আজ ১৯ ডিসেম্বর ২০২০, HSDN,BCS আর টরন্টো বাংলা স্কুলের যৌথ আয়োজনে উজ্জাপিত হলো মহান বিজীয় দিবস। করোনার কারণে এবারের আয়োজন ছিল ভার্চুয়াল। তবে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ছিলো সাড়া জাগানো । অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল বাংলা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ, তাদের অভিভাবকবৃন্দ ,জ্যেষ্ঠ নাগরিকবৃন্দ ,HSDN ,BCS আর টরন্টো বাংলা স্কুলের কর্মকর্তাবৃন্দ আর আমন্ত্রিত অথিতিবৃন্দ। অন্টারিও প্রভিন্সিয়াল পার্লামেন্টের সদস্য ডালি বেগম ও উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ১০টায় HSDN এর সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ সাহা অনুষ্ঠানের শুরু করেন এবং এই সময় জাতীয় সংগীত পরিবেশনা করা হয়। নাসরিন ইসলাম আর রাফিয়া মকবুলের উপস্থপনায় শুরু হয় অনুষ্টানের প্রথম পর্ব – সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এখানে টরন্টো বাংলা স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা কবিতা আবৃতি, ছড়া পাঠ আর নৃত্য পরিবেশন করে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া থেকে চার বছরের একজন বাচ্চা আবৃত্তি কেরেছে। বাংলাদেশ থেকে দুজন গানের ভিডিও পাঠিয়েছে। তারা সরাসরি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়নি। এখানে বাংলাদেশের উপর তথ্য মূলক স্লাইড শো পরিবেশনও করা হয়।ইয়ুৎ ভলান্টিয়াররা মুক্তিযুদ্ধের প্রেজেন্টেশন করেছে।
এরপর অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন HSDNI এর চেয়ারম্যান ডঃ নাসিমা আক্তার।
অনুষ্টানের ২য় পর্যায়ে ঢাকা থাকে যুক্ত হন অনুষ্ঠানের মূল বক্তা প্রফেসর ডঃ আব্দুল মান্নান চৌধুরী। জনাব চৌধুরী ১৯৭১ এর একজন মুক্তযোদ্ধা। ওনার আলোচনায় উনি নিজের রাজনৈতিক জীবন আর মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী কুমিল্লা, ঢাকা, ম্যানচেষ্টার ও ইংল্যন্ডে পড়াশুনা করেন। অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সিলেকশান গ্রেড প্রফেসর ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করছেন। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ সহ তিনটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ও প্রবৃদ্ধির সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তদুপরি নাইজেরিয়ার বায়েরো বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ডীন, বিভাগীয় প্রধান, সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, সলিমুল্লা হলের প্রভোস্ট, ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান, এম. আই. এস বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের সন্ধ্যকালীন এম. বি. এ. প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালকসহ বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন।
ছাত্র-জীবনে তিনি বাঙালির মুক্তিসনদ ৬ দফা, ১১ দফার আন্দোলন এবং ৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকাবস্থায় ভারতের দেরাদুন থেকে গেরিলা যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধের পরও তিনি এক মুহূর্ত আন্দোলন-সংগ্রাম থেকে বিরত থাকেননি। তাঁর জীবনের অপূর্ব অভিজ্ঞতা ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলন। ১৯৯২ সালে তার বিরুদ্ধে গণ-আদালত অনুষ্ঠানের অভিযোগে রাষ্ট্রদোহীতার মামলা রুজু করা হয়েছিল।
তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি একজন প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তি সংগ্রামী। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি পূর্বাঞ্চল মুজিব বাহিনীর উপ-অধিনায়ক এবং স্বল্প সময়ের জন্য অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায় উপস্থপনা করেন সৈয়েদা শামীমা আহমেদ । এখানে স্বাধীনতা দিবস ঊপলক্ষে ২টি গ্রূপের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার চিত্রকর্মগুলো স্লাইড শোর মাধ্যমে দেখানো হয়।ড্রইং এর স্লাইড শো তৈরী করেছে নূরেন নাওয়ার।সে বাংলা স্কুলের ছাত্র ছিল এখন ভলান্টিয়ার। বিচারকদের রায়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষনা করা হয়।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারী আর বিজয়ীরা হচ্ছে:-
Junior list:
Afia Islam
Aarohi Saha
Saara Sameya Khan
Fareeha Rizwana Manha
Souronil Day
Zareen Nawaz
Shehzeen Manha Chowdhury
Soha Siddiqui
Rehan Quader
Tahmmeed Hasan
Noor- E- Zannat
Debasmita Bhowmik
Amrin Hasnat
Afsin Nur
বিজয়ী:-
1st: Shehzeen Manha Chowdhury
2nd: Tahmmeed Hasan
2nd: Afia Islam
3rd: Rehan Quader
Senior list:
Fatimah Hossain
Sohana Hoque
Somaniya Hoque
Farah Mahnoor Sameeha
Mahib Chowdhury
Sonali Chowdhury
Atqiya Kazi
Zaina Nuryn Ahmed
Dibyajit Bhowmik
Zafreen Nawaz
Aryan Saha
Raeed Hasan
Salwa Mahbub
Arnob Sen Gupta
Sara Ahmed
Asif Iqbal
Purnima Jannat
Faieaz Taseen
Mahadi
Annasha Chowdhury
Samara Ashraf
বিজয়ী:-
1st: Salwa Mahbub
2nd: Sara Ahmed
3rd: Farah Mahnoor Sameeha
অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন টরন্টো বাংলা স্কুলের প্রেসিডেন্ট জনাব ফকরুদ্দিন আহমেদ এবং সমাপ্তি ঘোষনা করেন HSDN এর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক জনাব জান্নাতুল ইসলাম।