বিয়ে করে যে মেয়েটি নতুন সংসার করবার লক্ষ্যে খুশি খুশি মুখে শ্বশুরগৃহ প্রবেশ করে সে জানে না তার স্বামী নামের পুরুষটি কেমন। আর পুরুষটিও জানে না মেয়েটির চরিত্র কেমন। হাতে গোনা বা আজকাল কিছু মেয়ের কর্মের লক্ষ্যে মেয়েদের খারাপ বলতে বধ্য হচ্ছি কিন্তু আবারও বলছি মেয়ে খুনি খুব কমই আছে।
যৌতুক বা পণের জন্য যে মেয়েটিকে খুন করা হয় তার কি দোষ আছে বলতে পারেন ?
সে তো কিছু স্বপ্ন নিয়েই সংসার করতে এসেছিল।
স্বামী নামক লোভী মুখোশধারী মানুষরূপীর হাতে তার জীবনটা শেষ করতে হয়। তবে হ্যা এখানে বেশির ভাগ দেখা যায় শ্বশুরবাড়ির শ্বশুরকুল এর শ্বাশুড়ী নামক মায়ের ভূমিকাও কম নয় খুনের ক্ষেত্রে।
খুন করে হয়ত তাকে গাছে ঝুলিয়ে প্রমান করার নেশায় আকৃষ্ট থাকে যে সে খুন হয়নি আত্মহত্যা করেছে।
এটা কে শারীরিক খুন হিসাবেই প্রমানিত হয়। এর কি বিচার?
হয়তো জেল। হয়তো মৃত্যুদণ্ড। আর টাকার জোড় থাকলে তার কিছুই হয় না।
মাঝে থেকে মেয়েটি খুন হয় সাথে পরিবারটিও খুন হয় মানসিক ভাবে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক,,,,,
একটি মেয়ে ভালোবেসে বিয়ে করে একটি ছেলেকে। ভালোভাবেই জীবনযাপন করতে থাকে। বছরও যেতে থাকে। একদিন হঠাৎ তার স্বামীর আচরন তাকে স্বন্দেহ লাগে। সে আফিস থেকে দেরিতে আসে। তাকে সময় দেয় না। কার সাথে ফোনআলাপে ব্যাস্ত্য থাকে। সে নিজে দূরে দূরে থাকে। স্বামী নামের পুরুষটি চায় মেয়েটি যেন তার মায়ের কাছে বাপের বাড়ি থাকে। মেয়েটি তার স্বামী বা ঐ ভালোবাসার মানুষটিকে এতটাই বিশ্বাস করত যে সে যা বলত বোকার মত বিশ্বাস করত যা এই যুগের মেয়েরা করে না।একদিন তাকে তার স্বামীর অফিস কলিগ ফোন করে জানায় যে তার স্বামী অন্য কারো সাথে আছে। সে বিশ্বাস করে না। কিন্তু পরে তার মোবাইল পরীক্ষা করে অনেক তথ্য পায় যা তার জন্য এবং ঐ স্বামী নামক মুখোশধারী খুনি শ্বাবস্ত করা সহজ হয়।
এটাকে খুনি বলছি কারন মানসিকভাবে মেয়েটিকে খুন করে। মেয়েটির পরিবার ও খুন হয়।
শারীরিক খুনের বিচার হয় কিন্তু মানুসিক খুনের বিচার হয় না।
আর এমন খুন আজকাল অহরহ ঘটছে। যার কোন শেষ নাই। সমাধান নাই।
আজকাল এই মানসিক খুনের খেলায় মেয়েরাও রয়েছে। তবে এই খেলায় নিয়োজিত পুরুষ এবং মহিলার সংখ্যা ইদানিং বেড়েছে বৈকি কম নয়।।।।।
৩য় খন্ড এ পর্যন্তই……………