খোশ মেজাজি মনে সব কিছু কেমন ওলট পালট লাগে। এমন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপে সাজঁতেও মন চায় অনাদ্রিতার। আরো আরো কিছু জিনিস মন চায় যা সে কাউকে বলতেও পারে না আবার এক অব্যক্ত ইচ্ছা তার মনকে বিচলিত করে তোলে। মনের অজানা কথা ইচ্ছা আজ অবধি কাউকে বলার সাহস পায়নি। পাল্টা জবাব শক্ত হওয়ার ভেবে।
অয়নকেও বলা হয়নি। অয়ন জানলে কি হবে? কিভাবে এটা দেখবে, হয়ত দুচারটে কথা শুনিয়ে দিবে সব মিলায়।
কি হলো আজ তোমার? শরীর কি খারাপ?? আমারতো অফিসের সময় হয়ে যাচ্ছে। আমি গেললাম সাওয়ারটা সেরে নেই। —( অয়ন)
হুম যাও। আমি নাস্তা আর দুপুরের খাবার গুছিয়ে দিচ্ছি। —(অনাদ্রিতা)
বয়সের আর একাডেমিক পার্থক্য এ দুজনের মাঝে এক আকাশপাতাল ব্যবধান। যা শুধু দুজনই উপলদ্ধি করতে পারে। বাইরের সমাজ, পরিজন, বন্ধু সবাই দেখে দুজনই সুখি দম্পতি।
একটা একঘেয়েমি জীবন। দুজনের প্রতি শুধু কিছু কমিটমেন্ট। দক্ষিণ মেরু আর উত্তর মেরু। ভালো লাগা, পছন্দ, শখ, চলন- বলন সব কিছু। কিন্তু কিভাবে বছরের পর বছর এটা চালিয়ে যাবে।
আমি আসছি। – ( অয়ন) —
অনাদ্রিতা শুধু চলে যাওয়ার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলো। কারন সে এই মামুষটাকে খুব ভালোবেসে ফেলছে।
চলবে ******