আমাদের বাংলাদেশি ছেলে মেয়েদের জন্য টুকিটাকি:
১) স্পোকেন  ইংলিশ  নলেজ ইম্প্রোভ করবেন ।
2) যদি বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করতে চান সে ক্ষেত্রে IELTS ইংলিশ (টেস্ট )অবশই ভালো করতে হবে ।  তবে মনে রাখবেন, ভর্তির জন্য কোনো মিথ্যা ইনফরমেশন দেবেন না, যদি এডমিশন পেয়ে ও যান, ভিসা না হলে টাকা পয়সা ফেরত পাবেন না (মিথ্যা বলার জন্য) । এখানে উল্লেখযোগ্য যে ,কিছুদিন পূর্বে আমার এক পরিচিত জন IELTS টেস্ট দিয়ে ভালো স্কোর করে বাংলাদেশে এক এজেন্টের মাধ্যমে কানাডার কোনো এক উনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় যে তার আর্থিক  ইনফর্মাশনে সমস্যা ছিল,কানাডা হাই কমিশন ভিসা দেয়  নি। যেহেতু ইনফরমেশন সঠিক ছিল না, ভর্তির টাকা উঠতে পারেনি।যে এজেন্সির মাধ্যমে দরখাস্ত করেছিল, এটা তাদের ভালো ভাবে দেখে দরখাস্ত পাঠালে এ সমস্যা হতো না।ভবিষ্যতে আমাদের দেশিও   এজন্সিকে   এ ব্যাপারে সতর্ক হতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
৩) বাংলাদেশে ও হাজার হাজার গার্মেন্টস  ইন্ডাস্ট্রিস রয়েছে, বিদেশ থেকে অনেক বেতন দিয়ে ফ্যাশন ডিসাইনার নিয়োগ দেয় ।  এ সব কোর্স করলে দেশে ও ভালো কাজ পাওয়া যায় ।
৪) শেফ/কুক এর কাজ জানলে আপনি দেশে বা বিদেশে (দ্রুত)কাজ পাবেন
৫) ইলেক্ট্রিয়ান এর  কাজ জানলে যে কোনো দেশে কাজ পাবেন, এমন কি দেশে ও কাজ পাবেন ।
৬) প্লাম্বিং  জব যারা জানে তারা সব সময় এদেশে  কাজ পায় ।
৭) অটো মেকানিক সে তো হট কেক, কাজের অভাব নাই
৭) কোনো একজন পিএইচডি, ইউনিভার্সিটি টিচার আমাকে একবার বলে ছিলেন ,” আমি ইংল্যান্ড এ বাঁচার জন্য লোকজনের বাড়িতে কাজ করতাম এবং গাড়ি ও পরিষ্কার করেছি”, কাজ করলে  ইজ্জত যায় না ।
মনে রাখবেন “জীবন পুস্প শয্যা নয়” যে গল্প করে সময় কাটাবেন। আপনি জীবনে কি করবেন আপনাকে সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
৮) কানাডাতে  যে সব ছেলে মেয়ে পড়া শুনার জন্য আসে, তারা বাঁচার জন্য যে কোন কাজ করতে প্রস্তুত থাকে, এবং করে, যেমন  রেস্টুরেন্টে দাঁড়িয়ে এক নাগাড়ে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা কাজ করে।
৯) স্কুল/কলেজ/ ইউনিভার্সিটি ডিগ্রী নিয়ে কি বাংলাদেশ, কি বিদেশ, কোথায় ও সরাসরি কাজ পাওয়া যায় না ,সাইড by সাইড বাঁচার জন্য আর একটা কিছু শিখতে হয়।
১০) ১৯৮৭ আমি তখন নিউজার্সি,USA।   এক রেস্টুরেন্টের ওয়েটার (সাদা লোক), প্রসঙ্গ ক্রমে জিজ্ঞাসা করে ছিলাম, তুমি কি আর কোথাও কাজ কর? সে বললো “আমি ছোট্ট ফ্যামিলি কমার্শিয়াল প্লেনে পাইলট হিসাবে কাজ করি.” আমি কিছুটা  অবাক হলাম । সে আমার দিকে তাকিয়ে বললো “আমার কিছু এক্সট্রা মানি দরকার।” এ দেশের লোক যে কোনো কাজ হাসিমুখে করে । “আমার ইজ্জত গেলোরে, এ ধরণের চিন্তা ভাবনা এদের মাথায় নাই । সে জন্যই এ জাতি এত উন্নত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজীবনের খেরোখাতাঃ এলোমেলো পংক্তিমালা-পর্ব ০৯
পরবর্তী নিবন্ধপরী মা
নজরুল ইসলাম
নজরুল ইসলাম - জন্ম:- ১৯৪৮ সাল । এনায়েতপুর, কচুয়া, চাঁদপুর, বাংলাদেশ। শিক্ষা:- এম, কম ( ব্যাবস্থাপনা ), ঢাকা ইউনিভার্সিটি। এম, এ (অর্থনীতি ) জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি। চাকুরী জীবন:-ইসলামাবাদ, পাকিস্তান,বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া,আমেরিকা ও কানাডা। বর্তমানে :- অবসর জীবন- কানাডাতে। ছাত্রজীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। প্রকাশিত বই:-আমার সংগ্রামী জীবন,সাদা ঘোড়া,জীবন চক্র,শুচিতা ও জীবনের মুখোমুখি।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন