কোনো ব্যাক্তি, ব্যাক্তিবর্গ,ব্যাবসায়ী, যারা জেনুইন ভাবে  বিদেশে  লোক পাঠান বা পাঠানোর ব্যাপারে সাহায্য করেন আমাদের ছেলেমেয়েদের, তাদের ব্যাপারে আমার কিছুই বলার নাই ।তবে যারা নিরীহ ছেলে মেয়েদের ভুল তথ্য দিয়ে বিপদ মুখি করে , তাদের অনুরোধ করি, দয়া করে   তারা  যেন  এ ধরণের ব্যবসা থেকে বিরত  থাকেন । আমার বিশেষ অনুরোধ ,” একজন বাংলাদেশি আর একজন বাংলাদেশিকে সাহায্য করুন ।”

আমার  লেখার  উদ্দেশ্য  ছেলে মেয়েদের উৎসাহ দেয়া, তারা যেন সঠিক পথে শিক্ষা ও পরিশ্রম করে তৈরী হয়ে   বিদেশে আসার চেষ্টা করে । আজকাল ইন্টারনেটের যুগ, নিজেরা চেষ্টা করলে অনেক তথ্য  বের করতে পারে । উদাহরণ স্বরূপ:  একজন লোকের পড়া শুনা আছে,কিন্তু তার যে ধরণের কাজের স্কিল বা দক্ষতা  থাকা দরকার , তা নাই । এ ক্ষেত্রে, সে যদি একটা ফলস সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে  কাগজ সাবমিট করে , সে ক্ষত্রে  কাগজ একসেপ্ট হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম । দরখাস্ত কারী  ভুল তথ্য দেয়ার জন্য তার খরচের টাকা ও যে সময় অপচয় করেছে,  ফেরত পাবে না । আবার কারো পড়া শুনা,জব স্কিল/দক্ষতা   এবং অন্যান্য সবই   ঠিক আছে ।কিন্তু ,দরখাস্ত করতে গিয়ে দরখাস্ত ফর্ম এ যদি কোনো ভুল করে,তার জন্য দরখাস্ত বাতিল হতে পারে  না ।ওটা না বুঝার জন্য ভুল হয়েছে । এ ক্ষেত্রে   কানাডা হাই কমিশন  তাকে ঠিক করে পুনরায়    এপ্লিকেশন  পাঠানোর সাধারণতঃ সুযোগ দিয়ে থাকে । ওরা সব সময় জনগণকে সাহায্য করে ।  মনে রাখবেন, কানাডা একটা বিরাট দেশ এবং সে অনুপাতে লোক সংখ্যা অনেক কম ।   এ   দেশে  সব সময় লোক দরকার আছে । কাজেই, ধৈর্য ধরে নিজের যোগ্যতা দেখে শুনে কাগজ জমা দিবেন ।  এতে নিজে  ভালো মন্দ বুঝতে পারবেন । তা ছাড়া কানাডার রুল রেগুলেশন জেনে নিবেন ,এতে আপনারা বুঝতে পারবেন  এ দেশের   নিয়ম কানুন সম্পর্কে ।

এবার অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক ।  আমার বেশি সময় ইতালিয়ান কয়েকজন বয়স্ক লোকদের সঙ্গে উঠা বসা। তার কারণ আমার প্রতিবেশি ছাড়া ও আমি একটা ইতালিয়ান একাউন্টিং অফিসে মাঝে মধ্যে কয়েক  ঘন্টা সময় কাটাই। এখানে দুই রকমের লোক আসে :বিসনেস সংক্রান্ত ও গল্প গুজব করে  সময় কাটানোর জন্য। যারা গল্প গুজব করার জন্য আসে তারা অধিকাংশ ৭৫ থেকে ৮০/৮৫ বৎসরের লোক । এরা অনেক সময় বাহির থেকে নিজেদের লাঞ্চ নিয়ে আসে । আবার কখন ও সবাই মিলে একত্রে বাহির থেকে অর্ডার দিয়ে ফুড এনে  খায়। সঙ্গে একটা ক্লাব ,যেখানে মাঝে মধ্যে খাওয়া দাওয়া  ও বসে টেলিভিশনে   ইতালির ফুটবল খেলা এনজয় করে এবং তাস খেলে।এরা সবাই কিন্তু ইম্মিগ্রেটেড,দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধের পর কেউ বা মা বাবার সঙ্গে আবার কেউ বা নিজেরা  এসেছে।   আমি ইম্মিগ্রেটেড  কথাটা অধিকাংশ সময় ব্যাবহার করি এই জন্য যে এরা একটা দেশ থেকে সর্বস্য হারিয়ে অন্য একটা  দেশে গিয়ে নুতন ভাবে শুন্য থেকে  জীবন  শুরু করে কি ভাবে এতটা উন্নতি করেছে তা দেখতে। এদের বিভিন্ন ধরণের আশ্চয্য রকম অভিজ্ঞতা। একজন বলতে ছিলো, ছোট সময় সে শিপে করে তার বাবা মার্ সঙ্গে নিউ ইয়র্ক এসেছিলো। যুদ্ধের সময় তার বাবা আফ্রীকাতে ছিল এবং সেখান থেকে আহত অবস্থায় ইতালিতে আসে এবং পরে অন্যদের সঙ্গে আমেরিকাতে চলে আসে।  এই যে এত বৎসর থেকে দেখে যাচ্ছি ,এদের মধ্যে মনোমালিন্য বা কথা কাটা কাটি কখন ও দেখি না। নাম বলতে নিষেধ থাকায় এখানে নাম দেয়া গেল না। দুইজনের সঙ্গে প্রায় গল্প করি,ওরা আতিথিয়েতা পরায়ণ।  পিজজা, ,ল্যাসাগনা,এসপ্রেসো,  কাপসিশন (lasagna,cappuccino, espresso) ও হরেক রকমের ওদের খাওয়া । এরা এতদিন থেকে এ দেশে আছে, ইতালিয়ান ফুড ও ভাষা কিন্তু একই রেখেছে।  এরা যখন একত্ৰিত হয় একটা শব্দ ও ইংলিশ বলবে না। নিজেদের ভাষাকে কি সুন্দর ধরে রেখেছে  । তা ছাড়া আর একটা ব্যাপার উপলব্দি করেছি, অনেকে ৫০/৬০ বৎসর এ দেশে আছে, দেশের (ইতালির) সঙ্গে যে নাড়ির টান ,তা ভুলতে পারেনি ।খেয়াল করি মাঝে মধ্যে এরা এখানে বসে দেশে আপন  লোকদের সঙ্গে  টেলিফোন করে খোঁজ খবর নিয়ে থাকে ।  কথা প্রসঙ্গে ওরা নিজেরা বলে ;”আমরা এই দেশে এসে অনেক কষ্ট করেছি, কলে কারখানায় যেখানে যা পেয়েছি তাই শুরু  করেছি। ” এরা অতি চমৎকার মানুষ,  তাদের অনেকের   ছেলে মেয়েরা বড়ো বড়ো শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত।

আমার এখন ও মনে পড়ে  ১৯৮৯, আমি টরন্টো একটি কোম্পানিতে  একাউন্টিং কাজের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এমপ্লয়ার  কথা প্রসঙ্গে আমাকে বলতে ছিলো,তার বাবা সাইপ্রাস, ইতালি   থেকে এ দেশে  এসেছিলো, তখন  তারা খুবই ছোট।  বাবা অনেক সময় বরফের উপর দিয়ে হাটতে গিয়ে স্লিপ কেটে পড়ে   ব্যাথা পেতো, আর বাসায় এসে চোখের পানি ফেলতো। আমি তাকে বললাম,”তোমার বাবা কষ্ট করেছিল সে জন্য, তুমি বা তোমরা ভালো আছো।”  সে আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলো ।

আমার প্রতিবেশীরা ইতালিয়ান,সামারে গার্ডেনিং  করে । কিন্তু তাদের গার্ডেনিং এর   ধরণ আর আমাদের মধ্যে অনেক তফাৎ । তাদের গার্ডেনিং টমোটো,জুকিনি, সেলারি আর কিছু ভেজিটেবল  যা তারা সালাদ হিসাবে খায় । আর আমাদের লাউ, কুমড়া, সিম, বরবটি,ডাটা,ফুই শাক,ইত্যাদি । কোনোদিন আমাদের ডাটা,লাল শাক, বরবটি দিলে ওরা নিতে চায় না । ওরা জানেনা কি ভাবে আমাদের সবজি রান্না করতে হয় ।  ওরা টমেটো গার্ডেনিং বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে,তার কারণ,পিজা,লাসাগনিয়া, পাস্তা, তাদের মূল  খাবার এবং এতে ওরা বেশি বেশি টমোটো সস ব্যবহার করে । টমেটো পাকা শুরু হলে ওরা সস বানানো এবং স্টোর   (preserve)  করা শুরু করে সারা বৎসরের জন্য ।

এ দেশে পৃথিবীর সব দেশের লোক এবং তাদের ফুড ও সংস্কৃতি ধরে রেখেছে । শহরে এবং গ্রামের সর্বত্র  তাদের  দেখা যায় ।  রেস্টুরেন্ট বা কাজের যায়গায়,  কেউ হাত দিয়ে, কেউ চামচ দিয়ে, আবার কেউ ফর্ক ব্যবহার করে খাওয়া খায় । বিভিন্ন দেশের লোকের খাদ্যের ধরণ ও টেস্ট  ভিন্ন রকম।ছেলে মেয়েরা উইকেন্ডে সব দেশের রেস্তরাঁতে গিয়ে তাদের পছন্দের খাওয়া সিলেক্ট করে বন্ধুদের নিয়ে এনজয় করে। তবে ইতালিয়ান পিজ্জা ছেলে মেয়েদের খুব পছন্দ।লাঞ্চে কোনো অফিস বা ফ্যাক্টরিতে ঢুকলে অবাক হয়ে দেখবে বিভিন্ন দেশি লোক বিভিন্ন ধরণের ফুড যেমন: ইন্ডিয়ান মেইনলি রুটি আর সবজি,বাংলাদেশি ভাত,সবজি অথবা মাছ ,মাংস ,আফ্রিকান তাদের ট্রাডিশনাল ফুড খাচ্ছে ।  তা ছাড়া আর একটি মজার ব্যাপার এই যে তারা বসবে নিজেদের লোকের সঙ্গে, নিজেদের ভাষায় কথা বলবে এবং নিজেদের খাবার শেয়ার করবে ।

অনেক সুযোগ সুবিধার জন্য বহু দেশ থেকে লোকজন কানাডা আসতে ইচ্ছুক।সিরিয়ার যুদ্ধ বিদ্ধস্থ  দেশ থেকে   মানবাতার খাতিরে প্রায় এক লক্ষ যুদ্ধে আপনজন হারানো  রিফুজী কানাডিয়ান সরকার গত কয়েক বৎসর ইমিগ্রেশন দিয়ে এনে আশ্রয় দিয়েছে । এ সব রেফুজিদের অনেক প্রাইভেটলি স্পন্সরড, প্রাইভেট অর্গানিজশন, মিউনিসিপালিটি এবং বিভিন্ন টেরিটোরাল স্পনসর দিয়ে এনেছে ।

আমাদের বাসার আসে পাশের হোটেল গুলিতে ও এখনো অনেক রয়েছে । এদের সরকারি সমাজ  কল্যান কর্মীরা দেখা শুনা করে, প্রয়োজনে তাদের সিকোলোজিক্যাল এসেসমেন্ট করে,যাদের ট্রিটমেন্ট দরকার, করানো হয়   এবং বাকিদের  ট্রেনিং দিয়ে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছে  । তাদের অনেকেই সরকারি হাউসিং সেটেলমেন্ট দিয়েছে এবং  তাদের ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে পাঠিয়েছে ।  পৃথিবীর সর্ব রকম সমস্যায় ,কানাডা সরকার মানবতার কাজে সর্বাগ্রে এগিয়ে যায় । কানাডা একটা  সেবক দেশ হিসাবে পৃথিবীতে পরিচিত ।

১)  স্কিল ডেভেলপমেন্ট এবং সোশ্যাল হেল্প: রেফিউজি, ইমিগ্র্যান্ট, সিঙ্গেল মায়েরা  যাদের আর্থিক অভাব রয়েছে, তাদেরকে সরকার আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে । সিঙ্গেল মায়েদের বা নাউলী ইম্মিগ্রান্টদের  ছেলে মেয়েদের ডে কেয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে । এখানকার পরিবেশ লোকজনকে আপনা থেকে কিছু শিখি এই মনোবল বাড়িয়ে দিয়ে থাকে । একজন আর একজনকে দেখে  আপনা আপনি নিজেকে এগিয়ে নেয়ার প্রবণতা(ইন্সেন্টিভ)  পায়  ।
২) ফ্রি মেডিকেল ফ্যাসিলিটিজ: এখানে জনগণের জন্য (কিছু বিশেষ ক্ষেএ ছাড়া) ফ্রি মেডিকেল ট্রিটমেন্ট ফ্যাসিলিটিজ  রয়েছে ।  বিশেষতঃ  যারা সিনিয়র সিটিজেন, অক্ষম ,বৃদ্ধ,নিম্ন আয়ের লোক,সাধারণতঃ ফ্রি বা সামান্য ফী দিয়ে ঔষধ পেয়ে থাকে । রোগীদের  অসুস্থ বা হাসপাতাল সব খরচ সরকার বহন করে ।
৩) শিক্ষা ব্যাবস্থার সুযোগ: এখানে সব ছাত্র/ছাত্রী এবং ইম্মিগ্রেটেড   লোক লোন নিয়ে পড়াশুনা করার সুযোগ পায় ।  চাকুরী না পাওয়া পয্যন্ত বা অবস্থা বুঝে (উপযুক্ত প্রমান সাপেক্ষে) ৫ বৎসর লোন পে করতে হয় না । আবার অবস্থা বুঝে লোণের কিছু পরিমান মাফ করে ও নিতে পারে ।
৪) IT সেক্টর রেপিড গ্রোথ: ইয়ং ছেলে মেয়েরা যারা IT নিয়ে পড়া শুনা করে ইমিগ্রেশন নিয়ে আসে এবং পড়া শুনা করতে চায়, তাদের জন্য অনেক সুবিধা রয়েছে ।  এ দেশ IT অনেক অ্যাডভান্সড ।  আমাদের অনেক এনার্জেটিক ইয়ং ছেলে মেয়েরা দেশ থেকে বিভিন্ন লাইনে  পড়া শুনা করে এ দেশে আসে, প্রয়োজনে পরিবর্তন করে IT বা  অন্য লাইন নিয়ে পড়া শুনা করে জব মার্কেটে  বেশ সুবিধা করে ।
৫) লো ক্রাইম : এখানে চুরি/ডাকাতি, ঘুষ,প্রতারণা,হয়রানি,ক্রিমিনাল একটিভিটিস  অনেক কম ।  মানুষের মধ্যে “পাইলাম না, খাইলাম না, ওর  আছে, আমার নাই, এই প্রবণতা নাই বললেই চলে । ” যার যা আছে,তাই নিয়ে আনন্দিত,কেউ কারো সঙ্গে তুলনা   করে না ।  এখানে মানুষের লিভিং স্ট্যান্ডার্ড অনেক হাই,অপরাধ প্রবণতা অনেক কম ।
৬) ন্যাচারাল রিসোর্সেস: এ দেশে মিনারেল ও ন্যাচারাল সেক্টরে অনেক স্কীলড লেবার দরকার ।    যারা দেশকে অনেক এগিয়ে নিতে  পারে, সে ধরণের মোটিভেটেড লোক সব সময় এ দেশে উৎসাহ দিয়ে থাকে   ।
৭)    হসপিটালিটি ইন্ডাস্ট্রি: ট্যুরিজম এখানকার একটা বড়ো ইনকাম সোর্স যা দেশের ইকোনোমিকে অনেক  এগিয়ে দিয়েছে ।   এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অনেক  বিদেশি সৌন্দয্য লাভারকে আকর্ষণ করে ।   কানাডার নায়াগারা ওয়াটার ফলস পৃথিবী বিখ্যাত যা অনেক ভ্রমণকারীকে আকর্ষণ করে ।  যারা সৌন্দর্য ভালো বাসে, তারা সাধারনতঃ দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ায় ।   স্টুডেন্টস,টিচার্স এবং সিনিয়র অবসর সময় বিভিন্ন দেশ,সমুদ্র(cruise )  ভ্রমণ,করে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে ও তাদের ইন্টারেষ্টিং ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে অনেকে বই লিখে ।

৮) ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রিস রেপিডলী গ্রউয়িং: এখানকার প্রোডাকশন কোয়ালিটি অনেক ভালো এবং যার সুনাম পৃথিবী ব্যাপী রয়েছে. তাছাড়া এ দেশের ইকোনমি অনেক স্ট্যাবল যে জন্য পৃথিবীর অনেক ইনভেষ্টর   এ দেশে ইনভেস্ট করতে আসে ।  অনেক দেশের ধনী লোকেরা এখানে ইনভেস্ট করে , তাদের ছেলে মেয়েদের এ দেশে সেটলড করে ।  এ দেশ পৃথিবীর কোনো দেশের সঙ্গে বৈরী ভাব নাই । সবাই কানাডার পলিসি পছন্দ করে ।
৯) ইমিগ্রেশন laws  অত্যন্ত সহজ: এখানকার ইমিগ্রেশন পলিসি  অত্যন্ত সহজ যে জন্য সবাই এ দেশে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করে ।  রেসিডেন্সি পাওয়ার পর তিন থেকে চার বৎসর থাকার পর প্রতিটি নাগরিক অতি সহজে নাগরিকত্ব  পেয়ে  থাকে ।  একজন নাগরিক,নাগরিকত্ব পাওয়ার পর এ দেশের ফেডারেল,প্রভিন্সিয়াল এবং মিউনিসিপাল ইলেকশন পার্টিসিপেশন  করার  যোগ্যতা অর্জন করে ।
১০) কানাডার নাগরিক আমেরিকায় কাজ করার সুযোগ পায়, তবে তাকে অবশ্যই কাজ করার জন্য আমেরিকার  কাজের ভিসা নিতে হবে। দুই দেশের  মধ্যে সৌহার্দ্য পূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে যার ফলে এখানে অনেক মার্কিন নাগরিক এ দেশে বিভিন্ন ফিল্ডে এবং এখানকার বহু এক্সপার্ট আমেরিকাতে কাজ করে।দুই দেশের মধ্যে ট্যাক্স  ট্রিটি, ফ্রি ট্রেড (NAFTA )  রয়েছে যার ফলে উভয় দেশ ব্যাবসার ক্ষেত্রে  সুবিধা পাচ্ছে ।
11) কানাডা একটা ইমিগ্র্যান্ট কান্ট্রি: সবার ভাষা,খাবার, ও সংস্কৃতি   ধরে রাখার সুযোগ রয়েছে ।  এখানকার সরকার যার যা কমিউনিটি একটিভিটিস উৎসাহ দিয়ে থাকে ।
১২) বেতন স্কেল অনেক ভালো: যে জন্য এখানে অনেকে  আসতে আগ্রহ প্রকাশ করে ।অনেকে স্কিল ডেভেলপ করে বেশি বেতনে চাকুরী পরিবর্তন করে।
১৩) এখানে নিউ ফাউন্ডল্যান্ড, প্রিন্স এডওয়ার্ড আইল্যান্ড , নর্থ ওয়েস্ট টেরিটোরিয়াল, নুনাভাট  , য়ুকোণ টেরিটোরিয়াস(yukon territories)লোক   বসতি অনেক কম। এ সব এরিয়া ঠান্ডার জন্য লোক বসতি কম,তবে সরকারি সুযোগ সুবিধা বেশি এবং খনিজ সম্পদে ভরপুর ।
এটা একটা শান্তিপূর্ণ দেশ এখানে কোনো এন্টি ইমিগ্র্যান্ট  পলিটিকাল পার্টি নাই, কারণ সবাই বাহিরের লোক, যার যেই কাজ করে, যার যার ধর্ম সে সে করে, কোনো কিছুতেই জবর দস্তি নাই ।
১৪) হাউসিং ফ্যাসিলিটিজ: যাদের অবস্থা ভালো,ব্যাঙ্ক থেকে মর্টগেজ(লোন) নিয়ে এপার্টমেন্ট বা বাড়ি খরিদ করতে পারে ।   নাউলী ইমিগ্র্যান্ট,নিম্ন আয়ের লোকদের জন্য সরকারি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে ।  প্রতিটি  কমিউনিটিতে লাইব্রেরি, ট্রেনিং  ফ্যাসিলিটিজ আছে যা  নাউলী ইম্মিগ্রান্টদের সাহায্য ও সহযোগিতা করে থাকে ।
১৫) প্রতিটি প্রভিন্স তাদের নিজস্য রুল রেগুলেশন রয়েছে, যারা ক্যুবেক থাকতে চায় তাদের জন্য ফ্রেঞ্চ শিক্ষা দরকার ।কারণ ক্যুবেক একমাত্র প্রভিন্স যেখানে ফ্রেঞ্চ ভাষা  ভাসি লোক ৭৭% এবং লোকজন তাদের ভাষায় কথা বলে ।  তা ছাড়া সারা দেশের সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ ফ্রেঞ্চ ।  ফ্রেঞ্চ জানা লোকদের কাজে সুযোগ বেশি ।

এ দেশের এডুকেশন অত্যন্ত সুপেরিয়র ক্যাটেগরির ।আমাদের নুতন জেনারেশন নিজেকে তৈরী করে ইমিগ্রেশন নিয়ে এ দেশে এসে এর অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। এখানকার সুযোগ আমাদের ছেলে মেয়েরা উপভোগ করবে,এই আসা করে শেষ করছি। Good luck.

পূর্ববর্তী নিবন্ধBGGT- র “মাঠ দিবস”
পরবর্তী নিবন্ধজীবনের খেরোখাতাঃ এলোমেলো পংক্তিমালা -পর্ব ১৭
নজরুল ইসলাম
নজরুল ইসলাম - জন্ম:- ১৯৪৮ সাল । এনায়েতপুর, কচুয়া, চাঁদপুর, বাংলাদেশ। শিক্ষা:- এম, কম ( ব্যাবস্থাপনা ), ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এম, এ (অর্থনীতি ) জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি। চাকুরী জীবন:-ইসলামাবাদ, পাকিস্তান,বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া,আমেরিকা ও কানাডা। বর্তমানে :- অবসর জীবন- কানাডাতে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত বই:-আমার সংগ্রামী জীবন,সাদা ঘোড়া,জীবন চক্র,শুচিতা ও জীবনের মুখোমুখি।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন