বলা এ উন্নত জীবনের কথা।

‘এ বড় দুঃসময়, আকাশে মেলেছে পাখা লোলুপ ঈগল’,
ভেঙে যায় বারেবারে বিশ্বাসের বিশুদ্ধ বলয়
এসময়ে হাতের কাছেতে চাই বিশ্বাসের খুঁটি,
তাই আমি তোমাকেই খুঁজি
বিশ্বব্যাপী কল্পতরু ছায়ার একতা
প্রার্থণা করি যেন জন্ম হয় নতুন শিশুর
যে সত্ত্বার স্বপ্ন দেখে মানব সভ্যতা !’

১৫. ‘যুদ্ধ চাই’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতাটির উদ্ধৃতি দিচ্ছি,

‘যুদ্ধ চাই যুদ্ধ চাই
আরও একটা যুদ্ধ চাই
যুদ্ধ শেষের পাওনা চাই
বকশিস নয় হিসেবের প্রাপ্য কৃতিত্বটা চাই।’

১৬. ‘একটি বছর’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর ১৯৯৫। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতাটি থেকে কিছু অংশ তুলে ধরছি,

‘আবাল্য স্বপ্নের সুন্দর জীবন থেকে
নির্বাসিত বলে
দুঃখ করেছি অনেক
শ্রাবণের বিষন্ন আঁধারে
অসুন্দরকেই সুন্দর বলে
মেনে নিয়েছি কখনো কখনো।

জীবনের বাঁকে আজ সমুদ্রের ঢেউ
লোনাজল ঘুরপাক খায়
গাঙ্গচিল উড়ে উড়ে বিষাদের গান গায়
নখর আর ধারালো চঞ্চুতে আমাকে শাসায়,
সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখা কি কোনো পাপ?’

১৭. ‘কথা ছিলো’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতাটির কিছু অংশ
এখানে তুলে ধরছি,

কথা ছিল আসবে তুমি হাসবে তুমি
বসবে তুমি পাশে
কথা ছিল আসবে তুমি হাসবে তুমি
নাচবে তুমি স্বাধীনতা।
কথা ছিল আসবে তুমি
বইয়ে দেবে হাসির জোয়ার।
কথা ছিল সেরকমই।
একাত্তরের গল্প আমি বলবো কতো আর!
কথা ছিল কতকিছু!

অবশেষে এলে তুমি
বুকের ভেতর সুনীল প্রেম
কিছু পেলাম, কিছুটা তার রইলো বাকী!
কথা ছিল তুমি এলে
ফাঁকা ভিটা পূর্ণ হবে
ক্ষুধার পেটে অন্ন হবে
এতকিছুরই আশা ছিল!

কেন যে আজ এমন হলো কারবা দোষে
আগাছারই বাড় বেশি তাই
….

এমনতরো কেন হলো, এই কি তবে কথা ছিল? ‘

১৮. ‘আনন্দের নেশা ‘ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ২১ ফেব্রুয়ারী ১৯৯৬। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতাটি এরকম,

পেছনে এসেছি ফেলে অনেক বছর
সুখ-দুঃখ চড়াই উৎরাই
অসম দিনকাল, ক্ষয়িষ্ণু ঈদের চাঁদ।
প্রতিদিন ভোর হয় শুরু হয় দিন
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামে শুরু হয় রাত
ব্যস্ততা বেড়ে যায়
আনন্দের নেশা চোখেমুখে।
এভাবেই কেটে গেছে অনেক বছর
দ্বিধাহীন নিঃশঙ্কচিত্তে
ঘরে ঘরে ভোরে ভোরে ;
দিনকাল স্বাক্ষী তার স্বাক্ষী রাতের তারা
ঝড়বৃষ্টি স্বাক্ষী তার, স্বাক্ষী বুলেট ছোড়া।’…

১৯. ‘সূর্যের শক্তিতে’ শিরোনামে আমার লেখা একটি কবিতা দৈনিক সমাচার পত্রিকার ‘সমাচার সাহিত্য’ বিভাগের পাতায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের তারিখ ১৬ মার্চ ১৯৯৬। এই কবিতাটি পরবর্তী সময়ে আমার কাব্যগ্রন্থ ‘অপেক্ষায় আছি’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়। কবিতার অংশবিশেষ তুলে ধরছি,

‘সূর্যের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে
যাবোই যাবো এগিয়ে আমরা।
সাধ্য কী আছে কারও
এই সাহসী বীরদের রুখে?’

(চলবে)

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন