(দশম পর্ব )

‘দৈনিক সংবাদ’ পত্রিকার সকল কথা  বলা হয়নি, বলতে পারিনি। এখন দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকা নিয়ে কিছু আলোচনা করবো। কেমন ছিল জনকণ্ঠ পত্রিকা, তার মানুষজন! দৈনিক জনকণ্ঠে আমার লেখার ধরণ কেমন ছিল?  তখনকার পত্রিকা ও লেখার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরছি।

লেখালেখির  শুরুতে সব বিষয় নিয়েই লিখতাম। পত্রিকা অফিসে লেখা পাঠানো হতো ডাকবিভাগের মাধ্যমে। অনেক লেখা, অনেক সাপ্তাহিক-সাময়িকী ও  দৈনিক পত্রিকায় পাঠাতাম। তাই এনভেলাপে বা ডাকবিভাগের খামে পাঠাতে অনেক খরচ হতো । ঢাকা থেকে ২ (দুই) পয়সায় মফস্বলে পত্রিকা প্রেরণ দেখে  বিকল্প পথ বেছে নিলাম। খামের ওপর খোলা ডাক বা বুকপোস্ট লিখে দিলেই খরচ ৫ (পাঁচ) পয়সারও কম হতো। খোলা ডাকের একটি নিয়ম ছিল যে, চিঠির মুখ বন্ধ করা যাবে না। খোলা থাকতে  হবে। চিঠির ওপরে লিখতে হবে প্রিন্টেড ম্যাটারস, বুকপোস্ট বা বইপত্র। ঢাকা থেকে পত্রিকা অফিসগুলো, এভাবেই বুকপোস্টে, মফস্বলে পত্রিকা পাঠাতো ২ (দুই) পয়সায়। আমরা তখন ডাক বিভাগের মাধ্যমেই মফস্বল এলাকায়   পত্রিকা পেতাম। পত্রিকার জন্য ডাকবিভাগের পিয়নের অপেক্ষায় হা করে তাকিয়ে থাকতাম! কী মনে হচ্ছে? রূপ কথা?                          

সেই সময়ে, কোনো প্রকারে আমি জেনেছিলাম যে  দৈনিক জনকণ্ঠ একটি প্রগতিশীল পত্রিকা। তাই এর প্রতি আমার একটি অন্যরকম আকর্ষণ কাজ করছিল। দৈনিক সংবাদের পরই আমার দ্বিতীয় পছন্দের পত্রিকার নাম ছিল  ‘দৈনিক জনকণ্ঠ’।

একসময়ে,  ১৯৯১ সনের পর, জনকণ্ঠ পত্রিকা অফিসে নিয়মিত আসাযাওয়া শুরু করি। লেখা নিয়ে যাই, দিয়ে আসি। কোনো কোনো সময় পত্রিকা অফিসের রিসিপশনডেস্কেই লেখা দিয়ে চলে আসি। কোনটি ছাপা হতো, কোনো লেখা ছাপা হতো না। তারপরও উদ্যম বা প্রচেষ্টা থেমে যায়নি। লেখা পাঠিয়েই যেতাম। এ ছিলো এক অন্য রকম যন্ত্রণা, ঘোরতর নেশা। কী এক অজানা নেশায় পেয়েছিল আমাকে!  শতপ্রতিকুলতার মধ্যে, সেই নেশায় এখনো মোহাচ্ছন্ন থাকি। লেখার নেশা আমাকে ছাড়ে না।                           

জনকণ্ঠ পত্রিকা অফিসে ৪/৫ জনের সাথে আমার পরিচয় হয়। কিন্তু মনে আছে শুধু নাসির ভাই ও তোয়াব খান সাহেবের কথা। বাকী লোকজনের কিছু স্মৃতি মনে থাকলেও, তাদের নাম আর  মনে করতে পারছি না। অন্য আরো একজনের কথা খুব মনে পড়ে। তিনি জনকন্ঠ পত্রিকার বিঞ্জাপন শাখায় উচ্চ পদে কর্মরত ছিলেন। বাড়ি নোয়াখালী, গোলগাল সুন্দর চেহারার ভদ্রলোক। জনকণ্ঠ পত্রিকা অফিসে ঊনি আমাকে বেশ কয়েকবার আপ্যায়নও করেছিলেন। শফিক সাহেব,  না কী যেন নাম? কোনো ভাবেই নামটা মনে করতে পারছি না।                           

শুরুতে কবিতা নিয়েই  জনকণ্ঠে আমার যাতায়াত ছিল। পরবর্তী সময়ে  নানা কারণে গদ্য লেখা শুরু করি। নিবন্ধ হিসেবে লেখা পাঠাতাম।  আমার লেখা ওদের পছন্দ হতো। তাই লেখা সংক্ষিপ্ত করে, উপসম্পাদকীয় কিংবা ফিচার হিসেবে না ছেপে, ঊনারা  চিঠিপত্র কলামেও ছেপে দিতেন। তবু এই ভেবে তৃপ্তি পেতাম যে, জনকন্ঠ পত্রিকায় আমার লেখা ছাপা হয়েছে!

একদম শুরুর দিকে জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত গদ্যপদ্য কোনো লেখাই আমার সংগ্রহে নেই। জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত যে লেখার পেপার কাটিং আমার নিকট আছে নিচে তার কয়েকটির উল্লেখ করা হলো।

০১. “সুকান্তঃ কবি ও মানুষ” গ্রন্হের রিভিউ –শাকিল রিয়াজ, ৩০- ০৬- ১৯৯৫।

০২. ছিঃ ছিঃ লজ্জা, এ কি লজ্জা…,  ০৭-০৩-১৯৯৬।

০৩. নেই,  ১৪-০৪-১৯৯৬।

০৪. নাসির আহমেদের ক্ষমতার এপিঠ – ওপিঠ, ১৭-০৩- ১৯৯৭।

০৫. কিছু কথা, কিছু স্মৃতি, ১১-১১-১৯৯৮।

০৬. . রাজনৈতিক ডিগবাজির তুখোড় সব নেতা,  ৩০-০১-১৯৯৯।

০৭.  বেতিয়ারা শহীদ দিবস, ১১ -১১-১৯৯৯।

০৮.  পরিবার পরিকল্পনাকে স্বাস্থ্য বিভাগে একীভূত করার দায়ভার, ২২-০৩-২০০০।

০৯.  বেতিয়ারায় শহীদ সহযোদ্ধার স্মৃতি, ১১-১১-২০০০।

 ১০. সহযোদ্ধার স্মৃতি, ১১- ১১- ২০০১।

জনকণ্ঠে প্রকাশিত  আমার ‘ নেই ‘ কবিতাটি নিয়ে  প্রসংগক্রমে আগেই কিছু বলা হয়েছে । বলা হয়েছে নাসির ভাই (কবি নাসির আহমেদ)

কে নিয়েও। নাসির ভাই জনকণ্ঠ পত্রিকার সাহিত্যের পাতা দেখতেন।  কবি নাসির আহমেদ দৈনিক বাংলা, জনকণ্ঠ, সমকালসহ বিভিন্ন দৈনিকে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশনে পরিচালক (বার্তা) পদে  কাজ করেছেন। কবিতা, গান, নাটক, প্রবন্ধ-নিবন্ধ, শিশুসাহিত্য, কলামসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় তার সমান বিচরণ। কবিতায় তিনি ‘বাংলা একাডেমী পুরস্কার’, পেয়েছেন।

আমার লেখা ” সুকান্তঃ কবি ও মানুষ ” বইটি প্রকাশের পরপর   রিভিউ বা সমালোচনার জন্য জনকণ্ঠ পত্রিকা অফিসে গেলাম। নাসির ভাইয়ের হাতে বইয়ের ২ টি কপি দিলাম। এটাই নিয়ম। কোনো পুস্তক রিভিউ করতে পত্রিকা অফিসে জমা দিলে বইয়ের ২ টি কপি জমা দিতে হয়। আমিও তাই দিলাম। নাসির ভাই মুচকি হেসে

১টি কপি আমাকে ফেরত দিলেন। ১ টি কপি রেখে দিয়ে বললেন, ঐদিন বাংলা একাডেমিতে পাওয়া কপিটি আমার নিকট আছে। ভাবলাম ভালোই হলো, হয়তো নাসির ভাই নিজেই আমার বইটি রিভিউ করবেন।

অনেকদিন জনকণ্ঠ দেখি, কতো কিছু দেখি! আমার অন্য লেখা ছাপা হয়, তাও দেখি।  আশায় আশায় প্রতিদিন পত্রিকার পাতা উল্টাই, কিন্তু ‘সুকান্তঃ কবি ও মানুষ’ গ্রন্থের রিভিউ আর দেখি না। এরমধ্যে ২/১ বার নাসির ভাইয়ের সাথে দেখা হয়েছে, কথাও হয়েছে। কিন্তু বুক রিভিউর ব্যাপারে কোনো আলাপ হয়নি।

হঠাৎ ৩০ জুন ১৯৯৫ তারিখের দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সাহিত্যের পাতা উল্টাতেই চোখে পড়ল “সুকান্তঃ কবি ও মানুষ ” বইটির প্রচ্ছদসহ একটি রিভিউ। রিভিউ করেছেন শাকিল রিয়াজ। শাকিল রিয়াজ লিখেছেন,

“… এই মানবতাবাদী কবির জীবন ও সাহিত্য নিয়ে যখন গ্রন্থ রচিত হয়, তখন স্বভাবতই তা গুরুত্বের দাবি রাখে। আলোচ্য ” সুকান্তঃ কবি ও মানুষ” গ্রন্হটি সুকান্তকে নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন।

মোট ১৭টি অধ্যায়ে লেখক (সামাদ সিকদার) সুকান্তর জীবন ও সাহিত্যকর্মের পরিচয় তুলে ধরেছেন আলোচ্য গ্রন্থে । ব্যক্তি সুকান্ত আর কবি সুকান্তের পরিচয় উদঘাটন ও মূল্যায়নে লেখক যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন, তা বইটির সচেতন পাঠকমাত্রই অনুভব করবেন।

সুকান্তর কবিতা ছাড়া অন্যান্য সাহিত্যকর্মও আলোচিত হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই লেখক সামাদ  সিকদারের একটাই বিবেচনা। আর তা হলো সুকান্ত ছিলেন মানুষের কবি, মানবতার কবি। আর এ কারণেই সুকান্ত আমাদের সাহিত্যে উচ্চারিত হবেন প্রতিনিয়ত।”

 বেতিয়ারা শহীদ স্মৃতি বা শহীদ দিবসের ওপর বেশি লেখার কারণ, ওরা ছিল আমার সহযোদ্ধা। একসাথে ভারতে প্রশিক্ষণ। আসামের তেজপুর ও নেফাতে প্রশিক্ষণ এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ।       দেশে ফিরে আসার কথাও ছিল একসাথে, একই দিনে । হাই কমান্ডের ক্লিয়ারেন্স না থাকায় আমাদের ইন্ডাকশন (দেশাভ্যন্তরে প্রবেশ) কয়েকদিন পরে হয়। তাই বেঁচে যাই। সেই জন্য বেতিয়ারা শহীদ দিবসের স্মরণ হলেই      হৃদয়ে একটি অন্যরকম যন্ত্রণা ও তাগিদ অনুভব করি। দ্বিতীয়তঃ তোয়াব খান সাহেবের ব্যাক্তিগত আগ্রহ। তিনি এই ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন ও আমাকে বরাবরই উৎসাহ প্রদান করতে।  তোয়াব খান  বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি বাংলাদেশের বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র জনকন্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক। সাংবাদিকতায় অনন্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১৬ সালে একুশে পদক প্রদান করে। তিনি ১৯৫৫ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে  কাজ শুরু করেন। বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করে পরবর্তী সময়ে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় যোগদান করেন। এই কীর্তিমান পুরুষ ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন।

১১ নভেম্বর বেতিয়ারা শহীদ দিবস। অক্টোবর মাস আসলেই তোয়াব খান সাহেব বলতেন, এবার আগেভাগে লেখা চাই। তোয়াব খান সাহেবের সাথে আমার ভায়রা ভাই  (আমীর খসরু ) ‘র সাথে একটি ভালো সম্পর্ক ছিল। খসরু ভাই তথ্য মন্ত্রণালয়ে চাকরি করতেন। তিনি ছিলেন প্রেসিডেন্টের চীফ ফটোগ্রাফার। আর তোয়াব খান সাহেব একসময়ে ছিলেন প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব।

 জনকণ্ঠ অফিসে যাতায়ত করতে করতে  ততদিনে তোয়াবখান সাহেবের সাথে লেখক হিসেবে আমার একটা পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। একদিন জনকণ্ঠ অফিসে তোয়াব খান সাহেবকে  কী মনে করে খসরু ভাইয়ের কথা বলেছিলাম। তিনি খসরু ভাইয়ের ভালোমন্দ খবর এবং আমি ঊনার কে হই জেনে নিলেন। এরপর তোয়াব খান সাহেব আমাকে দেখলেই খসরু ভাইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেন।     কথাবার্তা বলতেন ও লেখার ব্যাপারে আমাকে আরও উৎসাহ প্রদান করতেন।

 

দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত, কবিতা, বুক রিভিউ, বেতিয়ারা শহীদ স্মৃতি ও শহীদ দিবসের কথা সংক্ষিপ্ত রূপে বলা হলো। এ ছাড়া আরও যে  লেখা (পেপার কাটিং) আমার সংগ্রহে আছে তা হলো — ‘রাজনৈতিক ডিগবাজির তুখোড় সব নেতা ‘। ৩০ জানুয়ারি ১৯৯৯ তারিখে প্রকাশিত এই লেখায় রয়েছে কাজী জাফর, শাহ মোয়াজ্জেম ও মওদুদ আহমেদ সাহেবদের রাজনৈতিক ডিগবাজির চালচিত্র। আজকে একদল, কালকে আরেক দল। আদর্শের নামে আদর্শ বর্জিত ও সুযোগ সন্ধানী এই সকল রাজনীতিকরা মানুষের দুষমন। এই কথাই উক্ত লেখার মর্মকথা।

দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত ০৭ মার্চ ১৯৯৬ তারিখের লেখার শিরোনাম ছিল, ” ছিঃ ছিঃ লজ্জা,  এ কি লজ্জা… “। লিখেছি, ‘আমাদের ১৫ ফেব্রুয়ারীর ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গত ১৮ ফেব্রুয়ারী আমাদের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাংবাদিক সম্মেলন প্রসঙ্গেই বলছি। দেশে আজ কি না হচ্ছে,  জাতি হিসেবে আমাদের মর্যাদা কোথায়? সচেতন মানুষ মাত্রই একথা ভাবছেন।

নির্বাচনোত্তর সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন,  নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। অনিয়ম কিছু হয়ে থাকলে তার জন্য তিনি বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন। সাংবাদিকরা নাকি ঢাকার বাইরে যায়নি, গ্রামের খবর জানতে পারেনি তাই তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে পারেনি। দায়বোধ, দায়িত্ববোধ, লজ্জাবোধ এবং ন্যুনতম নৈতিকতাবোধও যে আমাদের অবশিষ্ট নেই — এধরণের উক্তি বোধ হয় তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ। ‘. ..

 (একটি  বড় লেখার অংশ বিশেষ)।

” নাসির আহমেদের ক্ষমতার  এপিঠ – ওপিঠ ” শিরোনামে জনকণ্ঠ পত্রিকায় ১৭ মার্চ ১৯৯৭  আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়। এর সূত্র ছিলো, দৈনিক জনকণ্ঠে ৯ মার্চ ১৯৯৭ প্রকাশিত নাসির আহমেদের লেখা ” ক্ষমতার এপিঠ – ওপিঠ ” শীর্ষক উপসম্পাদকীয়।

নাসির আহমেদ শুরু করেছেন গৌর কিশোর ঘোষের ‘আমাকে বলতে দাও’ বইটি দিয়ে। শেষ করেছেন সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়ে। ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। প্রত্যাশা ছিল, দেশ স্বাধীন হলে সাধারণ মানুষ দু’বেলা পেট ভরে ভাত খেতে পারবে, গায়ে জামা থাকবে, মাথা গোঁজার ঠাঁই হবে, রোগে-শোকে চিকিৎসা হবে ; দেশর প্রত্যেকটি মানুষ নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হবে। হয়নি। সে প্রত্যাশা পুরণ হয়নি।’

আমার লেখায় আরও ছিল,    স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী পালন করছি কার জন্য, কীসের জন্য, কেন? অনেক সময় বুঝতে পারিনা। শুধুইকি ক্ষমতা বদলে নতুন  সরকার আসার জন্য, ক্ষমতার এপিঠ – ওপিঠ দেখার জন্য? একটি দেশ ও জাতির জন্য ২৫ বছর দীর্ঘ সময় নয়। তবে আমাদের মতো দেশের জন্য কোনো কম সময়ও নয়! কী করেছি আমরা,  কী পেয়েছি, এখনও কি সময় হয়নি হিসাব মেলাবার?

আমার শেষ বক্তব্য ছিল, স্বাধীনতার কাছ থেকে আমাদের কী প্রত্যাশা ছিল, আর কী পেয়েছি? ক্ষমতার এপিঠে যারা আছেন তারা যেমন এর উত্তর জানেন, তেমনি এর জবাব আছে তাদের কাছেও আজকে যারা  ক্ষমতার ওপিঠে অবস্থান করছেন। অতএব, দোহাই আপনাদের — দেশকে, দেশের মানুষকে আর গিনিপিগে পরিণত করবেন না।

                                                                                                                                   (চলবে)

০৫-০৬-২০২০

রূপায়ণ টাউন, নারায়নগঞ্জ।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন