আর মাত্র কয়েক মিনিট পরে টরন্টোতে ২১সে ফেব্রুয়ারী। ইংরেজি সালে যেহেতু সমস্ত কিছু চলে এবং সবাই ইংরেজি সালকেই ধরে কাজকর্ম করে তাই ইংরেজি মাসেই আমরা বাংলা ভাষার আন্দোলনকে স্মরণ করি। তবে ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা যেন অনেকের কাছে শুধু এই একটি মাত্র দিনের জন্য। তাছাড়া ৫২ সাল থেকে এপর্যন্ত অনেক অনেক ২১ গেছে কিন্তু এই ভাষাটিকে এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে যথাযথ প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। বরং ইদানিং দেখা যায় বিনা কারণে আমরা আমাদের ভাষার মধ্যে অন্য ভাষা ঢুকিয়ে গোজামিল করে ফেলি অথচ এই আবার কেউ গোজামিলকেই কেউ কেউ ফ্যাশন বা তথাকথিত স্মার্টনেস মনে করেন।
আবার অনেকে আছেন রেগে গেলে বাংলা ভাষা ভুলে যান, যদিও এই ভাষার পরিবর্তে যে ভাষাটি ব্যবহার করেন সেটিও ভালো করে বলতে পারেন না। আর বর্তমানে এক গ্রূপ আছে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, যারা বাংলা বলতে গেলে এতো কোতাকুতি শুরু করেন যেন তারা ১০দিন ধরে কোষ্টকাঠিন্যে ভুগছেন। অনেক বিদেশী আছেন যারা সবেমাত্র বাংলা শিখেছেন তারাও বাংলা বলতে গেলে এমন কোতাকুতি করেন না। আর এগুলি এখন কিছু কিছু জাতীয় পর্যায়ের গণমাধ্যমের সঞ্চালকের মুখেও শোনা যায়, দুঃখজনক।
অবশ্যই কিছু কিছু শব্দ আছে যেগুলি ইংরেজি বা অন্য ভাষাতেই বলা স্বাচ্ছন্দের ব্যাপার, কিন্তু আমি যাদের কথা বলছি তারা খুবই সাধারণ শব্দগুলিকেও বাংলায় বেবহার করতে চান না। আর কোনো এক কারণে আমরা এসব গিলে ফেলছি।
আমাদের বাংলা ভাষাটি এতো সুন্দর, কিন্তু এর প্রতি শুধু মাত্র ২১সে ফেব্রুয়ারী ছাড়া অন্যদিনগুলিতে যদি যত্নবান না হই তাহলে এটাকে সুষ্ঠভাবে কতদিন ধরে রাখা যাবে সন্দেহ তাই আজকে এই ২১এর প্রহরে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার প্রতি মাগফেরাত কামনা করে এবং যারা আমাদের এই সুন্দর মাতৃ ভাষাটির কল্যানে অক্লান্ত চেষ্টা করে জাসছেন তাদেরকে প্রতি সমম্মান জানিয়ে শেষ করছি।
সবাই ভালো থাকবেন।
মুকুল