…আমরা মানুষ। প্রথমত এটাই আমাদের পরিচয়।
দ্বীত্বিয়ত কে কোন ধর্ম নিয়ে জন্ম গ্রহন করলাম।আমারা যখন মায়ের গর্ভে থাকি তখন কি কেউ বলতে পারবো? আমি বা আপনি কোন ধর্মের? আমার বা আপনার মা কোন ধর্মের অনুসারী। আমরা কেউ জানি না। জন্ম হবার পর মা আর বাবাকে ধীরে ধীরে চিনতে সক্ষম হই আমরা। তারও অনেক পর ধর্মের ব্যাপারটা আসে। এই পৃথীবিতে হাজারো মানুষের ভীড়ে এক এক জন এক এক ধর্মের। ইসলাম ধর্ম বাদে সব ধর্মের মানুষের কাছে তাদের স্রষ্টা প্রকাশ্যমান।
যাইহোক, কিন্তু সব ধর্মমতেই নিদিষ্ট করা আছে আত্মহত্যা মহা পাপ।।।

আত্মহত্যা কি? What’s suicide?
– আত্মহত্যা বা আত্মহনন,,, “English এ Suicide ” হচ্ছে একজন নারী বা পুরুষ ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়া বা স্বেচ্ছায় নিজের প্রাণনাশের প্রক্রিয়া বিশেষ।
এবার আসি মূল তথ্যে, ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে। যার অর্থ হচ্ছে স্ব-ইচ্ছায় নিজের জীবনকে জলান্জলী বা প্রাণনাশ করা।

যখন কেউ আত্মহত্যা করে তখন মানুষজন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে। ডাক্তাররা আত্মহত্যার চেষ্টা করাকে মানসিক সমস্যার উপসর্গ বলে বিবেচনা করে।ইতিমধ্যেই বিশ্বের অনেক দেশেই আত্মহত্যার প্রচেষ্টাকে এক ধরনের অপরাধ বলে ঘোষণা করেছে।
আর ধর্মেতো আছেই আত্মহত্যা মহা পাপ আখ্যায়িত করা।
যিনি নিজে জীবন প্রাণ বিনাশ করে তিনি আত্মঘাতক,বা আত্মঘাতিনী রুপে সমাজে পরিচিতি লাভ করেন।

আত্মহত্যা মানুষ কেন করে?
শুধুই কি ব্যার্থতার দরুন নাকি অন্য কিছু ???
জীবনে যখন ব্যার্থতায় গ্রাস করে তখন কিছু মানুষ তার ব্যার্থতার গ্লানি আর সইতে না পেরে এই পথ বেঁচে নেয়।
আর কিছু আছে ছাগল প্রেমে ব্যার্থ হয়ে আত্মহত্যা করে।
পারিবারিক কলহ এর মধ্যে ভূমিকা পালন করে।
আর কিছু আছে মানসিক যারা কথায় কথায় বলে আমি আত্মহত্যা করবো।
এরা সত্যি সত্যি জীবনে শেষ প্রান্তে আত্মহত্যাকেই বেছে নেয়।
কথায় আছে, একই কথা মনের গভীরে ধারন করতে করতে এম সময় সেই কাজেই লিপ্ত হয়।
আত্মহত্যা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। পথভ্রষ্ট হয়েই শয়তানের ফাঁদে পড়ে নিজেকে বিসর্জন দেয়া।

আত্মহত্যা- অনেকেই অনেক ভাবেই করে।
ঝুলে করার প্রবনতা সেই আদিমকাল থেকে। সেটা গাছের মগডালে হতে পারে। আম,জাম, বট, বাশঁ, মোটকথা যে গাছের ডাল মট করে ভেঙে যাবার সম্ভবনা নাই তাকেই বেছে নেয়।
ফ্যানে শাড়ি বা ওড়না ইত্যাদি।
ইদানিং ঘুমের ঔষধ, কিটনাশক, এটা ওটা খেয়ে চেষ্টা চালায় অনেকে।
আবার কিছু আছে যারা স্ব- ইচ্ছায় আকস্মিকভাবে ১৩০ স্পিড গাড়ির সামনে হাইওয়েতে দাড়িয়ে পড়ে।

হতাশা সবার জীবনেই কম বেশি আছে। সত্যিকার অর্থে যারা ভীরু, কাপুরুষ এবং মানসিক ভারসাম্যহীন তারাই এমন কাজ করে। সবার জীবনে সব আশা পূরন হয় না। কিন্তু যুদ্ধে নেমে যুদ্ধের মাঠে যুদ্ধজয় করতে না পারার দরুন সর্বক্ষেত্রে পরাজিত হওয়া।
আমি এতদিন ধরে চিন্তা করার পর এটাই বুজেছি, যার মনোবল বলে কিছু নাই তারাই এ পথের যাত্রী। আর যারা ভীতু মনের কোণে সীল দিয়ে জমাট রাখে যে এটা মহা পাপ। মৃত্যুর পর সৃষ্টিকর্তা তোমায় গ্রহন করবে না প্রত্যাহার করবে, তোমায় ধীক্কার জানাবে, তোমার স্থান হবে জাহান্নাম নামক কষ্টের কারখানায় সে এমন করতে পারে না।
প্রতিকার বা প্রতিহত করা যায়। একজন মানুষই তার নিজের শাষক। মনুষ্য বোধ আর বিবেক বিবেচনার ক্ষমতা যার কিন্চিত পরিমান থাকে সে এ পথে পা বাড়ায় না। যত হতাশাই তাকে গ্রাস করুক।

তাই……

জীবনটা মধুর না। মধুর করে নিতে হয়। চাইলেই হয়, চাইতে হয় মন থেকে। আমি বা আপনি আমাদের যে জিনিসটা পবিত্র আত্মায় নিবিষ্ট করে তা মন থেকে চাইলে বিপথে যাবার রোধ সম্ভব।
তবে আমি নিজে বিশ্বাসী কোন নারী যদি তার নিজের আত্মসম্ভ্রম রক্ষার্থে রক্ত মাংসপিন্ড উপভোগ করা নরপিশাচদের হাত থেকে রক্ষার জন্য কাউকে খুন বা নিজেই নিজের প্রাণনাশ করে। সেটা আত্ম হত্যা নয়।

আমি চেষ্টা করেছি আমার ভাষায় মানুষকে বুঝানোর। কতটুকু সফল আমি জানি না।
শুধু এটুকু বলবো আসছি একা যাবোও একা। সেই যাওয়াটা সুস্পষ্ট শান্তির হলে ক্ষতি কি ??? হতাশাকে যদি জয়ই না করতে পারলে তাহলে সৃষ্টিকর্তা এর কাছেই বা কি জবাবদিহি দেবেন।

মৃত্যু অনিবার্য। তাহলে কেন এই ভুল পথ???
ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী।

লেখার সময় :—দুপুর ১২:৫০
চিন্তা :— বহু গভীর।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন