বিগত দিনের কথা ভেবে—
নেড়ি কুকুরের চোখে এখন আর ততোটা ঔদাসীন্য নেই
তবু একটা শূণ্যতা, একটা অচেনা হাহাকার, একটা…
প্রতিদিনের মতো গতকাল ও যে লোক কয়েকটা কুকিজ দিয়েছিলো—
চোখের সামনে কারা এসে তাকে তুলে নিয়ে গেলো!?
পেটের শূণ্যতাটা আজ বড় ভোগায়!
সে কি আর আসবে না!?
ক্ষুধাটাই কি তাকে একটু পরপর টং দোকানের কাছে নিয়ে আসে?
না-কি অন্যকিছু?
তার অসহায় দৃষ্টি বারবার ঐ পথটার দিকেই যে ফিরে চায়!
ক্ষুধার সাথে শোষণের সম্পর্ক তো স্বীকৃত সত্য
তবে ভালোবাসার সাথেও কি তার কিছুটা?—
সে বোঝে না!—
পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে!
পরিবেশবাদীদের শঙ্কা!
তবে এই আকাশের তাপমাত্রায় এখনও তেমন কোন পরিবর্তন নেই!
অন্তত যতোটা সহজ একজন প্রতিবাদীর গুম হয়ে যাওয়া,
যতোটা সহজ একটি সত্যভাষী কলমের গরাদের আড়ালে কৈফিয়তহীন মৃত্যু!
যতোটা সহজ…
ততোটা সহজে চেতনার উত্তাপে ফেটে পড়ে না এই জনপদ!
তবে কি স্বৈরাচার আর শোষণই কেবল এই মাটির আবহমানকালের হিস্যা!?
কবিতার অক্ষরে এখন আর আমি কোন ভালোবাসার শব্দ উচ্চারণ করতে পারি না!
যে শাসন নেড়ি কুকুরের পাওনা মমতাটুকুকে ছিনিয়ে নেয়
ছিনিয়ে নেয় তার গ্রাস…
যে মাটিতে হত্যা আর গুমের জন্যে—
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ওঁৎ পেতে থাকে ক্ষমতালোভী মাতাল চোখ
সে মাটিতে দাঁড়িয়ে আর যা হোক, ভালোবাসার কথা হয় না!
আমাদের ভালোবাসাগুলো পুড়ে যাক
অঙ্গার হোক তপ্ত লোহার মতো
মজ্জা গুলো গলে পড়ার পূর্বে তৈরী হোক হাতিয়ার
কোন দুষিত বীর্জপাতের আস্ফালন নয়, শঠ, চাটুকার, ছদ্মবেশী দালাল নয়
আমাদের ভালোবাসাগুলো পুড়ে একেকটা স্বদেশী মানুষ হোক
একেকটা বিপ্লব হোক, একেকটা…
যদি মগজের সবটাও পুড়ে যায় যাক
ভস্মের হৃদয় থেকে জন্ম নিক একটি সবল সতেজ নূতন ফসলের বীজ!
অপমান থেকে আগুনের দূরত্ব আবিস্কার করতে
আমাদের আর-ও কতো শত বছর অপেক্ষা করতে হবে!?