রৌমারীর তিস্তার চরের মাধুরীবালা ,
বাঁধের উপর দাঁড়িয়ে
শাড়ির পাট ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আঁচল শুকায় ।
চাতক চোখে খুঁজে ফেরে,
খেয়া ঘাটে সারি সারি ঘরে ফেরা মানুষ ,
না ,,,হেমন্ত আজও ফেরেনি ।
,,,পরভাত আত্রিতে কঈল ,
বৌ রে মোক একখান পোটলা বান্ধি দেন ,
স্বাধীনতা আনবার যাঈম।
গাছি দাওখান সিঁথানে রাইখেন।
সময়টা ভালো নয়,
বেটছাওয়ারা নাকি এখন গণিমতের মাল।
শাঁখা ভেঙে খান খান ,
চরের ফুল ঝরা কাশবনে হেমন্তের ছোঁয়া লাগে,
তিস্তার চরে স্বাধীনতার পতাকা উড়ে।
আজন্ম অপেক্ষা
না,,
হেমন্ত আর ফেরেনি ।
ক্রমে ক্রমে নিস্তব্ধ হয় রজনী ।
প্রহরের বৃত্তে প্রতিনিয়ত ঘুরে অমানিশা,
জীবন জলোচ্ছ্বাসের ঢেউ ভাঙে নিয়তির সিঁড়ি ।
দিন পঞ্জিকার পাতা উল্টায়
স্মৃতির তটে বসে
সফেদ আঁচল উড়ায় মাধুরীবালা ।
স্বাধীনতা দিবস বার বার আসে ,
স্বাধীনতা ফেরে না,
হেমন্ত ফেরে না ।।।।।।।