নরওয়ে থেকে:-

নরওয়ের চোখ জুড়ানো সুন্দর্যের মাঝে থেকেও সেই কোতয়ালপুরের কথা মনে পড়ে !
মনে পড়ে বাপ্ দাদার ভিটা, নিজের হাতে বানানো আমার সেই ক্রিকেটের মাঠ , দীপকের আধখানা শেষ করে ফেলা সিগারেট আর তানভীরের হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা।
কেন মনে পড়ে ?
কেনই বা ফিরে আসে ফেলে আসা দিনগুলো বারেবার ??
কতজনইতো বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে ইংল্যান্ড কিংবা নরওয়ের শহরে বন্দরে ,
তবে তাজুল ,বাহার, বাবরদের সাথে কাটানো দিন, হিলালের ভাতৃত্ব পূর্ণ ভালোবাসা ,
সুয়েব, সুরঞ্জিত ,অম্লান কিংবা বিশ্বজিতের হৃদ্যতাপূর্ণ বন্ধুত্ব কোথাও কি পাওয়া যায় ??
কোথাও কি মিলে প্রণবের মতো মেধাবী বন্ধুর সহচার্য ?
নরওয়ের ঐশ্বর্যের মাঝে যতই ডুবে থাকি না কেন……..
আমাদের সুদির বাবু , রাশেদ স্যার কিংবা আলাউদ্দিন স্যারের মনের বিশালতার কাছে কোনো কিছুরই তুলনা হয়না।
ভেঙেচুরে মাটিতে মিশে গেলে, কিংবা মাথা উঁচু হয়ে আকাশে উঠে গেলেও
কিছু প্রিয়জন আছেন যাদের কখনো ভুলার নয়।
বড় মা কিংবা ফুফুদের স্নেহ, ভাইজান আর শানু আপার ধরদী হাত ,,
লন্ডনের দিনগুলোতে সফিনা আপার কিংবা সালমা ফুফুর ভালোবাসা, ফুরুক ভাইর স্নেহময় উপদেশ সবই মনে আছে,,
জীবনের প্রতি অঙ্গন জুড়ে উনারা থাকবেন শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায়।
বনুয়ার বিল, মায়ের মুখের হাসি, দুলাভাই /বোনদের ভালোবাসা হাতছানি দিয়ে ডাকে বারেবার ।
ইচ্ছে করে সব ছেড়ে ছুড়ে ফিরে যাই বঙ্গবন্ধুর দেশে ,
যে দেশে মিশে আছে লক্ষ বীরের রক্তভেজা মাটি, প্রাণ জুড়ানো সুরমার উদাসী বাতাস, হাসান রাজা, রাধা রমনের গান আর রক্তে আগুন লাগানো লাল সবুজের পতাকা।

 

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন