সব কিছু মেনে নিলেই তুমি খুব লক্ষী মেয়ে। মানিয়ে নিলেই এটাই মেয়েদের ধর্ম।  শিক্ষাগত যোগ্যতা একটু ভালো হলেই তুমি শিক্ষার বড়াই করো। কম শিক্ষা থাকলে সেটাও সমস্যা অন্যের বৌ এমন তুমি পারো না।  আমার কোন সমস্যা হলে আমার পাশে দাড়ানোর কেউ নাই। কথা বলতে গেলেও সমস্যা কি কথা বলবো বিষয় খুঁজে পাওয়া যায় না।  চুপচাপ সহজ হয়ে থাকলে তুমি হলো বোকা।  মেয়ে তুমি যদী আবার একটু ছটফটে হও তবেই আবার বলবে মেয়েটি বেশি চালু। কথা কম বললে বলবে, মেয়ে কথা বলে না হয়ত একা থাকা পছন্দ করে। আবার যদী কথা বলো তবেই শুরু হয়ে যাবে আরেক গান,  উফ্ এই মেয়ের কথা তো না বোমা ফাটায়, বেশি বোঝে,  বেশি কথা বলে।


না পেরে যে মেয়েটি তার প্রিয় সংসার, স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে একটা চাকরি নিয়ে চলে তাকে আবার একদল পুরুষ বাহবা দেয় আবার একদল পুরুষ বলে চাকরি পেয়ে হাতে টাকার গরমে আজ সংসারে মন নাই।
আবার যে মেয়েটি পড়াশোনা যোগ্যতা কম।  চাকরি প্রশ্নই আসে না।  সংসারের আলু পটল নিয়েই যার জীবন। সংসারটা গুছানোও তার মন।  সে আবার একদল পুরুষের কাছে অশিক্ষিত, আনকোরা। মানুষের সামনে পরিচয় দেওয়া যায় না।  আবার একদল পুরুষ আছে দয়া দেখাতেও আগায় আসে।
হায়রে সমাজ যতই শিক্ষিত হও, বই এর ভিতরেই থাকবে তোমরা, মনের উন্নতি করতে আরো বছরের পর বছর লাগবে। হয়ত ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মুখে সুন্দর উচ্চারণ করে স্বাচ্ছন্দ্যে বলবেও কথা তাতে কি?  তোমাদের মন তো আর বাংলায় বলো আর ইংরেজিতে বলো সুন্দর করতে কি পেরেছ ?? ? ? সুন্দর সুন্দর কথা বলে মানুষ কে মহনীয় করা যায় কিন্তু নিজের বেলায় সেটা তুমি কতটুকু পারো করতে ?

সমাজ বদলানোর কথা বলেও আমরা কি নিজেরা বদলাতে পেরেছি??? সত্যি বলতে আমরা দিয়েই সমাজ। সমাজ দিয়ে আমরা নই…
মেয়ে / নারী   তুমি যেদিকে যাও সেদিকেই তুমি খারাপ… আসলেই কি তাই?  এ গল্পটা কি কেউ খুঁজে কেন সে খারাপ ????কেনো তার হঠাৎ পরিবর্তন ? কেনো তাকে হঠাৎ দশভুজা হয়ে উঠতে হয়? ??

নীলিকা নীলাচল***

(ছবি:- সৌজন্যে Google)

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন