এক ম্যাচ হাতে রেখেই হেসে খেলে আজকের খেলায় বিশাল জয়ের মধ্যে দিয়ে সিরিজ জিতে নিলো বাংলাদেশ।

বৃষ্টি–বিঘ্নিত এ ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ পুরো ৫০ ওভার টিকতে না পেরে ৪৮.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রানের এক মামুলি টার্গেট বেঁধে দেয় লংকান টাইগারদের। এই টার্গেট ছুঁতেই রয়েল বেঙ্গল টাইগারদের আগুন ঝরানো বোলিংয়ে দাঁড়াতেই পারেনি শ্রীলঙ্কানরা।

বাংলাদেশের ইনিংসে আগের ম্যাচের মতো আবারো সেই দুই ভায়রাভাই মুশফিক ও মাহমুদুল্লাহর বড় ইনিংসে মোটামুটি একটি সম্মানজনক রানের স্কোর করে বাংলাদেশ। গতবারের মতো আজকের ম্যাচেও হেসে ওঠেনি তামিম, সাকিবের ব্যাট। তামিম মাত্র ১৫ রানে ফিরলেও সাকিব ফিরে যান শূন্য রানে। শূন্য রানে ফেরেন আরো দুই জন বাংলাদেশের ব্যাডস ম্যান, অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও বলার শরিফুল। মুশফিক করেন বীরোচিত ১২৭ বলে ১২৫, যেখানে একটিও রিস্কি শট না খেলে ১০ টি দৃষ্টিনন্দন ৪ এর মাধ্যমে তুলে নেন আরেকটি সেঞ্চুরি। ভায়রা ভাই মাহমুদুল্লাহ খেলেন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ৫৮ বলে ৪১

পরে ব্যাড করতে নেমে বাংলাদেশের পাঁচ বোলারের সামনে কাঁপতে থাকে শ্রীলংকান ব্যাডস ম্যান রা । শ্রীলংকান ইনিংসে সর্বোচ্চ ২৪ রান এসেছে দানুস্কা গুনাতিলকার ব্যাট থেকে। একে একে বিদায় নেন নামি দামি শ্রীলংকান ব্যাডস ম্যান। ৩টি করে উইকেট নেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৩/২৮) ও মোস্তাফিজুর রহমান (৩/১৬)। ব্যাড হাতে কিছু না করতে পারলেও ৩৮ রানে ২ উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশের ইনিংসে কয়েকবার বৃষ্টি হানা দিলেও পরে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ৩৮তম ওভার শেষে আবারও বৃষ্টি নামায় বন্ধ হয়েছিল। তখন শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৯ উইকেটে ১২৬। ডি/এল নিয়মে খেলা ৪০ ওভারে নামিয়ে এনে বাকি ২ ওভারে জয়ের জন্য ১১৯ রানের অসম্ভব লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে। এই ২ ওভারে ১৫ রান তুলতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। ম্যাচের ফলাফল শ্রীলংকাকে ১০৩ রানে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে এক ম্যাচ হাতে রেখে এই প্রথম শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিলো রয়েল বেঙ্গলল টাইগারেরা। ম্যাচ সেরা পুরস্কার পান বগুড়ার সোল মুশফিকুর রহিম ।

শুক্রবার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে নিয়ম রক্ষার তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

(ছবিঃ- সৌজন্যে cricinfo)

পূর্ববর্তী নিবন্ধBalcony Gardening Handbook for Micro Gardeners
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের সংগ্রাম-পর্ব ১
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন