To provide the best experiences, we use technologies like cookies to store and/or access device information. Consenting to these technologies will allow us to process data such as browsing behavior or unique IDs on this site. Not consenting or withdrawing consent, may adversely affect certain features and functions.
The technical storage or access is strictly necessary for the legitimate purpose of enabling the use of a specific service explicitly requested by the subscriber or user, or for the sole purpose of carrying out the transmission of a communication over an electronic communications network.
The technical storage or access is necessary for the legitimate purpose of storing preferences that are not requested by the subscriber or user.
The technical storage or access that is used exclusively for statistical purposes.
The technical storage or access that is used exclusively for anonymous statistical purposes. Without a subpoena, voluntary compliance on the part of your Internet Service Provider, or additional records from a third party, information stored or retrieved for this purpose alone cannot usually be used to identify you.
The technical storage or access is required to create user profiles to send advertising, or to track the user on a website or across several websites for similar marketing purposes.
আমি কিন্তু ভিডিও টি দেখে মোটেই আশ্চর্য হয়নি। কারণ বাংলাদেশের ছেলেমেয়েদের এভাবে মুখস্ত করে ভালো রেজাল্ট করতে অনেক দেখেছি। এমনকি আমার সাবেক কর্মক্ষেত্রের অনেক সহকর্মী যারা এখন সরকারী উচ্চ আসীন তাদের মধ্যেও ইংরাজী বলা নিয়ে প্রচুর দৈন্যতা দেখেছি আর মনে মনে হেসেছি। *bad*
It’s resourceful!
আমিও খুব একটা অবাক হইনি video টি দেখে, কারণ এটি বর্তমানে বাংলাদেশে তো আছেই, বরং দখ্হীন এশিয়ার অন্নাও দেশের বা এমনকি আমেরিকান্দের মধ্যেও আছে। আমি অনকে বারই অনেক কানাডিয়ান রিপোর্টারকে অনেক আমেরিনাকে কানাডা সমন্ধে কিছু কমন প্রশ্ন জিগ্গেস করতে দেখেছি এবং তার সঠিক উত্তর মেলেনি, যেমন কানাডার রাজধানী কোথায়, তারা জানে না, আবার অনেক আমেরিকানদের ধারণা কানাডিয়ানরা এখনো ইগলুতে বসবাস করে। তবে পার্থক্যটা এই যে ঐসব আমেরিকানরা সবাইই GPA ৫ হোল্ডার না। আবার যেমন কানাডাতে ২০ বছর আছেন কিন্তু কানাডাতে কতটা প্রদেশ তা বলতে পারবেন না। আর ইংরেজীর বেপারে আসলে শুধু GPA ধারী নই , বহু মাস্টার ডিগ্রী ধারী লোকের ইংরেজী শুনলে শরীরের লোম খাড়া হোএ যাবে, তবে বর্তমানে কিছু নতুন generation এর ছেলে মেয় আছে তারা অনকে সুন্দর ইংরেজি জানে। আমাদের দেশে শুধু অর্থের দিক দিয়েই inequality নেই , আছে এই পড়াশুনার ক্ষেত্রেও, আর তার ফলই এই অবস্থা, কেউ কেউ খুব ভালো শিক্ছেন আবার কেউ কেউ শুধু কাগজ কলমে শিক্ছেন, যেমন পাসপোর্টে কানাডিয়ান আর truly কানাডিয়ান।
আমাদের অফিসে চাকরির ইন্টারভিউ এর সময় আমাদের দেশের এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশেরও অনেকে একটি simple প্রশ্নের উত্তর দিতে হিমশিম খান, যেমন ” তুমি কে, তোমার সমন্ধে কিছু বলো” . পিএইচডি হোল্ডার থেকে শুরু করে দেশের অনেক বড় সরকারী ভূতপূর্ব কর্মকর্তার এই অবস্থা দেখেছি।
আমার ধারণা ওই ছেলেমেএগুলিকে যদি FB সমন্ধে কিছু প্রশ্ন করা হত তাহলে প্রশ্নের আগেই উত্তর বলে দিতো। যে বিশয় নিয়ে তাদের প্রশ্ন করা হযেছে তার জন্য GPA ৫ বা কোনো উচ্চ শিক্ষার দরকার হয় না, একটু চোখ কান খোলা রাখলে,অন্তত দিনে একবার খবর শুনলে এবং ভালো কিছু সঙ্গ থাকলেই চলবে। আমাদের GPA ৫ ছিল না তবে high school এ থাকা সমই বাবার মুখে Scotland Yard আর বঙ্গ ভঙ্গ থেকে শুরু করে স্বাধীনতার কথা শুনেছি, হয় খাবার টবিলে বা গ্রিষের সন্ধায় বাসার উঠানে পাটি পেড়ে বসে মা , ভাই বোন্ সবাই মিলে গল্প করার সময়।
আমি প্রাইমারি ইস্কুলে থাকার সময়ে এই ব্লগের মিস্টার হাফিজ এবং তার বন্ধু মিস্টার মনিরের কাছ থেকে কিভাবে খবরের কাগজ প্রথম পাতা থেকে মধ্যের পাতায় খবর পড়তে হয় তা শেখা থেকে শুরু করে বিশ বিখ্যাত প্রবন্ধ ” The Sea Wolf” বা মাসুদ রানার “থাই পুযম দাতাকু হাইএতের” মত চরিত্রের সাথে পরিচিত হোএছি । উল্লেখ আমি GPA ৫ স্ট্যান্ডার্ড গ্রেডের ছিলাম না এবং আমার বাবাও একজন সাধারণ সরকারী কর্ম কর্তা ছিলেন।
আসলে versatile বা চৌকস শিক্ষার ভারটা শুধু কর্তিপক্ষ বা শিক্ষকের নয়, এটার জন্য বাবা মা থেকে শুরু করে গোটা সমাজেরই।
ছোটো একটা গল্প দিয়ে শেষ করি। একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানেরর শিক্ষক আরেফিন সারের পিছে পোস্ট অফিস এর লাইনে দাড়িয়ে আছি , হটাত এক তথাকথিত স্মার্ট যুবক এসে ” ,Excuse me, Excuse me ” বলে ওনাকে ঠেলে লাইন ভেঙ্গে সামনে যেতে লাগলো, সার তখন বললেন ভাই যে দেশের ভাষাটা বেবহার করলেন আচরণ টা কি তেমন করলেন। কথাটি মনে ধরলেও ভালো করে বুঝতে পেরেছিলাম অনকে বছর পরে যখন Finlandএ পড়াশুনা করতে যাই। আমার কারণে ধাক্কা লেগে এক শিক্ষকের হাত থেকে বই পড়ে গেলেও আমি সরি বলার আগেই উনি সরি বোলে বসলেন, সদ্য বাংলাদেশ থেকে যাওয়া তাই আমার সরিটা টা একটু কসছোপ গতির ছিল।
যাহোক পোস্টটি দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
জামান ভাই, বিষয়টা এখানেই। প্রশগুলি এমন কিছু কড়া ছিলো না। আবার এই ছেলেগুলা-ই বাংলাদেশের সব ছেলে না, সবাইকে রিপ্রেজেন্টও করে না। তবে পরিস্থিতিটা এলারমিং। গত বছরে একুশে বইমেলায় এরকম একটা নিউজ ক্লিপ ছিলো, যেখানেও কাছাকাছি দৃশ্য দেখেছি।
সমস্যাটা আমাদের মানসিকতা নিয়ে, আমরা ছেলেমেয়েদের চাপে রাখতে রাখতে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি সেটা আসলেই ভাবনার বিষয় হয়ে পড়ছে। এসএসসি পাশ করা একটা ছেলে নিজের দেশ বিষয়ে বেসিক কয়েকটা জিনিষই জানে না এটা অভিভাবকদের ব্যার্থতা। আর ওদের কল্পিত একটা শিক্ষা মানের দিকে এক্সট্রিম ভাবে তাড়িয়ে নেবার প্রাকটিসটাও মানতে পারছি না। আর এই পরিস্থিতিটা হয়েছে অনেক বছর ধরে, একবারে না।
বিগত কয়েক বছরেই দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম পাশ মার্ক পাচ্ছেনা এইসব সর্বোচ্চ গ্রেডধারী সেলিব্রেটি স্টুডেন্টরা – এটা সরাসরি বলে দেয় আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থার দৈন্যদশা। অভিভাবকেরা যতদিন সচেতন না হবেন ততদিন ক্লাসে টিচাররা এমনই গোঁজামিল দেবেন, কারন ক্লাসে সব পড়ালে তাদের কোচিং ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
এইসব মিলিয়েই এটা শেয়ার করা। তবে এই রিপোর্ট আরেকটা বিষয়ও রিপ্রেজেন্ট করে, বাংলাদেশী সাংবাদিকতার মানের ক্রমশঃ নিম্নগতির নমুনা।
অফটপিক: আপনি চমৎকার লেখেন, আরেকটু রেগুলার আপনার লেখা পেলে ভালো লাগবে।