baba1

টরন্টো থেকে:-

পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর শব্দ ‘মা’ । সন্তানের জন্য মায়ের ভালবাসা ও  মায়ের প্রতি সন্তানের  যে ভালবাসা তা নিয়ে আমাদের সমাজে কোনো মতবিরোধ নেই। মায়ের আদর যত্ন মানব জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা। তাই জীবিত অবস্থায় মায়ের সেবা যত্ন করা ও মৃত্যুর পরে তার জন্য দোয়া করা আমাদের সকলের কর্তব্য।

মাকে নিয়ে সারা বিশ্ব সাহিত্যে অনেক কাব্য কবিতা নাটক সিনেমা  নিবন্ধ উপন্যাস  রচিত হয়েছে। এখন প্রতিদিন সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট  ফেস বুক ওপেন করলেও মাকে নিয়ে কোনো না কোনো স্টেটাস বা মন্তব্য চোখে পড়ে।

মাকে নিয়ে যত লেখা তার সিকি ভাগ লেখাও বাবা কে নিয়ে লেখা হয়নি। আমার মনে হয় মার মত বাবাও আমাদের জীবনে অনেক গুরুতপূর্ণ একজন। সন্তানের জীবনে মা বাবা উভয়েরই প্রভাব পড়ে। তাই মার মত বাবার প্রতিও সন্তানদের যথাযথ সম্মান ও ভালবাসা থাকা উচিত। আমার এক পরিচিত বন্ধু তার এক লেখায় বাবাকে নিয়ে যেভাবে লেখা  উপস্থাপন করেছেন তাতে আমার হৃদয় ছুয়ে গেছে।

সন্তানদের  ভবিষৎ নির্মান ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য বাবারা নিরবে কাজ করে যান। মার কাছ থেকে যে স্নেহ মমতা সন্তানরা পায় তা সব সময়েই আমাদের দৃষ্টিতে দৃশমান কিন্তু অনেক সময় আড়াল থেকেই বাবা তার সন্তানদের ভালোমন্দ অবলোকন করেন এবং প্রয়োজনে তার সন্তানদের সঠিক পথ বাতলে দেন।  এ জন্য আমার মনে হয় আমাদের সংসার জীবনে বাবা হলো একটি ইনস্টিটিউশন। সংসারে বাবার ভুমিকা ও ত্যাগ স্বীকার সম্পর্কে আমার ঐ বন্ধু তার নিবন্ধে লিখেছেন :-baba

 

সংসারে বাবার ভুমিকা সম্পর্কেআমার বন্ধুর এ উপলদ্ধির সাথে আমিও একমত। মার কাছে সন্তানের শিক্ষা জীবন শুরু হয় জন্মের পর থেকেই। তাই সকল মায়েদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন বাবা সম্পর্কে সন্তানদের  সঠিক শিক্ষা দেন।

 

 

3 মন্তব্য

  1. মনির ভাই, আপনার সাথে একমত আমি. নিজের বাবাকেই দেখি অনেকটা অভিবেক্তিহীন (Expressionless) হলেও সন্তানের জন্য সর্বস্স উজাড় করে দিতে কোন দ্বিধা নেই. অবশ্য এটা ও নিঃসংকুচে বলতে হবে যে মায়ের তুলনা মা নিজেই. ব্যতিক্রমধর্মী, সুন্দর লেখার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ.

  2. ধন্যবাদ আপনাকেও হাসান ভাই। আমার লেখার উদ্দেশ্য হলো আমাদের সন্তানদের এটা সম্মন্ধে ধারণা দেয়া যে সংসার জীবনে মা বাবা উভয়ের গুরুত্ব বা অবদান সমান। আবারও ধন্যবাদ !!

  3. পৃথিবী আদি থেকে পিতৃতান্ত্রিক সমাজ হওয়ার কারণে যখন তথাকথিত আধুনিকতার দিকে আগাস্ছিল তখন মা বা নারীদের উপর একটু বেশি লেখালেখি সহানুভুতি দেখানো হযেছে , এবং এর কারণ ও আছে; বিশেষভাবে আমাদের সমাজে এই পিতৃতান্ত্রিকতার দোহাইতে কিছু কিছু পুরুষ অনেক অমানবিক কাজ করে থাকেন তাই বোধ হয় আমাদের কবি লেখক বা সুশীল সমাজ মা সমন্ধে একটু বেশি সজাগ, কিন্তু এই বেশি সজাগের কারণে বাবার অবদান একেবারে ভুলতেই বসে। আসলে বাবা মা দুজনেরই সমান অবদান সন্তানদের জন্য। আমার বিগত ৮/৯ বছর কর্ম জীবনে অনেক অনেক দুস্থ এবং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হযেছে এবং কাজ করতে গিয়ে সব সময়েই ওদের কেস হিস্ট্রি সম্মন্ধে জানতে হয়। এ পর্যন্ত আমার দেখা মতে যে সমস্ত ছেলেমেএরা single mother বা single father পরিবার থেকে এসেছে তাদের অধিকাংশেরই মানসিক সমসা এবং ড্রাগ থেকে শুরু করে অনেক সমসা থাকে। তাই যদি মার অবদানই বেশি থাকত তাহলে single mother এর পিতৃহীন পরিবারের সন্তান মানুষ করতে কোনো অসুবিধা হত না, একই কথা মাতৃহীন পরিবারের ক্ষেত্রেও । অবস্য single mother বা father পরিবার যে কিছুই করতে পারছে না তা ঠিক না , বেতিক্রম আছে এবং এধরনের অনেক পরিবার দৃষ্টান্তমূলক ভাবে সন্তান মানুষ করছেন। আমি ফিনল্যাণ্ড এবং কানাডার ২/৩ প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছি এবং বিশেষ করে ২টি বিশয়ের উপর সব জাগাতেই প্রশংসিত হোএছি এবং awardও পেএছি, এ দুটি বিশয় হোলো Organization এবং Social Justice . আর আমার মা বাবার অসংখ অবদানের সাথে এই Organization এর জন্য আমি আমার মার কাছে এবং Social Justice এর জন্য আমি আমার বাবার কাছে ১০০% বেশি ঋণী। খুঁজে দেখুন আপনারা সবাই কিছু না কিছু অতি মূল্যবান জিনিস তাদের দুজনার কাছ থেকেই পেএছেন, তাই আসুন আমরা সবাই মা এবং বাবা দুজনকেই তাদের অবদানের কথা শিকার করি এবং তাদেরকে প্রাপ্য সম্মান দেই।
    এখানে এটা অন্তত ভালো যে father’s এবং mother’s day দুইটাই আছে।
    একটি interesting বিশয়, আমরা যেমন আমাদের জন্ম ভূমিকে মাতৃভূমি বা motherland বলি , ফিনিশরা বলে পিতৃভূমি বা fatherland .
    জানিনা হয়তো আরো অন্য কোনো দেশেও এভাবে বলে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন