টরেন্টোর ইতিহাসে এই প্রথম কৃষিবিদদের পিকনিক অনুষ্ঠিত হলো এক কৃষিখামারে। গত শনিবার ১৯ আগস্ট , ২০২৩ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশী এগ্রিকালচারিস্টস ইন কানাডা (আবাকান) এর বার্ষিক পিকনিক সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলো এগ্রি ফুড কানাডার স্বত্তাধাকারী , কৃষিবিদ ইকবাল হোসেনের খামারে। ব্যাতিক্রমধর্মী এই পিকনিকের উল্লেখ্যযোগ্য দিক হচ্ছে, খাবারের সার্বিক যোগান বাহিরের কোনো ক্যাটারিং সার্ভিস থেকে না নিয়ে, এমনকি বাইরের কোনো পাচক না নিয়ে কিছু কৃষিবিদ ও তাদের পরিবারের সহযোগিতায় খামার সংলগ্ন কটেজে রান্নাবান্নার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত রান্নায় ইকবাল হোসেনের খামারে পালিত চারটি খাসি জবেহ করে মাংসের যোগান দেয়া হয়।
খামারটি টরেন্ট শহর থেকে মাত্র ১২৮ কিমি উত্তর পূর্ব কোনায় Brechin সিটিতে যা স্কারবোরো এলাকা থেকে ড্রাইভ করে দেড় ঘন্টা খানিক সময় লাগে। পিকনিকের আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার রাতে সপরিবারে আবাকানের প্রেসিডেন্ট শরীফ আসাদুজ্জামান মিলু, সেক্রেটারি হাসমত আরা জুঁই, এ জি এস জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন, ট্রেজারার ফরিদ আহম্মেদ এবং কার্যকরী সদস্য কাজী জাকির আহসান খামারের সন্নিকটে ইকবাল হোসেনের কটেজে অবস্থান করে গভীর রাত অবধি পিকনিকের রান্নাবান্নার যাবতীয় পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে পিকনিকের রান্নার কাজ এগিয়ে রাখেন। পিকনিকের দিনে সকাল থেকে শুরু করে দুপুরের আগেই একই জায়গায় উপস্থিত কৃষিবিদ ও তাদের পরিবার নিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে রান্নাবান্নার সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
সকালের নাস্তায় ফার্মের উৎপাদিত ভুট্টা-র বারবিকিউ, হট ডগ ও বনরুটি , সিদ্ধ ডিম, পরিবেশন করা হয়। দুপুরে লাঞ্চ শেষে ডেজার্টে কৃষিবিদ দম্পতি নজরুল ইসলাম কাকুল ও মুক্তি-র বাসায় তৈরী সুস্বাদু রসগোল্লা খেয়ে উপস্তিত সকলে ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পুরুষ ও মহিলাদের ভিন্ন ভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন হাসমত আরা জুঁই, খেলাধুলায় সহায়তা করেন জাকারিয়া এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সহয়তা করেন সোমা চৌধুরী ।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাকসুর প্রাক্তন ভিপি ফায়েজুল করিম টরেন্টো এলাকার স্কারবরো সাউথওয়েষ্ট আসনের নির্বাচিত জনপ্রিয় এম পি পি ডলি বেগমের পক্ষ থেকে এবাকানের উদ্দেশ্যে একটি মানপত্র পাঠ করে শোনান এবং এবাকানের কার্যকরী নির্বাহী কমিটির কাছে মানপত্রটি প্রদান করেন।
বৈকালিক মুখরোচক ঝালমুড়িমাখা পরিবেশনের পর পরপরেই খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক চমৎকার খেলা শেষে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত সিনিয়র কৃষিবিদগণের মাধ্যমে খেলাধূলা ও র্যাফেল ড্র-র আকর্ষণীয় পুরুস্কার বিতরণ শেষে সেক্রেটারি হাসমত আরা জুঁই পিকনিকের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সবশেষে, প্রেসিডেন্ট শরীফ আসাদুজ্জামান মিলু-র সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে পিকনিকের কার্যবলী সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
শহরের কোলাহল থেকে দূরে কৃষিবিদ ইকবাল হোসেনের এই কৃষিখামারে Ramara ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর Jennifer Fisher এর উপস্থিতি ও শুভেচ্ছা বক্তব্যে এবাকানের এবারের এই বার্ষিক পিকনিকের মর্যদাকে যেন আরও খানিকটা বাড়িয়ে দেয়।
অনুষ্ঠানের স্থির-চিত্রগ্রহণের পর্বটি পরবাসী ব্লগের পক্ষ থেকে সৌজন্যমূলক ভাবে প্রদান করা হয়। নিচের দুটি লিংকে অনুষ্ঠানের সকল ছবিগুলি পাওয়া যাবে। আপনি আগ্রহী হলে লিংকটি ক্লিক করুন।
ছবিতে পিকনিক – পর্ব ১
ছবিতে পিকনিক – পর্ব ২
(পিকনিকের অনেকেই ব্যাক্তিগত ছবির জন্য অনুরোধ করেছিলেন , আগ্রহী হলে ছবি সংগ্রহ করতে পারেন। আমাদের ইমেইল – [email protected])
অনেক অনেক ধন্যবাদ হাফিজ ভাই। আপনি পরিবারসহ উপস্হিত থেকে ও স্হির চিত্র গ্রহন করে আমাদের চির কৃতজ্ঞ করেছেন। আপনার সহযোগিতা ABACAN সর্বদা কামনা করে।
আবারও ধন্যবাদ।
শরীফ মিলু।।