…না পারবেন না। “কানাডিয়ান মিউনিসিপালিটি বাই ল (by law)”

খবরটি লিখেছিলেন আমাদের কানাডার টরন্টো শহরের উত্তরের ছোট একটি শহর মারখহামের রিপোর্টার মিস Kelly . গত মাসের খবর। বেপারটি আমাদের বাংলাদেশের টর্ট আইন জাতীয় তবে এর প্রয়োগ বাংলাদেশে কতখানি আছে তা আমার জানা নেই। ঘটনাটি ঘটে এখানকার ইউনিয়নভিল নামক শহরে। জেইলিং-উ তার বাড়িতে বেড়ে ওঠা ৩টি গাছ কোনো কারণে কেটে ফেলেন। প্রতিবেশী প্রকৃতি প্রেমী লোকদের মাধ্যমে খবর চলে যায় সিটি by-law অফিসে।

সেখানকার সিটি by-law অনুযায়ী গাছ যেখানেই হোক তা কাটতে হলে আপনাকে অবশই সিটির parmisssion নিতে হবে। arborist বা গাছ রোপন, কাটন এবং রক্ষনাবেক্ষন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ অনুযায়ী আপনার গাছ কাটতে হবে। আমাদের দেশের টর্ট আইনের বেবহার বা সেই আইনকে সম্মান ঠিকমতো করা হয় কি না জানি না তবে এখানে এই আইনটি বেশ কার্যকরী এবং নাগরিকরা সেটাকে মানে এবং সম্মান করে।

সিটিতে খবর যাওয়ার পর জেইলিং উর বাড়িতে এসে হাজির হন Certified arborist এবং provincial offences officer Mr. David Hunt. Mr. Hunt জেইলিং উকে নির্দেশ দেন ২২ টি প্রজাতির ১৮টি গাছ তার প্রোপার্টিতে লাগাতে। এই গাছ লাগাতে ব্যর্থ হলে মিস উকে $৬০০ করে ফাইন প্রতিটি গাছের জন্য, তাতে ১৮টি গাছে আসে মোট $১০,৮০০ অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশী টাকার বিনিময় মূল্যে ৬ লক্ষ্য ৭০ হাজার টাকার মতো।

মিস উকে এই মাসের শেষ অর্থাৎ ৩১সে মের মধ্যে গাছগুলি লাগাতে হবে অথবা তাকে $১০.৮০০ গুনতে হবে। এলাকার অধিবাসীরা সিটিকে আবেদন জানিয়েছেন তাদের ২০০৮ সালের by-law কে আরো শক্তিশালী করতে যাতে করে ডেভেলপাররা অল্প পরিমান ফাইন দিয়ে গাছ কেটে, পরিবেশ ধ্বংস করে বাড়ি বানিয়ে ফাইনের থেকে বেশি লাভ অর্জন করেন। মিস “উ” উকিল নিয়োগ করেছেন, দেখা যাক কি হয়। অবশেষে ৩১সে মে চূড়ান্ত সমাধান জানার অপেক্ষায় থেকে শেষ করছি।

বি. মুকুল

টরন্টো, কানাডা থেকে।

২০সে মে, ২০১৭

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন