হঠাৎ করেই কাতারের রাজধানী দোহা ভ্রমণ।
ইমিগ্রেশন অফিসার আব্দুল আল-আহাদ বেশ খোশমেজাজে আমাদেরকে স্বাগত জানালেন। তাকে দেখে মনে হলো ইমিগ্রেশন পুলিশ অফিসার না হয়ে, স্কুল শিক্ষক হলে ভাল হতো। পুলিশ মানেই ধমকাধমকি, ধমক দিতে না জানলে কিসের পুলিশ?
সহযাত্রী হিসাবে জাপানি দুই পুতুল পুতুল নারী, দুই জন ভারতীয়, তিনজন ইউরোপীয় ও চারজন কানাডিয়ান নারীপুরুষ আর আমি ভেতো বাঙালি।
ডিসকভার কাতার টুরিজমের মাইক্রবাস আমাদেরকে নিয়ে দোহা শহর ঘুরছে,সাথে গাইড চায়নীজ মেয়ে সুজুকুইন।
১২৮টি দেশের মানুষের ভিড় কাতারে।
কে বলে মুসলমানরা পারে না? মুসলমানরাও পারে, দোহা শহর দেখে আমার তাই মনে হয়েছে। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের আধুনিকতার ছোঁয়া সর্বত্র। ধর্মের সংকুচিত গন্ডিকে দূরে ঠেলে দিয়ে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম এক সুরম্য শহর। স্বকীয়তা ছাড়াও নারীপুরুষের পোষাকে এসেছে আধুনিকতা, শিক্ষার পরিধি বাড়ছে, বাড়ছে পেশাগত যোগ্যতা।
,,,আসলে আজাহারী, মনোয়ারী, দেলোয়ারী, তেঁতুলারী আর রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আমাদেরকে পেছনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, নইলে আমরাও কাতার না হলেও, মিনি কাতার হতে পারতাম।
,,, পথ চলার এক ফাঁকে ড্রাইভার আব্দুল আল আজিজকে ইংরেজিতে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমাদের দেশ তো মুসলিম দেশ, এখানে শীতকালে
ওয়াজমাহফিল হয়?
আজিজ কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললো,
হোয়াট ইজ দ্যা ওয়াজমাহফিল? ইজ ইট লাইক ওয়ান কাইন্ড অব সার্কাস শো?
,,,আমি মুচকি হেসে বললাম।
মে বি, অর মে নট বি,,,