একলা ঘরে নিঝুম পাড়ায় বিচরণ করে মন
স্মৃতিরা সব ধেয়ে এসে করে জ্বালাতন।
চুপটি করে বিভোর হয়ে বসি রোমন্থনে
হঠাৎ এক মাতাল হাওয়ায় কাঁপায় শিহরণে।
কল্পলোকে জাগায় পুলক ধূসর মরু বুকে
মোহাচ্ছন্ন কপট হাসি ছড়ায় বিষন্ন মুখে।
পাকা পিরিত কাঁচা হয়ে জোয়ান ভূতে ধরে
শুকনো বাগে গজিয়ে তরু গোলাপ টগর ঝরে।
জ্যোৎস্না রাতে কলোতানে সাজায় বাসর গহীন বনে
খুশীর স্রোতে হ্রদয় ভাসে ইচ্ছা জাগরণে।
সুখ যেন এক বসন্তের হাওয়া মানে না নিয়ম-রীতি
সুযোগ বুঝেই হ্রদয়ে জাগায়,
এক নিদারুণ অনুভূতি।
দ্বন্ধ-দ্বিধায় দুলে ওঠে মুর্ছা যায় তন
উচ্ছলতায় কম্পিত হয় অভিলাষী মন।
ফুল বাগিচায় ভ্রমর খ্যালে, চুষে খায় মৌ
দ্বগ্ধ দেহ শীতল করে প্রেম সুনামীর ঢেউ।
চমক ভাঙ্গে মেঘের ডাকে রাতের আকাশ ঘিরে
বিরহী কুহু দ্যাখে চেয়ে একা শয্যায় নীড়ে।
শরমে তার বারি ঝরে রাঙা আঁখীর কোণে
ক্ষণিক রতন যতন করে রাখে সংগোপনে।
জানলো না কেউ, দেখলো না কেউ
মধুর ব্যথার যখম
বদ্ধ হয়ে স্মৃতির পাতায়
থাকবে চির জনম।

সমাপ্ত
যুথিকা বড়ুয়া – টরোন্ট প্রবাসী গল্পকার, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী।
[email protected]

2 মন্তব্য

  1. দারুণ ভাবনার রং মিশিয়ে অনন্য কাব্যিক অনুভূতি প্রকাশ হে সুপ্রিয়।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন