এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, যেখানে তথ্যের ছড়াছড়ি এবং মূহর্তের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আর এক প্রান্তে, বলতে গেলে বিনা পয়সায় কথা বলা যায় সেই যুগে বসেও দেশের অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা অসম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে এখানে এসে বিপদে পড়ছেন। আমি সাম্প্রতিক দেশে গিয়ে এমন কয়েকটি ঘটনা শুনতে পাই এবং এখানে এসেও অপেক্ষাকৃত নতুন আশা ২/১ জন ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে একই ঘটনা জানতে পারি।
যেমন জাস্ট একটি উদাহরণ দেই, একটি ছেলে এসেছে, উনি যেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসেছেন তারা উনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে উনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে শুরু করে ভিসা পাওয়া পর্যন্ত সাহায্য ঠিকই করছেন কিন্তু উনার এক সেমিস্টারে যে টাকা লাগবে সেই টাকা আগে জমা দিতে বলেছেন এবং বাকি এক সেমিস্টারের টাকা সাথে করে নিয়ে আসতে বলেছেন। ব্যাস, কিন্তু তার বাকি ৩ বছরের আরো ৩০ লক্ষাধিক টাকার মতো লাগবে, সে বেপারে কিছু বলেন নি। এবং শুধু মাত্র খণ্ডকালীন কাজ করে যে এই পাহাড় সমান টাকা ম্যানেজ করে ডিগ্রী শেষ করা অসম্ভব সেটাও তারা তাকে বলেন নি, তাছাড়া কানাডার সব শহরে যে কাজ পাওয়াও সহজ না এবং বিদেশী ছত্রছত্রীদের জন্য যে কোনো স্কলারশিপ একেবারে সীমিত এবং সেটি সম্পূর্ণ খরচ বহন করে না এগুলি পরিষ্কার ভাবে বলেন নি, বা সেই ছেলেটি এইগুলি ভালো করে খোঁজ খবর নিয়েও আসেনি। এখন সে এখানে খুব বিপদে আছে।
আমার পরিসংখ্যানটি হয়তোবা পুরা চিত্র না, অর্থাৎ anecdotal হতে পারে, কিন্তু আমার কথা হলো একজন ছাত্রেরও কেন এই অবস্থা হবে। যাহোক এই বেপারে দেশে থাকা অবস্থায় আমার বাংলাদেশের আইন কানুন এর সাথে কথপোকথনের কিছু অংশ নিচে দেওয়া হলো। আপনাদের এখানে পড়তে আশা ছাত্রছাত্রীদের কাছে এটি পৌঁছে দিলে তারা আরও একটু সচেতন হয়ে আসতে পারবে এবং অনাকাঙ্খিত বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না।
U – Tube এ গিয়ে নিচের লিংকটি কপি করে টাস্কবারে পেস্ট এ করলে ক্লিপটি দেখতে পারবেন।