হ্যাপি নিউ ইয়ার

টরেন্ট শহরের মিসিসাগা এলাকায় সিরাজুল ইসলামের দুই বেডরুমের এপার্টমেন্টে এই মাত্র ছোটোখাটো একটি বিশ্রী টাইপের ঝগড়া ঝাটি হয়ে গেলো। ঝগড়া ঝাটি কথাটি বলা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না, কারণ ঝগড়া ঝাটি বললে পক্ষ -বিপক্ষের হৈচৈ হয়, কিন্তু একটু আগে যেটা হলো সেটা একেবারেই একতরফা চিৎকার, চ্যাঁচামেচি। সিরাজুল ইসলাম উচ্চস্বরে কিশোর ছেলে নয়নকে উদ্দেশ্য করে বললেন:
-‘হারামজাদাটা কৈ গেলো ? ওকে মেরে একেবারে তক্তা বানানো দরকার। ব্যাটার কত বড় সাহস, খ্রিস্টানদের দেশে থেকে, দিন দিন একেবারে সাহেব হয়ে যাচ্ছে। উনি ডলার ষ্টোর থেকে লাল/নীল ঝলমলে সব বাতি নিয়ে এসেছেন, বারান্দায় ওসব বাতি ঝুলিয়ে উনি খ্রিস্টানদের মতো বড় দিন সেলিব্রেট করবেন, কত বড় সাহস, ওই বয়সে আমরা নামাজ পড়ে পড়ে কপালের ছাল তুলে ফেলেছি, আর আমার ছেলে সেলিব্রেট করবে যীশু খ্রীষ্টের জন্মদিন ! ক্লাস টেনে কত সব লেখা পড়া জানিনা বলছো, আমরা ক্লাস টেনে যখন পড়ি ত্রিকোণমিতির সূত্র, কেমিস্ট্রির ইকুয়েশন, কেঁচো /কুনো ব্যাঙ এর রক্ত সংবহনতন্ত্র ইত্যাদি পড়তে পড়তে নিজের নাম ভুলে গেছি, কলেজের বই পত্র ঘেটে ঘেটে নোট তৈরী করে পড়েছি, আর এরা কিনা সারা দিন হয় সেল ফোন, নয়তো , ভিডিও গেম আর শিখেছে কেবল সারা রাত জেগে থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘুমানো। ওর পাছার চামড়া তুলে ফেলা দরকার। মায়ের আস্কারা পেয়ে পেয়ে দিন দিন মাথায় উঠেছে। আর মাও যেমন, হ্যালোয়িনের দিনে ছেলে/মেয়েদেরকে ভুত/পেত্নীর মুখোশ কিনে দেয়া, ঢেঙ ঢেঙ করতে করতে বাড়ি বাড়ি যেয়ে চকলেট কুড়ানো, থাঙ্কস গিভিং ডে তে টার্কি রান্না করে খাওয়ানো, এসব করে করে ছেলেকে মেয়েকে খাঁটি কানাডিয়ান বানাচ্ছে, এখন ঠেলা সামলাও। এখন ছেলে আমার বারান্দায় লাল নীল বাতি জ্বালিয়ে বলবে ‘ মেরি ক্রিস্টমাস’, আরেক দিন বলবে ‘হ্যাপি গুড ফ্রাই ডে’, আরেকদিন বলবে ‘হ্যাপি এস্টার সানডে’, আর কত কি, তারপরে, একদিন মদ/তদ ছাই পাশ গিলে সাদা চামড়ার মেমসাহেব বেটির হাত ধরে টাটা দিতে দিতে গুড বাই মামি বলতে বলতে বাড়ি থেকে চলে যাবে সেদিন মায়ের টনক নড়বে, এই আমি বলে দিলাম।’

রুপা বুদ্ধি করে স্বামীর চেচামেচির শুরুর দিকে বেড রুম থেকে বের হয়ে তার ছেলে নয়নকে ফিসফিস করে হাতে বিশ ডলারের একটি নোট দিয়ে কাছে পিঠে নোফ্রিলস মার্কেটে পাঠিয়েছিল কিছু মিছু কিনে আনবে, অন্তত কিছুক্ষন যাতে বাবার সামনে না থাকার ব্যাবস্থার আর কি। তাঁর তেইশ বছরের সংসারে সে স্বামীর রাগ কমানোর কৌশল রপ্ত করে ফেলেছে। তার স্বামীর রাগের স্থায়িত্বকাল বড়োজোর মিনিট দশ থেকে পনেরো মিনিট। কোনোরকমে এই সময়টা পার করতে পারলেই হলো, তার সাথে কোনোরকম তর্কে না যেয়ে কিছুক্ষন একা থাকতে দিয়ে একটু ভালো খাবার/দাবার দিয়ে ভালো করে কথা বললে , উনার রাগ একেবারেই পানি।

রুপার স্ট্রাটেজি সম্ভবত কাজে লেগেছে। সতর্কতার জন্য এক্সট্রা পাঁচ মিনিট হাতে নিয়ে বিশ মিনিটের মাথায় ফ্রিজে রাখা ঠান্ডা পায়েস ও এক গ্লাস অরেঞ্জ জুস হাতে নিয়ে রুপা বেডরুমে সিরাজুল ইসলামের কাছে যেয়ে বললেন,
-‘খেয়ে নাও, ভালো লাগবে।’

সিরাজুল ইসলাম গপ গপ করে চেটে পুটে পায়েস খেতে খেতে নরম গলায় বললেন:
-এসব দেশের দুধে কোনো ভেজাল টেজাল নেই তাই হেভি টেস্ট । অবশ্য শুধু খাঁটি দুধ হলেই হবে না ভালো করে রান্নাটা জানতে হবে। মায়ের কাছে শুনেছি পায়েসের আসল রহস্য হচ্ছে দুধ জাল দেয়ার উপর। সবাই যেটা ভুল করে সেটা হচ্ছে ভালো করে জাল না দিয়ে দুধ ঘন না হতেই চাল ঢেলে দেয়, তার পরে আরোও ভুল করে , চাল ভালোমতো সিদ্ধ না হতেই চিনি ছেড়ে দেয়, চুলার আচ না কমিয়ে নাড়তে থাকে ফলাফল যা হবার তাই হয়, পাতিলের তলার দিকের চাল পুড়ে যেয়ে পুরা স্বাদ নষ্ট।’

সিরাজুল ইসলাম রুপার হাত থেকে জুসের গ্লাস নিয়ে এক নিঃশ্বাসে পুরোটা খেযে শান্ত গলায় প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললেন :
-বাচ্চারা সব কোথায় ? বাচ্চাদের দোষই বা কেমনে দিবে বলো, এমনেই লাগাতার লোকডাউন, অন লাইনে সব ক্লাস, বন্ধু/বান্ধব ছাড়া ছেলেপেলেরা একেবারে হাঁপিয়ে উঠেছে , খালিতো আর বড় দিন না, সামনেই হ্যাপি নিউ ইয়ারও তো আসছে, এক আধ্টুক আনন্দ /টানন্দ করতেই পারে, কি বলো রুপা ?’

রুপার খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো মুচকি হাসতে, ভাগ্য ভাল কোনোরকমে হাসি চেপে রাখতে পেরেছিলো, নয়তো আবার কেলেঙ্কারি হয়ে যেত, নরম গলায় রুপা স্বামীকে বললো :
-‘তিন্নি তো সবার জন্য নিউ ইয়ারের এক লম্বা লিস্ট করে রেখেছে।’

সিরাজুল ইসলাম বেশ আগ্রহ সহকারে জানতে চাইলেন:

-‘তাই নিকি, কিরকমের লিষ্ট, দেখি একটু ডাকোতো মামনিকে, ওর লিষ্ট পড়ে শুনি।’

সিরাজুল ইসলামের চাল চলন একেবারেই বাংলাদেশের ক্রিকেট টিমের মতো, একেবারেই আনপ্রেডিক্টবল, এই ভালো তো এই খারাপ। এই মুহূর্তে সিরাজুল ইসলামকে দেখে একেবারেই বোঝার উপায় নেই এই মাত্র একুশ মিনিট আগে কি ভয়ানক মূর্তি উনি ধারণ করেছিলেন। বেচারা দেশে থাকতে ব্যাংকে ভালো চাকরি করতেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে পাড়ি দিয়ে তেমন সুবিধা করতে পারেন নি। সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন আর পার্ট-টাইম হিসাবে তাঁর নিজের ছোটোখাটো ব্যবসা আছে । বাচ্চাদের আর ই এস পি (রেজিস্টার্ড এডুকেশন সেভিংস প্ল্যান ) করা, এক ধরণের ইন্সুরেন্স প্ল্যান। বেশ ঝামেলার কাজ, সারাক্ষন বন্ধু বান্ধবের সাথে তক্কে তক্কে থাকতে হয়, নতুন নতুন বাবা /মা দের পটিয়ে পাটিয়ে তাদের বাচ্চাদেরকে এই প্রোগ্রামের মধ্যে নিয়ে আসার তদবির করতে হয় । প্রচুর বক বক করে করে মেজাজ তিরিক্ষি থাকে। ওদিকে, স্ত্রী রুপা একটি শপিংমলের কাপড়ের দোকানে সেলস পার্সন হিসাবে চাকরি করেন, কমিশনের চাকরি, একেকটি কাপড় বিক্রির উপর পয়সা। বেচারা রূপাকেও সেজেগুজে দোকানে সারাক্ষন কাস্টমারদের সাথে হেসে হেসে কথা বলতে হয়, স্বামী স্ত্রীর দুই জনেরই তাই বাচ্চাদের সাথে ভালো করে কথা বলার বা সময় দেয়ার বেশি সময় থাকে না। ভাগ্য ভালো অথবা খারাপ, লোকডাউনের কারনে শপিংমল বন্ধ থাকায় রুপার চাকরি বন্ধ, তাই এখন প্রায় সময়ই বাসায়।

পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বিষয়ক ঘটনা হতে চলেছে। গ্রেড সেভেনে পড়া ফুটফুটে মেয়ে তিন্নি তার প্রচন্ড বদরাগী বাবার পাশে বসে হ্যাপি নিউ ইয়ারের ইংরেজিতে লেখা তাঁর লিষ্ট বাবাকে পড়ে শোনাচ্ছে। বাবা হেসে হেসে মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে সেসব শুনছেন। বেডের আরেক দিকটায় নয়ন ও রুপা বসে মিটি মিটি হাসছে। সিরাজুল ইসলামের তেইশ বছরের সংসার জীবনে এ এক বিরল ঘটনা। তিন্নির লিষ্টের বিষয়বস্তু অনেকটা এরকম:

১. ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে রাত বারোটা পর্যন্ত জেগে থাকতে হবে
২. রাত বারোটা এক মিনিটে টিভির সামনে বসে লাইভ প্রোগ্রাম দেখতে হবে
৩. পহেলা জানুয়ারির সবার ছুটি, তাই একসাথে ব্রেকফাস্ট করতে হবে । ব্রেকফাস্ট তৈরিতে অবশ্য অবশই তিন্নিকে রাখতে হবে। (ব্রেকফাস্টের মেনু: সান সাইড আপ এগ ফ্রাই, প্যান কেক টপিং ম্যাপল সিরাপ, পটেটো ফ্রাই)
৪. ব্রেকফাস্টের পরে ফ্যামিলি গেম : অপশন ওয়ান, ল্যাডার/স্নেক গেম (সাপ-লুডু খেলা), অপশন টু, ‘বিংগো গেম’
৫. ডাইনিং টেবিলে এক সাথে সবাই বসে দুপুরের লঞ্চ খাওয়া (মেনু: চিকেন তন্দুরি, বাটার -নান রুটি, )
৬. লাঞ্চের পরে, সবাই মিলে ডিজনি মুভি দেখতে হবে
৭. রাতের ডিনারও সবাই একসাথে করবে (মেনু: ম্যাশ পটেটো উইথ বিফ মিটবল)
৮. ডিনারের পরে আবারো একটি মুভি এবং তাঁর পরে ঘুম
৯. সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেউ কোনোরকম কটু কথা বা চেঁচামেচি করবে না

সিরাজুল ইসলাম এ জীবনে ছয় দফা, সাত দফা সহ অনেক রকমের দাবি-দাবার লিষ্ট দেখেছেন, কিন্তু আজ মেয়ের এই দাবি-দাবার লিষ্ট দেখে দেখে অভিভূত হয়ে গেলেন। এতটুকু একটি পুচকে মেয়ে পরিবারের সবার এক সাথে মিলে মিশে থাকার গুরুত্ব তাঁকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে আজ দেখিয়ে দিয়েছে। এই বিদেশ বিভুঁয়ে আসলে যন্ত্রের মতো লাইফ।  রাতে বালিশের নিচে রাখা সেল ফোন এলার্ম দিয়ে ঘুম থেকে ওঠো , ঘুম থেকে উঠে নাকে মুখে নাস্তা খেয়ে পিঁপড়ার মতো সুর সুর করে লাইন ধরে বসে উঠে কাজে যাও, কাজ শেষে খেয়ে দিয়ে ঘুম আবার কাজ। এরই মধ্যে অনেকেই আবার খুব ভালো আছে। কেউ কেউ ভালো ভালো চাকরি/বাকরি করছে, বাড়িঘর কিনে আমোদ ফুর্তি করছে, কেউ বা দেশ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এই বিদেশ বিভুঁয়ে নাকে সর্ষের তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে, আর সিরাজুল ইসলামরা দিনের পর দিন প্রবাস জীবনে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করেই চলেছে। সমাজের এ এক অদ্ভুত খেলা। সিরাজুল ইসলামের ধারণা একেকটি মানুষ যেন ল্যাপ্টপের কি বোর্ডের একেকটি বাটন। আগেভাগে সবকিছু প্রোগ্রামিং করা আছে। কেউ একজন সমানে কি বোর্ডে টাইপ করে যাচ্ছে…। 

সিরাজুল ইসলাম মেয়ের দাবিদাওয়া নিয়ে যখন নেগোসিয়েশন করছেন, বাহিরে তখন মৃদু তুষার ঝড় হচ্ছে। নয়ন নোফ্রিলস মার্কেট থেকে সতেরো টাকা দিয়ে একটি মাঝারি সাইজের আইস চকলেট কেক কিনে এনেছে। নয়ন অবাক হয়ে খেয়াল করলো, সে যে একটি আস্ত চকলেট কেক কিনে এনেছে এটা নিয়ে বাবা কোনো উচ্চবাচ্য করছে না, এমন কি বাজারে যাওয়ার আগে তাঁর কেনা ঘর সাজানো লাইট নিয়ে বাবা যে হয় চৈ করছিলেন তাও একেবারেই নেই। একেবারে ‘U’ টার্ন হয়ে বাসার পরিবেশ একেবারেই শান্ত।

টরেন্টোতে অনেকটা তুষার বিহীন ডিসেম্বর মাসে ফাইনালি এবারে হোয়াইট ক্রিস্টমাস পালিত হলো। ছুটির দিনে একেকটি বাড়ির সামনে প্রায় হাটু সমান সাদা শুভ্র তুষার। কারো মধ্যে তুষার পরিষ্কার করার তেমন কোনো তাড়া নেই, চারিদিকে সাদা চাদরে যেন ঢেকে আছে পুরো শহর। লোকডাউনের শুনসান নীরবতায় কেমন যেন সব ফাঁকা ফাঁকা চারিদিকে। রাতের বেলায় ভিন্ন চিত্র। একেকটি বিল্ডিং, বাড়ি/ঘরের সামনে রঙ্গীন লাইটের আলোয় সাদা তুষারে প্রতিফলিত হয়ে এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বাবার গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে নয়ন তাদের এপার্টমেন্টের বারান্দায় লাল-নীল বাতি ঝুলিয়েছে । টিম টিম করে সেই বাতিগুলি থেকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। বেডরুমে তিন্নি, নয়ন, রুপা, সিরাজুল ইসলাম সবাই তিন্নির লিস্ট নিয়ে মজা করছে, শলাপরামর্শ করছে কিভাবে লিস্ট মোতাবেক এবারের নিউ ইয়ার ভিন্নভাবে পালন করা যায় । বদরাগী সিরাজুল ইসলাম যেন গল্পের ঝুলি নিয়ে বসেছেন, তাঁর ছোটবেলার একেকটি কথা বলছেন আর অমনি সবাই হেসে কুটি কুটি। রুপা বেশ স্বস্তির মধ্যে আছে। রুপা মন প্রাণ দিয়ে প্রার্থনা করতে থাকে এভাবেই পরিবারের সবাই মিলে হাসি খুশি ভাবে পালিত হোক হৈ/চৈ পার্টি/দাওয়াত বিহীন এবারের অন্যরকম হ্যাপি নিউ ইয়ার। আর এই শান্তির, আনন্দের আমেজ প্রতিটি ঘরে ঘরে যেন বজায় থাকুক সারা বছরময়। নতুন বছরে কোভিড ভাইরাস বিহীন এই পৃথিবীতে সবাই যেন সুখে ও শান্তিতে থাকুক !!

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাড়িয়ে দাও হাত-পর্ব ৪
পরবর্তী নিবন্ধসীমান্ত
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন