।। তৃতীয় কিস্তি ।।

কর্মজীবন? হা, কর্মজীবনের কথা অবশ্যই বলবো। সেতো বলতেই হবে।  আমার কর্মজীবন  এক বিশাল ব্যাপার। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে  ৩৬ বছরের কর্মজীবন!  তবে সে কথা আজ নয়। অন্য দিন৷

একথা আজ অকপটে স্বীকার করছি যে,  আমার নেশার সাথে পেশার মিল ছিল না ।  একদিকে যেমন মানসিক তৃপ্তি পাইনি অন্যদিকে, তেমন কিছুই করা হয়ে উঠেনি।

আমার  গবেষনার ( পি- এইচ. ডি) সুপারভাইজার  অধ্যাপক ডক্টর  প্রফুল্লচন্দ্র সরকারের  ভাষায়,  বিরাট সম্ভাবনা থাকা  সত্বেও ডিগ্রি ( পি-এইচ.ডি)  কোনো কাজে লাগাতে পারলামনা।  আমার ওপর তার এক্সপেক্টেশন অনেক হাই ছিল।

সে যাহোক,  এখন বইপত্র, ম্যাগাজিন, ক্রেস্ট লেখা, পত্রিকা ইত্যাদি কমাতে চাই। এক্ষেত্রে কিছুটা কঠোরতাও অবলম্বন করছি এজন্য যে, আমি এমন কোনো বিখ্যাত ব্যাক্তি নই যার ওপর গবেষণা হবে। কেউ জানতে চাইবেনা  যে আমি কে?  এইযে লেখাটা লেখছি, ধারাবাহিক, তা- ইবা ক’জন পাঠ করছেন?  এযেন কার ঘা ( ব্যাথা)  কে দেয় ঔষধ?

আমার এই বিরাট সম্পদ ( আমার মতে)  নিয়ে কোনো লাইব্রেরিও গড়ে উঠবেনা। তাই  প্রথমেই ক্রেস্টের   এবং পরে শতশত বইয়ের বোঝা বিসর্জন দিয়েছি। পুরস্কারের ক্রেস্ট,  মুক্তিযোদ্ধার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্রেস্ট, বিভাগীয় ক্রেস্ট, প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও শান্তনার ক্রেস্ট, খেলাঘর ও ছাত্র ইউনিয়নের    ক্রেস্ট, পেশাজীবি সংগঠন ও অবসর সমিতির  ক্রেস্ট। আরও কত ধরনের ক্রেস্ট!  পসন্দসই কয়েকটা রেখে বাকীগুলো ফেলে দেয়া ছাড়া আর কী  কোনো উপায় আছে  ?

এবার আসি ডায়েরি বা দিন পন্জীকা প্রসঙ্গে। হাইস্কুলে পড়ার সময় থেকে ডায়েরি লেখার অভ্যাস। সুন্দর ও বড় ডায়েরি লেখার শুরু ১৯৭১ সাল থেকে। তার আগে ছিল ছোট্ট ডায়েরি। মুক্তিযুদ্ধের সময় সিকিউরিটির জন্যে ডায়েরি লেখা নিষেধ থাকলেও লুকিয়ে লুকিয়ে নোটবইয়ে তারিখ সহ সংক্ষিপ্ত কর্মকাণ্ড লিখে রাখতাম। এটি এখনও আছে। ওই নোটবইয়ের উপর ভিত্তি করেই ( ১) মুক্তিযুদ্ধ এবং আমি (২) মুক্তিযুদ্ধঃ কিছু কথা কিছু স্মৃতি  বই ২ টি লিখেছি।

১৯৭১ সন থেকে  প্রতিবছর একটি বড় ও একটি ছোট পকেট ডায়েরি ব্যবহার করি। পরবর্তীকালে চাকুরী জীবনে কোনো কোনো বছর ৩/৪ টি ডায়েরিও ব্যবহার করেছি।

অবসর জীবনে একটি বড় এবং একটি ছোট মিলিয়ে ২/৩ টি ডায়েরি ব্যবহার করা হয়। সব মিলিয়ে ডায়েরির সংখ্যা শতাধিক। এ ডায়েরিগুলো কী করবো বুঝতে পারছিনা। মনে হয় ডেস্ট্রয়ের পথ ধরতে হবে। কারণ, এগুলো কেউ দেখুক বা পাঠ করুক তা আমি চাই না।
(চলবে)

***লেখার  শিরোনামটি এখনও চূড়ান্ত করতে পারিনি। এ পর্বের শিরোনামে পরিবর্তন আছে।     অনেকগুলো নাম মনে আসে, পছন্দ হয়না । একটা কিছু দিয়ে শুরু করলাম।
আমার কোনো বন্ধু,  লেখক, পাঠক বা শুভাকাঙ্ক্ষী  এই লেখা পাঠ করে যদি একটি শিরোনামের পরামর্শ দেন তাহলে কৃতার্থ হবো।
বর্তমান শিরোনামটি পছন্দ হলে তাও জানাবেন।

*** ইতোমধ্যে, প্রখ্যাত নৃত্য শিল্পী মুনমুনআহমেদ, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, কৃষিবিদ আখন্দ সাহেব, প্রিয় সালাহউদ্দিনমাহমুদ বকুল ও লুনা হায়দারসহ বেশ কয়েকজন মন্তব্য কলামে লেখাটির শিরোনামের  পরামর্শ দিয়ে নাম প্রস্তাব করেছেন। এগুলোও সক্রিয় বিবেচনায় আছে। যারা পরামর্শ দিয়েছেন তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তাদের জন্য।

১১-০৫-২০২০
রূপায়ণ টাউন
বাংলাদেশ।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন