ধুসর পাহাড়, নীল আকাশ, দিগন্ত বিস্তৃত নীল জলরাশি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপূর্ব লীলাভূমি । এখানে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে আপন মনে ঘুমিয়ে থাকে শান্ত নীলাভ জলের সমুদ্র । সীমানার ওপারে নীল আকাশ মিতালী করে নীল জলের সাথে, চুমু খায় পাহাড়ের বুকে। এখানে চলে পাহাড় পর্বত আর নীল আকাশের এক অপূর্ব মিলনমেলা যেন চারপাশ আঁকা কোন জল রঙের অন্তহীন ছবি। কোথায়ও মরুভূমির বুক চিরে ,কোথায়ও পাহাড় কেটে, আবার কোথায়ও সমুদ্রের গা ধরে একে বেঁকে বানানো সুন্দর প্রশস্ত রাস্তা।

মজার তথ্য : বাংলাদেশের দ্বিগুন আয়তনের এই দেশটিতে জনসংখ্যা মাত্র ৪০ লাখ। ওমানে বহু বিদেশীর বাস। প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করে যা সংখ্যার দিক দিয়ে প্রথম , দ্বিতীয় পজিশনে ইন্ডিয়া। ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য বিশেষ ভর্তি কোটা রাখা আছে, কারণ ছেলেরা শিক্ষায় মেয়েদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে। গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর প্রত্যেক ওমানি ছাত্র/ছাত্রী সরকারি ভাবে বাড়ি বরাদ্ধ পায়।

মাস্কাটের লোকজনও অত্যন্ত বিনয়ী ও অতিথিপরায়ণ। মাস্কাট এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে যাচ্ছি, ট্যাক্সি চালক প্রথমেই আমাকে ওমানে স্বাগতম বলে অভ্যর্থনা জানালেন। আমার আসতে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা এসব খোঁজ খবর নিলেন এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক প্রশংসা করলেন। তাদের অর্থনীতিতে বাংলাদেশের মানুষের অনেক অবদান রয়েছে এবং বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী। বলে রাখি এখানে সব ট্যাক্সি চালকই ওমানি এবং বেশ ধনী। তাদের অতিথিপরায়ণতার আরো প্রমান পেয়েছি ওমানটেল অফিসে কাজ করতে যেয়ে। প্রায় প্রত্যেক ওমানি তাদের ডেস্কের সামনে তাদের সুলতানের ছবি টাঙিয়ে রাখেন। তারা তাদের সুলতানকে অনেক শ্রদ্ধা করেন।

পাহাড়ে ঘেরা খুব শান্ত , নিরিবিলি এই শহরে ঘুরতে ঘুরতে স্নিগ্ধতায় ভরে যাবে আপন মন। অন্য বড় শহরগুলোর মত ততটা ব্যস্ত নয়, স্নিগ্ধ মনোরম পরিবেশ। তিনদিনের অফিসিয়াল কাজ আর দুইদিনের ঘোরাঘুরির প্লান নিয়ে মাস্কাটে আসা, এরপর বন্ধুর সাথে মাস্কাট শহর চষে বেড়ানো। রোমাঞ্চভরা এই সৌন্দর্যের বর্ণনা হয় না।আমার বন্ধুটি মাস্কাট শহরেই থাকে এবং রাস্তা অলিগলি সব চেনা। দুইদিন ননষ্টপ ড্রাইভিং করে আমাকে মাস্কাট শহর ঘুরে দেখিয়েছে। কৃতজ্ঞতা বন্ধু কাছে ! ভ্রমনের স্মৃতি বহুকাল স্মরণে থাকবে …….


দু-পাশে ছুটন্ত ঘোড়ার মূর্তিদার , উঁচু নিচু পাহাড়ি প্রশস্ত রাস্তা ! in Muscat, Oman

 

 

আমি যায়নি জলে, ভাসিনি নীলে, রাখিনি চোখ ডানা মেলা গাঙচিলে…….. . — at Bar Al Jissah Resort Hotel.

 

 

 

 

পাহাড়ের মাঝদিয়ে চলে গিয়েছে আঁকা-বাঁস্তা।
শত শত বাঁক পেরিয়ে আমাদের গাড়ি ছুটে চলছে গন্তব্যের দিকে .
in Muscat, Oman.

 

 

 

 

 

 

আকাশ ছুঁয়েছে সাগরকে, মেঘ ছুঁয়েছে পাহাড় আর পাহাড় নেমেছে সাগরে। in Muscat, Oman.

 

 

 

 

সুনীল আকাশ আর সাগরের নীলজল একাকার হয়ে আরও বর্ণিল করে তুলেছে এখানকার পরিবেশ।— at Barr Al Jissah, Shangri La Resorts.

 

 

 

 

 

দেখে মনে হবে শুটিং স্পর্ট জন্য বানানো শহর। এটাকে বলে বাঙালী পাড়া। প্রচুর বাংলাদেশী এখানে বসবাস করে। — in Muscat, Oman.

 

 

 

 

 

পাহাড়ের উপর থেকে পাখির চোখে মাস্কাট শহরের একাংশ।— in Muscat, Oman.

 

 

 

 

ওহ, আমার লাল-সবুজ। দেশের বাইরে লাল-সবুজের পতাকা দেখলেই মনটা কেমন যেন করে উঠে। — at Bangladesh Embassy.

 

 

 

 

 

সুলতান প্যালেস , ওমানের প্রধানকে বলা হয় সুলতান। তার এধরণের প্যালেস অনেকগুলো আছে . — at Al Alam Palace.

 

 

 

 

 

দূরে প্রমোদ তরী ভাসছে। প্রচুর পর্যটক আসেন মুত্তাহ কর্নিশে। — at Muttrah Corniche, Muscat Oman.

 

 

 

 

ডানের চাচা এই খেজুর বাগান দেখাশুনা করেন এবং শীত মৌসুমে খেজুর বাগানে মধ্যে সবজির চাষাবাদ করেন। সবজির টাকা বাগানের মালিক কে দিতে হয় না। খুব লাজুক হেসে বলছে, মামা সবজি বিক্রি করে দেশে দোতলা বাড়ি বানিয়েছি। শীতের তিনমাসে তার প্রতিদিন ইনকাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। — in Muscat, Oman.

 

 

 

 

ওমানটেল অফিস। ওমানের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি। কয়েকদিনের কাজে এখানেই এসেছিলাম। — in Muscat, Oman.

 

 

 

 

 

সেদিন বৃষ্টি ছিল ,বছরের প্রথম বৃষ্টি। বৃষ্টি দেখে আমার ওমানি ট্যাক্সি চালক চরম আনন্দিত, পারলে এখনই বৃষ্টিতে নেমে পরে। — in Muscat, Oman.

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন