১
শৈশবের হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির কিছু কিছু আজ ও মনে পড়ে ।কেমন হতো যদি সে সময়ের (১৯৫৫-১৯৬৫ ) দিন গুলিতে আবার ফিরে যাওয়া যেতো ? পৌষের শীতের সকালে উঠানে আগুনের চারিদিকে গোলাকার হয়ে বসে খেজুরের রসের শিন্নি,মুড়ি ও পিঠা খাওয়া, মাঠে গোল্লাছুট ও ফুটবল খেলা, বৈশাখের ঝড়ে আম কুড়ানো,সোনা ঝরা সন্ধ্যায় পাড়া বেড়ানো, পাট খেতে লুকোচুরি খেলা,আর ও কত কি ? সে সব ভাবতে কতই না ভালো লাগে। আমার নিকট কোনো উপাত্ত নেই,তবে সে সময় গ্রামে ৯৫% লোকের বাংলা অক্ষর জ্ঞান ছিল না। তাতে কি ? মানুষ অল্পতেই সুখী ছিল।
মনে পড়ে ১৯৫৮ সনে জেনারেল আয়ুব খান ক্ষমতায় এসেই গ্রামে কচুরিপানা,ঝোপজঙ্গল পরিষ্কার,তৎসঙ্গে বয়স্কদের শিক্ষার জন্য এক বিশেষ ধরণের বই (ছবির সাহায্যে )চালু করেছিলেন। গ্রামে বয়স্ক লোকদের রীতিমতো রাতের ঘুম নিষিদ্ধ হলো ;একদিকে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেয়া,অপর দিকে বই পড়ে জ্ঞানলাভ করা , যা দাদা বা চাচাদের পড়তে দেখেছি,আমাদের মতো ছোট ছোট ছেলেরা পড়ানোর জন্য ব্যর্থ চেষ্টা করেছি। এ ছাড়া উর্দু ভাষা স্কুলে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছিলেন যা পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র-জনতার চাপে বন্ধ করতে বাধ্য হয়। আমাদের গ্রামেগঞ্জে সে সময় অনেকেই চিঠি পড়া এবং তার জবাব দেয়ার লোক খুঁজে বের করতে হতো । তাছাড়া জমি বেচাকেনার দলিল পড়ার লোক পাওয়া দুস্কর ছিল।
সে সময় গ্রাম বাংলার কেমন পরিবেশ ছিল যা ইতিহাস থেকে আমরা কিছুটা ধারণা নিতে পারি। সন্ধ্যা হলেই গ্রামে নির্জন অন্ধকার,মাটির বা কেরোসিনের বাতি (চেরাগ ), অথবা হারিকেন ব্যবহার করতো। গ্রামে গঞ্জের বয়স্ক পুরুষ সে সময় লুঙ্গি, হিন্দুরা ধুতি বা অনেকে নেংটি ও পড়তে দেখেছি, অধিকাংশ লোকই খালি গায়ে থাকতো। গ্রামে অন্ধকার, নির্জন,মনে হতো এই বুঝি জ্বিন-ভুত আক্রমণ করবে; তাছাড়া মানুষ এ সবে বিশ্বাস ও করতো।বাড়ির আনাচে-কানাচে ঝোপজঙ্গল ,সাপের ভয়ে মানুষ রাতে হাতে টর্চ, হারিকেন বা বাতি ছাড়া ঘর থেকে বের হতো না। সন্ধ্যা হলে রাতের খাওয়া শেষ করে বাতি (চেরাগ ) নিবিয়ে শুয়ে পড়তো এবং সুখে নিদ্রা যেত। মানুষের চাওয়া বা পাওয়ার তেমন কোনো চিন্তা ছিল না। জমি থেকে ধান,রবিশস্য যা উৎপাদন হতো তা দিয়ে খাওয়া এবং পাট বিক্রি করে প্রয়োজনীয় সংসারের কেনাকাটা করা হতো। পড়াশুনা করতে হবে, বিদেশে যেতে হবে, এই ধরণের চিন্তা ছিল না ; তাছাড়া বিদেশ বলতে ঢাকা শহরকে মনে করতো, হাজার হাজার মাইল কারো কল্পনায় ছিল না। এইতো ১৯৯০ এর কথা ,আমি কানাডা থেকে দেশে গিয়েছি ,একজন আমাকে প্রশ্ন করে “তুমি কি মক্কা থেকেও দূরে থাকো ? ”
৫৭ কি ৫৮ টি নদী বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে,তাছাড়া অসংখ্য শাখা নদী ও খাল সর্বত্র রয়েছে; বৎসরের ৫- ৬ মাস অতি বৃষ্টির দরুন পানি আর পানি,সর্বত্রই পানি,অনেক সময় বন্যা ও দেখা দিয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের ছোটকাল থেকে দেখে আসছি এ দেশে পানীয় জলের বা পানির অভাব। পুকুরে মাছ ধরা, গোছল করা , কাপড় ও নোংরা কাঁথা ধোয়া,গরু-ছাগল গোছল এবং এই পুকুরের পানি দিয়ে রান্না খাওয়া ও হয়। আমার মনে পড়ে চৈত্র -বৈশাখে আমরা কলস কাঁদে করে গান্দার আন্দি (দীঘি) থেকে খাবার পানি এনে পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করতাম। যদি ও আজকাল দেশে সর্বত্র টিউবয়েল বসানো হয়েছে , পানি আর্সেনিক মুক্ত নয় এবং পানের অযোগ্য। সে যুগে প্রায় প্রতি বৎসরই গ্রামে কলেরা, বসন্ত মহামারী আকারে দেখা দিতো। মানুষের অন্ধ বিশ্বাস, কলেরা এবং বসন্ত ভগবান বা আল্লাহর দেয়া গজবি রোগ, তাবিজ, পানি পড়া, মাটি পড়া, লতাপাতা দিয়ে এই রোগের চিকিৎসা হতো । গ্রামে ডাক্তারি চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা ছিল না, দেশগ্রামের হাতুড়ে কবিরাজ লতাপাতা দিয়ে তৈরী বনাজী চিকিৎসা করানো হতো। দেখতে দেখতে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তো , রাত হলে ঘর থেকে কেউ ভয়ে বের হতো না।
২
মাইলের পর মাইল হেটে গেলে হয়তো একটি স্কুল খুঁজে পাওয়া যেত । তবে কয়েকটি গ্রাম মিলিয়ে একটি মাদ্রাসা পাওয়া যেত : কোরানিয়া ,কওমি ও আলিয়া মাদ্রাসা – ও সব প্রতিষ্ঠানের ছেলেরা (তালেব আলেম ) বাড়ি বাড়ি থেকে ছেলেমেয়েদের কোরান ও নামাজ শিক্ষা দিতো।
প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়া শেষ করার পর দূর-দূরান্তরে কারও বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করতে পারলে হয়তো স্কুলে ভর্তি হতো,নতুবা পড়াশুনা বন্ধ করে জমিতে কাজ করতো। তাছাড়া মেয়েদের দূর-দূরান্তরে স্কুলে ভর্তি হয়ে পড়াশুনা করা সম্ভব হতো না। ফলে ওরা বাড়িতে নামাজ রোজা মা,দাদি-নানীদের নিকট সেলাই ও রান্নার কাজ শিখে বাল্য বিবাহের জন্য তৈরী হতো – এটাই সে যুগের নিয়ম ছিল।
ঊনবিংশ শতাব্দীর কোনো এক সময় তদানীন্তন (ব্রিটিশ ভারত) পূর্ব বাংলার কচুয়া থানার এক পল্লীর পাড়াগাঁয়ে আশেক আলী খানের জন্ম। আশেক আলী খানকে এই নিরক্ষর সমাজে কে বা কাহারা পড়াশুনা করার অনুপ্রেরণা দিয়েছিলো, তা জানি না। দামাল, উদ্যম, সাহসী ছেলে,নিয়মিত স্কুলে যেত এবং শিক্ষকদের সু-দৃষ্টিতে পড়ে, সম্ভবতঃ স্কুলে অনুপ্রেরণা পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চাঁদপুর লজিং থেকে পড়াশুনা করে । সামান্য জমির উপর নির্ভরশীল বাবা,গ্রামে শিক্ষার বৈরী পরিবেশ, একশ্রেণীর লোকের চোখে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাবার মতো অবস্থা; ” ইংরেজি শিক্ষা মুসলমানের জন্য হারাম ,এ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে নামাজ রোজা করবে না। ” স্কুলের বেতন ও পরীক্ষার ফী দেয়ার সামর্থ নেই। কিন্তু তাঁকে পড়াশুনা করতেই হবে – ব্রিটিশ আমলে চাঁদপুরের প্রথম কাতারের গ্রাজুয়েট এই সে আশেক আলী খান ; তাঁকে দেখার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতো।
গোলবাহার একটি অজোপাড়াগ্রাম; এ গ্রামের একজন কৃষকের ছেলে; কি ভাবে পড়াশুনা করেছিলেন, সে সম্পর্কে জানার খুবই আগ্রহ রয়েছে। অনেকের মুখে মুখে শুনেছি, আশেক আলী খান যখন পড়াশুনা করতেন,অনেকেই তাঁর বাবাকে কু-পরামর্শ দিতেন “তোমার ছেলে ইংরেজি পড়লে, মুসলমান থাকবে না,সে প্যান্ট পড়বে, দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করবে,তোমাকে জাহান্নামে নেবে এবং বাবা হিসাবে মর্যাদা দেবে না, ইত্যাদি,ইত্যাদি । ” কিন্তু আমরা আশেক আলী খান সাহেবকে একজন খাঁটি মুসলমান হিসাবে দেখেছি। সাদা পাজামা, পাঞ্জাবি ও মাথায় টুপি দিয়ে চলাফেরা করতেন। তিনি যে কোনো লোককে দেখলেই নিজ থেকে আগে সালাম দিতেন। দেখতে খুবই সু-পুরুষ ছিলেন, ছেলেমেয়েদের দেখলেই পড়াশুনার তাগিদ দিতেন। তিনি জীবনে অনেক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন দরবেশগঞ্জ,রঘুনাথপুর, গুলবাহার,নারায়ণপুর হাই স্কুল, গ্রাম থেকে ছেলেমেয়েদের ডেকে স্কুলে নিয়ে যাইতেন।
অনেকের মতে আশেক আলী খান একজন স্কুল ইন্সপেক্টর হিসাবে সরকারি চাকুরী করতেন এবং চাকুরী থেকে অবসর নেয়ার পর নিজের এলাকায় কয়েকটি স্কুল স্থাপন করেন। নিজের বাড়ি সংলগ্ন নিচু জলাভূমিতে দূর থেকে মাটি এনে গুলবাহার হাই স্কুল প্রতিষ্টা করেন এবং একটি কলেজ করার স্বপ্ন দেখেছিলেন ; তাঁর সুযোগ্য সন্তান ডক্টর মহিউদ্দিন খান আলমগীর এই স্কুল সংলগ্ন মাঠে কলেজ ও টেকনিকাল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে বাবার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন । আশেক আলী খানের বাড়িতে ছোট ছোট তিনটি টিনের ঘর ছিল ,সামনে খোলা মাঠ এবং একটা ছোট্ট আম গাছ যার নিচে বসে মর্নিং নিউজ (ইংলিশ) পত্রিকা পড়তেন, পাশেই লোকজনের হাঁটার রাস্তা, লোকজনের কুশল সংবাদ নিতেন। ভালো খাবার পছন্দ করতেন ; অনেকেই বলতে শুনেছি ,সরকারি পেনশনের টাকা পাওয়া মাত্র খরচ করে ফেলে অভাবে পড়তেন।স্ত্রীর মৃত্যুর পর উনি একাকী জীবন,স্কুল ও গ্রামের পরিবেশ নিয়ে থাকতেন।
একদিনের গঠনা,আমি ঐদিক দিয়ে যাচ্ছিলাম, উনি ওই ছোট্ট আম গাছের নিচে বসে পত্রিকা পড়ছেন। আমি সালাম দিয়ে ওনার কুশলাদি জানতে দাঁড়িয়েছি , অনেক কথা বলার পর আমাকে বললেন ” জুনু সিএসপি (CSP ) অফিসার হয়েছে এবং বর্তমানে পাকিস্তানে নৌশেরার এসডিও ( SDO )।” একজন বাবার হাঁসিমাখা চেহেরার দিকে তাকিয়ে আছি; ছেলের উন্নতি দেখে কতখানি আনন্দ পেতে পারে, তাই উপলব্দি করলাম। আজ যখন নিজের ছেলেমেয়ের ভালো কিছু করে , নিজেও বাবা হিসাবে আনন্দিত হই। অনেক কথা বলার পর আমাকে বললেন ” তোমার বাবাকে গাই (গাভী) কিনে দেবে এবং দুধ খাওয়াবে। ” আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে তাকিয়ে থাকলাম আর ভাবলাম ” এ একজন ফেরেস্তা তুল্য মানুষ, যার অক্লান্ত পরিশ্রমে তাঁর নিজের ছেলেমেয়ে এবং এলাকার হাজার হাজার ছেলেমেয়ে শিক্ষার আলো দেখেছে । ১৯৭৪ সনে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনে ওর ছেলে মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বাসায় সর্বশেষ দেখতে গিয়েছিলাম।
আশেক আলী খান সাহেবের চার ছেলে :
ক) মেসবাহউদ্দিন খান -যার ছেলে ডক্টর মুনতাসির মামুন। মেসবাহউদ্দিন খান কচুয়া উপজেলা থেকে ১৯৯১ সনে জনগণের ভোটে এমপি নিয়োগ পান ।
খ) ডক্টর বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লিখক ও গবেষক ।
গ) ডক্টর মহিউদ্দিন খান আলমগীর (CSP ), অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ।
ঘ) ডক্টর এস. কে. আরেফিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লিখক ও গবেষক ।
ডক্টর মহিউদ্দিন খান আলমগীরকে কচুয়া উপজেলার রূপকার বলা হয়। তাঁর আমলে এই উপজেলায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার লাভ করে। কচুয়া একটা অনুন্নত উপজেলা ছিল, যেখানে পূর্বে কোনো যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হয় নি। কচুয়া থেকে সড়ক পথে ঢাকা যেতে হলে সে যুগে সুদূর কুমিল্লা হয়ে বাসে ৬-৭ ঘন্টা লেগে যেত । আজকাল যানবাহনের উন্নতি হওয়ায় দুই ঘন্টায় ঢাকা পৌঁছে যাওয়া যায় । মহিউদ্দিন খান আলমগীর (জুনু) বেঁচে থাকা অবস্থায় বা তাঁর অবর্তমানে ও এ উপজেলার জনগণ তাঁর অবদান স্বরণ করবে।
৩
কচুয়ার উপজেলার প্রতিটি গ্রামের সঙ্গে রয়েছে আমার নাড়ির টান। আমাদের (এনায়েতপুর )এই ছোট্টো গ্রামের কোনো না কোনো পরিবারের সঙ্গে অপরাপর গ্রামের রয়েছে আত্মীয়তার বন্ধন এবং সেই সূত্র ধরে আমরা ছোটকালে পায়ে হেঁটে বা বর্ষায় নৌকা নিয়ে আত্মীয় বা বন্ধু বাড়ি বেড়াতে যাইতাম এবং গ্রামের কত রকমের পিঠা, ভিন্ন স্বাধের খাওয়া দাওয়া উপভোগ করেছি – এ সব বলে শেষ করা যাবে না।
এই উপজেলাতে অনেক মাদ্রাসা রয়েছে তন্মধ্যে (১৭০৭-১৭১২ ) খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহের শাসনামলে, তৎকালীন স্থানীয় গভর্নর বখতিয়ার ইবনে ইলিয়াস খান উজানিয়ায় একটি মসজিদ ও কারী ইব্রাহিম মাদ্রাসা নির্মাণ করেন যা আজও প্রমান হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। একজন ওয়ালী নেয়ামত শাহ লোকদের মধ্যে ধর্ম প্রচার করার জন্য আগমন করেন এবং অনেক ধর্মপ্রাণ লোক তাঁর নিকট ধর্মীয় তালিম নিতেন। এই উপজেলায় আর ও অনেক স্মৃতি -হিন্দু মনসা মুড়া (লক্ষিন্দর স্মৃতি ) সাচার রথ , মেহরণ রথ ; পালাখাল,দোঘর , গুলবাহার,পাথৈর, দেবীপুর পুরানো জমিদারদের স্মৃতি রয়েছে।
আমাদের সে যুগে পড়াশুনার জন্য বহুদূর যেতে হতো ; আজকাল এই উপজেলায় বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান – পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট , আশেক আলী স্কুল,কলেজ ও টেকনিকাল স্কুল, অনেক নাম না জানা কলেজ,মাধ্যমিক স্কুল এবং প্রায় প্রতি গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়েছে। এই উপজেলাকে ডক্টর মহিউদ্দিন খান আলমগীর নিজের প্রতিভা খাটিয়ে ঢেলে সাজিয়েছেন। আজ প্রতিটি গ্রামের জনগণ বিদ্যুৎ, সিলিন্ডার গ্যাস,টেলিভশন এবং শহরের সুবিধা ভোগ করে। সে যুগে গ্রামের পল্লীর ভাটিয়ালি গান,যাত্রা, কবি গান, পুঁথিপাঠ, ঈদ,পূজাপার্বন স্মৃতির পাতায় জাগ্রত রয়েছে । কিশোর,শৈশব ও যৌবনের স্মৃতি,পল্লী গ্রামের শীতের পিঠা,খেজুরের রসের মিষ্টি, পাড়া বেড়ানো ভুলে যেতে কি পারি ?
সমাপ্ত
Amazing,Nostalgic, Huge matching with my life. Your have good gifted writing hand. May ALLAH bless you