গ্রামে শীতের আমেজ অন্যরকম; সে যুগে, শীতের মৌসুমে, ভোরে খেজুরের রস দিয়ে মা -চাচীরা চাউলের পিরণি বা পায়েশ রান্না করে খেতে দিতো। ভোরে আমরা চুলার নিকট বসে দেখতাম, মা কি ভাবে এই পিরণি রান্না করে। কাঁচা খেজুরের রস মা আমাদের খেতে দিতেন এবং রান্না হলে সঙ্গে সঙ্গে হাড়ি থেকে প্রথমে খেতে দিতেন। আমি যদি বলতাম,”স্বাধ হয়েছে”, মা খুশি হতেন। তাজা খেজুরে রসের অতি উত্তম স্বাধ ও সুগন্ধ তার সঙ্গে মুড়ি মিশিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগতো। গ্রামে সবার খেজুর গাছ ছিল না , প্রতিবেশীদের থেকে সকালে খেজুরের রস কিনে এনে রান্না করে দিতেন। তা ছাড়া গ্রামের বাজারে সকালে এই রস পাওয়া যেত। যাদের বেশি গাছ, খেজুরে রস দিয়ে গুড় করে মাটির হাঁড়িতে সারা বৎসরের জন্য রাখা হতো। গ্রামের বাজারে মাটির কলসিতে এই গুড় সারা বৎসর পাওয়া যেত। আমাদের গ্রামে ওই যুগে প্রতিটি বাড়িতে খেজুর গাছ ছিল এবং বিকেল হলে গাছে নলিতে ছোট ছোট মাটির কলসি দেয়া হতো এবং ভোরে রস নিয়ে মা-চাচিদের দিলে পিরনী বা গুড় করতো। মাঝেমধ্যে আমরা গ্রামের ছেলেরা রাতে তাজা খেজুরের রস দিয়ে পিরনী রান্না করে খেতাম।
আমরা বাড়ির ছেলেরা বাংলা ঘর বা কাচারীতে রাতে ঢালাও করে ঘুমাতাম এবং খেজুরের রস দিয়ে পিরণি করে একত্রে খেয়ে হৈচৈ করতাম। এ ছাড়া হরেক রকমের শীতের পিঠা তো অবশ্য থাকতো। ভোরে ঘুম থেকে উঠে উঠানে কাঠ খড়ি বা খড় কুটা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আগুনের চারিদিকে গোল হয়ে আগুন পোহানের হিড়িক এবং সবাই মিলে নিজেদের শীতের পিঠা বা খেজুরের রসের শিন্নি খাবার কথা আজ ও ভুলে যেতে পারি না।
গ্রামের কৃষক মাঠের ধান কাটা শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে জমিতে সরিষা বুনে দিতো, যার জন্য কোনো আলাদা জমি চাষ করতে হতো না; আবার অনেকে চাষ করে ও বীজ বুনতো। নাড়ার উপর সরিষা ফুলে ফুলে চারিদিকে সুন্দর সাজে সাজিয়ে থাকতো ; দেখতে কতই মনোরম দেখাতো । গ্রামের মেয়েরা এই ফুল উঠিয়ে মাথায় চুলের বেনিতে দিয়ে সেজেগুজে পাড়া বেড়ানো আর এক দৃশ্য। সরিষার ক্ষেতে মৌমাছি ফুল থেকে মধু আহরণ করে গাছে চাকে সংগ্রহ করে রাখতো এবং এক দুইমাস পর পর রাতে মধু সংগ্রহ করা হতো। আমার মা নিজের খাঁটি মধু আমার জন্য যত্ন করে রেখে দিতেন ; যখনই বাড়ি যেতাম, মা আমাকে খেতে দিতেন এবং সঙ্গে করে শহরে নিয়ে আসতাম।
ভোর হলে কৃষক গরু, লাঙ্গল ,জোয়াল আর মই নিয়ে মাঠে যেত জমি চাষ দেয়ার জন্য। প্রতিটি বাড়িতে গোয়াল ঘর ভর্তি ছিল গরু; সকালে গোয়াল থেকে গরু বের করে ধানের খড় , ধানের ভুসি, ভাতের মাড় পানি দিয়ে খেতে দিতো। রাত্রে বাছুর আলাদা করে রাখা হতো যাতে দুধ খেতে না পারে এবং কৃষক নিজের গোয়ালের গাভীর দুধ নিজেরা খেত এবং বাজারে নিয়ে বিক্রি করে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে নিতো। কিন্তু আজকাল এ সব সুদূর স্বপ্ন , গ্রামে গরু নেই, গরুর পরিবর্তে মেশিন চিলিত কলের লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করা হয়। আজকাল গ্রামে পুরানো দিনের মতো, দুধ পাওয়া যায় না, পাউডার দুধ ব্যবহার করে। কিন্তু সে যুগে গোয়ালা খাঁটি দুধ, দধি ও মিষ্টি তৈরী করে বিক্রি করতো।
বৃষ্টি না হলে জমিতে ভালো ফসল হয় না, সে জন্য গ্রামের মুরুব্বিরা মাঠে খালি গায়ে বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তো আর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতো। অনেকে বলতে শুনেছি, বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত কেউ মাঠ থেকে বাড়ি ফিরত না। কিন্তু আজকাল সেচের মাধ্যমে জমিতে পানি দিয়ে এক জমিতে তিন ফসল ফলানো হয়।
আমরা চাষীদের দেখতাম মাঠের ধান কেটে মাথায় করে বা গরুর গাড়ি দিয়ে বাড়ি নিয়ে এসে গরু দিয়ে মাড়িয়ে ধান আলাদা করা হতো, খড় থেকে ধান আলাদা করার কাজে মা-চাচী বা গ্রামের মহিলারা সাহায্য করতো। আজকাল গ্রামে গরু নেই, তার পরিবর্তে মেশিন দিয়ে এ সব কাজ করানো হয়।
ডিঙি নৌকা: বর্ষার মৌসুমে (আমাদের ছোটকালে) নৌকা ব্যাতিত বাড়ির বের হওয়া যেত না , এমন কি, এক বাড়ি থেকে আর এক বাড়ি যেতে হলে ও নৌকা দরকার হতো। গ্রামে কত রং বেরংয়ের নৌকা মাঠ এবং খাল দিয়ে যাতায়াত করতো তার হিসাব দেয়া কঠিন : কোসা নৌকা,ঢুসা নৌকা, বিভিন্ন রকমের ছইয়া যেমন পালকি বা টিনের ছইয়া বর্ষার মৌসুমে বাদাম টেনে খাল দিয়ে যাতায়াত করতো। এ ছাড়া যারা পাটের ব্যবসা করতো, তাদের নৌকা বড়ো এবং খাল বা ছোট ছোট নদী দিয়ে বাদাম টেনে যাতায়াত করতো। নৌকার মাঝিদের ভাটিয়ালি সুরের গান শুনলে প্রাণ ভরে যেত। বেদেরা বর্ষার মৌসুকে পরিবার নিয়ে অনেক দূর দূরান্তরে গিয়ে ব্যবসা করে রাতে নৌকাতে ঘুমাতো। মাঝিরা খাল দিয়ে কত রং বেরংয়ের নৌকা পাল তুলে দূরদূরান্তরে যেত এবং মনের আনন্দে গান গেয়ে লোকদের মন মাতিয়ে তুলতো । অনেকে নৌকাতে কলের গান লাগিয়ে মনের সুখে লোকজনকে আনন্দ দিতো ; তারই দুইটি লাইন মনে পরে গেলো।
“মন মাঝি তোর বৈঠা নেরে
আমি আর বইতে পারলাম না। ”
সে যুগে গ্রামের মানুষ মাটির কলসি, হাড়ি পাতিল ব্যবহার করতো। আমাদের পাশের গ্রামে কুম্ভকার সারা বৎসরের জন্য মাটির কলসি,থালা, ভাতের পাতিল,বদনা ও বিভিন্ন প্রকারের এটাসেটা তৈরী করে বাজারে নিয়ে বিক্রি করতো। এমন কি গ্রামে বাড়ি বাড়ি নিয়ে ও বিক্রি করতো। সে যুগে গ্রামে এ সবের প্রচলন বেশি ছিল।
বিবাহ অনুষ্ঠানের পর পাত্রীকে পালকি দিয়ে শ্বশুর বাড়ি পাঠানোর সময় মাটির কলসি বিভিন্ন সাজে সাজিয়ে মিষ্টি সহ পাঠানো হতো। মাটির কলসির জল বেশ ঠান্ডা থাকে এবং কৃষক মাঠে কাজ করে ক্লান্ত হয়ে এই কলসির পানি পান করে তৃস্না নিবারণ করতো। গৃহিণীরা ঘরের শিখায় বিভিন্ন রং বেরংয়ের হাড়ি দিয়ে সাজিয়ে রাখতো। মাটির হাড়িতে আজ ও আমাদের দেশের মিষ্টির কারিগর দই, খির এবং বিভিন্ন রকমের মিষ্টি তৈরী করে বিক্রি করে। এখন ও আমাদের দেশে এ সবের প্রচলন রয়েছে।
আমাদের মা-চাচীরা সে যুগে শিলপাটা ব্যবহার করে মশলা গুঁড়া করে রান্না করতো। আজকাল ও দেশ থেকে এ সবের প্রচলন সম্পূর্ণ ভাবে উঠে যায় নি। এই সুদূর কানাডাতে আমাদের দেশীয় মহিলারা শীল পাটা নিয়ে এসে মশলা পিষে রান্না করে । আমাদের দেশীয় অভ্যাস পরিবর্তন হয় নি।
কাঠের ঢেকি যা দিয়ে প্রতিটি পরিবার ধান থাকে চাল, চাল থেকে পিঠার আটা,মরিচ,হলুদ গুঁড়া করা আজকাল উঠে গেছে এবং এ সব বাজার থাকে কেনা হয়। এই কাঠের ঢেকি অনেক মূল্যবান, ধান কে সে যুগে চাল করার জন্য একমাত্র ঢেকি ব্যবহার করা হতো। ১৯৬০ এর দিকে আমাদের রঘুনাথপুর বাজারে একটা চাউলের কল বসানো হয়েছিল; তা ও লোকজন বড়ো বেশি এই কলে ধান নিয়ে যেত না। সবাই নিজেদের বাড়িতে ঢেকিতে চাল তৈরী করতো। স্কুল ছুটির পর, আমরা এই চালের কল দেখার জন্য গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম আর ভাবতাম, এ কত বড়ো আবিষ্কার।
আমাদের সে যুগে প্রতিটি গ্রাম বাজারে পালকি দেখা যেত , যত বিয়ে শাদী হত, তাতে এই পালকি ব্যবহার হতো। পালকি বহনকারী দের আমাদের এলাকায় বাছার বলা হতো, এই বাছার এক গ্রাম থেকে অন্য সে যুগে গ্রামে বরকনে পালকি দিয়ে যাতায়াত করতো। বিয়ের দিনে পালকি দেখলে আমরা ছেলেমেয়েরা বর দেখার জন্য দৌড়ে যাইতাম। বার যাত্রীরা পালকির পিছনে পিছনে হেঁটে বরের বা কনের বাড়ি যেত । অনেকে সে যুগে জুতা স্যান্ডেল ও ব্যবহার করতো না। বরের বা কনের বাড়িতে গেলে পানি, কাঠের খড়ম দেয়া হতো এবং মেহমান হাত পা ধুয়ে কাচারী ঘরে গিয়ে গোল হয়ে চাদরের উপর বসতো এবং সিনেমাটির বাসনে খাওয়া দেয়া হতো।
বর কারুকাজ করা সুতার রুমালে মুখ ঢেকে রাখতো; এ সব প্রচলন আজকাল সমাজ থেকে উঠে গেছে।
গ্রামে বিয়েবাড়িতে গীতের আসর বসতো। গ্রামের মহিলারা গায়ে হলুদ ও বিয়ে আসরে গান গেয়ে গরম করতো।
গ্রামে মসজিদ, মন্দির বা মেজবানীতে হোগলা বিছিয়ে ঢালাও সবাইকে বসানো হতো এবং মাটির থালা বা কলা পাতায় খাওয়া দেয়া হতো।
আমাদের দেশে সে যুগে এবং এ যুগে ও ঠেলাগাড়ির প্রচলন আছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, বড়ো, ছোট সব শহরেই এই ঠেলা গাড়ি পাওয়া যেত এবং পাওয়া যায় মালামাল বহন করার জন্য। কন্সট্রাকশনের এবং বাড়ি ঘরের মালামাল বহনের জন্য এই সস্তা যানবাহন সবাই ব্যবহার করে।
সে যুগে রাত জেগে আমাদের দেশে মহিলারা চিঠি লিখতো; গ্রামে বেশি লোক লেখা[পড়া জানতো না। যারা জানতো তাদের কাছে অনেকেই চিঠি লেখার জন্য যেত এবং সুন্দর করে প্রিয়জনকে ইনিয়ে বিনিয়ে চিঠি লেখা হতো। চিঠি পাঠানোর পর প্রিয়জনের কাছে থেকে প্রত্যুত্তর পাওয়ার অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে থাকতো। এক সময় চিঠির উত্তর পেয়ে কখন লুকিয়ে পড়তে চাইবে ,আবার মাবাবা বা শশুর শাশুড়ির আড়ালে চিঠি খুলে বার বার পড়ে মনে হবে যেন পড়া শেষ হয় নি। “চিঠি দিও প্রতিদিন চিঠি দিও …..”,আজকাল এই চিঠি লেখা দেশগ্রাম থেকে উঠে গেছে। তাছাড়া গ্রামের বাজারে পোস্ট অফিস আজকাল থাকলে ও অকেজো। দেশ থেকে মানি অর্ডার সিস্টেম উঠে গেছে , বিদেশ থেকে মনিগ্রামের মাধ্যমে টাকা পাঠালে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যায়।
সে যুগে আখ গ্রামে গরু দিয়ে মাড়িয়ে গুড় তৈরী করা হতো। আমি ১৯৬৪ সনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে পড়ি, থাকি মাঝিগাছা,এই গ্রাম থেকে কলেজ প্রায় দুই মাইল। এ সব এলাকায় প্রচুর আখের চাষ হতো। আমি এবং কলেজের বন্ধুরা বিকেলে নদীর পাড়ে বসে জমি থেকে আখ নিয়ে বসে বসে চিবিয়ে রস খেতাম। চাষীরা গরু দিয়ে মাড়িয়ে রস বের করে চুলায় গুড় করতো। আমরা মাঝে মধ্যে চুলা থেকে রস নিয়ে খেতাম।
গ্রামে প্রতিটি বাড়িতে বাংলা বা কাচারী ঘরে মাদ্রাসা বা স্কুলের ছাত্র রাখা হতো ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করানো জন্য। এ ছাড়া এ সব বাংলা ঘরে গ্রামের দেন দরবার, বিয়েশাদি হতো। আজকাল অনেকের বাড়িতে বাংলা ঘর দেখা যায় না। এই প্রচলন গ্রাম থেকে উঠে গেছে।
তামাক ,হুক্কা, বিড়ি সমাজ থেকে বিদায় নিয়েছে। কৃষক নিজেদের জমিতে তামাকের চাষ করতো এবং নিজেরা ঘরে তৈরী করে হুক্কাতে বা কাগজের বিড়ি তৈরী করে নিজেরা বা অতিথি আপ্যায়ন করতো। আজকাল সমাজ থেকে এ সব বিদায় নিয়েছে এবং সবার পকেটে সিগারেট দেখতে পাওয়া যায় ।যারা চাষ করতো না , বাজার থেকে তৈরী তামাক কিনে নিয়ে এসে সকাল বিকেল নারিকেলের হুক্কায় আগুন দিয়ে টেনে নেশা করতো এবং অনেকে আবার বাজার থেকে বিড়ি কিনে এনে পকেটে রেখে দিয়ে নিজে এবং বন্ধুবান্ধবকে আপ্যায়ন করাতো ।
আমার ছোটকালে গ্রামে বেড়ে উঠা যে সব ভাইবোন,বন্ধুদের সঙ্গে দিনরাত উঠাবসা, খেলাধুলা যথা হাডুডু,গোল্লাছুট,পুকুরে সাঁতার কাটা,এক সঙ্গে স্কুলে যাওয়া আসা, আম চুরি, নারিকেল চুরি, লিচু চুরি, রাত জেগে খেজুরের রসের সিন্নি খাওয়া,এ গ্রামে সে গ্রামে জারি গানের আসরে যাওয়া, বাতাসা, জিলাপির লোভে পূজা পার্বনে দল বেঁধে যাওয়া হতো; ছোটকালের একত্রে বেড়ে উঠা বন্ধুদের অনেকেই আজ আর জীবিত নেই। দু’চার জন যারাই বা জীবিত আছে, তাদের ও শারীরিক সমস্যা রয়েছে।
আমার গ্রামের সহজ সরল মানুষ;যেখানে রয়েছে একে অপরের সঙ্গে প্রাণের মিল; গ্রামের সেই মেঠো পথ ধরে হাঁটা,পুকুরের শান বাঁধানো ঘাটে বসে গল্পের আসর, ভাটিয়ালি গান গাওয়া। সেই যে শাহনাজ রহমতুল্লার বিক্ষাত গান:
“একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়ে…”
আমাদের গ্রাম বাংলার সুন্দর মনের মানুষ, যাদের মধ্যে ছিল না কোনো বিদ্বেষ, সুখে/ দুঃখে সবাই অংশ নিতো । এই গ্রামে যা কিছু ভালো মন্দ, সবাই মিলেমিশে একত্রে করতো । এই গ্রামে সে যুগে ছিল না কোন দালান, ছিল টিনের বা ছনের ঘর, রাতে মাটিতে হোগলা বিছিয়ে ঘুমিয়ে পড়তো।
আজ যুগের পরিবর্তনে মানুষের মধ্যে আগে বাড়ার প্রবণতা এসেছে এবং তার সঙ্গে অশান্ত পরিবেশের ও সৃষ্টি হয়েছে। এ আমাদের গ্রাম এবং এ গ্রামের মানুষ, আপন জন, এদের উন্নতি, গ্রামের উন্নতি এবং দেশের উন্নতি । গ্রামের উন্নতি হলে দেশের উন্নতি হবে।