করোনার কারণের ২ বছর বন্ধ থাকার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর টরন্টোর বাংলা পাড়া ডেনফোর্থের ডেন্টোনিয়া পার্কে অনুষ্ঠিত হলো ৪র্থ সম্মিলিত বাংলামেলা। খারাপ আবহাওয়ার আশঙ্খা উপেক্ষা করে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা সকল বয়েসের কানাডিয়ান বাংলাদেশীরা প্রাণ ভরে উপভোগ করেন এই মেলাকে।
আগেরদিন রাত থেকেই স্টল তৈরীর কাজ শুরু হয়। সকাল থেকে দোকানীরা শুরু করেন স্টল সাজানোর কাজ। মেলাতে প্রায় ৫০টি ষ্টল ছিল. তার মধ্যে খাবার স্টল ৬/৭টি , বাকি গুলি মূলত শাড়ী, জুয়েলারির মতো দেশি পণ্য। খাবার দোকান গুলোতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। সবাই মিলে খেতে আর খাওয়াতে ব্যাস্ত ছিল। সব দোকান গুলোতে ক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বিকেলের পর থেকেই মেলায় ভীড় বাড়তে থেকে। এক পর্যায়ে সন্ধার মাঠটি সম্পূর্ণ ভরে যায়।
বিকাল সাড়ে চারটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কামরান করিম, আবু সাঈদ নাঈম এবং মির্জা রিফাত নুয়েরিন। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন স্হানীয় শিল্পীরা, ছিল শিশু কিশোরীর নাচ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠােনর সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল সায়েরা রেজা এবং জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বাদশা বুলবুল-এর গান। সময়দের সীমাবদ্ধতার রাত সোয়া দশটার দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সমাপ্তি টানা হয়।
সর্বশেষ আকর্ষণ র্যাফেল ড্র ছিল । র্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরষ্কার ছিল স্মার্ট টিভি। পুরষ্কারটি স্পনসর করেন সারোয়ার কামাল। দ্বিতীয় পুরষ্কার ছিল ল্যাপটপ এটি স্পনসর করেন রিয়েলটর কবিরুল ইসলাম আর তৃতীয় পুরষ্কারটি স্পনসর করেন ড. হানিফ।
এবারের সম্মিলিত বাংলা মেলা আয়োজক কমিটি’র কনভেনর ছিলেন শক্তি দেব। মেলাতে দুজন বিশেষ অথিতি উপঠিত ছিলেন ,তারা হচ্ছেন ফেডারেল সরকারের লিবারেল পার্টির এমপি সালমা জাহিদ এবং স্কারবো সাউথ ওয়েস্টের এমপিপি ডলি বেগম উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও কমুনিটির বিশিষ্ট বাক্তিবর্গ। এটি ছিল বাঙালীদের একটি প্রাণের মেলা।
কথা হচ্ছিলো আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্য সাপ্তাহিক ভোরের আলোর ভোরের আলো সম্পাদক জনাব আহাদ খন্দকার এর সাথে, জানালেন আগামীতে আরো বড় পরিসরে মেলার আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করেন তারা।
ছবিতে বাংলামেলা (লিঙ্কটা ক্লিক করুন)-৪র্থ সম্মিলিত বাংলামেলা