গত কয়েক দিন ধরে বেশ চাপা উত্তেজনায় ছিলাম। হউক না হয় ছোটদের   বিশ্বকাপ ক্রিকেট। বিশ্বকাপ বলে কথা । সেমিফাইনাল গেমে কোনরকমে নিউজিল্যান্ডকে  হারাতে পারলেই নয় তারিখে খেলবে ভারতের সাথে। আহা! কি আনন্দ!!! এই সেই, অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট। এখন থেকেই উঠে এসেছে, সাকিব, তামিম, মুশফিক, লিটন রা ! তাই, অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট নিয়ে আমার ছিল বিশেষ আগ্রহ।

গতরাতে শোবার সময় বালিশের নীচে সেল ফোন রেখে দিয়েছিলাম । অন্ততঃ খেলার স্কোর দেখা’র আশায়। খেলা শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল চারটায়।প্রায় ছয়টায় ঘুম ভেঙে সেল ফোনে চোখ বুলায়ে দেখলাম বাংলাদেশের দামাল যুবকেরা ২১১ রানে বেধে ফেলেছে  নিউজিল্যান্ডকে। বুকে ক্ষীণ আশা নিয়ে বরফ পরা  অয়েদারের মধ্যে  কাজের যায়গা নিউমার্কেটের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আজ আবার আমাদের ষ্টাফ মিটিং। মিটিং এর ফাকে সেল ফোনে চোখ রাখছি। এক সময় দেখলাম   বাংলাদেশ অনায়াসে  ছয় উইকেটে জিতে গেল।  আহা!! কি আনন্দ!!!!! এবার ফাইনালে মোকাবেলা করবে ইন্ডিয়াকে। আজকাল, এশিয়ার ক্রিকেটে পরাশক্তি ইন্ডিয়া ও বাংলাদেশ!!!

টসে জিতে বাংলাদেশ যুবদলের অধিনায়ক আকবর আলী উইকেটের চরিত্র বুঝে ফিল্ডডিং এর সিদ্ধান্ত নেন। অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমান করে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২১১ রান তুলতে সক্ষম হয় । বল হাতে শরিফুল ইসলামের চমৎকার বোলিং করেন । তিনি ১০ ওভার বল করে ৪৫ রান খরচ করে তিন উইকেট নেন ।  এ ছাড়া, শামীম হোসেন ও হাসান মুরাদ ২ টি করে উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং এ ধ্বস নামান ।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ও ছিল ফিল্ডিংয়ের মতোই ভয়ঙ্কর ।  ২৩ রান পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন থাকেন দুই ওপেনার । দলীয় ৩২ রানে আরেক উইকেটে পতন হলে কিছুটা আশংকা দেখে দেয় ।  কিন্তু, মাহমুদুল হাসান জয় এর নৈপুণ্য ব্যাটিং এ আশায় বুক বাধে বাংলাদেশ ।  জয়, জয়ের শেষ প্রান্তে আসে ৪ মেরে সেঞ্চুরি হেকে পরের বলেই আউট হয়ে যান ।  ততক্ষনে জয় প্রায় হাতের মুঠোয় । হৃদয় শাহাদতের প্রত্যেকের ৪০করে রান ও জয়ের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে ।

এই রবিবারে স্থানীয় সময় রাত তিনটায় বাংলাদেশের জুনিয়র টাইগার্ রা ভারত কে মোকাবেলা করবে অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২০ । বড়রা যা পারেনি, দেখা যাক ছোটরা পারে কি না ।  আরোও খবর জানতে আমাদের সঙ্গেই থাকুন ।

 

 

(picture-collected)
পূর্ববর্তী নিবন্ধ_কোন এক গল্পের_ _ছোট অধ্যায়_*
পরবর্তী নিবন্ধদূরত্বের চিঠি
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন
জাকারিয়া মুহাম্মদ ময়ীন উদ্দিন (জন্ম: ১৯৬৬ ), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়ে উন্নয়ন কর্মী হয়ে দেশীয় ও আন্তজার্তিক অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরী শুরু করেন এবং তখন থেকেই লেখালেখিতে মনোনিবেশ। তবে লেখালেখি শুরুটা ছিল সেই হাইস্কুল জীবনে পাড়ার বড় ভাইদের প্রকাশিত ম্যাগাজিন 'অবসর' নামক পত্রিকার মাধ্যমে। ২০০৩ সালে কানাডায় সপরিবারে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করে, আবারও পড়াশুনা, প্রথম Humber College থেকে সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে দুই বছরের ডিপ্লোমা, পরে University of Guelph থেকে ফ্যামিলি & কমিউনিটি সোশ্যাল সার্ভিস বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে আবারও উন্নয়ন কর্মী হিসাবে রেজিস্টার্ড সোশ্যাল সার্ভিস ওয়ার্কার হিসাবে ২০১০ সাল থেকে অদ্যাবধি টরেন্ট ভিত্তিক বিভিন্ন অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর করছেন । লেখকের কয়েকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক গল্পপ্রবাসী ব্লগ, কানাডা ভিত্তিক একটি সাপ্তাহিক বাংলামেইল পত্রিকায় এবং মাসমিডিয়াতে ব্যাপক সাড়া পাওয়ার পরে ঢাকায় ২০২৩ সালের একুশে বইমেলায় লেখকের তিনটি বই হোমলেস, সিঙ্গেল মাদার, জোসনা ম্যানশন উপন্যাস আকারে প্রকাশিত হয় । বর্তমানে হাউজ হাজব্যান্ড নামে লেখকের আরেকটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক কে উপন্যাস হিসাবে ২০২৪ সালের ঢাকা একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় আছে । মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখকের একটি জনপ্রিয় গল্প 'শেকড়' ২০২১ সালে বাংলাদেশের বুকল্যান্ড প্রকাশনা থেকে ৫০ লেখকের ভাবনা নিয়ে পঞ্চাশে বাংলাদেশ গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছিল। গল্প/উপন্যাসের পাশাপাশি কবিতা, প্রবন্ধ লেখা ছাড়াও খেলাধুলা নিয়েও লেখকের অনেক লেখা রয়েছে।

আপনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন
এখানে আপনার নাম লিখুন