ছোটবেলায় ছোট দাদার ধান মাড়ানির অতি ব্যস্ততা আর আংগিনা ভরা ধানের স্তুপে যখন সারা উঠান ভরে যেত। ঘর থেকে বের হয়ে হাটতে গেলেই খড়ের স্তূপে পাঁ লাগতো বলে হেমন্তকালে বাড়ি ছেড়ে পালানোর ইচ্ছা জাগতো, কিন্তু শিয়ালের প্রাণ শীতল করা হুক্কা হুয়া আর সন্ধ্যা পার করে মাঝরাত পর্যন্ত অজানা কোন এক পাখির মোহনীয় কুহু ডাক শুনে ভয়ে কোনোদিনও বাড়ি ছেড়ে পালানো হয়নাই !! আজকাল সেই ধানের ছবি দেখলে অনেক আগে হারিয়ে যাওয়া এবং সময়ে অসময়ে কানমলে দেয়া অতি শাসনকারী সেই ছোট দাদা ( মরহুম জনাব মছব্বির আলী দাদার ) কথা শ্রদ্ধা ভরে মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায় মনের গহীনে লুকিয়ে থাকা গ্রাম বাংলার ইতিকথা আর গ্রামের আলো বাতাসে বেড়ে ওঠা বাল্যকালের প্রাণচাঞ্চল্লে ভরা বাল্য বন্ধুদের কথা ।

ছবির মতো গ্রাম কতোয়ালপুর, গ্রামভর্তি সহজ সরল চিরচেনা মুখগুলো, সকালে স্কুলের পথে হেটে যাওয়া শত শত ছেলেমেয়ে, অকালে হারিয়ে যাওয়া তাঁর সেই বিনম্র চোখগুলো, বিল ভরা সোনালী সেই ধানক্ষেত, স্বপ্ন শহর সিলেট, অপরূপ এম সি কলেজ ক্যাম্পাস, রূপবতী বাংলাদেশ কক্ষনো কি ভুলা যায় ?
জীবনানন্দ কি কভু ভুলেছিলেন ধানসিঁড়ি নদীর কথা ??

কালকে ছোটভাই জাওয়াদের বিয়ের পানচিনি। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন্দের আনন্দ, উৎসব আর সরব পদচারণা। হটাৎ কেনো জানি বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে খুব,, ইচ্ছে করছে চষে বেড়াতে পুরোটা সিলেট শহর, সারাটা বনুয়াবিল।
ইচ্ছেরা কারো কথাই শুনেনা, তাই অনেক সময় চাইলেও অনেক ইচ্ছেগুলো অপূরণীয় রয়ে যায় অনাদিকাল।

(Picture: Curry Queen Bangladeshi Restaurant,
Vestre Strand gate, Kristiansand #Norway.

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন